বিদেশে (ইউরোপে) বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা

বেশ কিছুদিন পরে সিসিবি’তে আসলাম। অনেকগুলো নতুন লেখা চোখে পড়ল। নতুন কিছু ব্লগারও (নতুন বলতে আমি শুধু রমিত ভাইকে বুঝিয়েছি)। মাঝে কিছুদিন ব্যক্তিগত+পারিবারিক শোক সামলাতে চলে গেলো। নিজের কিছু পড়াশোনা জমে আছে। তারপরেও এই লেখাটা লিখতে বসলাম নেটে হঠাৎ করেই একটা লিঙ্ক চোখে পড়ায়।

সকালে ঘুম থেকে উঠে মেইল চেক করতে গিয়ে একেবারে অকস্মাৎ চোখ আটকে গেলো একটা লিঙ্কে- ইউরোপে ইসারমাস বৃত্তির বিষয়ে।

বিস্তারিত»

আ মরি বাংলা ভাষা

বেশ কিছুদিন ধরে দাঁতের ব্যথায় ভুগছি। এদেশে ডাক্তারের এপয়েনমেন্ট পেতে রীতিমত গলদঘর্ম হতে হয় আর সেখানে যদি হয় আমার মতো মেডিক্যাল ইন্সুরেন্সহীন হতভাগি তাহলে তো আর কথায় নেই। বহু চেষ্টা তদবির এর পর অবশেষে একজন ডেন্টিষ্ট এর এপয়নমেন্ট পাওয়া গেলো। কিন্তু সমস্যা বাঁধলো ডাক্তারকে নিয়ে। ডাক্তার বাবাজি সাক্ষাৎ আমেরিকান। তিনি বিভিন্ন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর আমার সমস্যাটি তাকে খুলে বলতে বললেন।

বিস্তারিত»

০৪ঠা ফেব্রুয়ারী ২০১১,স্বপ্ন না কি সত্যি????

সেই সেপ্টেম্বর ২০১০ থেকে দেশে আসি আসি করে আর আসা হয়ে উঠছিল না। আইভরি কোস্টের ঘাড়-তেড়া প্রেসিডেন্টের তেড়ামির বলির পাঠা হয়েছিলাম আমরা। যাই হোক দেশে ফিরলাম সেজন্য নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল। তবে এয়ারপোর্ট রোড ধরে যখন এগুচ্ছিলাম তখন ভাগ্যটাকে ততটা সুপ্রসন্ন মনে হচ্ছিল না। তবে দেশে ফেরার আনন্দে সেটাকেও কেন জানি উপভোগ্য মনে হচ্ছিল। গত ১লা ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরলাম। বহুল প্রত্যাশিত এই ঘরে ফেরাটা আরও এক নতুন মাত্রা পেল ৪ তারিখে এসে।

বিস্তারিত»

নোটিশ

প্রিয় এলাকাবাসী,
আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে,আমার আরও কিছু ( ৭ খানা ) পেইন্টিং একটি গ্রুপ এক্সিবিশনে যাইতেছে । আরও আনন্দের বিষয় হইলো ঐ একই এক্সিবিশনে আরও ৩ পিস এক্স ক্যাডেটের ছবি যাইতেছে । এখন আপনারাই বলেন , আমার গত এক্সিবিশনে যারা যামু যামু কইরাও যান নাই , আমার জন্য না গেলেও ৪ জন এক্স ক্যাডেটের এক্সিবিশন হিসেবে ঐখানে ১বার ঢুঁ মারাটা আপনার কর্তব্য হইয়া যায় কীনা?

বিস্তারিত»

ঘৃণার উৎসর্গ পত্র

মৌনতার বেড়াজাল ভেঙ্গে ফুসে উঠা ভাষার চেতনায় ভেসে-
মিথ্যা আর মিথ্যাবাদীর বিরুদ্ধে আমি ছুটে গিয়েছিলাম শ্লোগানের মহড়াতে,
তামাম দেশে দক্ষিণ থেকে পূর্ব, পশ্চিম থেকে উত্তর
তোলপাড় করা প্রতিবাদের সারিতে
মা’র ডাকেই জেগেছিলাম বারবার রক্ত দিতে,

    অতঃপর

রক্তের বিনিময়ে অম্লান বেদনা আর ভাষা
প্রতিহত হয়ে মিশে রয় আজকের আকাশ বাতাস জুড়ে,
তিক্ত স্বাদে ম্লান হওয়া প্রতিবাদের জোয়ারে-
ঈর্ষান্বিত,

বিস্তারিত»

২৯ সমগ্র

যেহেতু আজ ক্লাস ছিল না,তাই একটু আগে ঘুম থেকে উঠলাম। ঘুম থেকে উঠেই ক্যাডেট কলেজের কথা মনে পড়ে গেল। মনে পড়ে গেল বিভিন্ন সময়ে এক একজনের মুখ থেকে বের হয়া ডায়ালগ গুলো আর মজার মজার সব ঘটনা গুলো। আর তাই শেয়ার করতেই ব্রাশ না করেই ল্যাপটপ নিয়া বসা।

