বিখ্যাত লোকজনদের সাথে আমার কখনো বন্ধুত্ব হয়নি, বরং তার উল্টোটাই ইদানিং বেশি বেশি ঘটছে, আমার বন্ধুরাই বেশ বিখ্যাত হয়ে যাচ্ছে। 🙂
আর এই তালিকার সাম্প্রতিক দুটো নাম হচ্ছে অমিত আহমেদ ও আনোয়ার সাদাত শিমুল।
এই দুইজনের সাথেই পরিচয় হয়েছে ব্লগে এসে। লম্বা সময় পাড়ি দিয়ে এখন দুজনেই আমার আত্মার খুব কাছের মানুষ, কখনও দেখা না হয়েও!
এবারের বই মেলায় ডেব্যু করছে আনোয়ার সাদাত শিমুল, তার অথবা গল্পহীন সময় বইটি দিয়ে। এগারোটি ছোট গল্পের একটা সংকলন হবে এটা।
শিমুলের গল্প বলার ভঙ্গি দুর্দান্ত। চারপাশের চেনাজানা ঘটনাকে তুলির টানে এমন অদ্ভুত সুন্দর করে তুলে ধরে যে, বারবার পড়তে ইচ্ছে করে। ওর লেখা গল্পগুলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় হলো নীলুফার যখন মারা গেলো, রীতিমতন চমকে গিয়েছিলাম পড়ে। লিংক করে দিলাম, যার ইচ্ছা পড়ে দেখতে পারেন। সাম্প্রতিক আরেকটা গল্পও খুব ভাল লেগেছে- আমরা সস্তায় ফ্ল্যাট কিনতে চেয়েছিলাম।
অমিতের এবারে ২য় বই বের হচ্ছে। প্রথম বই ছিলো একটা উপন্যাস, নাম- গন্দম। অনেকদিন অপেক্ষার বাদে সেই বই পড়ার সুযোগ হয়েছিলো আমার, এবং পড়ে টড়ে আমি যারপরনাই মুগ্ধ! অমিত তার নামের মতই অমিত সম্ভাবনাময়। অমিতের গল্প পড়লে মনে হয় ও একজন সত্যিকারের লেখক, দারুণ মুন্সিয়ানার ছাপ তার সবকয়টা গল্পেই।
বলা ভালো, আমি অমিতকে ডাকি সু-লেখক। একই সাথে সু মানে ভাল, আবার সু মানে সুদর্শনও।
অমিতের বইটাও গল্প সংকলন, নাম বৃষ্টিদিন রৌদ্রসময়।
সাহিত্যের সময়গুলো আপনাতেই একেক প্রজন্মের নামে পরিচিত হয়ে যায়, অথবা একেক সময়ের লেখকেরা পরিচিত হন একেকটা দশকের পরিচয়ে।
আমার ধারণা, আমাদের দশকের, অথবা আমাদের প্রজন্মের সবচেয়ে শক্তিশালী লেখকদের নাম কখনো লিপিবদ্ধ করা হলে অমিত আহমেদ আর আনোয়ার সাদাত শিমুলের নাম সেখানে সবচেয়ে ওপরের দিকেই থাকবে।
ওদের লেখার সাথে সিসিবি-র মানুষদের কতটা পরিচয় আছে জানা নেই, আমি তাই খুঁজে পেতে দুজনের দুটা ইবুকের লিংক তুলে দিলাম। আর বইমেলায় দুজনের বই বের করছে শস্যপর্ব প্রকাশনী, পাওয়া যাবে শুদ্ধস্বরের স্টলে।
ই-বুকের লিংকঃ
১। ফেলে আসা গল্প যত- অমিত আহমেদ
২। ছাদের কার্ণিশে কাক- আনোয়ার সাদাত শিমুল
না পইড়া ফার্ষ্ট।
প্রিয়তে রাখলাম পোস্ট টা। সময় নিয়ে লেখকদের লেখা গুলি পড়ব।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সিলভার 😀
এই দুইটা বই আমার কেনার লিস্টিতে আছে। এদের দুইজনের বিরাট ফ্যান আমি।
অমিত ভাইয়ের লেখার বৈশিষ্ট্য, ওনার গল্পে কোন খুঁত থাকেনা। থিম অনেক সময় পছন্দ না হলেও কেউ গল্পটাকে খারাপ বলতে পারবে না।
শিমুল ভাইয়ের কথা কী কইতাম। উনার ছাদের কার্নিশে কাক পড়ে আমি মুগ্ধ। আগে তো উনি একটু ডিজুস টাইপ গল্প লিখতেন, পড়তে ব্যাফক মজা লাগতো- যেমন ধরণের বাংলালিংক এর নম্বর নিয়ে গল্পটা। তারপর নীলুফার যখন মারা গেল পইড়া আমি মনে মনে কই, এইলোক আমগো শিমুল ভাই, ক্যাম্নে কী।
তাদের দুইজনরে শুভকামনা। পরিচিত মানুষজন বিখ্যাত হয়ে যাচ্ছে, ভাবতে ভালৈ লাগে। :tuski: :tuski:
হু, আমারও। 😀
www.tareqnurulhasan.com
তারেক ভাই লাজুক মানুষ। নিজের নাম মুখে আনতে পারেনা। তাই তালিকায় অমিত ভাই, শিমুল ভাই য়ের পাশে তারেক ভাইয়ের নামটাও বসায় দিয়ে গেলাম।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:dreamy:
www.tareqnurulhasan.com
শিমুল ভাই ও অমিত ভাইয়ের পাশাপাশি তারেক ভাইও, আমার মতে, এই প্রজন্মের প্রতিভাবান লেখকদের তালিকায় একদম উপরের সারিতেই থাকবেন। এক "সমান্তরাল" পড়েই আমি তাঁর মুগ্ধ ভক্ত হয়ে গেছি।
এবারের মেলায় দুটো বইই কিনব। আর আগামী মেলায় তারেক ভাইয়ের বইও দেখতে চাই।
তারেক,
শিমুলের লেখাগুলা, বিশেষ করে "নীলুফার যখন মারা গেলো" গল্পটা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ...শিমুল আমাকে আসলেই তাক লাগায়ে দিসেন...এখনো ঘোর কাটাইতে পারতেসিনা...
