এক জিনিয়াসের কাহিনী

আমাদের এস এস সি এর প্রি-টেষ্ট পরীক্ষার আগে একদমই পড়ালেখা করি নাই। কি করমু, জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। বুঝি নাই কতো টুকু সিরিয়াস হইতে হবে। তাই রেজাল্ট বেশি ভালো হয় নাই।বিশেষ করে উচ্চতর গনিতে আমরা কয়েকজন বেশ খারাপ করলাম। কোনোরকমে পাশ। আমরাও ওই সাবজেক্ট বেশি পড়ি নাই যেহেতু ৪র্থ বিষয়। কিন্তু প্রবলেম করলো স্যার। ঘোষনা করা হলো আমাদের আবার পরীক্ষা দিতে হবে। ভালো না করলে আমাদের ফর্ম ফিলাপ করতে দিবে না। কি ঝামেলা। যেভাবেই হোক মোটামুটি ভালো না করলে তো বিপদ। কি করি। দৌড়ালাম আমাদের এক জিনিয়াসের কাছে। যার কাছে অংক হলো পানিভাত। তাও না ,শুধু পানি। কয়েকদিন ওর কাছে অংক করলাম।তারপর আবার পরীক্ষা দিয়ে কোনোরকমে ইজ্জত রক্ষা করলাম।
কিন্তু তারপর একটা জেদ চাপলো। এই সাবজেক্ট এর জন্য এই অপমান? নাহ বোর্ড পরীক্ষায় ভালো করতে হবে। শুরু করলাম ওর কাছে অংক করা। এইটা তো সবাই জানে, ক্যাডেট কলেজে স্যার দের চেয়েও ভালো শিক্ষক বন্ধুরা। ওই জিনিয়াস যেই রাফ খাতা গুলা প্র্যাকটিস করে করে ফেলে দিতো আমরা ওইগুলা নিয়ে অংক করতাম। এইভাবে দেখতে দেখতে বোর্ড পরীক্ষা দিলাম। একেবারে খারাপ দেই নাই। তো রেজাল্টের পরে কলেজে গিয়ে কয়েকদিন পর স্যার আসলেন ফর্মে। আমাদের মার্ক শীট দেয়া হবে। মার্ক শীট হাতে নিয়ে আমি প্রথমেই দেখলাম উচ্চতর গনিতে কতো পেয়েছি। যা দেখলাম তাতে আমি উপরে ভালো করে চেক করলাম এটা আসলেই আমার কি না? না, নাম তো ঠিক আছে। আবার নাম্বার দেখি। হিসাব তো মিলে না। গেলাম ঐ জিনিয়াস এর কাছে। তুই উচ্চতর গনিতে কতো পাইছিস দেখি? দেখি ও পাইছে ৯৮। আমি আবার আমারটায় দেখি ৯৯। ওয়াও। জিনিয়াস এর কল্যানে আমি সর্বোচ্চ আমাদের ক্লাসে। এই হলো আমাদের জিনিয়াস এর কেরামতি।
আবার ক্লাস ১২ পুরোটা আমি আর ও বসেছি একসাথে ডাইনিং হলে। কতো কাহিনি, কতো ঘটনা। কলেজ থেকে বের হয়ে ও বুয়েটে কম্পিউটারে। ও ওর রেজাল্ট তো বলা হয় নাই। এস এস সি তে ২য়, এইচ এস সি তে ১ম।বর্তমানে ১ম সারির মোবাইল কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার।
খুবই আলসে প্রজাতির এখন। ও যে কেনো পি এইচ ডি বা এই ধরনের কিছু করে না এই নিয়ে অভিযোগ এর কোনো শেষ নাই। সিসিবি এর একজন নিয়মিত পাঠক, কমেন্টক। লেখে না তেমন। কিন্তু যা লেখে তাতেই হিট।
আজকে আমাদের এই জিনিয়াস ফ্রেন্ডের জন্মদিন। অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ও নামটা বলি নাই তো। তানভীর। দোস্ত শুভ জন্মদিন। কেক কুক খাইতে মন চায়।
(মাস্ফু জন্মদিনের পোষ্ট না দেয়ার অপরাধে আগামী ২৪ ঘন্টা লুংগি পইড়া………আশা করি বাকিটা বলতে হবে না)

১০,৯৩১ বার দেখা হয়েছে

১২৮ টি মন্তব্য : “এক জিনিয়াসের কাহিনী”

  1. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    উনি এত ভাল ছাত্র কিন্তু দুঃখে বুকটা ফাইট্টা যায় যখন দেখি এই ভাইয়ের ছোটভাইটাই এইরাম কুলাঙ্গার x-( ওই বেটা বুয়েটে এইবার ভর্তি পরীক্ষা দিছিল-বংশের মুখে চুনকালি দিয়া ১০০০ জনের মইধ্যে ১৩তম হইছে x-(

    আমার আম্মা এনার আর তপু ভাইয়ের গল্প শুনে আর কয়-কি কপাল ওই মায়েদের যে এমন সন্তানের জন্ম দিছে!

