[লেখাটা আমার দুইজন প্রিয় বন্ধু টিটো আর কামরুলকে উৎসর্গ করলাম।যে দুজন মানুষের সাথে আমি চলচ্চিত্রের অনেক ভাবনা শেয়ার করেছি,তা ভেবে অনেক স্বপ্ন্ব ও দেখেছি।তা অতীতের কথা কিন্তু এখনও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি,এই দুজন একসময় মহৎ কোন শিল্প তৈরী করবে।আর এই লেখাটা নিয়ে নানান হা-হা,হি-হি আর ইমোর মাঝে ভাবনার খোরাক যোগাক,এটাই আসল কথা। 😉 ]
বাংলা সিনেমা নিয়ে লোকে নাক সিঁটকায়,এ আর নতুন কিছু নয়।কোন ভালো গল্প নেই,ভালো চিত্রনাট্য নেই,টেকনিশিয়ানরা দক্ষ নন,সঙ্গীতের অবস্থা খুবই সঙ্গীন,অভিনয় যাচ্ছেতাই,গুণী পরিচালকের অভাব-এরকম বিস্তর অভিযোগ।কিন্তু তারচেয়েও একটি বড় প্রশ্ন রয়ে গেছে-তথাকথিত রুচিশীল দর্শক বলে নিজেকে যারা উন্নত মনে করেন,তারা কি ভালো চলচ্চিত্রের কোন চাহিদা বাজারে তৈরী করতে পেরছেন?এওতো সত্য যে,দিনশেষে চলচ্চিত্র একটি পণ্য,যার ভিত্তি পুঁজির উপর দাঁড়িয়ে কিন্তু অন্য আর দশটা অর্থনৈতিক পণ্য থেকে এটি একটু আলাদা করা যায়,কারন এর একটা শিল্পগুণ রয়েছে যার সাথে কিছুটা সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে।তাই এই পণ্যটিকে বাজারে সরবরাহের ক্ষেত্রে শুধু যোগানদাতার দোষ খুঁজলে হবেনা,চাহিদার দিকটাও দেখতে হয়।
প্রথমেই আলোচনা করব সিনেমার নাম নিয়ে।এই যেমন একদল গাল-মন্দ করেন কীসব নাম রাখা হয় বাংলা সিনেমার?এতো বিকৃত রুচি!পারলে ধর,খাইছি তোরে,কাজের বেটি রহিমা,ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ,বউ-শ্বাশুড়ীর যুদ্ধ ইত্যাদি। কিন্তু একটু ভালো করে খেয়াল করুন স্টিভেন স্পিলবার্গ যখন ছবির নাম দেন Catch Me If You Can তখন লোকে বাহবা দেয়,কিন্তু এর বাংলা নাম করে ‘পারলে ধর’ নাম দিলেই জাত গেল জাত গেল রব উঠে।ঠিক এমন করে হার্ক সুইয়ের We’re Going to Eat You হলে কোন সমস্যা চোখে পড়ে না কিন্তু ‘খাইছি তোরে’ নাম দিয়ে পরিচালকের কত গুষ্ঠি যে উদ্ধার পেল,তার কোন হিসেব নেই।একইভাবে রবার্ট লুকেটিকের Monster-in-Law কে বউ-শ্বাশুড়ীর যুদ্ধ, ,জেরী বুটেনের Brother’s War কে ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ নাম দিলে তথাকথিত রুচিশীলরা তাতে রুচির চরম অবনতি খুঁজে পান।আর যারা এটাকে নকল,চুরি ইত্যাদি বিশেষণে বিশেষায়িত করে পান্ডিত্য সুখ লাভ করেন,তাদের জন্য বলা-অনুকরণ বা অনুসরণের মধ্যে দিয়েই তো অনেক শিল্পের মাহাত্ন্য প্রকাশ পায়।আর সে জন্যই রবিঠাকুর করলে বলবেন অনুপ্রাণিত আর সিনেমা ব্যাবসায়ীরা করলে চুরি।এতো রীতিমত অবিচার!
আরেকটু খোলাশা করে বলতে গেলে বেশীদূর নয়,আমাদের পাশের দেশ ভারতের ছবি কিন্তু সবশেণীর কাছেই কম-বেশী আকাংখিত।আর তাদের সর্বকালের অন্যতম একটা ব্যাবসাসফল ছবি Dilwale Dulhania le Jayenge।এবার এর বাংলা করে কোন পরিচালক যদি ছবির নাম দেন-‘হৃদয়বান তার স্ত্রীকে নিয়ে যাবে’,নাম শুনেই লোকে বলত-গেল সব গেল!অথচ হিন্দী ছবিখানা দেখেননি বাংলাদেশে খুব কম মানুষই আছেন!এর একটা বড় কারন হল,ভাষাগত সমস্যা।অনুবাদের ক্ষেত্রে ভাষা অনেক ক্ষেত্রেই তার আবেদন হারায়।তাইতো বাংলায় আজো Sexy শব্দটার কোন শালীন অর্থ তৈরী হয়নি।এরকম বহু শব্দ বাংলা করতে গেলে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করে ফেলে।
তারপর ধরুন জেসি নেলসনের I am sam ছবিটার কথা।এখন আমাদের এফডিসির কেই যদি এর অনুকরণে ছবির নাম দেন ‘আমি সামসু’,তখন লোকে মনে হয় দলবেঁধে পরিচালককে গাল দিবেন।অথচ দেখুন,স্যাম নামটি উন্নত দেশে খুবই সাধারণ নাম,যেমনটি আমাদের সামসু।কিন্তু এটি ছবির নাম হলেই তখন আমাদের মধ্যবিত্তের উন্নাসিকতা প্রকাশ পায়। তেমনি কিম কি-ইয়ংএরThe Housemaid ছবি দেখে আমার যেসব বন্ধুরা বাহবা দেন,ঠিক তাদের ঘরেই একদিন কাজের লোক অনুপস্থিত থাকলেই নাওয়া-খাওয়ার বারোটা বেজে যায়,কিন্তু ছবির নাম কাজের বেটি রহিমা হলেই তাদের জাত যায়!
