প্রথমে ঠিক করেছিলাম ২ নভেম্বর, নির্বাচনের দিনেই ভোট দিতে যাব। এখানে বাংলাদেশের মত নির্বাচন উপলক্ষে বন্ধ দেওয়া হয় না। তবে প্রতিষ্ঠান ভেদে বিভিন্ন নিয়ম কানুন আছে। আমাদের অফিসে ৩ ঘন্টার ছুটি পাওয়া যায় ভোট দেবার জন্যে। এমনিতে আমি ‘ফ্লেক্সিটাইম’ ভোগ করি। অর্থাৎ ইচ্ছামত আগে পরে আসি, তবে সপ্তাহের ৪০ ঘন্টা ঠিকই পূরণ করি। নির্বাচনের দিন পড়ছে মঙ্গলবার, ঠিক করেছিলাম বাড়ী থেকে বেরিয়ে অফিসে আসার পথে বাড়ীর কাছের সেন্টারে ভোট দিতে যাব। পরে আমার ক্যালেন্ডারে দেখলাম সকালে আমার একটা দরকারী মিটিং আছে। তাই সুযোগ মত আজই ভোট দিতে গেলাম। এখানে প্রায় এক মাস ধরে চলছে আগাম ভোটিং (early voting)। ফোন করে জানলাম আমার অফিসের কাছেই তেমন একটা সেন্টার আছে।
হেমন্তের শীত শীত দিন। তার মধ্যে গায়ে মিষ্টি রোদ মাখিয়ে এক মাইল পথ হাটতে ভালই লাগল। বেশী ভিড় ছিল না। লাইনে দাঁড়ান মাত্র কম্পুউটারের সামনে বসা এক মহিলা ইশারায় ডাক দিল। তার সামনের চেয়ারে বসে আমার নাম বললাম। যেহেতু আমার নামের বানানটা তার কাছে সহজ না হতে পারে, তাই আমার ছবিসহ কোম্পানী আইডি কার্ড তার সামনে ধরলাম।
– বাইরে এখন খুব সুন্দর রোদ – বললাম আমি।
– ইশ, আমার ইচ্ছা করছে কিছুক্ষণ ব্রেক নিয়ে ঘুরে আসি বাইরে থেকে।
– কেমন ভিড় আজকে?
– এই মোটামুটি। – কম বয়েসী, কিন্তু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেয়ে খেয়ে বেশ মোটা, তবে ভালই দেখতে মেয়েটি বলল।
তার সামনের প্রিন্টারে ততক্ষনে ছাপা হয়ে গেছে আমার নাম, বয়স ও ঠিকানা সহ একটা ফরম। আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল – “দেখ, সব ঠিক আছে কিনা, তারপর নীচে সাক্ষর করে দাও।” স্বাক্ষর করে ফরমটা ফেরত দিলে ততক্ষনে ছাপা হওয়া ব্যালট পেপারটি আমার দিকে এগিয়ে দিল সে।
দুই পাতায় ছাপা বিরাট ব্যালট পেপারটি। প্রথম পাতায় গোটা ৬০-এর বেশী বিষয় আছে ভোট দেবার জন্যে। দ্বিতীয় পাতায় আছে ৫টি নিউ মেক্সিকোর শাসনতন্ত্রের সংশোধনী ও বেশ কিছু সরকারী বন্ডের উপর ভোটাভুটি। সাধারনত যখন নতুন কোন প্রজেক্ট শুরু হয় তখন এখানকার রাজ্য সরকার বাজারে বন্ড ছাড়ে টাকা ঊঠাবার জন্যে। সাধারণ নাগরিকের অনুমতি ছাড়া সেটা করতে পারে না তারা।
ব্যালট পেপার যথারীতি দুই ভাষাতে ছাপা – ইংরেজী এবং স্প্যানিশ। এই দুই ভাষাই এখানে সরকারী ভাবে স্বীকৃত ‘সরকারী ভাষা’। মনে মনে চিন্তা করে হাসলাম – অনেক ব্যাপারে আমেরিকা এখনও বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে আছে। আমরা যেমন ভাষার জন্যে যুদ্ধ করে দেশটাও স্বাধীন করে ফেললাম এবং আমাদের প্রিয় বাংলা ভাষাকে ‘একমাত্র সরকারী ভাষা’ বানালাম আর তারপরই আবার সব ভুলে