    🙁 🙁 🙁 🙁 🙁

    জবাব দিন
  2. কামরুল হাসান (৯৪-০০)

    অনেক কথা বলার ছিল। কিন্তু হঠাৎ মনে পড়লো গত বছর ঠিক এই দিনে তানভীরের জন্মদিনের লেখাটা আমিই লিখেছিলাম। এক বছর পরে সেটা পড়তে গিয়ে মনে হলো প্রিয় বন্ধুর জন্মদিনে ঠিক এই কথাগুলোই তো বলতে চেয়েছিলাম আমি-
    -------------------------------------------
    বন্ধু তোর লাইগা রে …

    কলেজ থেকে ছুটিতে আসলে আমাদের প্রধান কাজ ছিল সব বন্ধুরা (ক্যাডেট পার্টি) একসাথে আমার বাসার সামনে বা আহমেদের বাসার সামনে দুই দলে ভাগ হয়ে ক্রিকেট খেলা। সকাল থেকে শুরু হতো একেবারে দুপুর গড়িয়ে বিকাল না হলে থামাথামির কোন নামগন্ধ ছিলো না।

    ক্রিকেট আমার খুব প্রিয় খেলা। খেলতে এবং দেখতে। কিন্তু সমস্যা হলো খেলার সময় আমি আবার একেবারে আনাড়ী। ফলে দুই দল ভাগ করার সময় আমাকে সবাই বিপক্ষ দলের দিকে ঠেলে দিতো।
    শুধু তাই না। বেছে বেছে সবচেয়ে ভয়াবহ বোলারের ওভারগুলি আমাকে ফেস করতে পাঠিয়ে দিতো। আমি মুখচোখ কালো করে ব্যাট করতে নামতাম আর ২/৩টা বল ফেস করে প্রায়ই নামের পাশে শুন্য রেখে ফিরে আসতাম। রান করার কোন উপায়ই ছিলো না, কারন ভয়াবহ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিলো তানভীর। শীতের সকালে আমার বাসার সামনে ঘাসে ঢাকা পিচে তানভীরের বল ফেস করার চেয়ে যেকোন পার্বতী'র মন জয় করা অনেক সহজ কাজ। অফ স্ট্যাম্পের একটু বাইরে পড়ে শরীরের দিকে আসা ওর ইন সুইঙ্গার গুলি থেকে যেকোন একটা মিডল স্ট্যাম্প বাচানো যেতো, নিজের না হয় ক্রিজের। আমি নিজের স্ট্যাম্প বাঁচাতাম, ক্রিজেরটা তানভীরের বলে উড়ে যেতো। অবশ্য উইকেট পেয়ে তানভীর বেশি খুশি হতো না, কারন আমার উইকেট সবাইই পেতো (এমনকি দুধ ভাত বোলার তারেকও)।

    আড্ডায় তানভীর বেশির ভাগ সময় নিরব স্রোতা। নিজে গল্প বলতো খুব কম কিন্তু অন্যের গল্পে গুড় লাগাতে ও বেশ ওস্তাদ। কিছুক্ষন পর পর আমরা একজন অন্যজন কে পচাঁতাম। যার গল্প বেশি সেই সবচেয়ে বেশি পচঁতো। তানভীর কে পচাঁনো যেতোনা, কারন ওর গল্প কম। সবচেয়ে বেশি গল্প ছিলো তারেকের ফলে পচঁনিটা ও বেশি খেতো। এই কাজে আমি সশ্রম অংশ গ্রহন করতাম এবং নেপথ্য থেকে তানভীর আমাদেরকে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়ে যেতো ।

