আমার ক্যাডেট কলেজের স্বর্ণালি দিনগুলি- (ছয়)

আজিজুল হাকিম, এফ সি সি/১৯৭২~৭৮

আমাদের গিয়াস । ফর্সা’ একহারা ময়নার মার সদা হাসি খুশী ‘ময়না’। রবীন্দ্র ভবনের আমাদের সহপাঠী বন্ধু টি। ওর মা তৎকালীন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম এর সব চেয়ে জনপ্রিয় ” আলেখ্য অনুষ্ঠান ” এর প্রিয় চরিত্র “ময়নার মা” পরিচালনা করতেন বলে ওর এই নাম।কোন দিন কারো সাথে ঝগড়া বা ঝুঁট ঝামেলায় জড়িয়েছে বলে শুনিনি। সবার প্রিয়, শান্ত শিষ্ট মানুষ। সেই যে একদিন খবর এর শিরোনাম হবে,

বিস্তারিত»

প্রিয় জন্মভূমি যশোর

একটা সময় যখন যশোর শহরে প্রায় অনেকেই আমাকে অন্তত নামে চিনতো। আমাকে না চিনলেও আমার বাবার নামে চিনে ফেলতো।

– খোকা, কোন বাড়ীর ছেলে তুমি?

বাড়ীর নাম বলতেই বলে উঠতো – ওহ, তুমি শহীদুল্লাহ সাহেবের ছেলে। উনি আমার হেড মাস্টার ছিলেন। স্যার কেমন আছেন।

কিন্তু এটাতো ৫০ বছরের আগের কথা। এখন আর কেউ চিনবে না আমাকে।

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট কলেজের স্বর্ণালি দিনগুলি- (পাঁচ)

আজিজুল হাকিম, এফ সি সি/১৯৭২~৭৮ 

ক্লাস সেভেন এর সময় টা মনে হয় সৌর বছর নয়। নেপচুন এর মত ৬০,১৯০ দিনে বছর অথবা প্লুটোর মত ৯০,৬১৩.৩০ দিনে বছর। আমাদের কিছুতেই দিন কাটে না । আর পানিশমেন্ট কোন ব্যাপারই নয়। নাক দিয়ে রক্ত ঝরলে বা লজ্জাবতী কাঁটায় পীঠ লালচে জখম হলে হসপিটাল এ একবার ঘুরে আসি, আধা ঘণ্টা… …-এক ঘণ্টার রেস্ট পাই। আবার যেই লাউ সেই কদু ।কুছ পরোয়া নেই ।আর উর্দু বাৎ ও ওস্তাদ দের কল্যাণে শিখেছি প্রচুর।

বিস্তারিত»

আমাদের কি IDENTITY CRISIS চলছে ?

আমরা একটা ভয়াবহ ক্রান্তি কাল অতিক্রম করছি। আমি কে, এই প্রজন্মের কাছে একটা বড় প্রশ্ন বোধক চিহ্ন ? আমাদের সময়টা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী কাল বলে, আমরা গরীব, হতোছিন্ন পোশাকে, হাড় জির-জিরে উদাম শরীর নিয়েও পৃথিবীর কাছে বলতে লজ্জা পেতাম না ” আমরা বাংলাদেশী “, ঠিক তেমনি কাওকে কখনো বলতে দ্বিধা করিনি , “আমি ফৌজিয়ান বা আমি…… একজন এক্স ক্যাডেট”। অধুনা কিছু পোস্ট দেখে শুধু আঁতকে নয় শিউরে উঠি।

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট কলেজের স্বর্ণালি দিনগুলি- (চার) আজিজুল হাকিম, এফ সি সি/১৯৭২~৭৮

প্রথম মাস সম্ভবত একটা ক্যাডেট এর জীবনে সব চেয়ে খারাপ মাস।সবে কৈশোর এর সূচনা লগ্নে পরিবার হীন একটা বৈরী পরিবেশ এ হঠাৎ খাপ খাওয়ানো খুবি দুরূহ একটা কাজ।তার উপর আছে সিনিয়র দের অমানবিক আচরণ, পানিশমেন্টের নরক যন্ত্রণা। জীবনটা অতিষ্ঠ হওয়ার জন্য যথেষ্ট। ট্যাকনিক্যাল টার্মে সময়টা  বেসিক ট্রেনিং, সিজনিং ও ট্রিমিং পিরিয়ড.আমার জন্য শেষটা অর্থাৎ ট্রিমিং টা প্রযোজ্য ছিল। আমি একটু মোটা-কাটা নাদুস নুদুস গোছের মানুষ ছিলাম।

