হুমায়ূন আহমেদকে যার যেমনই লাগুক আমার কাছে উনি একজন অসাধারন লেখক। গতকাল তার একটি উপন্যাস পড়ছিলাম, নাম ‘নি’। সেখানে একটি কথা ছিল এরকম “পাখিদের নিয়ম সবসময় জোড়ায় জোড়ায় থাকা, একটা পুরুষ পাখির সাথে একটা মেয়ে পাখি থাকবেই। কিন্তু সব ঝাঁকে সবসময় পাখি থাকে বেজোড় সংখ্যক; অর্থাৎ কমপক্ষে একটি পাখি থাকবেই যার কোনো জোড়া নেই”। কি অদ্ভূত সুন্দর একটি ঘটনা, আমরা কখনো বুঝতে পারবো না পাখিটি কোনটি, পাখিটি কখনো আলাদা হয়েও আমাদের কাছে ধরা দেবে না, কিন্তু আমরা জানি পাখিটি আছে, একা হয়েই আছে।
প্রসঙ্গতই হঠাৎ মনে পড়ল গত বুধবারের কথা, তখন রাত প্রায় সাড়ে তিনটা। আমরা ছয়জন ছেলে বাংলা একাডেমির সামনে বসে গল্প করছি। এদের প্রায় সবার সম্পর্কেই যে বিশেষণটি প্রয়োগ করা যায় তা হল “আসর মাতানো ছেলে”। ক্লাসরুম, ক্যাফেটেরিয়া, খেলার মাঠসহ প্রতিটি যায়গায় প্রতিটি আড্ডাই এরা জমিয়ে রাখে। কিন্তু ওই পাখির ঝাঁকের মতোই কেউ কখনো বুঝতে পারে না এদের মাঝে কার বা কাদের মনের মাঝে এক অপ্রিয় শূন্যতা সবসময় কাঁদে। এ ঠাট্টার মাঝেও হঠাৎ তারা অন্যমনস্ক হয়ে যায়; অনির্দিষ্ট কোনো দিকে তাকিয়ে গুনগুন করে
যদি মন কাঁদে
তুমি চলে এসো
এক বরষায়।
কি আবোলতাবোল বকছি? এসব প্রশ্নের উত্তরও তো আমার জানা। “সকল কিছুর পূর্ণতা মৃত্যুতে, তার আগপর্যন্ত এ শূণ্যতার নামই জীবন” অথবা “একা’র বিপরীত শব্দ দোকা নয় অনেক”। কিন্ত এ দুটি উত্তরের মাঝে যে ডিফেন্স মেকানিসম স্পস্ট তাও তো আমি দেখতে পাচ্ছি।
এ গোলকধাঁধায় আজ আমি বড়ই ক্লান্ত। এ মনও কাঁদে, বরষাও আসে, কিন্তু মাঝের লাইনটাতেই তো যত সমস্যা।
১ম! এতো ডাকাডাকি কাকে?
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
:shy: :shy: :shy:
বয়সের দোষ 😛
:shy:
বাহ্! প্রেমে পড়েই গেলে নাকি তাহলে?
আসলে ভাই আমি এখনো কনফ্যুসড =(( নাকি 😡
কি যে বলতে চেয়েছ ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। বাই দা ওয়ে, এইটা তোমার প্রথম পোস্ট। মনে হয় সাহস করে দিয়ে দিয়েছ। গুড, আরো দাও।
আর, আমি কিছুতেই সাহস করতে পারছি না। যাই লিখি মনে হয় ভাল হয়নি। আবার কেটে দিই। সাহস কেমতে যে জোগাড় করি?
আসলেই ভাই, সাহস করে দিয়ে ফেল্লাম। আপনার প্রথম পোস্টটাও পড়লাম, চরম মজা পাইসি।
:salute: :salute: :salute:
প্রথম পোস্ট হিসাবে ঠিক আছে। ব্লগে স্বাগতম। আগে ১০ বার গড়াগড়ি দিয়ে নাও তারপর ডাকাডাকি দেখা যাবে... 🙂
জ্বি ভাই
:frontroll: :frontroll: :frontroll:
পিঠে ব্যাথা ভাই, আর পারতেসি না ভাই
আমিন ভাই ওরে মাপ কইরা দেন, বেচারা সিক্রিপোর্টাইসে!
তোমার লেখাটা আমার খুব ভাল লাগলো।
কলেজ থেকে বের হওয়ার পরের কথা মনে পড়তেছে। আমরা তিন বন্ধু (ক্যাডেট) কোচিং লাইফে অনেক মজা করতাম। আমাদের কেউ অবশ্য আসর মাতানোর মত ছিলাম না।বিশেষ করে আমি।
সবচেয়ে ভাল লাগত রাত গুলো।
একটা অনুরোধ কি করতে পারি?
গ্রাজুয়েশন পর্যন্ত পড়ালেখা ছাড়া মনের মধ্যে অন্য কিছুকে স্থান দিও না।
মানুষের একটাই মন।
মনে কর তুমি একটা দ্বীপে সাধনা করছ।
আর স্বপ্ন দেখ।
টাকা আয়ের স্বপ্ন নয়- বড় স্বপ্ন।
পৃথিবীকে কিছু দিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন।
মানুষের জন্য কিছু করার স্বপ্ন।
জানি না তোমার বিরক্তির কারণ হলাম কিনা।
তোমার লেখার হাত খুবই ভালো।
সে স্বপ্ন নিয়েই তো বেঁচে আছি ভাই। কিন্তু প্রায়ই যে পারিনা, পুরপুরি অর্থহীন এসব ইমোশন জ্বালিয়ে মারে।
আপনার কমেন্টটা পড়ে অনেক, অনেক ভালো লাগলো ভাই, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। (সম্পাদিত)
osthir......ek lekha hoise vai..........
Сайф
ধন্যবাদ 🙂
ভালো লাগলো......
ধন্যবাদ
দোস্ত লেখাটা সেরাম হইছে .......... :thumbup: :thumbup: :thumbup: