বনের রাজা টারজান এবং আমরা

জীবনে চলার পথে পরিস্থিতি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে ছ্যাকা দিয়েছে আমাকে , আমাদের। একলা একলা ছ্যাক এর চেয়ে দলগত ভাবে ছ্যাকা খাওয়ার পরিমাণটাই জীবনে বেশী। ছ্যাকার কোয়ালিটি একেকটা একেক রকম। একরকম ছ্যাকা আছে ” হতবিহ্বল ছ্যাকা” । যা খাবার পর মুখ দিয়ে কোন বাণী নিঃসৃত হয় না। এমনি এক ছ্যাকার দেখা পেয়েছিলাম আমরা একাদশ মান এর , ৭ দিনের শিক্ষা সফরে। সময়- ২০০৫ সাল, স্থান- ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ এর হাসপাতাল।

বিস্তারিত»

একজন অখ্যাত মহানায়কের নীরব প্রস্থান

প্রায় তিন বছর পর আজ সিসিবিতে লিখতে বসলাম। কিছু পারিপার্শ্বিক কারনে এবং কিছুটা ব্যক্তিগত কারনে ইচ্ছাকৃতভাবেই সিসিবি থেকে দূরে ছিলাম। আজ আর সেসব কারন ঘাটতে যাবনা। একটি বিশেষ কারনে আমার এই প্রত্যাবর্তন। যারা সিসিবিতে নতুন তাদের আমি অনুরোধ করব ১০/১৫ মিনিট সময় নিয়ে আমার আগের এই পোষ্টটিতে একটু ঘুরে আসার জন্য। এখানে ক্লিক করুনঃ একজন অখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার গল্প। আশা করি লিংকটি পড়ে এসেছেন।

বিস্তারিত»

হৃদয় মেশিনগান

ওরে ওরে
তোর হাতে কিরে?
রাম’দা ? চা’পাতি ?
তুই নিবি আমার প্রান ?
হাহ, ডাশা মূর্খরে তুই,
বোধহয় জানিস না আজ-
বুকে আমার
হৃদয় মেশিনগান।

বলছিস কি?
জং ধরেছে?
৭১ এ গর্জে ছিল,
আজ মনে হয় থমকে গেছে?
বড় মূর্খরে তুই…
দেখ চেয়ে দেখ
হৃদয়খানি অস্ত্র করে,
জেগেছে আজ লক্ষকোটি প্রান।

বিস্তারিত»

পবিত্রতা

অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ

দেখে কে বলবে। এখন রাত সাড়ে ১০টা বাজে? রাজপুরীর মত ঝলমলে আলোয় ভরে আছে গোটা শহর। চারিদিকে মানুষের চিৎকার, চেঁচামেচি, আনন্দোৎসব। সবার মুখেই একটা খুশি খুশি ভাব। নাহ! সবাই এই কথাটা ঠিক না। কোথাও না কোথাও অন্তত একজন তো থাকবেই যে খুশি নয়। অখুশি বলবনা, কিন্তু হয়ত সে  বিষন্ন। একা একা চারিদিকে হাটছে আর নিজের প্রতিবিম্ব খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

বিস্তারিত»

“তেলাপোকা কেন উল্টে মরে ”

অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ

 

চিঠিটা খুলে বার বার দেখি

আরও একবার-

লেখাগুলোর উপর হাত বুলোই,

নিস্প্রান এই লেখাগুলো এত সজীব কেন?

কি মায়ায় এরা আমাকে ডাকে-
বারেবার;  জানিনা।
মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে
কখনও বা উপদেশ,  আবার হঠাৎ হঠাৎ –
খুচরো কিছু ভালোবাসার আবেশ।

খাটের পাশে রাখা  গিটারটা তুলে নেই
“টুং টাং” কিছু অচেনা সুর –

বিস্তারিত»

কাক-কবি-চিল

১.

অতঃপর ভোর হবে,
আমি হাততালি দিয়ে বলবো,”পায়রা ওড়ো!”
তুমি চা আনতে আনতে বারান্দার রকে বসে একবার দেখবো
ডিগবাজী খেতে খেতে নেমে আসছে আমাদের প্রিয় গিরিবাজ
আমিও বৃদ্ধ হবো একদিন,যেমন তুমিও…আমাদের ধূসর চুলে
হাত রেখে সময়ের ওল বুনে যাবে,
রঙচঙে সুয়েটার গায়ে আমাদের সন্তানেরা রোদ্দুরে দাঁড়াবে
শুধু ভাঁড়ার ঘরের খোলে পড়ে থাকবে পুরোনো মেসেজ,
আর আজকের মতই দুরত্ব- ২৯৩ মাইল মাত্র
আর ইঁদুরের থেকে বেঁচে যাওয়া ৩৩ হাজার ইনবক্স!

বিস্তারিত»

স্বীকারোক্তি… সহজ স্বীকারোক্তি

বাহ, আজ অনেকদিন পর খুব ভালো অনুভব করছি। প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে নিজেকে। শিরায় শিরায় আজ আমার খুশির ঢল নেমেছে। মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে, ফাসি হয়নি। তাই আমার আজ আনন্দিত উদ্বেলিত না হবার কোন কারন নেই। নিজেকে বেশ হালকা লাগছে। সারাটা দিন একটা মুচকি হাসি গালে লাগিয়ে ঘুরছি। সত্যি বলতে কি, এই খুশীর শুরু হয়েছিল বাচ্চুর পলাতক হবার পর থেকেই। ফাসির আদেশ হয়েছে তো কি?

বিস্তারিত»

অপূর্ণতা ( নামটি কিন্তু হতে পারত রেড কার্ড)

অপূর্ণতা ( নামটি কিন্তু হতে পারত রেড কার্ড)
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ–

না! হলনা।
এবারও হলনা।
ছুটতে ছুটতে এবারও  তার কাছে পৌছেছিলাম-
কিন্তু কি লাভ ?
তাকে তো পাওয়া হলনা।
তাকে দেখলাম, অনুভব করলাম
এমনকি মাড়িয়ে এলাম – তার ছায়াও
কিন্তু সে এবারও হেসে গেল বিদ্রুপের হাসি।
বিদ্রুপ ! উপহাস !
এগুলোই কি কেবল বরাদ্দ আমার জন্যে ?
হয়ত হ্যাঁ ।
ভাগ্যবিধাতা হয়ত আমায় দেখে শুধুই দীর্ঘশ্বাস ফেলেন…

বিস্তারিত»

খেলাঘর

খেলাঘর
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ
(………………………………………… this is dedicated to all cadets of 53rd batch of fcc)

আমি কোন বিতর্ক করতে আসিনি,
আসিনি কোন উপদেশ দিতে
শুধু একটি গল্প বলতে এসেছি,
শুধু একটি গল্প।
নাহ! এ কোন ইতিহাস নয়,
রূপকথা? তাও নয়,
শুধুই গল্প, শুধুই কল্পনা –
“একটা ঘর ছিল, খেলাঘর,
খেলার জন্য কিছু পুতুল, সুতো আরও কত কি!
পুতুলগুলো যেন ঠিক লজ্জাবতীর পাতা,
একে অন্যকে আড়াল করে ফেলত পরম মায়ায়
যেন কেউ ছুঁতে না পারে।

বিস্তারিত»

ডায়রি

ডায়রি
১৫ডিসেম্বার ২০১২
সবাই বলে –আমি না’কি ঠিক আমার বাবার মত।সেই নাক,সেই চোখ,সেই চেহারা।আমি আবার এত কিছু বুঝি না।জমজ ভাইবোনদের ভেতরই আমি মিল পাই না,আর তো বাপ-ছেলে!কিন্তু বাবার সাথে আমার মিল আছে।স্বভাবের মিল,অভ্যাসের মিল; তাও আবার যে-সে অভ্যাস ন্য।ডায়রি লেখার অভ্যাসের মিল।বাবা প্রচুর ডায়রি লিখতেন যেই অভ্যাস পৈতৃক সূত্রে আমার পাওয়া।বাবা সেগুলো রেখেও গেছেন আমার জন্য,কিন্তু সেগুলো পড়া বারন আমার।বাবা না’কি ফুফুকে বলে গিয়েছিলেন ২০ বছর হবার আগে যেন কোনভাবেই সেইগুলো আমাকে পড়তে দেওয়া না হয়।না আমার বাবা কোথাও ঘুরতে যান নি,আমাদের ছেড়ে পালিয়েও যাননি।উনি আর নেই।ঢাকা ভার্সিটির টিচার ছিলেন,

বিস্তারিত»

অতঃপর তুষার মীমাংসা

কবিতার বিপরীত গদ্য নয়,বিজ্ঞান…
আর গদ্যের বিপরীত হল ছন্দ!

