আমার একটু রোমান্টিক হওয়ার চেষ্টা

মনে হয় পূর্ণিমা ছিল সেই রাতে। বাসায় ফিরতে ফিরতে সাড়ে এগারোটা। খেতে খেতে আরো এক ঘন্টা। সাড়ে ১২টার সময় বউ এসে জানালার পর্দা সরিয়ে বললো, দেখো কি সুন্দর চাঁদ। আমার চোখে ঘুম, আগ্রহ বেশি ঘরের চাঁদের দিকে, তাই কোনো রকম বাইরে তাকিয়ে বললাম, ওঃ তাইলে আজও চাঁদ উঠছে!! 😮
পরের দিন বউ ঘোষণা দিল আমি হইলাম এই বিশ্বের সেরা আন-রোমান্টিক ছেলে। আমার মধ্যে নাকি রোমান্টিসিজমের কিছুই নাই।

বিস্তারিত»

এগারশ সাতাশ

তারপর চাঁদ এসে ডুব দেয় টুপ করে,
হয়ত তোমার মনের মাঝে কিংবা আসলে ঠোটে,
তুমি বুঝতে পারনা
আর চাঁদটা দুম করে সূর্য হয়ে যায়,
আর হাসনাহেনা ঝিমাতে ঝিমাতে গোলাপের কাছে হেরে যায়
যদিও তুমি গোলাপ দুচোখে দেখতে পারনা
আধখাওয়া বরইটা দুহাতে পাওয়ার জন্য কোমরের ঘুঙ্গুরটা বাজতে থাকে একঘেয়ে সুরে
আর মেয়েটার নুপুরটা কেটে কেটে যায় বাতাস
যদিও মেয়েটা ভালোবেসেছিল
আর গ্রামের সবুজ চিরুনি করা ধানগাছগুলো
তুমি অবাক হয়ে চেয়ে থাকবে দেখবে তাতে কোন পাপ নেই
কোন পাপই নেই

পাঁচ মিনিটের নোটিসে কালকে দুম করে চলে এসেছি দিনাজপুর।

বিস্তারিত»

ভালবাসার সুখ

অভিমান তো হবেই, যখন বুঝি এ আমার অধিকার –
মুহুর্তের দেরী মনে আনে কষ্ট, কখনও ভয়।
তোমার দূরে থাকা আমাকে হাহাকারে ছেঁয়ে ফেলে,
তোমার হাসিমুখের বিচ্ছেদে আমার কষ্ট হয়।
রিনিঝিনি কন্ঠে তোমার নুপূর বাজে
আমারও গাইতে ইচ্ছে করে সুখের গান –
অথচ তোমার স্পর্শ আমাকে নিশ্চুপ করে দেয়,
তোমার স্পর্শে আমি পাই সুখের আহবান।
তাই বারে বারে তোমার কাছে ছুটে আসি
মনে হয় ক্ষণিকের দূরে থাকা যেন হারিয়ে যাওয়া সুখ –
অস্থির মনে অযথা আশংকা হারাবার –
বুঝি,

বিস্তারিত»

উদ্ভট ফ্যান্টাসী-০৩

উদ্ভট ফ্যান্টাসী – ০১
উদ্ভট ফ্যান্টাসী – ০২

৩য় পর্বঃ
(ওইযে একটা প্রবাদ আছে না, নিজের পায়ে কুড়াল মারা, আমার হয়েছে সেই দশা। কিভাবে যেনো এই সিরিজের দুটি পর্ব লিখে ফেলেছিলাম। আসলে সবসময়ই সাইন্স ফিকশনের পোকা ছিলাম। অনেক আগের শখ ছিলো লিখার। কিন্তু দুটি পর্ব লিখার পর বিভিন্ন কারনে আর লেখা হচ্ছিলো না। এর মাঝে দেশের বাইরেও ছিলাম অনেকদিন।

বিস্তারিত»

অর্থহীন বিষণ্ণতা

(কবিতা দেয়ার দুঃসাহস দেখাইলাম। ডরে আছি। )

অর্থহীন বিষণ্ণতা ঘিরে ধরে আমাকে তার ধূসর আবরণে,
অথবা শুধু ঘিরে ধরে না, গ্রাস করতে চায় আমার সত্তাকে।
আমি তাকে ধরতে পারি না , সে আমাকে ছুয়ে যায়,
আমার বোধ গুলোকে শুধুই এলোমেলো করে দেয়।
অদ্ভুত সে আমাকে আচ্ছন করে ফেলে কোন অজানা মোহে,
আধারের বুকে নিঃসঙ্গ আমার পাশে জেগে রয় পাহারায়।

বিস্তারিত»