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট কলেজের স্বর্ণালি দিনগুলি- (তিন)

আজিজুল হাকিম, এফ সি সি/১৯৭২~৭৮

ফজলুল হক ভবন।কক্ষ নম্বর ১৩, ১৯৭২। একটা মজার কম্বিনেশন । পাঁচ জন ক্লাশ সেভেন আর তিন জন ভিনজাত (Allien)সিনিয়র দের নিয়ে আমাদের ডরমিটার‍ী । তবে সমস্ত হাউজ এর best seniorগুলি (ক্লাস ৮ এর) মনে হয় আমাদের রুমে, এটা হাউজ এর অন্যান্ন ক্লাস মেটরা ও এক বাক্যে স্বীকার করতো ।…তিন জনই মাটির মানুষ ।তার মধ্যে দু জন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি।হাফিজ ভাই আমাদের রুম প্রিফেক্ত,

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট কলেজের স্বর্ণালি দিনগুলি- (দুই)

আমার ‘মেজাজ’ আমার জীবন কে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত করেছে আবার অন্য হাতে দিয়েছে ও অনেক। এখন ভাবি, মেজাজ বিগড়ে না গেলে লাজুক আজিজুল হাকিম হয়তো কখনোই ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হত না আর জীবন টাও সাদা-মাটা ভাবে অন্য ধারায় বয়ে যেত। ভর্তির চিঠির সাথে বিশাল একটা ফর্দও এসেছিল। …সাথে কি কি জিনিষ নিতে হবে। প্রথম বছর সম্ভবত (অথবা বেশ কয়েক মাস) কলেজ থেকে আমরা কিছুই পাইনি।

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট কলেজের স্বর্ণালি দিনগুলি- (এক)

১৯৭২ এর মাঝা-মাঝি । ক্যাডেট কলেজে অবশেষে ঢুকার চিঠি এল। আমার ছোট বেলার শঙ্কা ভয়ে রুপ নিল। আমি যখন বেশ ছোট তখন থেকেই বেশি দুষ্টামি করলে বাবা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করিয়ে দেবেন, এই ভয় দেখাতেন। একটু বড় হয়ে যখন বুঝতে শিখেছি তখন মনে মনে বলতাম, পাগল ! ভর্তি হওয়া – না হওয়া… তো আমার হাতে । ভর্তি পরীক্ষায় কিছু না লিখলেই হল ! ভেবে রেখেছিলাম যেভাবেই হোক “ফেল”

বিস্তারিত»

ও আমার চক্ষু নাই

রুমানা মঞ্জুরকে নিয়ে এর মধ্যে গণমাধ্যমে, ব্লগে, ফেসবুকে প্রচুর লেখা হচ্ছে। ভাবছিলাম কি লিখবো! রুমানার ওপর নির্যাতনের কথা? এক ছাদের নিচে যার উপর সবচেয়ে ভরসা করা যায়, সেই লোকটার অমানুষ হয়ে ওঠার কথা? ঘরে ঘরে যে পারিবারিক সহিংসতা এদেশে চলে তার কথা? আমাদের সযত্নে গোপন রাখা সব সত্যের কথা? আমাদের তথাকথিত পৌরুষত্বের রগরগে কোনো দম্ভ?

এক. “এটা কোন রহস্য মামলা নয়।

বিস্তারিত»

ধোঁয়া খাওয়া চাঁদ

লেখাটিকে কবিতা বলার দুঃসাহস করতে পারছিনা। পাঠকেরা তাই একে এক শহুরে পাগলের আবোলতাবোল বকা বলেই ধরে নেবেন।

ধোঁয়া খাওয়া চাঁদ

তোর লাগি আমি চাঁদ হব,
গ্রামের মুক্ত আকাশের অপূর্ব চাঁদ নয়;
নগরের ধোঁয়া খাওয়া চাঁদ;
কালো ধোঁয়া, বিদ্যুতের আলোর সাথে যুদ্ধ করা এক চাঁদ।
সখী, তোর লাগি আমি সেই চাঁদটি হব।

তোর কাছে আসব আমি এ শহরেরই কোনও এক দশতলার ছাদে,

বিস্তারিত»