_____স্যামুয়েল টেইলার কোলারিজ

এইবার আমি সত্যি সত্যিই রঙচটা ধূসর সেই ল্যাম্পপোস্টটা হয়ে যাবো…তারপর তোমার হোস্টেলের সামনের রাস্তাটায় দাঁড়িয়ে থাকবো রাতের পরে রাত।আর প্রতিদিন সকালে মুখে সাজুগুজু মেকআপ মেখে তুমি দাঁড়াবে গলির কোনের মোড়টায়-কোন হাতেটানা রিক্সা বা ট্যাক্সির জন্য,আমি এই দেখে তারপর ঘুমাতে যাবো আমার পরিপাটি নিভাঁজ বিছানায়।আর ক্লাস শেষে তুমি ফিরবার আগেই আবার ভাঙা ল্যম্পপোস্ট হয়ে দাঁড়িয়ে যাবো তোমার আগমনী পথের-প্রতীক্ষায়।বিবর্ণ রঙউঠা তুচ্ছ ল্যাম্পপোস্টটাকে তুমি চেয়েও দেখবে না একবার সন্ধ্যায় যখন জানালার পাশে দাঁড়াবে কিংবা রাতে ঘুমোতে যাবার আগে পর্দা টেনে দিতে আসার সময়।তুমি জানবেও না কেন এত দিন ধরে তোমার ঘ্রাণের পাহারায় জেগে থাকি সারা রাত।কোনদিন দেখোও নি তুমি,বোঝও নি তুমি,আমি লিখে বলে কতবার তোমাকে বোঝাতে চেয়েছি ,তুমি অন্ধ রাজকণ্যার মত হেটে গেছো ঠোঁটে খড়কুটো নিয়ে।রাতের পর রাত জেগে আমি লিখেছি অর্থহীন এক্রস্টিক ,তুমি সেসব পড়েও দেখো নি একবার,অন্তত কবিতা হিসেবেই।আজকাল রাত বাড়লেই আমি তোমার ঘ্রাণ নিতে নিতে যখন প্রবল কুয়াশার মধ্যে অনুভূতি হারিয়ে ফেলি-তখন সোডিয়াম হলুদ আলোরা আমার কাছে পৌছে দেয় তোমার ছন্দোবদ্ধ নিঃশ্বাসের তারবার্তা।সম্প্রতি যে জোনাকীর সাথে পরিচয় হয়েছে সে আমাকে বোঝালো পাখি হয়ে চুপি চুপি তোমার জানালা গলে ঢুকে পড়তে তোমার অন্ধকার ঘরে…আর সাজ আয়নার সামনে তোমার অভিব্যক্তি দেখে লিখে ফেলতে শত পৃষ্ঠার নতুন কোন সিরিজ,আমি অস্বীকার করেছি।চৌর্যবৃত্তির ইচ্ছে নেই।যেটুকু দান করবে তাই আমার জন্য প্রসাদ।তাছাড়া আমি তো আর কিছু চাইনি-একবার চুমু খাবো-তারপর মিলিয়ে যাবো বাতাসে-যেন কোনদিন ছিলাম না আমি।

বিস্তারিত»