সিসিবিতে আমন্ত্রন

পল্লি কবি জসীমঊদ্দিনের নিমন্ত্রন কবিতা অবলম্বনে

সিসিবিতে আমন্ত্রন

তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে
আমদের সিসিবিতে
গেলেই তুমি নিজেই দেখবে
প্রমান হাতে নাতে

বিস্তারিত»

কামরুল ভাইয়ের খোঁচা আর আমার স্মৃতি বিভ্রাট জনিত পোষ্ট

(কামরুল ভাইয়ের পুরান লেখা দেওয়ার খোঁচায় রাগিত হইয়া নতুন পুরা গরম গরম একটা লেখা দেওয়া হইল । ইহাকে আপনার স্মৃতিকথা বা ব্লগর ব্লগর যা ইচ্ছা বলিতে পারেন । লেখা ভাল না লাগিলে আমার দোষ নাই যত দোষ কামরুল ভাইয়ের)

গতকাল রাতে কথা হচ্ছিল ইশতির সাথে । তখন কথায় কথায় অনেক পুরান কথা মনে পড়ল । ভার্সিটিতে তখন প্রায় নতুন নতুন । ডিপার্টমেন্টের কার সাথে তেমন খাতির হয় নাই।

বিস্তারিত»

আচার০১৫: কাব্যকথা

[তাইফুর ভাইয়ের কাব্যগুলো পড়ে আমার নিজের কিছু কবিতা দিতে ইচ্ছা হলো। এতে করে সুবিধা দুটো, নতুন করে কিছু লিখতে হবে না, কবিতা রেডিই আছে। দ্বিতীয় সুবিধাটা হলো, খুব ব্যস্ত আছি, এই সু্যোগে কাব্য দিয়ে নিজের + কলেজের একটা ব্লগ বাড়ানো যাবে। আগেই ক্ষমা চেয়ে নেই, কমেন্টের উত্তর হয়তো দিতে পারবো না সময়মতো। ]

১…

শুরুটা বোধহয় এভাবেই হয়,
ভবঘুরে স্বপ্নের মতো এভাবেই
জলজ প্রেমে ভিজে যায় বুকের জমিন।

বিস্তারিত»

ছিন্নস্বর

সিলুয়েটে করতল জমে উঠলে একটা বিছানা ধীরে খুব ধীরে রওয়ানা দিল আস্তাকুঁড়ে
যেখানে প্রতিদিনরাত বার্ধক্য-উপনীতা শুকুতে দেয় কুমড়োর বড়া; ঐ বড়াভাজা মাদুরের
পাশে পিঁপড়ের সারি লাইনে জমাট বিক্ষোভ ফেলে একটা চিকন জলধারা ক্রমশ শৃঙ্খলিত
হতে থাকলে মোলায়েম শকট এসে তার চেহারায় অদ্ভুত রঙ এঁকে দ্যায়।

কাছেই সিঙ্ক্রোনাইজ্‌ড ঘুমের বাসর থেকে জেগে উঠতে পারে কালো কুকুরটি- এহেন
ভাবনা ঠাস্‌ করে বেলুন ফুটে মিলিয়ে যাবার আগে নিঃসরিত বায়ুত্যাগী জোছনা আমাকে
ঠ্যালা দিয়ে রমণে ঠেলে দিতে থাকে আর ভিখেরিপনায় পটু আমার ছোটভাই চেয়ারের
নিচে রাখা গলিত-ঘামসিক্ত তোয়ালে জড়িয়ে দিনকে দিন শুষ্ক হতে থাকে।

বিস্তারিত»

অতঃপর ব্লগর ব্লগর – ৩

ক্যাডেট কলেজ থেকে শুরু করে আজ অবধি একটা বিষয় আমি খুব কন্সিস্টেন্সি সহ লক্ষ্য করে আসছি। প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা কিংবা অবক্ষয়ে প্রকৃতিতে ঋতু বদলের সময়সীমায় পরিবর্তন আসে। এমন কি সনাতন রচনা বই গুলোতে লিখিত ষড় ঋতুর বৈশিষ্ট্যতেও আজকাল খুঁজে পাওয়া যায় গড়মিল। কিন্তু ,এই একটা বিষয় আমি দেখলাম এক্কেবারে অনড় এবং নিশ্চিত। সেটা হচ্ছে ছুটিতে ‘সময়’ এর দ্রুততার সাথে পথ অতিক্রম এর ব্যাপারটা। কোন এক অজানা কারনে বোধকরি পৃথিবীটাও ঐ সময়ে সূয্যিমামার চতুর্দিকে অধিকতর ‘জায়রো’

বিস্তারিত»

উচ্চ নম্বরের সিঁড়ি-১ (আন্দা’র ভাগাড়ী পংক্তিগুলো)