    ছাত্র হিসেবে তানভীর ছিলো কেমন সেটা বলার জন্যে যে মিনিমাম মার্কস লাগবে তা আমার সারাজীবনের সব পরীক্ষার নম্বর যোগ করেও হবে না। ওর খারাপ রেজাল্ট গুলির একটা হচ্ছে ম্যাট্রিকে কুমিল্লা বোর্ডে মেধাতালিকায় ২য় স্থান। অবশ্য ইন্টারে যথারীতি প্রথম হয়ে আর বুয়েটে সেইরকম সিজিপিএ নিয়ে তানভীর ঠিকই সেই ঘাটতি পুরন করে দিয়েছে। এই বিষয়ে বেশি কথা বললে আমার নিজের মান সম্মান নিয়া টানাটানি পড়বে, তাই সাইড দিয়ে চলে যাই।

    বন্ধু তানভীরের তুলনা শুধু তানভীর নিজে। গত ঈদটা আমরা প্রথম তানভীর কে ছাড়া করলাম। টাউন হলে গিয়ে সবাই জড়ো হয়েছি আড্ডা দিতে, ভুলে আমি দু'একবার বলেও ফেলেছি, 'তানভীর টা এখনো আসে না ক্যান? শালায় সব সময় লেট।' মনেই ছিলো না তানভীর ঢাকায় ইদ করছে। এই ইদও তানভীরকে ছাড়াই করতে হবে। এবং আমাদের কারো না কারো সেই একই ভুল হবে।

    এবার আরো বেশি মিস করবো কারন আজ হঠাৎ মনে পড়লো আগামীকাল ঈদের দিন তানভীরের জন্মদিন।

    শুভ জন্মদিন দোস্ত।
    তিন প্রহরের বিল একদিন আমাদের দেখা হবেই।

    বলি বলি করেও একটা কথা কোন দিন বলা হয়নি। আমরা সবাই তোকে খুব মিস করি। উই লাভ ইউ ম্যান।


    ---------------------------------------------------------------------------
    বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
    ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।

    জবাব দিন
  3. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    প্রথমে খুব অবাক হয়েছিলাম... :-B
    রবিন ভাই লেখা দিছেন??? 😮 😮
    তাও আমারে নিয়া?????????? =)) =)) =))

    পরে দেখলাম, না...তানভীর ভাই রে নিয়া লেখা... 😀
    এই লোকটারে আমি খুব ভালা পাই... :hug:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  4. মাহবুবা সোনিয়া (৯৭-০৩)

    আজ মনে হচ্ছে জাতীয় জন্মদিন দিবস, সারা বছর কারো কোনো লেখা দেখা যায় না আর আজকে মাশাল্লাহ অনেক গুলো জন্মদিনের পোস্ট, যার একটাও মাস্ফু লেখে নাই!!!
    রবিন ভাই আর কামরুল ভাইকে এত সুন্দর লেখা ও কমেন্টের জন্য :boss: :boss: :boss:
    আর তানভির ভাইকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

    জবাব দিন
  5. মান্নান (১৯৯৩-১৯৯৯)

    আমাদের প্রিটেষ্টে হায়ার ম্যাথ এর প্রশ্ন খুব কঠিন হলো, ফলে সবাই কিছু নম্বর কম পেল, তার মধ্যেও একজন বেশ ভালো করল। ফলে হায়ার ম্যাথের নম্বর দেখার পর একটু ভাব নিয়ে পঁচালো যে, "আসলে তোরা হায়ার ম্যাথের উপযুক্ত না তোদের জন্য সাধারন গনিতই ভালো। ভালো করে সাধারন গনিত করে গোড়াটা শক্ত করে নে। তারপর না হয় উচ্চতর গনিত করবি।" ওর কথা সবাই মুখ বুঁজে সহ্য করল। তারপর যখন সাধারন গনিতের মার্কস দিলো তখন সে কিছু নম্বর কম পেলো। তখন সবাই ওকে পঁচানোর জন্য বলল 'তোর তো আগা মোটা গোড়া চিকন " ।

    জবাব দিন
  6. তানভীর (৯৪-০০)

    রবিন দোস্ত....অনেক ইমোশনাল করে দিলি। আমি আসলে কি বলব বুঝে উঠতে পারছি না, ভাব প্রকাশে আমি বরাবরই দুর্বল। তারপরও জানি তুই তো বুঝবি-ই আমি কতটা খুশি হয়েছি।

    অসাধারোন একটা বন্ধু-ভাগ্য আমার। স্কুল জীবন থেকে শুরু করে ভার্সিটি পর্যন্ত পেয়েছি অসাধারণ বন্ধুদের, হয়েছি সৌভাগ্যবান। স্বার্থপরের মত তোদের ভালোবাসা নিয়েই গেলাম সবসময়!