গেলাম এবং সমানে ইংরেজী ব্যবহার চালিয়ে গেলাম। অথচ স্বাধীন হবার এই দু’শো বছর পার করেও আমেরিকা আজও কোন ‘একক জাতীয় ভাষা’ সরকারী হিসাবে স্বীকৃত করাতে পারেনি। এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রায় শ’খানেক কংগ্রেস অধিবেশনে চেষ্টা করা হয়েছে আমেরিকার সরকারী ভাষা বিল পাশ করার জন্যে – কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা পাশ হতে পারেনি।
আর একটা বিষয়ে বাংলাদেশ আমেরিকার চাইতে এগিয়ে আছে – সেটা হচ্ছে – জাতীয় পরিচয় পত্রের ব্যাপারে। এখানে তেমন কোন একক জাতীয় পরিচয় পত্রের ব্যবস্থা নেই। প্রয়োজন বোধে বিভিন্ন রাজ্যের ইস্যুকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স, ষ্টেট আইডি, বিদ্যুত বিল, ব্যাঙ্কের ষ্টেটমেন্ট, পে-চেক অথবা অন্য যে কোন সরকারী কাগজ যাতে নাম, জন্ম তারিখ ও ঠিকানা লেখা আছে দেখালেই চলবে। তাও এটার প্রয়োজন হয় শুধু প্রথমবার ভোটার হিসাবে রেজিষ্টার করার সময়। অন্যথায় এখানে আইন আছে কেউ ভোট দিতে আসলে তার আইডি দেখতে চাওয়া যাবে না। বেশ মজার – তাই না?
কয়েক বছর আগের ঘটনা – এক নির্বাচনের দিনে ঢাকায় ফোন করেছিলাম এক বন্ধুকে।
– দোস্ত, ভোট দিয়েছো আজকে? – জিজ্ঞাসা করলাম আমি।
– সত্যি জানতে চাও?
– কেন? ঘটনা কি?
– আর বলো না। সকালে গোসল করে রেডী হয়েছি ভোট দিয়ে যাব – এমন সময় এক ফোন এল। অপর দিক থেকে বলল -“স্যার, আমরা জানি আপনি কাকে ভোট দেবেন। তাই আপনার হয়ে আমরাই ভোট দিয়ে দিয়েছি। আপনার আর রোদের মধ্যে কষ্ট করে আসার দরকার নেই।”
– বলো কি?
– হ্যাঁ, আমিও এদের কথা শুনে থ।
– কারা ছিল এরা?
– কারা আবার। সরকারী দলের পৃষ্ঠপোষকতায় পাড়ার মাস্তান দল।
যাহোক আমার এই রাজ্য, নিউ মেক্সিকো, বাংলাদেশকে ভালই অনুসরণ করা আরম্ভ করেছে। খালেদা-হাসিনার ছোয়া এখানেও লেগেছে। এবার গভর্নর পদের জন্যে এখানে দাঁড়িয়েছে দুই মহিলা – সুজানা আর ডায়ান। আট বছর আগে বিল রিচার্ডসনের সাথে দাঁড়িয়ে ডায়ান লেঃ গভর্নর হয়েছিল। তখন তাদের বিজয় পার্টিতে আমার এক বন্ধুর সাথে গিয়েছিলাম। মূলত কিছু ফ্রি খাওয়া উদ্দেশ্য ছিল তখন। তখনো আমি আমেরিকার নাগরিক হয়নি। কিন্তু আমি ছাড়া তো সেটা সেখানকার কেউ জানে না। খাবার সময় ডায়ানের মেয়ে এগিয়ে এসে আমার সাথে আলাপ জুড়ে দিল। ভালই দেখতে। সেই কথা মনে রেখে এবার কাকে ভোট দেব ঠিক করতে অসুবিধা হল না।
এখানে জজ সাহেব ও সাহেবানরা গভর্নর কত্তৃক নিয়োজিত হলেও পরবর্তী নির্বাচনে তাদেরকে পার্টি সংযুক্তি নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়াতে হয়। তার পরের নির্বাচনে তাদেরকে দাঁড়াতে ‘রিটেনশনের’ জন্যে। তাদেরকে অন্তত ৫৭% ভাগ ভোট পেতে হয় জয়ী হবার জন্যে। ভোট দেবার সময় হয় শুধু তাদের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দেওয়া যায়। ব্যাপারটা বেশ গোলমালের – তাই না? গুনে দেখলাম গোটা পঁচিশেক বিচারকের পদে অর্ধেকের অনেক বেশী মহিলা।