আর এ প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহারের লেখা থেকে কিছু ধার করা কথা শুনুন-
‘ যারা বিকৃতির অভিযোগ তুলছেন তারা তাদের রুচিকেই অবিকৃত রুচির শাশ্বত আদর্শ ধরে নিয়েছেন, যা আসলে একটি বিশেষ শ্রেণীর রুচি কেবল।…সাধারণত ‘শিক্ষিত’ মধ্যবিত্তরা বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি সিনেমাকেই ‘রিকশাওয়ালাদের ছবি’ মনে করে। ছবিগুলোর প্রতি তাদের শ্রেণীগত ঘৃণা এতো প্রবল যে, একে নিন্দা করবার জন্যই তারা জিহ্বা খোলে, নইলে নয়।
রুচির পার্থক্য বা দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকা শ্রেণীগত কারণে স্বাভাবিক। কিন্তু কখনো এটা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে যখন সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কিংবা তাদের ভালো লাগাটাও, সচেতন ও প্রগতিশীল বলে নিজেদের যাঁরা দাবি করেন, তাঁদের কাছে ন্যূনতম কোনো অর্থ বহন করে না। সাধারণ জনগণের ভালোমন্দ লাগার প্রতি অহংকারী উপেক্ষার মধ্যে আমাদের সাংস্কৃতিক ভাবনার অন্তঃসারশূন্যতাই প্রমাণিত হয়। এই অন্তঃসারশূন্যতা আতংকের সৃষ্টি করে।’
বাংলা সিনেমাকে তাই অন্যদের মত নামের কাঙ্গাল বলতে আমার মোটেও দ্বিধা নেই।এই যে কোপা সামসু নামে একটা সস্তা কথা বাজারে এতটাই চলছিল যে এই নামে ছবির পেটেন্ট নিয়ে রীতিমত দুই পরিচালক ঝগড়া বাঁধিয়ে ফেলেছিলেন।কারন আর কিছুই নয়,এই নাম পাবলিক খাবে সেটাই আসল কথা।আর এতো চরম সত্য দিন শেষে পুঁজি ঘরে ফিরেছে কিনা,এই নিয়েই ভাবেন সব সিনেমা ব্যবসায়ীরা।পুঁজির মুনাফা দিয়েই বড় কর্পোরেট হাউসগুলো যেমন Corporate social responsibility নামে আরেকধরণের বিজ্ঞাপন আর প্রচার-প্রসারণের রাস্তা বের করেছে,তেমনি মূলধারার চলচ্চিত্রের লাভের মুনাফাই বিকল্পধারা নামের চলচ্চিত্রের প্রসার নিশ্চিত করতে পারে।এটা লোকে স্বীকার না করলেও প্রযোজকরা কিন্তু এমনটিই ভাবেন।কারণ,আপনি অন্যের অর্থ নিয়ে আর যাই হোক মশকরা করতে পারেননা!আর তাই আগে ভাবতে হবে সমাজের বড় অংশটা কী এখনও যথেষ্ট প্রস্তুত হয়েছে একে বরণ করে নিতে?ফরহাদ মজহারের লেখা থেকে এ বিষয়ে আবার কিছু কথা-‘আমি যেটা আসলে বুঝতে পারি না তা হলো পুঁজিতান্ত্রিক সমাজে ব্যবসার উদ্দেশ্য ছাড়া সিনেমা তৈরি করা যায় কীভাবে? একদিকে অন্য ব্যবসায় টাকা কামিয়ে অন্যদিকে জনগণের রুচি নির্মাণের মহৎ কাজে লেগে পড়া যায়। কিন্তু তাহলে দু’রকম ধান্দা সামাল দেয়া লাগে, সেটা তো মুশকিলের। যারা শুধু ছবিই করতে চান, আর কোনো ধান্দা নয়, তারা দুই ধান্দার প্রস্তাবে গররাজি হবেন অবশ্যই। কী করা?’ কথাটা আপাতত নিষ্ঠুর মনে হলেও চরম বাস্তব।
🙂
প্রথম হইলাম মনে হয় 😛
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
😀
পরথম :clap: পইড়াই
x-( যাহ ছাইড়া দিলাম।গোল্ড তুই নে,আমি সিলভার নেই।
😀
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আপনি বরোঞ্জ 😛
বহুদিন পর ধরা খাইলেন মাস্ফ্যুদা, অভিনন্দন :teacup:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