    অনেক ধন্যবাদ রবিন, আমার দিনটাকে স্পেশাল করার জন্য।

    জবাব দিন
  7. রকিব (০১-০৭)

    তানস ভাইয়া, হ্যাফী ভার্ডে।
    দোয়া করি রুমকীরে কয়েকশ ভাইবোন আইনা দিবেন।
    অফটপিকঃ বস আমারে এট্টু আপনার পায়ের ধুলা পার্সেল কইরা পাঠায় দিবেন। গুলায়ে খাইয়া পরীক্ষা দিতে যামু। 😀 😀


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  8. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    দেরী হইলো মনে হয়। ভয়ে ভয়ে পোস্ট দেইখা লগাইলাম।

    শুভ জন্মদিন তানভীর, অনেক বড় হও, শতেক সন্তানের জনক হও এই দোয়া করি।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  9. জুলহাস (৮৮-৯৪)

    কিরে তানভীর...আমার পুলাডারে তর মতন হইবার কমু নি? 😀 😀 😀
    হায়...হায়...তাইলে তো ও আবার গাছ হইবার পারবো না!!! 😛 😛
    কি যে করি? :awesome:
    পোলারে গাছ বানামু... না কি জিন্‌স্‌ বানামু-- দিশা পাইতাছি না তো!!! ~x( ~x(


    Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet

    জবাব দিন
    • তানভীর (৯৪-০০)

      জুলহাস ভাই, মাহীনের আমার মত হওয়া লাগব না। দোয়া কইরেন আমিই যাতে ওর মত স্মার্ট হইতে পারি।

      ওরে গাছ না বানাইয়া সিসিসিতে দিয়া দেন, আরও অনেক বড় হইয়া আমাদের তিন প্রহরের বিল দেখাইতে নিয়া যাইতে পারবে। 😀

      জবাব দিন
  10. রশিদ (৯৪-০০)

    গত শুক্রবার মনসুরের বৌভাত খেয়ে ফেরার পথে আমাদের মোকাদ্দেস বললো ওর এই 'জিনিয়াসনেস'-এর কথা........তাই ফেসবুকের জন্মদিনের মার্ক আর শিরোনাম মিলাইয়া শেষে দেখি, আমার ধারণা ঠিক.......দোস্ত তানভীর.......শুভ জন্মদিন!! :party:

    জবাব দিন
  11. আহমেদ

    ওহহ... একটা কথা না কইলেই না। হাঁসের ডিমের মতন সাইজ নিয়া যখন কলেজে ঢুকছিলাম, ডাইন কইলে উপরে দেখতাম, সামনে কইলে বামে যাইতাম, ওইরকম ভয়াভহ সময়েও একটা ব্যাপার খুব ভালভাবে জানতামঃ আসিস্টেন্ট হাউস প্রিফেক্ট তানভীর ভাই মানেই হলো "বস", এই কথার ডাইনে, বামে, সামনে, পিছে আর কোনো কথা নাই। কসম খোদার, একটুও বাড়ায় কইতেছি না।
    সালাম তানভীর ভাই :salute:

    জবাব দিন
    • তানভীর (৯৪-০০)

      অনেক ধন্যবাদ লাবলু ভাই।

      এখনও বড় হইনাই, তাই তিন প্রহরের বিল দেখতে যাওয়া হয়নাই। 🙁 আরেকটু বড় হইলেই আমি আর কামরুল যাব তিন প্রহরের বিল দেখতে।

      দোয়া কইরেন আমি যাতে আপনার মত চিরসবুজ থাকতে পারি। (কৃতজ্ঞতাঃ ফেসবুক) 😀

      জবাব দিন
  12. বন্য (৯৯-০৫)

    প্রথমে ভাবলাম রিবিন ভাইর কি হইলো নিজেরে নিয়া ব্লগ লিখতেসে.... ;)) ;))

    তানভীর ভাই,শুভ জন্মদিন...আপনার সাজানো বাগান ফুলে,ফলে আর সন্তানে ভারে উঠুক.... :grr: :grr: :grr:

    জবাব দিন
  13. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    শুভ জন্মদিন তানভীর ভাই... ফ্যান্টাসী লীগরে তো আপনি আপনার ব্যক্তিগত সম্পত্তি বানায়া ফেলছেন... এই জন্য আপনার ব্যান চাই।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।