ভাগাড়ী পংক্তিগুলো

বলতে দ্বীধা নাই, আরও অনেকের মত আমিও আন্দালিবের বিশাল ভক্ত। ছেলেটার লেখা যতই পড়ি ততই ওর চিন্তা ভাবনার রসাল রসে রসসিক্ত হই। মাঝে মাঝে এও ভাবি, সেদিন হয়ত দূরে নয়, আন্দালিবের কবিতা পাঠ্য বইয়ে চলে আসবে। সে যুগের কথা ভেবেই … ‘এ পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করে দিয়ে যাব’ টাইপ কবিতার নোটবই …
আন্দালিব নিশ্চই মাইন্ড করবে না। বরং আমাকে মার্কিং করতে পারে ওর চিন্তার সাথে আমার ব্যাখ্যা কতটুকু মিলল … ওর ব্লগে কমেন্ট আকারে দিতে চেয়েছিলাম,

বিস্তারিত»

একটু পরেই সূর্যগ্রহণ

আকাশ জিনিসটা আসলেই বিস্ময়কর। প্রাচীনকালের মানুষদের মত বললাম আর কি। সে সময় তো মানুষ আকাশকে একটা জিনিসই মনে করতো। সকল পৌরাণিক কাহিনী এবং ধর্মগ্রন্থেই তার প্রমাণ আছে। এই সেদিন আমরা আকাশের বাস্তব রূপ আবিষ্কার করেছি। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাথে যে পুরাণ আর প্রাক-ইতিহাস জড়িয়ে আছে তা মাঝে মাঝেই ফিরে আসে। সেটা হয়ত আমাদের উপর কোন প্রভাব বিস্তার করে না, কারণ আমরা জানি সেসবের কোন অর্থ নেই।

বিস্তারিত»

মালেয়শিয়ার চিঠি – ২

[ গতকালের আমার লেখা পরে অনেকের খারাপ লেগেছে। আজকে তাই একটি মজার ঘটনা লিখলাম ]

আজকের সকালে বাসার নিচের দোকানে গেলাম কিছু কেনাকাটা করতে। দোকানের লোকটা জানে আমি বাংলাদেশি। সে আমাকে মালায়শিয়ান জাতিয় পত্রিকা কসমোর একটা পাতা দেখিয়ে বলছে,
“দেখ, তোমাদের দেশের কথা লিখছে”। কসমো মালায় ভাষার পত্রিকা, তাই উনি আমাকে বলেদিলেন কি লেখা আছে। পত্রিকার হেডিং হল “বাংলাদেশি মানুষের আকষন”। এক মালায়শিয়ান মেয়ে বাংলাদেশি একছেলের প্রেমে পরে বাংলাদেশ এ চলে গেছে।

বিস্তারিত»

গনতন্ত্র, দলীয়করন, আর ফয়েজের আউলা চিন্তা

১.
আচ্ছা, গনতন্ত্রের সংজ্ঞা কি? Of the people, By the People, For the People. এইটার মানে কি? এক নাগরিক, এক ভোট? সবাই সমান? Okay.

আমার ভাই দেশের বাইরে বড় চাকুরী করেন। প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার দেশে পাঠান। তার এবং তাদের মত আরও অনেকের পাঠানো রেমিট্যান্সে ফুলে উঠে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানী এবং ভোটের ভর্তুকি রাজ্যের একটা বড় অংশের অংশীদার তারা। তাদের কয়টা ভোট?

বিস্তারিত»

আন্দা … গদ্যায়িত পদ্য …

আন্দা’র কবিতা পড়ে পড়ে নিজেকে বড় নিঃস্ব, রিক্ত মনে হয়। শক্ত, কঠিন, রস রসায়িত গদ্যায়িত পদ্য লিখতে উসখুশ করে মন ও মগজ। কলম, কাগজ, কি-বোর্ড আর মাউস বড় বেশি মিছিল, মিটিং আর আন্দোলন করে … তবু … বাঁধাগুলোই যেহেতু চিরজীবন আমার প্রেরনা, বাঁধা গূলোকে বেঁধে লিখতে থাকি … ঋণাত্বক আর ধণাত্বকের কাষ্ঠ্য কোবতে …

হর্ষেরা বিশাদের সাথে ঝগড়া করে
দুঃখকে ভালবাসে সুখ
বিশালত্বকে নিয়ে ক্ষুদ্রের প্রহাস
দেহকে অপ্রাপ্তি দেয় মুখ

শূণ্যতা পূর্ণতাকে অকথ্য ভাষায় করে গালাগালি
ডাকবিভাগের সাথে বাক বিভাগের চিঠি চালাচালি
কাক,

বিস্তারিত»