১…আমরা যখন ক্লাস সেভেনে,তখন আমাদের জেপি ভাইয়ার টানটান করে মশারি টাঙ্গানো নিয়া কালজয়ী ডায়ালগ,”পিটি শু  থ্রো করলে যাতে আমার কাসে ব্যাক করে”।

বিস্তারিত»

ধূলোমাখা শহর, ধূলোমাখা স্মৃতি – ০৭

এবার লিখবো এক নীলনয়নাকে নিয়ে। নাম তার র‌্যাভিন, নীলনয়না র‌্যাভিন, উপরের ঠোঁটের বামপাশে একটা ছোট্ট তিল, আর তাই জায়গাটা একটু উঁচু, দেখে মনে হবেই হবে, আদর পাবার জন্যই ফুলে আছে সেটা।

সেবার ওয়েস্টার্ন তখন তুমুল জনপ্রিয়। গোগ্রাসে পড়ি, তবুও একটা অতৃপ্তি থাকে সেখানে, “সেইরকম” কোন কিছুর বর্ননা নেই-যে। আর আমাদের চাহিদা বুঝেই কিনা, সেবার মত করে আরও কিছু প্রকাশনী পেপারব্যাক বের করা শুরু করল অতঃপর,

বিস্তারিত»

যাত্রা হলো শুরুঃ লিটিল বাংলাদেশ

গতকাল ১৫ই জানুয়ারী, ২০১১ বিকেলটা আমেরিকায় একটা খুব ছোট্ট কিন্তু আমেরিকার বাংলাদেশী কম্যুনিটির ইতিহাসের এযাবৎকালের সবথেকে বড় ঘটনাটা ঘটে গেলঃ আমেরিকার বুকে সর্বপ্রথম একটা এলাকা বাংলাদেশের সাথে মিলিয়ে ‘লিটিল বাংলাদেশ’ হিসেবে অফিসিয়ালী অভিষিক্ত হলো। এলাকাটা আয়তনে খুবই ছোট। লস এঞ্জেলস শহরে কোরিয়া টাউন নামে পরিচিত এলাকার একপাশে ভার্মন্ট এভিনিউ আর নর্মান্ডি এভিনিউ এর মধ্যবর্তী ৩নং সড়কের দুইধার। সিটি মেয়র এবং বাংলাদেশ দুতাবাসের কর্মকর্তা মিলে সাইনবোর্ড টানিয়ে এলাকা চিহ্নিত করে দিলেন।

বিস্তারিত»

খেরোখাতা – কোথায় আছো, কেমন আছো, মা?

মেয়েরা কি মায়ের মত ভালোবাসা দিতে পারে?

আমায় প্রশ্ন করলে ছোট্ট করে উত্তর দিবঃ না, পারে না।

স্নেহ অধঃগামী, আমার মা আমাকে তাঁর বাবার চেয়ে বেশী ভালোবাসতেন, আমি আমার মেয়েকে বেশি ভালোবাসি আমার মায়ের চেয়ে, আর আমার মেয়ে, তার সন্তানকে বেশী ভালোবাসবে, যতটুকু ভালোবাসবে তাঁর এই বাবাকে।

এটাই বাস্তব, মন মানুক আর নাই মানুক। এইই হবে।

মায়ের সংগে আমার কখনই আদর-সোহাগ ভরা কথা হয়নি।

বিস্তারিত»

শেয়ার-কেয়ার-ফেয়ার-আনফেয়ার

ম্যাট্রিক ফেল গিট্টুর আজকাল ভাবটা ড্যামকেয়ার
শুনেছি নাকি দেদারছে কামায় ব্যবসা করে শেয়ার।

দুতিন খানা অফিস তার, চকচকে সব গাড়ি
শ্যাম্পেন আর হুইস্কিতে ভুলেই গেছে গান্জ্ঞা কিংবা তাড়ি।

চোখেতে রঙ্গিন সানগ্লাস আর মুখে চুরুটের ধোঁয়া,
কথায় কথায় তুড়ি দিয়ে বলে,
” শেয়ার ইস দ্যা বিজনেস ভাই, বাকি সবই ভুয়া”।

মনে মনে ভাবে গিট্টু প্লেজার ট্রিপ টু পাতায়া
তার আগে আরো কিছু নেবে বাজার থেকে হাতায়া।

বিস্তারিত»

