ব্লগে ঢুকবো না ঢুকবো না করেও শেষ পর্যন্ত ঢুকলাম। বেশ কিছুদিন ধরে প্যারেডে ছিলাম না। তাই বলে সিসিবিকে ‘টা… টা…. বাই…. বাই’ জানিয়ে দিয়েছি এমন ভাবলে ভুল হবে। জানালাটা খুলি প্রতিদিনই। দেখি কে কি করছে, কি লিখছে, কাজের অবসরে পড়িও অনেক লেখাই। গত কয়েকদিন ধরে যে ধর্ম নিয়ে আবার একটা ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে তাও নজর এড়ায়নি। আমার কি কিছু বলা বা করা উচিত- এমনও ভেবেছি।
বিস্তারিত»শুভ জন্মদিন (০২-০৮)
আমরা কলেজে ঢুকি ২০০২ সালে ৭ই মে। সেইদিনের সব কথা আজও মনে আছে। গাইড হিসেবে মেহেদী ভাই এর আমাকে হাউজে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে হাউজ মাষ্টারের সাথে দেখা করা আমাকে রেখে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে আম্মুর কান্নাকাটি আরো কত কিছু। রাতে প্রথম বারের মত কাটা চামুচ দিয়ে খাওয়া, ম্যানু টাও এখনো মনে আছে ডিম ছিল। :dreamy:।
রাতে রুমমেট মুস্তো আর রেজার শহীদ কোচিং নিয়ে গল্প।
ক্যাডেট কলেজ ডে উদযাপন ও কিছু কথা…..
Disclaimer: এখানে বলা সকল কথা নিতান্তই আমার ব্যাক্তিগত মতামত।কাউকে দায়ী করার জন্য বা কারো দায়িত্ববোধ নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা আমার উদ্দেশ্য নয়,তাই আমি চাইনা এই কথাগুলো নিয়ে কোন বিতর্ক হোক।আমার কিছু অজানা প্রশ্নের উত্তর পাওয়াটাই আমার উদ্দেশ্য,তাই সবাই নিজ গুনে আমার অজ্ঞতা মাফ করবেন।
গত ২৮শে এপ্রিল ছিলো ক্যাডেট কলেজ ডে।২৫ তারিখে এক বড় ভাই জানালেন যে ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে নাকি তা ৩০শে এপ্রিল উদযাপন করা হবে।তাই ক্যাডেট কলেজ ক্লাবের পক্ষ থেকে রংপুর ওল্ড ক্যাডেটস এসোসিয়েশন (ROCA) এর জন্য বরাদ্দ করা কিছু কার্ড জুনিয়র ব্যাচের ছেলেদের মাঝে ভাগ করে দেয়ার দায়িত্ব পড়ল আমার উপরে।এই দায়িত্ব পালন কালে এবং এই প্রোগ্রামে গিয়েই আমার মনে কিছু প্রশ্ন আসে ও নানাজনের কাছ থেকে কিছু প্রশ্ন পাই যে প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার জানা তো নেইই বরং অন্য কারো কাছেই সদুত্তর পাইনি।তাই সিসিবির কাছেই আশ্রয় নেয়া এবং এই লেখার অবতারণা করা।
বিস্তারিত»জীবন তবুও অম্লান – (ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা-৪)
[আগের আধ্যায় – ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা]
[আগের আধ্যায় – অজানা যাত্রা – ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা-২]
[আগের আধ্যায় – নববর্ষ ‘৭১ – ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা-৩]
প্রায় এক মাস কেটে গেল আমাদের চট্টগ্রামের প্রত্যান্ত গ্রাম চরণ দ্বীপে বসবাস। এর মধ্যে আমাদের সাথে কোন আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের যোগাযোগ হয়নি। তারা কোথায়, কে কেমন আছে তাও জানিনা।
বিস্তারিত»বই: ‘The 100’ – ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যাক্তিত্বের Ranking.
এস্ট্রোফিজিসিস্ট মাইকেল এইচ হার্ট রচিত মূল The 100: The Most Influential Persons of the History বইটি ২০০৪ সালে পড়ার সুযোগ হয়েছিল। হার্ট সমগ্র মানব ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যাক্তিত্বের Ranking করেছেন এই বইয়ে। পৃথিবীর ইতিহাসে ও মানুষের জীবনে যাদের প্রভাব সবচেয়ে বেশি তাদের ১০০ জন স্থান পেয়েছেন এই তালিকায়। বইটা পড়ে যতটা চমতকৃত হওয়ার তা তো হয়েছিই, একই সাথে ভেবেছি ভদ্রলোক এত কঠিন এক কাজে হাত দিতে সাহস পেলেন কি করে?
বিস্তারিত»নববর্ষ ‘৭১ – (ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা-৩)
[আগের আধ্যায় – ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা]
[আগের আধ্যায় – অজানা যাত্রা – ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা-২]
চরণ দ্বীপে আমরা আশ্রয় নিলাম মিলের এ্যাসিস্টান্ট লেবার অফিসার রহমান সাহেবের বাড়ীতে। যে বিষয়টি আমার বেশী চোখে পড়ল সেটি হচ্ছে, গ্রামের সাধারণ মানুষের সহজে বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করা দেখে। আমি আগে কখনো গ্রামে বাস করিনি, এমনকি গ্রামের মানুষদের নিয়ে কখনো বেশী চিন্তাও করিনি।
বিস্তারিত»মুক্তিযুদ্ধে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ
১৯৭১ সালে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের অনেক প্রাক্তন ক্যাডেট স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন যাদের অনেকেই ছিলেন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা। এদের মধ্যে আছেন মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম, যার ওপর ভিত্তি করে হুমায়ুন আহমেদ ” আগুনের পরশমণি ” চলচ্চিত্র নর্মাণ করেন। এ কলেজের আটজন ক্যাডেট মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেন। নিচে তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হলো।
লেফট্যানেন্ট মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেইন, বীর উত্তম : তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরের কর্মকর্তা।
বিস্তারিত»ভারত রাজনীতি : বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির বিতর্ক ও সাম্প্রদায়িকতা
ছোট অযোধ্যা শহরে এসে রাম জন্মভূমি আন্দোলনের প্রধান সাধু নিত্যগোপাল দাসের ‘নির্মোহী আখড়া’য় ঢুকে শুনলাম তিনি উজ্জয়িনীতে কুম্ভমেলায় গেছেন। ভোট দিতেও অযোধ্যায় ফেরেননি। ফেরেননি আরো কয়েক শ সাধু-সন্ন্যাসী। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) নেতারা বারবার অনুরোধ জানালেও নিত্যগোপাল দাস ফেরেননি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এবার ভোট দেবেন না।
আখড়ারই একজন জানালেন, কথা বলতে হলে ফৈজাবাদ ‘নাকা হনুমান গড়ি মন্দিরে’ যেতে হবে।
বিস্তারিত»অজানা যাত্রা – (ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা-২)
[আগের অধ্যায় : ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা]
কালুরঘাটের কাছের গ্রাম উত্তর মোহরার একটি দালান বাড়ীর সামনে গাড়ী আমাদেরকে পৌঁছে দিল । আমরা তখনও ঘটনা প্রবাহের আকস্মিকতায় যেন একটা ঘোরের মধ্যে আছি। এতগুলি মৃতদেহ একসাথে পড়ে থাকতে আগে কখন দেখিনি। এরা সবাই এক সময় আমার সহকর্মী ছিলেন। ক’দিন আগেও আমরা এক সাথে কাজ করেছি, গল্প করেছি। কি দোষ করেছিল তারা যে এভাবে মরতে হলো তাদের?
বিস্তারিত»ভারত রাজনীতি : গুজরাটে নিরাপত্তাহীন মুসলিম, ভোটেও গুরুত্বহীন
নয়াদিল্লি ছেড়ে আসা ট্রেন ‘আশ্রম এক্সপ্রেস’ গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদের সীমান্তে হাঁটু পানির একটি নদী অতিক্রম করল। সহযাত্রী গুজরাটের এক সরকারি কর্মীকে প্রশ্ন করে জানলাম, নদীর নাম ‘সবরমতি’। স্মৃতিতে ভেসে উঠল এরকমই আরেক ট্রেনের নাম ‘সবরমতি এক্সপ্রেস’, যাতে করে ২০০২ সালের মার্চে গুজরাট ফিরছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একদল করসেবক। গোধরায় স্টেশনের অদূরে ট্রেনে আগুন ধরে ওই করসেবকদের অনেকেই মারা গিয়েছিলেন। আর তার প্রতিক্রিয়ায় সে সময় ভারতের এই গুজরাট প্রদেশের কোনায় কোনায় জ্বলে উঠেছিল প্রতিহিংসার আগুন।
বিস্তারিত»ভিন্ন জানালা দিয়ে দেখা
ভূমিকা
এই লেখাটি প্রকাশের ব্যাপারে আমার মনের দ্বন্দ এখনও ঘোঁচেনি। স্বাধীনতার পর প্রায় দীর্ঘ ৪০ বছর পার হতে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের মনের গভীরে যে দীর্ঘ ক্ষত তা কি এখনও শুকিয়েছে ? নতুন প্রজন্ম যে আবেগ ভরা স্বাপ্নীল চোখে স্বাধীনতার সংগ্রামী সেনানীদের দেখে – তাদের মনে কি এই লেখা কোন ভুল ধারণার সৃষ্টি করবে? সেটা তো আমার কাম্য না। কিন্তু আমি নিজের চোখে যা দেখেছি,