ইস্তানবুলের ডায়েরি

সময়কে যদি বহমান এক নদীর সাথে তুলনা করি তাহলে জীবনের ওই দুঃখগুলোকে বলতে হবে বহমান ওই নদীতে ভেসে থাকা ছোট ছোট কচুরিপানা। প্রবাসী জীবনের কেটে যাওয়া ৪ টি বছরে পরিকল্পনার ছকে এসেছে নানা রকমের পরিবর্তন আর জীবন পেয়েছে বাস্তবতাকে মুখোমুখি করে দেখার সুযোগ। পরিচিতি লাভ করেছে সেই সব সংগ্রামী মানুষের যারা হয়তবা ছোট ছোট স্বপ্ন বুকে বেঁধে পাড়ি দিয়েছিল মাতৃভূমিকে ছেড়ে হাজার হাজার মাইলের পথ…দেখেছিল রঙিন এক স্বপ্ন আর যাদের বুকের আশায় ছিল মাতৃভূমিতে ফেলে আসা আত্মীয় স্বজন ও মা বাবা…উন্নয়নশীল দেশের কিছু খেটে খাওয়া মানুষজনের সেই স্বপ্নগুলোকে আমি হয়তবা আমার ডায়রিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আবদ্ধ করতে পারব না কিন্তু হয়তবা আমি পরিচয় করিয়ে দিতে পারব তাদের আশা নিয়ে বেঁচে থাকার সেই সংগ্রামকে…

বিস্তারিত»

জন্মদিনের লেখাঃ মাতাল,আমাকে অগ্নিতে ফেলে চুপ বসে থাকে মা নিষাদ

এই রকম কাঞ্চনরাত্রিতে আমার শঙ্খচারিনী মেতে উঠে তুমুল উল্লাসে
ঘুমের ভেতর কেপে কেপে উঠে আমি দেখি আলোকের বর্ণময় মুখ
ঃ ধূলোরাশি!
অতঃপর ধূলোতেই পড়ে থাকে মিলনের দাগ-রক্ত,বীর্য,থুথু,প্রতারণা
আমাকে ছাড়া আর যাকেই দেহ দেবে গোপনে নীল হয়ে উঠবে ক্রমশ
এবং রাত পার হলেই ভোর,তারপর আবার রাত্রি,আবার মিথ্যে,আবার মিলন
নিয়ম মেনে মেনে প্রতারণা,অতীত ঘরে বসে চুমু খাওয়া
থরথর কাঁপতে কাঁপতে সিড়িঘরের সব ধূলো জমা হয় মেঘের গায়ে
লাল-নীল চিঠি সমূহ কাগজের উড়োজাহাজ হয়ে ঢুকে পড়ে অন্য পুরুষের ঘরে
এরপর বুকের বস্ত্র তুলে দিয়ে,অবিস্তত্র চুলগুলো বিন্যাসকরণ
মৃগনাভি,ঈত্বর ইত্যাদি গায়ে মাখা-তারপর চুপিচুপি গোপন প্রেমিকের প্রতি ফিসফিস-
“মাতাল,আমাকে অগ্নিতে ফেলে চুপ বসে থাকে মা নিষাদ!”

বিস্তারিত»

সর্বাধুনিক কবিতা

ক্র্যাশ খাইলো কানা বাবুল,
ক্র্যাশ খাইলো আটা আবুল
ক্র্যাশ খাওন কি মজার ?
জবাব খুইজাই, পাইকছে দাড়ি
বাইরছে ভুড়ি, আমার চাচা-
কিচমত গনি খাজার।

আমগো পাড়ার রহিম মিয়া
পাঙ্খা মামার ব্যানার নিয়া,
খুলছে চায়ের দোকান একখান-
বছর খানেক আগে,
সেই দোকানে, রোইজ বিকালে
চক্কর একখান মারতে গ্যালে
চা না খাইলে চাচার আমার
কিমুন জানি লাগে !!

বিস্তারিত»

নিতান্ত ফ্রয়েডীয়


তারপরও জেনো,এই বোকা বাঁশীওয়ালাই
জিতে নিতে চায় সকল মুগ্ধতা,ঘামের মাদক ঘ্রাণ
নরোম মুখের স্বাদ,ছন্দোবদ্ধ নিঃশ্বাস,প্রেম ও
বোতাম ভাঙার দায়-তোমার সর্বস্ব বিদ্যুৎ!

কাকে ভালোবাসতে,কাকে বাসো,তোমার অতীত বৃত্তান্ত
তা নিতান্ত নগন্য;আজকাল প্রায়ই ডুবেও থাকি তোমাকে
জিভ-চুমু খাওয়া,তোমাতে ডুবে যাওয়া ইত্যাদি সব
নষ্ট স্বপ্নদৃশ্যে-আর মনে মনে বলি,”আমাকে পুড়িয়ে করো ছাই!”

বিস্তারিত»