আর ত্রিশ ঘন্টা পর শুরু করবো প্রায় ২৪০০ মাইলের মোটরযাত্রা। লস এঞ্জেলস থেকে বের হয়ে I-15 এবং I-70 ধরে নেভাদা ও ইউতাহ হয়ে ডেনভার (কলোরাডো)। আমেরিকান সোসিওলজিক্যাল এসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে পেপার প্রেজেন্ট করার (রথ দেখা) উছিলায় একটু ঘোরাঘুরি (কলা বেচা) আর কি…। ডেনভারে দুইদিন অবস্থান করে I-25 এবং I-40 ধরে সান্তা ফে এবং আলবুকুয়ের্ক (নিউ মেক্সিকো) ও গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন (এরিজোনা) হয়ে আবার লস এঞ্জেলস। মোট সাত দিনের ভ্রমন।
বিস্তারিত»৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ২০তম পর্ব
“সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ধূমপান সাস্থ্যের ক্ষতিকর।“ এই পোস্টটি সম্পূর্ণভাবে ধূমপায়ীগণকে উৎসর্গ করা হল।
ক্যাডেট কলেজে সবাই আমরা কম-বেশি স্মোক করতাম(কতিপয় মুসল্লি ও ভাল ক্যাডেট ব্যতিত)। কিন্তু এই সিগারেটের সাপ্লাই ছিল অতি সীমিত। এই পোস্টে আমাদের আমলে কিভাবে আমরা সিগারেটের সাপ্লাই নিশ্চিত করতাম তার স্মৃতিচারণ করতে চাই।
পদ্ধতি একঃ আমরা ছুটি শেষে কলেজে ফিরতাম খাকী পোষাকে। মোবাইল প্যান্টে যেমন হাটু বরাবর পকেট থাকে,
বিস্তারিত»ধন্যবাদ হুমায়ুন আহমেদ ও তার মৃত্যুকে
হুমায়ুন আহমেদ মানুষ হিসেবে কেমন ছিলো সেটা নির্ণয় করার আমি কেউ না । অথবা অন্যভাবে বলতে গেলে এই মুহূর্তে আমি তাকে নিয়ে ভাবার প্রয়োজন বোধ করছি না । তবে গত ৫ দিনে যা ঘটলো সেটা থেকে মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায় তিনি একজন শক্তিধারী লেখক ছিলেন – হতে পারে সেটা সস্তা সাহিত্য, হতে পারে সেটা শ্রেষ্ঠ পর্যায়ের কথাসাহিত্যের রূপকার হিসেবে । কিন্তু সেটাও মাথা ঘামানোর মত তেমন কিছু না ।
বিস্তারিত»একটি নক্ষত্রের বিদায়
আজ সকালে উঠে অভ্যাসবশতঃ অনলাইনে পত্রিকা খুলেই দেখি হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যু-সংবাদ! – আমার কাছে এটা একটা আকষ্মিক সংবাদই। কারণ, পত্রিকা মারফত বেশ কিছুদিন ধরে জানতে পারছিলাম তার শরীরিক অবস্থার ক্রমান্নতির কথা। আশা করেছিলাম তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে আবার ফিরে আসবেন আমাদের মাঝে।
আমার পাঠাভ্যাসে এক বিশাল অংশ জুড়ে আছেন হুমায়ুন আহমেদ। শুরু করেছিলাম তার ‘আমার আছে জল’ আর ‘তোমাদের জন্য ভালোবাসা’ দিয়ে, সে-ই ক্লাস সিক্সে।
বিস্তারিত»৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ১৯তম পর্ব
ক্যাডেট কলেজে আমাদের বিনোদনের সবচেয়ে সহজ বা সস্তা উপায় ছিল বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কৌতুক(ফ্লপ) করা। খুবই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কৌতুক(ফ্লপ) করা হত। যেমনঃ প্রেপে চিরাচরিতভাবে গল্প চলছে। পাশ থেকে একজন বলে উঠল, “অই পড়তে দে।” আড্ডা থেকে একজন বলে উঠল, “তাহলে চেয়ার সরা।”
এর সারমর্ম যারা বুঝতে পারেননি তাদের জন্য বলছি, চেয়ার সরালেই তো মেঝেতে পড়ে যাবে। এরূপ কৌতুক(ফ্লপ) করতে বিশেষজ্ঞ ছিল বা হয়তো এখনও আছে মেশকাত,
বিস্তারিত»চিঠি সমাচার
বহুদিন পর ইদানিং ব্লগে ঢুকা হচ্ছে। ব্লগে ঢুকে কিছু নবীন লেখকের লেখা পড়ে খুব মজা পাচ্ছি। মনে পড়ছে ১/২ বছর আগের কথা। তখন সারাদিন ব্লগেই পড়ে থাকতাম। এ যেন এক নিত্য updated গল্পের বই। যাই হোক তখন সকলকে দেখে মনে হয় আমিও ২/১ টা ব্লগ লিখেছিলাম। আজকে মনে হচ্ছে কিছু একটা লিখি। কিন্তু কি লিখব তাই নিয়ে ভাবছিলাম অনেক্ষন ধরে। হঠাত মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে কেন জানি না হলুদ রঙের খামের কথা মনে পড়ে গেল।