;;; তুই কুথায় ধরা খাইছোস সেইটা অটোয়া গেট্টুগেদারের পর থাইকা সারা ব্লগ জানে,আর স্মরণ না করাই 😉
চি চি চি, কী যে বলেন। বস একটা কথা, ঐটা কিন্তু বার ছিলো না, বিশ্বাস করেন, বিশ্বাস না হইলে মেলিতা ভাবীরে জিগান।
আর লোকজন আমার চায়ের ব্যবসাটা ডুবানোর জন্য স্ক্যান্ডাল ছড়াইতেছে। এইসবে পাতা (কান) দিয়েন না দাদা।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
সত্যি কি মিথ্যে তা তোর ওই চাঁদপানা মুখের ব্রীড়াময় ভঙ্গি( :shy: ) দ্বেকেই বুজে নিয়েচিগো 😀
আমার কিছুই হইতেছে না x-( কইলাম তো। সিদ্ধান্ত নিছি, দেশে আসলে আপনার কাছে শর্ট টার্ম কোর্স করমু।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
একটা উদাহরণ দেবার লোভ সামলাতে পারছিনাঃ আমাদের অনেক সংগীতবোদ্ধাই(বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের) মিলার যাত্রাবালা অথবা মমতাজের "সোনা বন্ধু তুই আমারে ভোঁতা দাও দিয়া কাইট্টা লা" শুনলে নাক সিঁটকান অশ্লীলতার ধুয়া তুলে-কিন্তু অকথ্য খিস্তি খেউড়ে ভরা ইংরেজি র্যাপ গান তাঁদের কাছে হয়ে যায় পশ্চিমা সমাজের নিপীড়িত কালো মানুষের বঞ্চিত হৃদয়ের বানীবদ্ধ অশ্রু।"ওরা ওখানের ঘেটো(বস্তি)তে থাকে,তাই ওদের ওই ভাষাই স্বাভাবিক,এই ভাষাতেই ওরা মনের কথা তুলে ধরে..."-র্যাপ গানের "অশ্লীল" লিরিকসকে যাঁরা এভাবে ডিফেন্ড করেন,তাঁদের কাছেই "সোনা বন্ধু তুই আমারে কাঁথা দিয়া জাইত্তা ধর,থার্মিটার লাগায়া দেখ গায়ে আমার কত জ্বর' টাইপের গান চূড়ান্ত রকমের অশ্লীল।
সে আমেন টু হিপোক্রেসি!
তোর তো দেখি,বুদ্ধি মাইলকে মাইল বাড়তেছে। 😀
x-( কেনু,গাছ বইলা কি আমি মানুষ না? 🙁
তোর জন্যই তো কবি লিখেছেন-The woods are ugly, tall and deep. But u have promises to keep, and miles to go before u sleep. 😉
তাইতো বলি,মাইলকে মাইল বাড়তেছিস।
:(( আমারে আগলি কইলেন?দাদা,কানাকে কানা খোঁড়াকে খোঁড়া কইতে হয়না ভুইলা গেছেন? :((
ভালো বলেছিস। ভাগ্যিস জগদিশ চন্দ্র তোদের ব্যাপারটা আবিষ্কার করছিলেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সেক্সির শালীন বাংলা কি হইতে পারে? :-/
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জাতির কাছে এই প্রশ্ন রাখা হোক। 😉
প্রথম পুরষ্কারঃ অঞ্জু ঘোষের অটোগ্রাফ সম্বলিত বিউটি কার্ড।
জেসিসিতে অত্যন্ত সিনিয়র একজন শিক্ষক ছিলেন যিনি ছাত্রজীবনে অঞ্জু ঘোষের বিপরীতে নায়ক হিসেবে মঞ্চনাটকে অভিনয় করতেন।পরবর্তীতে তিনি এফসিসিতে চলে যান।স্যার পড়াতেনও অসাধারণ।
মঞ্চ নাটকের খেল
কেউ যায় এফডিসি
কেউ যায় এফসিসি
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
:khekz: :khekz:
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ভাই,কাইয়ূম ভাইরে এটা কি কইলেন?
:khekz:
:khekz:
তাইফুর মাম্মা,এইডা কি কইলেন =)) =)) =))
=)) =)) =))
তোরা কি যাত্রা দেখিছিস। অসাধারন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আবেদনময়ী??(যৌনাবেদন না বলে সংক্ষেপে বললে কি কিছুটা উন্নতি হয়?)