পুলিশ প্রধানকেও নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জিতে আসতে হয়। ট্রেজারার ও এটর্নী-জেনারেলের অবস্থাও তাই। বন্ডের সপক্ষে ভোট দিলে সম্পতির উপরে ট্যাক্স বাড়ার সম্ভাবনা আছে। তবুও দিলাম – যাতে লাইব্রেরী, স্কুল, রাস্তা ইত্যাদিতে টাকা খরচের ফলে এখানকার অর্থনীতি জোরদার হয়।
যেসব ঘরে ভোট দিচ্ছি তার পাশের গোল গোল ঘরগুলিকে কালি দিয়ে ভরাট করতে হয়, যাতে কম্পুউটার ঠিক মত স্ক্যান করে ভোট প্রসেস করে গুনতে পারে। ব্যালট হাতে নিয়ে ব্যালট বাক্সের উপরে রাখা যন্ত্রে সেটা ঢুকিয়ে দিলাম। কয়েক সেকেন্ড সময় নিয়ে স্ক্যান করে তখনি রেকর্ড করে নিল যন্ত্রটি আমার ব্যালট পেপারটি।
এক শত গজের মধ্যে কোন পোলিং এজেন্টের থাকার নিয়ম নেই। এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলাম না কাউকে। বেশ ক্ষিধে লেগে গেছে ততক্ষনে। কাছের এক স্যান্ডউইচ শপে যেয়ে একটা বড় স্যান্ডউইচের অর্ডার দিলাম। পকেট থেকে দাম মেটাবার সময় মনে হল – এর চাইতে বাংলাদেশের নির্বাচন ভাল। ভোট দিতে এসে সেখানে হয়তো নিজের টাকা খরচ করে খাবার কিনতে হত না। আর কিছু না হোক – অন্ততঃ এক কাপ ফ্রি চা নিশ্চয় সেখানে পাওয়া যেত।
ইশশ.... কবে যে ভোট দিতে পারবো!
৩০ বছর হয়ে গেল এখনও ভোট দেয়া হয়নি 🙁
হায়দার,
এক জাপানী ললনা বিয়ে করলে কি এতদিনে ভোট দেবার অধিকার এসে যেতো না? কত বছর ধরে আছো সেখানে? কোন শহরে?
বেশ মজা লাগলো সাইফ ভাই।
বাংলাদেশের সাথে তুলনাটা বেশ ইন্টারেস্টিং লাগলো।
আপনার পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা অসাধারণ।
নূপুর,
এক পুরুষে যেমন দেশপ্রেম আসেও না, তেমনি যায়ও না। ফলে যেখানেই যাই, যাই করি, ঘুরে-ফিরে বাংলাদেশ এসে পড়ে আমার চিন্তায়। যেমন প্রফেসর ইউনুসের নোবেল প্রাইজ পাওয়ার খবরে মন নেচে ওঠে, তেমনি সিডরের ক্ষয়ক্ষতির বিবরনে মনটা কেঁদে ওঠে। দুর্বল মানুষের এমনই হয়।
ধন্যবাদ তোমার মন্তবের জন্যে।
আপনার সাম্প্রতিক ব্লগগুলোতে বিভিন্ন বিষয়ে আমেরিকা আর আমাদের দেশের মাঝে তুলনামূলক পর্যবেক্ষণ খুব উপভোগ করছি।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ধন্যবাদ জিহাদ।
সাইফ ভাই, ডেমোক্রেটদের ভোট দেওয়ার ব্যাপারে আপনার অজুহাতটি চমৎকার। দারুণ রস মিশিয়ে লিখেছেন ভোটের অভিজ্ঞতা। তবে নিজের পয়সায় খাওয়ার দুঃখজনক অভিজ্ঞতা যদি ডায়ান জিতে যায়, আশা করি বিজয় পার্টিতে পুষিয়ে নেবেন!