বিস্তারিত»ঘুম
গ্রীষ্মকাল আর ঘুম ক্যাডেটদের জন্য এই সমীকরণটা মনেহয় একে অপরের সাথে সমানুপাতিক।
ঘটনা-১
ঘটনাটা কোন সময়ের তা মনে করে উঠতে পারছিনা। তবে ক্লাস ১০ এ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আলভী (ডাকনাম) ক্লাস ১০ এর ফর্ম থেকে একটা চেয়ার নিয়ে টয়লেটে চলে গেল এবং যথারীতি আরাম করে ঘুমিয়ে গেল। আমরা ক্লাসের সবাই বেমালুম ভুলে গেলাম যে আলভী টয়লেটে ঘুমাচ্ছে। বাংলার রাবেয়া ম্যাডামের ক্লাস। হঠাৎ করে আমরা সবাই শুনি এক সুইপার চিৎকার করে বলছে টয়লেটে এক ক্যাডেট অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।
চিলড্রেন অব হ্যাভেন
<<সাদেক>>
বাসাটায় ঢোকার মুখে আমার পিচ্চি ছাত্রীর মায়ের ফোন এল। এক্ষেত্রে কখনও ফোন ধরি না, কেটে দেই। উনি বোঝেন যে হ্যা, আমি চলে এসেছি। কিন্তু কেন যে ধরেছিলাম, তবে ধরেছিলাম বলে ভালই হয়েছিল। “হ্যা আপা, আমি……” উনি আমার কথা কেড়ে বলেন, “হ্যা সাদেক, তোমাকে তো একটা কথা বলা দরকার ছিল…” কেমন জানি লাগল, “জ্বি আপা, বলেন…।।” উনি একটু থেমে থেকে তারপর বলতে লাগলেন,
বিস্তারিত»বিক্ষিপ্ত সৃতিতে কলেজের শেষ রাত
২৩ শে জুন,২০০২। এই সেই দিন যেদিন ৯৬-০২ ব্যাচের জন্য ছিল ক্যাডেট হিসেবে কলেজে কাটানো শেষ রাত। পরের দিন ২৪ শে জুন ২০০২, আমাদের কলেজের ৪৫ জন বন্ধুকে একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যেতে হবে। আর কোন দিন হয়তো এই ৪৫ জন আর একসাথে হতে পারবনা, আর কোন দিন এই কলেজের চত্বরে আনাগোনা করবে না এই বন্ধুগুলো। এমনিতেই সেইদিন গুলো অনেক মিস করি। কিন্তু আজকে এই দুরপরবাসে কেন যেন আরও বেশি মনে পরছে সবার কথা।
বিস্তারিত»“মা, মা, আমি পরীক্ষায় পাশ করেছি……”
ডিসক্লেইমারঃ এই পরীক্ষা দিয়ে আমি গ্র্যাজুয়েট ষ্টুডেন্ট থেকে পিএইচডি ক্যান্ডিডেট হলাম মাত্র, ডঃ হইতে আরো বছর দুয়েক বাকি………
গতকাল প্রায় দেড়যুগব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনের শেষ পরীক্ষাটা দিয়ে ফেললাম- পিএইচডি থিসিস প্রপ্রোজালের ডিফেন্স ছিল দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত। আমার থিসিসের বিষয়বস্তু হলো, বাংলাদেশী অভিবাসী এবং শ্রমিকরা কেন দেশে টাকা (যা’র সুন্দর, পোষাকি নাম হলো রেমিট্যান্স) পাঠায়? মৌখিক পরীক্ষা, ছোট্ট একটা রুমে চারজন প্রফেসরের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হতে আক্ষরিক অর্থেই আমার সময় থমকে গেল।
বিস্তারিত»শুরু হচ্ছে IUT 4th NATIONAL ICT FEST 2012
আগামী ২১-২২ জুন Islamic University of Technology(IUT) ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে IUT 4th
National ICT FEST 2012. IUT Computer Society(IUTCS) এর সার্বিক তত্বাবধানে চতুর্থ বারের মত
এই ফেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। ২০০৮ সালে প্রাইম ব্যাংক 1st National ICT fest অনুষ্ঠিত হয়, যা সারাদেশের
ICT প্রিয় তরুণ-তরুণীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগায়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত হয় AB ব্যাংক
2nd National ICT fest এবং ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয় IBBL 3rd National ICT fest.