:thumbup:
:clap: :clap:
দিলেন তো ভাইয়া মন খারাপ করে
আজকে রবিবার
এমন ছুটির দিনে দেশে থাকতে আমরা মা, খালা, বোন, কাজিন সবাই মিলে টিভির সামনে শুয়ে বসে বাংলা সিনেমা দেখতাম আর হিহিহিহি করতাম। নানা ভাই সিনেমার প্রথম ৫ মিনিট দেখে ওয়াস্তাগফিরুল্লাহ, আব্বু ১০ মিনিট দেখে আমাদের পড়াশোনার নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে পাশের ঘরে চলে যেতেন। ছোটভাই মারমারির অংশ গিলত আর বলতো এরা সুপারম্যানের মত মারপিট জানে না। ছোট বেলায় হারিয়ে যাওয়া নায়ক নায়িকা র শিশু সংস্করন দেখে আম্মু ঘন ঘন চোখ মুছতো। একটু পর অবশ্য বিকালের চা খাওয়ার অজুহাতে নানা ও আব্বু ফিরত আসতেন।সিনেমা সেই রকম হৃদয় স্পর্শী হলে তারা দেখেও ফেলতেন।
🙂
এককালে যখন শুধু বিটিভি ছিলক, যখন প্রতিমাসে একটা করে বাংলা সিনেমা দেখাতো সেই কালে বাংলা সিনেমা দেখার জন্য অপেক্ষা করতাম। দিনগুলো খুব মজার ছিল, সবসময় মিস্করি।
ভাবী মন খারাপ করার কিছু নাই।গানের ভাষায় বলি-
'সুদিন আসবে বলে তাই,
আমি এখনও স্বপ্ন দেখে যাই।
কোপা সামসু আমি হলে গিয়া দেখছিলাম 😀 😀 😀
একমত।
ভাই,আপনার সকল মতের সাথেই একমত।
কিন্তু,সিনেমার ডায়লগ,আর কাহিনী একের পর এক একরকম বানালে আর কয়টা সিনেমাই দেখা যায় বলুন?এককালে বাংলা সিনেমা দেখতাম,শাবানা-আলমগীরের একেক্টা সিনেমা হৃদয় ছুঁইয়ে যেত,সবাই মিলে দেখতাম,ইমোশনাল হতাম,আর এখন এরকম কলাকুশলী নেই............... 🙁
একটা কথা বলতে চাই। মাঝে বাংলা সিনেমায় অশ্লিলতা নিয়ে অনেক হইচই হল, এবং বলা চলে মোটামুটিভাবে এইটা বাংলা সিনেমা থেকে দূর হল।
কিন্তু হলিউড বা বলিউড সবখানেই ন্যুডিটিকে একটা পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনেক বিখ্যাত সিনেমাই আছে, যেখানে ন্যূডিটি বিদ্যমান। এবং আমরা যখন সেসব সিনেমা দেখি, তখন কিন্তু চিন্তা করি না যে, এইটা অশ্লিল। কিন্তু বাংলা সিনেমা হলেই তখন আমরা শ্লিলতার সংজ্ঞা টানি। ইংরেজি বানিজ্যিক মুভিগুলাতে অনেক ভয়ংকর মাত্রার ভায়োলেন্স,সেক্স থাকে। এবং সেগুলা আমাদের দেশে সহজলভ্য। কিন্তু সেগুলা নিয়ে আমরা শংকিত হই না। আমরা শংকিত হই,যখন বাংলা সিনেমায় ন্যুডিটি আসে।
(এই কমেন্টটা পড়ে কেউ প্লিজ ভাববেন না যে,আমি অশ্লিলতার পক্ষে।
আমি শাহাদাত ভাইয়ের মতই বলতে চাই, বাংলা সিনেমায় আছে বলেই খারাপ, আর ইংরেজি বা হিন্দি সিনেমায় আছে বলেই ভাল-এরকম একমূখী চিন্তাধারা বর্জন করা হোক। )
ভাইরে,কৃষ্ণ করলে লীলাখেলা আর আমি করলে পাপ।তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে বর্তমান বাংলা সিনেমার নগ্নতাকে অপছন্দ করি দুটো কারণেঃ
১)শুধু নগ্নতার খাতিরে নগ্নতা দেখানো(কাটপিস সংযোজন করার মাধ্যমে)-হলিউডের নগ্নতা অতটা খারাপ না লাগার কারণ ওখানে অনেক ক্ষেত্রেই কাহিনীর প্রয়োজনে নগ্নতা আসে-বাংলা বা হিন্দি কমার্শিয়াল সিনেমায় যেটার বড়ই অভাব।
২)একটু বিব্রতবোধ করছি এটা বলতে-তাও বলি।হিন্দি সিনেমায় যদিওবা কাহিনীর প্রয়োজন ছাড়াই "আইটেম সং" এর নামে খোলামেলা পোশাকের অভিনেত্রী,বিকিনি পরিহিতা ললনা বা রগরগে সেক্স সিন দেখান হয়-নায়িকাদের উপস্থাপনার কারনে সেটি অন্তত দর্শকদের "ঘাম ছোটানোর"(ইচ্ছে করেই যথোপযুক্ত শব্দটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকলাম) কাজটি সুন্দরভাবে সম্পাদন করে।মল্লিকা শেরাওয়াত আর ধুমসি মৌসুমির মধ্যে কাকে সংক্ষিপ্ত পোশাকে দেখতে ভাল লাগে তা আমরা সবাই জানি।কাজেই,মন্দের ভাল হওয়া থেকেও পিছিয়ে পড়ছে আমাদের সিনেমা।
আমি আশা করব আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি বিভিন্ন সংকট কাটিয়ে একটি সম্মানজনক অবস্থানে যাবে।
অন টপিক-আমার সিনেমাজ্ঞান একেবারেই প্রান্তিক পর্যায়ের-কাজেই ভুলত্রুটি মার্জনীয়।