সিসিবির পাঠকরা,
ঠিক এমনি ঘোরলাগা একটা অনুভূতি হইসিল এর আগে আমাদের তারেকের সমান্তরাল গল্পটা পড়ার পরে...পড়া শেষ হবার পরে, ভালো লাগা-কষ্ট লাগা না, একদম অন্যধরণের একটা ফিলিংস হয়...
এই ছেলেটা এতো স্বাদু ভাষায় কিভাবে একটানা লিখে যায়-আসলেই অবাক লাগে...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
সাকেব ভাই বিরাট শরমিন্দায় ফেললেন! :shy:
কাছের লোকজনের কমেন্ট অপশান বন্ধ করে রাখতে হবে ভবিষ্যতে। ;;)
www.tareqnurulhasan.com
শাহরিয়ার মানে কি প্রহরী? 🙂
আপনার চোখ ফাঁকি দেয়ার দেখি কোন উপায় নাই! 🙂
বই পাবেন অবশ্যই, তবে আগামীবার না। ইনশাল্লাহ, ২০১৩ সালে। :awesome:
www.tareqnurulhasan.com
তারক ভাইয়ের নিজেরও কিন্তু আছে। শুদ্ধস্বর থেকে বেরিয়েছে সচলায়তন সংকলন- পূর্ণমুঠি (নামটা কি ঠিক লিখলাম?)। এখানে আমাদের তিথি আপু ও তারেক ভাই, দুজনের লেখাই আছে।
~x( তারেক ভাই হবে।
এই নিয়া কয়বার তারেক ভাইরে ইচ্ছা কৈরা তারক বানাইলা? ;;;
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আসলে সামিয়া তারকা লিখতে গিয়ে ভুলে মনে হয় তারক লিখে ফেলছে :-B
আমাদের তারেক হলো আকাশের তারার লাহান... বিশাল তারকা :dreamy:
:thumbup:
রহমান ভাই,
ঢাকায় আসলে আপনারে নান্নামিয়ার বিরিয়ানি খাওয়ামু, পেট চুক্তি! 🙂
www.tareqnurulhasan.com
আমিও খামু তারেক ভাই। ;;) ;;) ;;)
সামিয়া,
তোমারে অনেক থ্যাংক্স।
ইতি,
বাবা তারকানন্দ। 🙂
www.tareqnurulhasan.com
:))
:clap: :clap:
Life is Mad.
অমিত, শিমুল, তারেক সবার লেখাই পড়েছি, মনোমুগ্ধকর এবং সাবলীল, তবে সেরা বলতে চাইলে বেছে নেব তিথিকে। তিথির খেরোখাতাকে।
তিথির প্রচারবিমুখতাই তাকে আমার কাছে অসাধারন করেছে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
দাঁড়ান, তিথিরে দেখাচ্ছি এখুনি। 😀 ও শিওর বাঁধাইয়া রাখবে এই কমেন্টটা। :thumbup:
www.tareqnurulhasan.com
আমি কইছ এইটা কইও না প্লিজ লাগে তোমার।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ব্লগার দম্পত্তি। 😀
আর আমাদের করেছে বঞ্চিত x-(
আমি ওর খেরোখাতার লিঙ্ক জানতাম না...
সচলায়তনে নিয়মিত ঢুঁ মারতাম ওর নতুন লেখা পড়ার আশায়...প্রজাপতি যে এখন 'ভাঙা পথের রাঙা ধূলায়' আঁকিবুকি করে-সেইটা জানা ছিলনা...
যাইহোক, গতকাল খুঁইজা পাইসি 😀
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
গত বছরেরটা মিস হইছে, এই বছরেরটাও হবে। আবার কবে যাইতে পারব কে জানে!