হে বীর, তোমায় সালাম
সময়টা ১৯৭১ সালের মার্চ মাস। আইয়ুব ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেই বা কি, অনেকেই বাড়ি ফিরে যায় নি। অনেকেই বলতে অনেক সাহসী ক্যাডেট। দেশমাতৃকার এই চরম দুর্দিনে বাড়ি গিয়ে আরামে ঘুমাবে কি করে? চারঘাটের ছেলে আব্দুল মান্নাফও এর ব্যাতিক্রম নয়। এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। কোথায় কবে অপারেশন হবে তার সবকিছুই বলতে গেলে মান্নাফ জানে।
বিস্তারিত»বন্ধুর পরিচয়ঃ ৯৬-০২ ব্যাচের ক্যাডেট
ক্যাডেট কলেজের প্রথম দিনের কথা খুব ১ টা মনে পড়েনা। সৃতি কেমন যেন ঝাপসা হয়ে গেছে। যেদিন প্রথম যাব কলেজে সেইদিন ছিল জুনের ৪ তারিখ, সাল ১৯৯৬। আজ থেকে ঠিক ১৬ বছর আগে জুনের ৩ তারিখ ১৯৯৬ সাল, এই দিনে রংপুরের আশে পাশে আমার এক মামার বাসায় উঠেছিলাম একটি অজানা ভবিষ্যতের মধ্যে প্রবেশ করার জন্য। বৃষ্টিতে ভিজে রিক্সায় করে কলেজের সামনে নেমেছিলাম। বৃষ্টির কারনে আমার সাদা জামার হাতায় দাগ পরে গিয়েছিল এটা মনে আছে।
বিস্তারিত»আমার লেখাটা একটু পড়বেন কি?
যাবার কয়েকদিন আগে, প্রিন্সিপাল বাংলোর ল্যাম্ব রোস্টের গন্ধে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম যে, ২ দিন পরে কলেজ থেকে চলে যাবো। চেতনা ফিরলো যখন রানা ভাই এসে একটা হাঁক ছাড়লেন, ভাই কাপড় জমা দেন, কাপড়। হায়রে ক্যাডেট লাইফ। আমার এক ফ্রেন্ডকে প্রায়ই বলতে শুনতাম,”যৌবনের তেজ আর জোরে চাপা ছোটো বাথরুম দুইটাই ক্ষণস্থায়ী। ” সে যদিও হিন্দিতে বলতো আমি একটু অনুবাদ করে দিলাম আর কি! আরে, আর কি লিখতে গিয়ে মনে পড়লো আমাদের আর্কিমিডিস স্যারের কথা মানে ভূগোলের মকবুল স্যারের কথা।
বিস্তারিত»স্যারদের আদর-ভালবাসা-২
যেকোনো সময় বৃষ্টি ক্যাডেটদের খুব আকাঙ্ক্ষার। এর পেছনে অনেক কারণ, যেমন সকালের বৃষ্টি ফলইন ও পিটি-প্যারেড থেকে বিরত রাখে, ক্লাস টাইমের বৃষ্টি মনকে ভাবুক বা আবেগী করে তোলে এবং ক্লাসে ঘুমানোর আবহাওয়া তৈরি করে দেয়, দুপুরের বৃষ্টি ঘুমাতে হেল্প করে ইত্যাদি আরও অনেক কিছু …।
যাই হোক সেদিন বিকাল থেকেই প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে। টি- ব্রেকে, প্রেপে ও ডিনার এ গেলাম করিডোর দিয়ে। ডিনার থেকে আমরা সবাই সবে মাত্র ফর্মে এসেছি।
বিস্তারিত»