ঐ মিয়া মৌসুমীরে নিয়া ওমনে কইবেন না। বুকে হাত দিয়া কন তো, মৌসুমীর ভিউ কার্ড নিয়া আপনে ...... থাক আর কমু না।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
এত্ত ধুমসি থাকতে মৌসুমীরে ক্যান কইলেন?দেশে আর কয়টা সুন্দরী নায়িকা আছে ভাই?মুনমুন আর ময়ূরী খালাম্মার কথা একবারও মাথায় আসল না?মৌসুমী আন্টি কি ফাফ করছিল?? x-(
ময়ুরী তোর আত্মীয় এইডা এতদিনে জানাইলি আমাগোরে??? :grr: :grr: :grr: :grr: :grr: :grr: :grr: :grr: :grr: :grr: :grr:
=)) =))
তুহিন ভাই,আপনি না আমার খালাতো ভাই?আপনি চিনেন না ময়ূরী ক্যাডা? ;;; :awesome:
x-( x-( x-( তুই কানাডিয়ান পার্লামেন্টের সাথে তুরন্ত লং আপ হ,পরবর্তী অধিবেশন শুরু না হওয়া পর্যন্ত থামবিনা x-( x-( x-(
অনেকের গোপন খবর ফাঁস হইয়া যাইতেসে। জীবনের ময়ুরীপ্রীতি, রকিব ও মাস্রুফ ভাইয়ের মৌসুমীর প্রতি গোপন অনুরাগ। :))
ঝাতি আরো ঝান্তে ছায় 😛
পুকা তুই চিল্লাইস না,আর কিছু কইলে কিন্তু তর দিলদারের জোড়ি নাসরিনের ওয়ালপেপার এর কথা ফাঁস কইরা দিমু কইলাম :grr: :grr:
ইয়ে,পূর্ণিমা কিন্তু এইচএসসি ২০০৩ ব্যাচের :shy:
তাতে কী? ঠিক টাইমে বিয়ে হলে তো তোর সমান একটা ছাওয়াল থাকত। 😉
=)) =)) =))
আছিব ভাই, ঠিক না ঠিক না। আমি তো মাস্ফ্যু ভাইরে পুরানা কথা মনে করায়া দিতেছিলাম।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
বাংলা কোনো কোনো সিনেমা অশ্লীল তো বটেই। তবে আমি বলবো কুরুচিপূর্ণ।
আসলে বাংলা সিনেমাতে বয়স ভিত্তিক ট্যাগ লাগানো উচিৎ।
বাংলাদেশে তো এক টিকিটে দুই ছবি তো চলছে, তবে?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এইভাবে কখনও চিন্তা করি নাই ,
সুন্দর পোস্ট মান্না ভাই :thumbup:
অফটপিকঃ মান্না ভাই আপনার বাসা কি টাংগাইল? আমি দেখছি টাংগাইলের পোলাপানের হেভি বাংলা সিনেমাপ্রীতি আছে। কিছুদিন আগের স্বর্ণযুগটা চলে যাওয়ায় তারা খুব হতাশ। তারা কেও আপনাকে ইনফ্লুয়েন্স করে নিত পোস্টটা দিতে?
মান্না ভাই ইজ ফ্রম নিউক্যালি 😀
দ্য রয়াল। 🙂
দি গ্রেট নোয়া, আমিও 😀
x-( নোয়াখালির কথা-থাক আর কিছু কইলাম না,গত দুই বছরে নোয়াখালি নিয়া আমার অভিজ্ঞতা কমেন্টে কমেন্টে মোটামুটি সবাই জানে-আর পুরান কাসুন্দি না ঘাঁটি।
অফ টপিক-চরিত্র যেমনই হোক,নোয়াখালির মেয়েরা অনেক উচ্চ তাপমাত্রার হয় :shy: :shy:
অফ-অফ টপিক- ইয়ে মানে,দুষ্টামি করলাম কেউ মাইন্ড খাইয়েননা :-B
তোর কথাবার্তার সাথে ইদানিং নরেন্দ্র মোদীর মিল পাওয়া যাচ্ছে।বিপজ্জনক বটে।
ভাইজান কি আমারে থেরেট দিলেন? :no: :no:
আই কি কইচ্ছি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমার সিনেমা প্রীতি আছে,তা সে বাংলাই হোক কিংবা হিব্রু।চলচ্চিত্র নিজেই তো একটা ভাষা।তার জন্য বিশেষ এলাকায় বাড়ী থাকাটা জরুরী না। 😀
ব্লগে চা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে সিগারেটের নাই কেন? :'( :((
:thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup: :thumbup:
বহুত জ্ঞান পাইলাম।
:clap: তবে ভাই যে যাই বলুক না কেন,যত খারাপ কিছুই বলুকনা কেন্সবাই কিন্তু চুপিচুপি ঠিকই বাংলা সিনেমা দেখে। :clap:
আমার বিশ্বাস তোরা একদিন খুব ভালো চলচ্চিত্র তৈরী করতে পারবি।
লেখাটা ভালো লাগল।
ভালো হইছে বন্ধু .আরো চাই :clap:
সহমত । চরম সহমত ।
অফ টপিক : আমার ওমর সানি রে খুব ভালো লাগে । আমার মনে হয় ওমর সানি বিশ্বের সেরা নায়ক ।
😮 😮
তরে মাসরুফ ভাই পাইলে বিনা মশলায় কাঁচা চিবায় খাবো।এমনিতেই দেহস না,মৌসুমী ওমর সানিরে বিয়ে করছে দেখে মাসরুফ ভাই কিরাম চেতছে,আর তুই ব্যাটা নাদান আইসা উনার দিলে পেরেক মারছস!!! :duel: :chup:
যা ব্যাটা,বাজারে মসলা কিনতে যা,আর রান্না হওয়ার আগে গোসল কইরা আয় :khekz: :khekz:
কারেকশান-সেই কবে ওমর সানির সাথে ডিভোর্স হয়া গেছে...নয়া জামাইটা অবশ্য তার চেয়েও মোটকা 😛
কবে ডিভোর্স হইলো আর নতুন বিয়া কবে হইলো?