২০০৪ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ঢুকেছিলাম বিদেশী পর্যবেক্ষক হিসাবে। এতো সাধারণ কেন্দ্র! আর ভোটের লম্বা ফিরিস্তি শুনে তখন বিষ্মিত হয়েছিলাম। আপনার লেখায় বিষয়টা পরিস্কার হলো। ভাবী কাকে ভোট দিলেন?
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
লাবলু,
তোমার ভাবীর এখনও ভোট দেওয়া হয়নি। আজকে আমাকে জিজ্ঞাসা করছিল কাছে কোথাও 'আর্লি ভোটিং সেন্টার' আছে কিনা। খোজ নিয়ে দেখলাম - 'আর্লি ভোটিং'-এর সুযোগ গতকাল শেষ হয়েছে। সে স্কুলে চাকরী করে এবং স্কুলে ছুটি নেওয়া অসুবিধা। তাই তাকে বলেছি ২ তারিখে আমি আগে বাড়ীতে এসে সাঈদকে দেখবো যাতে সে তখন ভোট দিয়ে আসতে পারে। রাত ৮টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারার কথা।
আমার পরিচিত এখানকার অধিকাংশ বাংলাদেশী ডেমোক্রাটদের সমার্থক। জানাদের মধ্যে দুই জন বন্ধু আছে যারা রিপাবলিকানদের সমার্থক। এরা দু'জনেই বড় লোক এবং এক জন এরশাদের আমলে মন্ত্রীও হয়েছিল।
২০০৪ সালে কোথায় গিয়েছিলে ভোট দেখতে?
গত জাতীয় নির্বাচনে সব বন্ধুরা একসঙ্গে ভোট দিতে গিয়েছিলাম। বাংলা মটর, আমার বাসার পাশেই সেন্টার পড়েছিল। যে ভদ্রলোককে ভোট দিয়েছিলাম পরে শুনেছি তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সম্ভবত আমাদের তিন বন্ধুর ভোট ছাড়া আর কারো ভোট পাননি তিনি। আপনার কলেজের এক্স-ক্যাডেট, আমাদের বড় ভাই।
আমরা অবশ্য তাঁকে একারণে ভোট দেইনি, যে কয়জন আমাদের আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন ওদের মধ্যে তাঁকেই তুলনামূলক ভালো মনে হয়েছিল।
ভোটার হওয়ার পর আমি এর আগেও একটি জাতীয় নির্বাচন পেয়েছি, দেশের বাড়িতে পৌরসভা চেয়ারম্যান নির্বাচন-কোথাও ভোট দেইনি। যারা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের চোর-বাটপার ছাড়া আর কিছু মনে হয়নি। ভোট দেওয়ার ইচ্ছে হয় খুব, কিন্তু দেওয়ার মত মানুষ পাইনা। 'না ভোট'টা কার্যকর করা আমাদের জন্য খুব দরকার।
ভোটের দিন বন্ধুরা মিলে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘুরতে বেশ মজা লাগে। গত দুটি নির্বাচনেই আমরা পুরো ঢাকার অনেকগুলো কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেখেছি। আমাদের এখানে তো ছেলেদের কেন্দ্র আর মেয়েদের কেন্দ্র আলাদা। আমরা মেয়েদের কেন্দ্রগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে চা-সিগারেট খেতাম। 😛
আপনার লেখা পড়তে সব সময়ই ভালো লাগে। তবে সিসিবিতে বড্ড কম লিখেন। 🙁
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