ঘুরে এলাম পাহাড়ের দেশ

লেখিকা হিসেবে এটা আমার প্রথম প্রচেষ্টা হলেও সিসিবি’র পাঠিকা হিসেবে আমি বেশ পুরনো। নিজে ক্যাডেট নই, কিন্তু প্রথমে বন্ধু-বান্ধব, তারপর ভাই এবং সবশেষে স্বামীর কাছ থেকে ক্যাডেট কলেজের গল্প শুনতে শুনতে আমি যেন হাফ-ক্যাডেট হয়ে উঠেছি। তাই বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, সিসিবি’র মাধ্যমে এর লেখকদের সাথে আমার হৃদ্যতা একেবারেই অকৃত্রিম. সিসিবি’র প্রতি আমার এই টান দেখে আমার হাসবেন্ড মাহমুদ (১৯৯০-৯৬) আমাকে প্রায়শই এখানে যোগ দিতে বলে।

বিস্তারিত»

আফসোস

আমার অনেক দিন ধরেই শখ একটা ক্যামেরা কেনার। বিভিন্ন জায়গায় গেলে অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখে আফসোস হয়। এই আফসোস আরো বেশি হলো এখানে, পদ্মার তীরে, এসে। আজীবন শুধু ছবিতে আর মুভিতে দেখেছি নীল পানির হ্রদ, নদী, সাগর…ইত্যাদি। সেটা যে বাস্তবে সম্ভব হতে পারে সেটা কখনো ভাবি নি। এর আগে পোস্টিং ছিল যমুনা ব্রিজের পাশে, সেখানে ঘোলা পানি দেখেই অভ্যাস। সপ্তাহ পার হল, এসেছি পদ্মার তীরে।

বিস্তারিত»

শ্রমের মূল্যতত্ত্বে অর্থের উদ্ভব ও ফলাফল নিয়ে আলাপ-সালাপ

আগের পর্ব (http://www.cadetcollegeblog.com/mahmudh/27922)

কল্পনা করুন একটা কর্মব্যস্ত দিনের শুরু থেকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশে পেষ্ট লাগিয়ে দাঁত পরিস্কার করি, ট্যাপ থেকে মুখে ঠান্ডা পানির ঝামটা দিয়ে টাওয়েলে মুখ মুছতে মুছতে ডাইনিং টেবিলের দিকে এগুতে থাকি। দৈনিক পত্রিকার কপিটা হাতে নিয়ে চোখ বুলাতে বুলাতে চা-নাস্তার জন্য অপেক্ষা করি। এরপর থেকে সারাদিনমান আমরা এটা-ওটা-সেটা ব্যবহার করেই চলি। বিভিন্ন কাজের জন্য, নানা রকম চাহিদা পূরণের জন্য অগণিত পণ্য ক্রমাগত ব্যবহার করে চলি।

বিস্তারিত»

সমাজ সংস্কারের প্রেক্ষিতে তত্ত্ব ও এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কিছু কথাবার্তা

মাঝে মধ্যে এমন শুনি যে, তত্ত্বকথা বলে/শুনে লাভ নেই। হাতে নাতে কাজই হলো আসল। বিশেষ করে ডেভেলপমেন্ট-প্র্যাকটিশনাররা কেউ কেউ এই জাতীয় কথা বলে। তাদের মতে, তত্ত্বালাপের থেকে ফিল্ডে কাজ করা বেশি জরুরী।- এ ধরণের মন্তব্য আদতে তত্ত্বজ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিচায়ক। কারণ, তত্ত্ব বাস্তব কর্ম থেকে আলাদা কিছু নয়; বাস্তব ঘটনার সিস্টেম্যাটিক পর্যবেক্ষণ থেকেই তত্ত্বের উদ্ভব। তত্ত্বের কাজ আপাতঃ অসংলগ্ন, বিশৃখল, জটিল সামাজিক অবস্থাসমূহের মধ্যে সাধারণ প্রবণতা খুঁজে দেখা এবং এর মাধ্যমে একাধিক কনসেপ্টের মধ্যকার সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা যা’

বিস্তারিত»

ডঃ রেহমান সোবহানের লেখা প্রথম আলোর সম্পাদকীয় নিয়ে আমার প্রতিক্রিয়া (আংশিক সংযোজিত/সংশোধিত)

মিডিয়ায় গ্রামীন ক্ষুদ্রঋণের সাম্প্রতিক আলোচনার ধারাবাহিকতায় প্রথম আলো’তে (২৩ ডিসেম্বর,২০১০) ডঃ রেহমান সোবহান কলাম লিখেছেন ‘আমরা কীভাবে আমাদের মানমর্যাদা রক্ষা করবো’ শিরোনাম দিয়ে। আসেন ঐটা নিয়ে খানিকক্ষণ আলাপ-সালাপ করি।

রেহমান সোবহান স্যার শুরু করেছেন যথারীতি গ্রামীন ক্ষুদ্রঋণের সাথে তার সম্পর্ক দিয়ে যা’ প্রকৃতপক্ষেই খুব ‘নিকট সম্পর্ক’- তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত গ্রামীন ব্যাংক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। তিনি বলেছেন, এই সময়কালটা গ্রামীনের জন্য সবথেকে ভালো সময় ছিলঃ গ্রামীন ক্ষুদ্রঋণ পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছিল,

বিস্তারিত»