কিছুই তো জানিনা 🙁
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
যার জানার দরকার সে জানলেই হল,কি বলেন মাস্ফু ভাই?? 😛
তোরা কী আমাদের সামীউরের কথা বলছিস? কীরে সামিউর তুই মোটা সুমিকে কবে বিয়ে করলি? 😀 (সম্পাদিত)
ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য আপনার ব্যাঞ্ছাই :grr:
কই পাইছিস তুই এই খবর? না নিয়মিত চটি ম্যাগাজিন পড়িস?ওখানেই তো এই জাতীয় খবর থাকে। 😀
:(( টকশোতে দেখছি :(( চটি পড়ুম কেন ছিঃ
অফ টপিক- এক বড়ভাইয়ের তীব্র বিশ্বাস-আর এম গুপ্তদা আসলে আর কেউ নন,আমাদের শফিক রেহমান 😮 😮 😮 কাহিনী সত্যি মিথ্যা জানিনা...এইখানে শফিক রেহমান আঙ্কেলের কুনো আত্মীয় থাকলে মাপ কইরা দিয়েন।যায়যায়দিনের "প্রেমলীলা" আর "ভালবাসা সংখ্যা" আমরা ছুডোকালে লুকাই লুকাই কত পড়ছি... :shy:
ভাই,''ছাতা'' আর ''শাড়ি'' সংখ্যা বাদ দিলেন ক্যান?? ''শাড়ি'' সংখ্যা পড়তে গিয়া লাইব্রেরী পিরিয়ডে ইলিয়াছুড় রহমানের কাছে ধরা খাইছিলাম,আমি আর আরেক ফ্রেন্ড কাড়াকাড়ি করতেছিলাম,আইসা কয়, ''অ্যা বিয়াদ্দাব-বেত্তমিজের দল,কি নিয়া কাড়াকাড়ি কইরতিছাউ,দেখি ত...।।'' দেখার পর ''কয়,ইয়াল্লাহ,নাউজুবিল্লাহ,এইসব ব্যাশরীয়তী লিখা লাইব্রেরীতে ক্যামনে আসল!!'' x-( x-(
ক্লাস শেষে লাইব্রেরীয়ান রে বলে, ''লাইব্রেরীয়ান সাব,যায়যায়দিন নিষেধ কইরে দিবেন পরের থেকে'' কত্ত বড়.........ভাই,চিন্তা করে দেখেন,আমরা যতক্ষণ ছিলাম,সে ওইটা পড়ছে,আর আমরা চলে আস্লাম,সে ওইটা নিয়েও আসল,আর লাইব্রেরীয়ানরে কইয়া আমাগো যায়যায়দিন পরা চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করে দিল :(( :((
খুবই দুক্ষের কথা।
মৌসুমি ছিল আমাদের যুগের ৩০০ ক্যাডেটের হৃদয়ের রানি। প্রিয় প্রিয় এড শুরু হইলেই ৩০০ পোলা কমন রুমে দৌড়াইত।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ফরহাদ মজহার লোকটারে পছন্দ না। তাঁর কোন ভালো কথারও মুল্য নাই আমার কাছে।
একটা হিন্দী ছবি দেখলাম কয়দিন আগে। রণ (rann)। দেখিস, ভালো ছবি।
বেঁদের মেয়ে জোসনা নিয়া একটা লেখা দেয়ার কথা ছিল তোর।
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আমি ভালোটুকু গ্রহণ করায় বিশ্বাসী,আর যা তুলে ধরেছি সেটা ওনার দু-দশক আগের একটা লেখা।
বেদের মেয়ে জোসনা,হৃদয়বান তার স্ত্রীকে নিয়ে যাবে আর টাইটানিক নিয়ে একটা লেখা দেয়ার ইচ্ছে আছে। 🙂
বেদের মেয়ে জোছনা নিয়ে ফরহাদ মজহারের একটা রিভিউ পড়েছিলাম বিডিনিউজ২৪ এ। বেশ ভালো লেগেছিলো।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
এই লেখাটাই আমি তুলে ধরেছি,তবে এটা কিন্তু অনেক পুরোনো লেখা।
ওই লেখাটা আমারও বেশ ভালো লেগেছিলো। ক্যাডেট কলেজে থাকতে বে-মে-জো দেখেছিলাম।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
বে-মে-জো :))
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
আমি বোধহয় বাংলাদেশে আমাদের প্রজন্মের একমাত্র যে এই সিনেমা দেখি নি। :((
তবে গান গুলো মুখস্ত ছায়াছন্দের কল্যানে।
এই সিনেমার গান নিয়ে মুজিব পরদেশীর ক্যাসেট এককালে বাংলাদেশের অডিও ইতিহাসে সর্বাধিক বিক্রিত হিসেবে রেকর্ড করেছিলো।
অফ টপিক-ইয়ে,আমার বাসায়ও একটা ছিল :shy:
বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না অসাধারন ছবি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভাই, শাহরুখ খানের রিসেন্ট ক্যালাসিং গুলা নিয়াও কিছু লেখেন
সিনেমা মানেই যে নাচা-গানা আর মারপিট থাকতে হবে সেটা আমরা কেউই মানি না। তবুও এই টিপিক্যাল বাংলা সিনেমা স্টাইল থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পারছি না। আজকাল কিছু সুন্দর বাংলা সিনেমা তৈরী হচ্ছে যা অবশ্যই আশাব্যাঞ্জক। সিনেমার মানের পাশাপাশি সিনেমা হলে মান নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন থেকে যায়। বড় বড় শহরে কিছু মানসম্মত হল থাকলেও মফস্বলে হলের মান খুবই নিম্নমানের। এইসব হলে ভাল সিনেমার মধ্যেও কাটপিস জুড়ে দেওয়া হয়। এই দায় কিছুটা দর্শকদের উপরেও বর্তায় কারন আশানুরুপ দর্শক না পেয়ে হল কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা অবলম্বন করছেন। তবে দর্শকদের কেও এককভাবে দায়ী করা যায় না। আমাদের আসলে সামাজিক সচেতনতা ও দায়বদ্ধতা বাড়াতে হবে, তা না হলে অনেক ভাল ভাল উদ্দ্যোগ বৃথা হইয়ে যাবে।
.....বিরাট মজাক পাইলাম.....খি খি খি...