এমন কাপুরোষচিত অপরাধের জন্য ঘৃণা

বেশ ক বছর আগে একজন খলিলুল্লাহ ধরা পরে ছিল, মর্গের লাশ থেকে ‘কলিজা’ চুরি করে খেত । বিদেশের মিডিয়া তে বেশ সাড়া পরে ছিল।… কিছু দিন আগেই জার্মানি তে এক মানুষ খেকো ধরা পড়ল ,… অস্ট্রেলিয়া তে ধরা পড়লো কিশোরী নির্যাতন কারী এক পিচাশ।সৌদি রাজ বংশের এক ভাই সাহেব বর্তমানে ইংল্যান্ড এ জেল খাটছে বডি গার্ড কে হত্যা করার জন্য । প্রশ্ন হল ঐ খলিল…ল্লার জন্য বাংলাদেশ এর ১৫ কোটি মানুষ ‘কলিজা খেকো ‘

বিস্তারিত»

লেঃ কর্নেল এল এ খান।আমাদের আদুরে নাম “লেন্দু খান”

লেঃ কর্নেল এল এ খান।আমাদের আদর করে দেয়া নাম “লেন্দু খান”, পাকিস্তান ফেরত ডাক্তার সাহেব আমাদের FCC -র হসপিটাল এ জয়েন করলেন।সম্ভবত আমরা তখন ক্লাস এইট এ । এর আগে সিভিল ডাক্তার ইয়ুসুফ সাহেব ছিলেন , খুব ভাল মানুষ , দিল টা নরম । একটু কান্না কাটি করলেই Sick Report দিতেন। কিন্তু এই লোক বরই তেঁরা ধরনের, কিছু তেই Sick Report দেয় না। আর সব রোগের ঔষধ হিসাবে একি রকম একটা মলম আছে,

বিস্তারিত»

আমার ছোট বেলা

ছোট বেলার কথা মনে হলেই যে ঘটনা গুলি মনে সব চেয়ে বেশি নাড়া দেয়, এবং পরবর্তী জীবনে যার প্রভাব সব চেয়ে বেশি, সেটাই আজ লিখবো ।

বাবা ছিলেন প্রচণ্ড রাশ ভারী মানুষ । আনন্দ-উচ্ছ্বাস , হাসি-কান্না কোন কিছুর বাহুল্যই তাঁর অপছন্দ ছিল। পাঁচ বোন এর একটি মাত্র ভাই হিসাবে কখনো কোন বিশেষ ছাড় পেতাম না বাবার কাছে।

খুব যে বেশি মারতেন ,

বিস্তারিত»

কাডেট কলেজ, এখন ……. তখন

ক্যাডেট কলেজ এর সাথে আমার সম্পর্ক যেমন তেমন খুব একটা বেশী মানুষের নেই। বাবা ক্যাডেট কলেজ এর শিক্ষক হওয়াতে জন্ম থেকেই ক্যাডেট কলেজ পরিমন্ডলে বড় হয়েছি।
আজকাল প্রায়ই একটা কথা শুনি ক্যাডেটরা নাকি এখন আর আগের মতন নেই, পড়ালেখার মান পড়ে যাচ্ছে, খেলাধুলা এবং অন্যান্য যায়গায় তাদের আগের সেই আধিপত্য নেই।

ক্যাডেট কলেজ এর অসুখ হয়েছে এই কথা সবাই জানে, অসুখ হওয়াতে কি লক্ষন দেখা দিয়েছে এই কথা সবাই বলছে কিন্তু অসুখ কেন হয়েছে এই কথা কি কেউ ভেবে দেখেছে ????

বিস্তারিত»

এভারেস্ট ও স্বপ্নযাত্রা

কয়েকদিন আগে (২১ শে মে, ২০১১) দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে এম এ মুহিত মাউন্ট এভারেস্ট জয় করল। গত বছর প্রায় একই সময়ে ( ২৩ শে মে, ২০১০) মুসা ইব্রাহীম প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছিল। আমাদের দৈনন্দিন অনেক দুঃখ-কষ্ট, কাল্পনিক কুজ্ঝটিকার ভয়, হতাশা-গ্লানির মাঝেও এ ধরনের ভাল খবর এগিয়ে যাবার জন্য, জীবন যুদ্ধের মাঠে টিকে থাকার ও যুদ্ধ চালিয়ে যাবার প্রেরণা হিসেবে কাজ করে। আবার নতুন করে দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শিখায়।

বিস্তারিত»