কামরুল,
অনেক ধন্যবাদ তোমার এই খোলামেলা মন্তব্যের জন্যে। অনুমান করি কোন এক এক্স-জেনারেলকে ভোট দিয়েছিলে। আসলে আমেরিকাতে অনেকটা একই রকম অবস্থা। অনেক টাকা ছাড়া সহজে কেউ এখানে ভোটে জিততে পারেনা। অবশ্য যদি কোন ক্যান্ডিডেটের যথেষ্ট গুনাগুন থাকে তখন পার্টি এগিয়ে আসে তাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করার জন্যে।
তা সত্ত্বেও এখানকার সব চাইতে বড় তফাৎ হচ্ছে - আইনের প্রাধান্য সবার উপরে এবং সংবাদ পত্রের অবাধ স্বাধীনতা ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা।
আমি আশা রাখি বাংলাদেশেও পরিবর্তনের ঢেউ আসবে এবং তোমারাই হবে তার পথীকৃত।
তাই কি? আমি কিন্তু প্রতি মাসেই অন্তত একটি করে লেখা দিচ্ছি সিসিবিতে।
জীবনে একবার ভোট দেয়ার সুযোগ হয়েছিল। এক সাথে তিন ভোট। এম পি, কমিশনার এবং মহিলা কমিশনার। মহিলা কমিশনার পদ প্রার্থী কাউরেই চিন্তাম না, তাই রাস্তা ঘাটে পোষ্টার দেইখা 😉 একজনকে ভোট দিছিলাম। পরে দেখা গেল আমার দেয়া তিন টা ভোটই জলে গেছে, কেউ পাশ করতে পারে নাই 🙁
সাব্বির,
দেখা যাচ্ছে খুজে খুজে সেরা ক্যান্ডিডেটদেরকে বের করেছিলে। ঃ)
তোমার জীবনে আরও অনেক ভোট দেবার সূযোগ আসবে - চিন্তার কিছু নেই।
নিজের দেশের হয়ে কখনো ভোট দেবার সুযোগ হলো না 🙁 ।
এখানে গত সপ্তাহে মেয়র নির্বাচন হয়ে গেলো। যদিও পাসপোর্টধারী না হওয়ায় ভোট দেবার সুযোগ ছিল না, তবুও কাছে থেকে দেখার অবকাশ ছিল। নির্বাচনী প্রচারণার পেছনে প্রার্থীদের বেশ মোটা অঙ্কের খরচ হয় দেখলাম। একটা মজার জিনিস চোখে পড়লো। বিজয়ী মেয়র রব ফোর্ড নির্বাচনের আগেই ভয়াবহভাবে সমালোচিত হচ্ছিলেন তার কিছু অতীত ক্রিয়াকর্মের জন্য যার মধ্যে বেপরোয়া ড্রাইভিং থেকে শুরু করে ড্রাগ-জনিত ব্যাপারও (যা থেকে পরবর্তীতে তাকে নিষ্কৃতি দেয়া হয়েছিল) ছিল। মনে হচ্ছে, এখনো নর্থ-আমেরিকান পলিটিক্স এবং পাবলিক সেন্টিমেন্টের ধারাপাতটা রপ্ত করা হয়ে উঠেনি।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
রকিব,
সমালোচনা ও নেগেটিভ প্রচারে এখন দেখছি আমেরিকা বাংলাদেশ থেকে অনেক কিছু শিখে ফেলেছে।
ক্রিষ্টিন ও'ডোনেল নামের এক মহিলা এবার সিনেটর হবার জন্যে দাঁড়িয়েছে। কোন এক টিভি শো'তে বহু আগে সে একবার ঠাট্টা করে বলেছিল তারো নাকি ডাইনিদের মত ক্ষমতা আছে (বা এই ধরনের কিছু - আমি ঠিক ডিটেইল নিয়ে মাথা ঘামাইনি)। এখন তাকে নিয়ে এ রকম পোষ্টার ছাপা হচ্ছে এবং বলা হচ্ছে যে ভোটে জিতলে সে নাকি বলেছি এবার তার ঝাড়ুতে না চড়ে বরং প্লেনে চড়ে ওয়াশিংটনে আসবে। আর কিছু বলার আছে?