রঞ্জনা আমি আর আসবো না...
বিষয়বস্তু ও তার বিশ্লেষন খুবই ভালো লেগেছে (পাঁচতারা)।
অফটপিক- বেদের মেয়ে জোছনা'র একটা দারুন রিভিউ পড়েছিলাম বিডিনিউজ২৪ এর আর্টস সেকশনে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
৯-এ থাকতে কলেজে ব্যাচেলর সিনেমাটা দেখসিলাম, দেখার আগে পোলাপান তখনকার সিসিপিরে গাইলা সাইজ করে দিসিল বাংলা সিনেমা দেখাবার জন্য কিন্তু দেখার পর সবাইত পুরা পান্খা... এরপর দেখসিলাম মাটির ময়না, ওইটাইমে যদিও টিভি রুমে দর্শক কিছুটা কম ছিল কিন্তু অনেকের কাসেই সিনেমাটা ভাল লাগসে। আর ১২তে দেখসি মহিলা হোস্টেল, ফায়ার আর মেশিনম্যান (পরের ২টা আবার মান্না ভাইয়ের সিনেমা) এগুলা অবশ্য নিজেদের ব্যবস্থায় দেখা 😛 পলি আপুকে তখন খুব ভাল লাগসিল :dreamy: ;;; আর সিনেমার নাম কিংবা সিনেমার কনটেন্ট মনে হয় পরিচালক/পরিবেশকেরা তাদের টার্গেট দর্শক ঠিক করেই নির্ধারন করে এবং এর প্রচারণাও করে সেইভাবে। এই জন্যেই মনে হয় খাইসিতোরে টাইপের সিনেমা নিম্ন আয়ের দর্শকদের মধ্যে ভাল চলসে আবার থার্ড পারসন সিন্গুলার কিংবা ব্যাচেলর টাইপের সিনেমা সিনেপ্লেক্স আর টিভি দর্শকদের মধ্যে ভাল চলসে :-B হয়ত ঠিকভাবে প্রচারণা করলে খাইসি তোরেও সিনেপ্লেক্সে ভাল চলত আর থার্ড পারসন সিন্গুলারো নিম্ন আয়ের দর্শকরা আরো বেশি দেখত, তবে এই ক্ষেত্রে নামটাও চেন্জ করতে হইত মনে হয় ... যেমন খাইসি তোরে তখন সিনেপ্লেক্সে চলত 'ভক্ষণ করেছি তোমায়' নামে আর ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ হইত 'ভ্রাতৃদ্বয়ের সংগ্রাম', আবার মনের মাঝে তুমিকে যদি চেন্জ করে 'কইলজার মইদ্দে তুই' নামে, ব্যাচেলরকে 'খাইসি ছ্যাক' নামে আর জাগোকে 'বাংলার ম্যারাডোনা' নামে মফস্বলের হলগুলিতে ছারা হইত তাহলে মনে হয় দর্শক বেশি হইত 😛 😛 আচ্ছা থার্ড পারসন সিন্গুলারের নাম তাইলে তখন কি হইত?
=)) =)) এক্কেরে খাট থিকা পিরা গেলাম
এক মেয়ের তিন পুরুষ হইতে পারে :-B :-B
ইয়ে,ইহা ভাবানুবাদ,আক্ষরিক নহে :-B
😮 😮 😮
সাজিদ,সিরাম লিখেছিস।তোর কথাগুলো নিয়েই পরের পর্বগুলোতে আসবে।আর 'উত্তম পুরুষ একবচন' টাইপ ছবিগুলা নিয়ে ও কথা হবে। 😀
অপেক্ষায় থাকলাম।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
খবরদার মান্না আমার কাজিন,
কাজি হায়াতের সাথে উনি অসাধারন অনেক ছবির জন্ম দিছেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হালকা চালে ভালোই গভীর কথা লিখছো মান্না (ভাই)। :grr: :grr: :grr: আহারে....... বাংলা সিনেমা কতোদিন দেখি না!! এমনকি 'মনপুরা'ও দেখি নাই....... :(( আমি কি সুশীল বা আঁতেল হইয়া গেলাম?? ~x(
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
মান্না ভাইয়ের '' মাথা নষ্ট'' দেখেন,সব আঁতলামী ছুটে যাবে ভাই। 😀
আমির খান তো ওইটা কপি মাইরাই গাজিনি বানাইলো 😛
হ বস,একদম ঠিক কথা,বলিউড ঢালিউড রে নকল করে আজকাল 😡
আমরা মান্না ভাই(প্রয়াত) এর কপিরাইট চাই,গজিনির জন্য,মামলা ঠূকব,শার্লী ভাই,আপনি কুথাআআআয় :duel:
সানা ভাই, এখনো আতেল হন নাই। মনপুরা দেখলেই আতেল হইতেন।
মনপুরা জটিল একটা ছবি হইছে। ১০ এ ১০।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমাদের সময়ের বাংলা সিনেমা 'ভেজা চোখ'-এর ইংরেজি নাম ছিল 'The Tears'. নামটা আমার এখনো সবসময় মনে পড়ে। ট্রান্সলেশন স্টাডিজ কোর্স পড়াতে গেলে টাইটেল অনুবাদ বোঝানোর ক্ষেত্রে আমি সবসময় এই একজাম্পলটা অন্ততঃ একবার হলেও দেই।
লেখারা ধারাটা নতুন উদ্যোগ প্রমান করল। আমি বাংলা সিনেমা না দেখলেও লেখার বিষয়বস্তু পরিবেশনের স্টাইল ভাল লেগেছে।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
'ভেজা চোখ' ছবিটা দেখি নাই, কিন্তু এর বেশিরভাগ ডায়লগই মুখস্ত ছিল। ঐ আমলে সিনেমার ডায়লগের/ট্রেইলারের ক্যাসেট পাওয়া যেত-তার সৌজন্যে। আর ছবির গানগুলোও ছিল ভাল লাগার মতন...'জীবনের গল্প...' বা 'তুই তো কাল চলে যাবি...'