বিস্তারিত»দৃষ্টিনন্দন দৃষ্টি ০২
আমার আগের ব্লগ ‘দৃষ্টিনন্দন দৃষ্টিতে’ বলেছি আব্বার ডান চোখে cataract সার্জারীর কথা।বাম চোখেও সার্জারী করা দরকার।তাই আমি চাচ্ছিলাম যত দ্রুত করে ফেলা যায়।দেরী হলে যদি আবার কোন অসুবিধা হয়!তাই আব্বাকে তাগিদ দিচ্ছিলাম এই বছরের শুরুতেই করে ফেলার জন্য।কিন্তু যথারীতি তাঁর সার্ভিস,পারিবারিক,সামাজিক ব্যস্ততার কারনে বিলম্বিত হচ্ছিল।আমি বারবার বিরক্ত হয়ে বলেছি তোমার চোখ আগে বাকী সব পরে।টাকাসহ সবই ত রেডি করে রেখেছি।খালি ঢাকা আসবা আর অপারেশন হবে।আরেকটি চোখ ভাল হওয়ার কারনে চশমা ছাড়াই দিব্বি ভাল দেখতে পাচ্ছেন তাই মনে হয় তেমন তাগিদ দেখা যাচ্ছিল না তাঁর মধ্যে।আর ঝামেলাও যেন শেষ হয়না।এবার আর অনেককিছু নিয়েই আমাদের ভাবতে হয়নি।আগেই চিন্তা করেছিলাম সেই ইসলামিয়াতেই সেইম ডাক্তার দিয়ে সেইম লেন্স নেয়া হবে।আগের ম্যাচের সাফল্যে কোচরা যেমন উইনিং কম্বিনেশন ভাঙ্গতে চাননা এখানে আমার ভূমিকাও ছিল তাই।
বিস্তারিত»নামটা খুঁজে পাচ্ছি না
আমার ঠিক জানা নাই ভালো লেখকরা কোন কিছু লিখার আগেই নামটা দিয়ে দেন কিনা।আমি শুধু এটাই জানি যে আমি দেই।কিন্তু এইটার যে কি নাম দিব খুঁজে পাচ্ছি না।
ছোটবেলায় প্রথমে হতে চেয়েছিলাম কনফেকশনারীর দোকানদার।বিনা পয়সায় পেষ্ট্রী খাওয়াটাই যখন আমার কাছে সবচাইতে আকর্ষনীয়।তারপর কখন ও ক্রিকেটার,কখন ও জার্নালিষ্ট (স্পোর্টস),কখন ও ফ্যাশন ডিজাইনার আবার কখন ও স্বপ্ন দেখেছি আমি বিরাট এক্সিবিশন করছি বেংগল গ্যালারীতে।কখনোই যেটা চাইনি সেটা হল আর্মি অফিসার হতে।শেষ পর্জ়ন্ত ওটাই হতে হল।তাই স্পোর্টস রিপোর্টার হওয়ার সুপ্ত ইচ্ছেটা এই ব্লগেই পুরন করি।
বিস্তারিত»সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে
ক্যাডেট মনসুর, সিলেট ক্যাডেট কলেজ(৯৩-৯৯),আমাদের বন্ধু।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জুলজি’তে পাস করে জনতা ব্যাংকে জব করে ব্রাহ্মনবাড়িয়া।টুনাটুনির সংসারে আরেকটু আলো ছাড়াতে নতুন অতিথির আগমন ঘটলো।ছেলের বাবা হয়ে যখন খুশিতে আত্নহারা তার ঠিক ৭ দিন পর ২৯তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দেয়ার জন্য ঢাকায় আসছিল।কে জানতো তখনি সব হিসেব পাল্টে যাবে!মারাত্নক বাস দুর্ঘটনার শিকার হয়।দুটো দাঁত পড়ে যায়।চোয়ালের হাড় ভাঙ্গা এবং মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।দুই হাতের কয়েক জায়গায় ভাঙ্গা সহ পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়।যাকে বলে জীবনটা শুধু রক্ষা পাওয়া ছাড়া টোটাল ড্যামেজ।আল্লাহ্র রহমতে ব্রেইনে কিছু হয়নি।ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি ছিল ১৮দিনের মত।কয়েকটা সার্জারী হয়েছে।এ পর্যন্ত ৪ লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়েছে।আরো সার্জারী করতে হবে এবং আরো টাকার দরকার।
বিস্তারিত»সাংবাদিকতা : পেশার চ্যালেঞ্জ ও চ্যালেঞ্জের পেশা
সাংবাদিকতার জগতটি গত এক যুগে অনেক প্রসারিত হয়েছে। সংবাদপত্রের পাশাপাশি নতুন নতুন মিডিয়া বিশেষ করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, এফএম রেডিও এবং সর্বশেষ ইন্টারনেট- বাংলাদেশে এই পেশার অনেক সম্ভাবনা তৈরি করেছে। আজকাল শিশু-কিশোরদের অনেকেই ভবিষ্যতে সাংবাদিক হতে চায় এমন আকাঙ্খার কথা অল্প বয়সেই প্রকাশ করে। এখন দেশের একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ-যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ আছে। এমনকি কমপক্ষে অর্ধ-ডজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন এই বিষয় পড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ পেশার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় সুনির্দিষ্ট বিষয় পাঠের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
বিস্তারিত»