সেই সময়ে রেডিও-তেও দুপুরে মুভির ট্রেইলার শুনতাম...
সেই দিন গুলোর কথা মনে পড়ে গেল...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আমার একটা কথা মনে পড়ছে। ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় আমাদের এক ফাজিল টাইপের জুনিয়্রর বাংলা সিনামার এবং সেই টাইপের কিছু টাইটেল অনুবাদ করা শুরু করছিল। একটা খুবই হিট করছিল। সেটা হলঃ 'সুখের ঘরে দুখের আগুন' যার অনুবাদে সে লিখছিল 'The 3rd lover is coming.'
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
=)) =)) =))
ভেজা চোখ জটিল ছবি। আমিও দুপুরে গাজি মাযহারুল আনোয়ারের ছবির কাহিনী শুনতাম।
আহারে কি দিনগুলা ছিল।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
পোস্টটা অনেক পছন্দ হয়ছে মান্না ভাই।সালমান শাহ এর কোন সিনেমা বাদ দিই নাই।বিশেষ করে ১ম কিছু সিনেমা পুরো পরিবার একসাথে গিয়ে দেখছি।ওরে খুব ভালা পাইতাম। 🙁 🙁
রিয়াজ আর ফেরদৌসরেও ভালা পাইতাম :shy: ।কিন্তু তারপর যে কি হয়লো,আর তো কোন কিছু দেখতেই পারলাম না।ইদানীং অবশ্য আবার অনেক ভালো মুভি হচ্ছে।আমার মনে হয় এর মাঝে হাতে গুনা কয়েকটা ছাড়া বাকি গু 😛 লা তেমন প্রচার পাই না।
এফডিসিতে নতুন অনেক ছেলে মেয়ে আসছে এখন,এবং তুলনা মুলক ভালোই কাজ করতেছে।আশা করছি আজ থেকে ৫ বা ৭ বছর পর আমরা বাংলা ছবির সেই স্বর্ণালী দিন গুলো আবার ফিরে পাবো
অফ টপিকঃভাইয়া আপনার নাম মান্না রাখার কারণেই কি মুভির প্রতি এত আগ্রহ??
আমার নামের শানে নুযূল এই লেখাতে আছে, //cadetcollegeblog.com/sahadat/22576 (সম্পাদিত)
ফেরদৌসের সাথে লন্ডনে দেখা হইছিল। অটোগ্রাফ রাখছি। সামনা সামনি দেখলাম সে অনেক স্মার্ট; অনেক ভারতিয় নায়কদের চাইতেও।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমার বাংলা সিনেমার নাম হিন্দিগুলোর চেয়ে অনেক ভালো মনে হয়ে।
pirates of caribbean at world's end এর হিন্দি নাম নাকি "সমুন্দরে কে লুটেরে, আন্তিম ঘড়ি" =))
হুমায়ুন আহমেদ অনেক আগে হিন্দি ভাষা নিয়া বলে গিয়া লিকছিলেন, দেবিওকা হাগনকুঠি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
বাংলা সিনেমায় নাকি ধুম পড়েছে
আহামরি সুন্দরী এক নায়িকা এসেছে
কোমরের দোলায় নাকি সাগরেরই ঢেউ
দেখেছিস নাকি তোদের মাঝে কেউ
চল যাই চল যাই বাংলা সিনেমা দেখি
সিনেমার নাম নাকি পরান পাখি।
১ম ২লাইন এক বন্ধুর এফবি স্ট্যাটাস বাকিটা আমরা ভরে দিয়েছি কমেন্টে।
আমি আবার যায়যায়দিনরে ভাল পাই। এক্কেবারে ছুডুবেলা ৯৩থেকে মানে কিলাশ থিরি থিকা পড়তাম। এখন বিশেষ সংখ্যাগুলান মৌচাকে ঢিল নামে বাইর হয়। তয় আগের মতন আর জমে না। :((
কিলাশ থিরি থিকা যাযাদি...। ভালো,খুব ভালো।
উৎসর্গের জন্য তোরে ধন্যবাদ দেয়া হইছিলো না। দারুণ লিখছিস..
আমার একটা পুরান লেখার লিঙ্ক দিলাম পড়িস। আর পারলে বর্তমানের হিন্দি ছবির প্রবেম নিয়া একটা পোস্ট দিস..
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
লিংক
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই