ইসলামাবাদে শেষ হলো বাংলাদেশী চিত্রকর্ম প্রদর্শনী

গত ৫ ডিসেম্বর থেকে ইসলামাবাদে শুরু হয় বাংলাদেশী চারুশিল্প প্রদর্শনী। বাংলাদেশের মোট ১৯ জন শিল্পীর প্রায় ১০০ টি চিত্রকর্ম উপস্থাপন করা হয় এতে; এদেশের দৃষ্টিনন্দন প্রকৃতি, নদী ও নারী, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি ফুটে উঠে এসব চিত্রকর্মে।
ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন এবং Pakistan National council of Arts এর যৌথ উদ্যোগে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, ইসলামাবাদের National Art galaryতে এর উদ্বোধন করেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী শেরি রহমান।

বিস্তারিত»

খেরোখাতা – পুন্নিমার চান বড় হয়রে ধবল

শরতের আকাশ সবচেয়ে সুন্দর। কি দিনে, কি রাতে।

এর অবশ্য একটা ব্যাখ্যা আছে। বর্ষার কারনে আকাশ এবং পৃথিবীর মাঝের ধুলোর পর্দাটা মুছে যায়। আকাশ হয়ে উঠে সদ্যস্নাতা যুবতীর মত। তার নীল ফুটে উঠে, ফুটে উঠে তার জ্যোস্না। শরতের মেঘ গুলো সুন্দর। সাদা তুলোর মত উড়তে থাকে পুরো আকাশে। বাধা দেবার কেউ নেই যেন। একটা একটা মেঘ আবার একেক রকম। কোনটা ঘোড়ার মত, হাতির মত কেউ,

বিস্তারিত»

স্বপ্নময় স্মৃতি – স্মৃতিময় স্বপ্ন ৩

[স্বপ্নময় স্মৃতি – স্মৃতিময় স্বপ্ন ১] [স্বপ্নময় স্মৃতি – স্মৃতিময় স্বপ্ন ২]

ছোটবেলায় জামাকাপড় পাল্টানোর জন্য খুব বেশি চিন্তা করতে হত না। স্রেফ দিগম্বর হয়েই কম্মটা সেরে ফেলা যেত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে লজ্জা নামক ব্যাপারটা সংবেদনশীল হয়ে দেখা দিল। তখন হয় লুঙ্গী বা টাওয়েল পেঁচিয়ে অথবা রুমে খিল তুলে ড্রেস চেঞ্জ করতাম। ক্যাডেট কলেজে লুঙ্গি এক অচিন্তনীয় বিষয়।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজের দিনগুলো- (৩)

পরিচিতি পর্ব

দ্বিতীয় দিন আমদের ক্লাশ সেভেন এর নতুন বই ইস্যু করা হলো। আমরা যেহেতু প্রথম ক্লাশ সেভেন তাই বইগুলো আনকোরা নতুন। আমরা হাউস টিউটর ফনি ভূষণ বোশ সারের কাছে প্রত্যেকে ৫০ টাকা করে জমা দিলাম। কারন তখনকার দিনে ক্যাডেটদের জন্য মাসে ৫০ টাকা খরচ করা খুব কঠিন ছিল। তাছাড়া যেহেতু কোন ক্যন্টিন ছিলনা বিধায় খরচ করবো বা কোথায়? আমদের খরচ বলতে পেন্সিল,

বিস্তারিত»

বাসর রাত

শীতের রাতে আজ কুয়াশা নেই,
আছে পূর্ণিমার আলো;
আজ রাতের গভীরেও পাখি গান গেয়ে যায়;
প্রকৃতি যেন আজ ভুলে গেছে যত তার নিয়ম-অনিয়ম।
অপ্রত্যাশিত মহিমায় আজ প্রকৃতি ভুলে গেছে সুরের ব্যাকরণ,
হারমোনিয়ামে বাজছে উল্টা-পাল্টা আওয়াজ –

বিস্তারিত»

রঙীন ঘুড়ির হরেক ভাবনা – ২

আকাশ সকাল সকাল অফিসে চলে এল। জুনিয়র কয়েকজন কলিগ আর মজিদ মিয়াকে গেটের কাজটা বুঝিয়েই ওর চলে যাওয়ার কথা। ঐ ওস্তাদদের আত্মবিশ্বাস দেখে আকাশ দ্বিধায় পড়ে গেল।তাই কাজটা একটু গুছিয়ে দিতে চাইলো ও। আর তাতেই এই সময় ব্যাটা আলগোছে পেরিয়ে গেল অনেকখানি বিনা নোটিশে।

এখন পৌনে বারটা বাজে। ভীড় ঠেলে মগবাজারে যেতে আরও কিছু সময় লাগবে। পথে যেতে যেতে আকাশ ঠিক করে ফেললো যে প্রথমেই যেয়ে লম্বা একটা দুঃখিত দিয়ে বাক্যালাপ শুরু।

বিস্তারিত»

রঙীন ঘুড়ির হরেক ভাবনা – ১

আকাশ আরেকবার হাতঘড়ির দিকে তাকালো –
পৌনে বারটা বাজে।
নীলিমার ওখানে যাওয়ার কথা দশটার দিকে।
এখন ছুটতে হবে সেই মগবাজারে।

নিজের উপর ওর এমন রাগ লাগছে যে আর কি বলবে ! ~x(
ছুটির দিনেও অফিসে এসে জনসেবামূলক কাজ নিয়ে দৌড় ঝাপ করে ঘাম ছুটাতে হলো।
একেই বলে খাল কেটে কুমির আনা। শুধু কুমির আনা পর্যন্ত ব্যাপারটা গড়ালেও চলতো।

বিস্তারিত»

আকাশ তবুও সুনীল থাকে……….

এক

সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকেই তার মনে অদ্ভুত শিহরণ কাজ করছে।কেননা আজ তার জীবনের শেষ দিন।মনে মনে একটু চাপা অস্বস্তিও কাজ করছে।অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে তার ।আর মাত্র ২৪ ঘন্টা তারপর সে চলে যাবে অজানার দেশে।সকল মানুষের যে অমোঘ নিয়তি মৃত্যু তাকে স্পর্শ করতে চলছে সে।সে চলে যাচ্ছে সব পাওয়ার এই পৃথিবী ছেড়ে।কী যেন অপূর্ণতা রয়ে গেল তার মাঝে।

যে জীবন দোয়েলের,ফড়িংয়ের,

বিস্তারিত»

ভুইলা গেছি ও একটা ফাও গল্প

১.
ক্যাডেট কলেজে। প্যারেন্টস ডে । এক শুক্রবার সকালে অভিভাবকরা আসতো কলেজে, খাবার আনতো, দেখা করতাম, খেতাম। এক বেলা বাবা-মার সঙ্গে থাকার আশায় সারা মাস অপেক্ষায় থাকতাম। একবার ঢাকা থেকে আমার বাবা গেলেন একা, আমাকে দেখতে। নিয়ম ছিল প্যারেন্টসরা এসে একটা কাগজে নাম লিখে দেবেন, তারপর আমাদের কাছে খবর যাবে, আর আমরা যাবো নির্দিষ্ট স্থানে। হাউজের সামনে বাস্কেটবল কাম প্যারেড গ্রাউন্ডে সামিয়ানা খাটিয়ে প্যারেন্টসদের বসার ব্যবস্থা থাকতো।

বিস্তারিত»

শুভেচ্ছা রাশি রাশি; সকল সিসিবিবাসী

ঠিক ইচ্ছে ছিল না হাজারতম পোস্টে আলাদা করে কিছু লিখি। কারণ এ পোস্ট বিষয়ক আইডিয়া নিয়ে একখানা পোস্ট আগেই করেছি। যার জন্য ব্লগ এডজ্যুটেন্টের একই পোস্টে অনেকেই আমরা অংশীদার হতে পারছি। তবু কলেজের একখানা পোস্ট বাড়ানোর লোভ সামলাতে পারলাম না। আমার এ নির্লজ্জতার জন্য সবার কাছে ক্ষমা……….

গুছিয়ে উঠতে পারছিলাম না। কি লিখব?? কিভাবে সিসিবির সন্ধান পেলাম?? আর কেনই বা এখন অন্য ব্লগ ছেড়ে কেবল সিসিবিতে পড়ে থাকি?

বিস্তারিত»

আমার কাজলাদিদিরা – ২ ( পিয়াপু )

আমার কাজলাদিদিরা – ১
[ঠিক কবে মনে নেই কিন্তু খুব ছোটবেলা থেকেই কেন যেন আমার একটা বড় বোনের শখ হয়ে গেল ( আজো গেল না )।এই জন্যই মনে হয় ছোটবেলা থেকেই আমি আমার আশে পাশে সবসময় বড়বোন খুঁজেছিলাম। সেই খোঁজার ফলে আমার জীবনে অনেক গুলা আপুই এসেছে। কেউ কেউ আমাকে আসলেই ছোটভাইর মত আদর করেছে কাউকে কাউকে আমি নিজেই মনে মনে আপুর আসন দিয়েছি উনি হয়ত জানেই না।সবার সাথে যে আজ যোগাযোগ আছে তাও না।

বিস্তারিত»

ধুলোমাখা শহর, ধুলোমাখা স্মৃতি – ০১

দৃষ্টি একটি মেয়ের নাম। লম্বা, একহাড়া গড়ন, যতটুকু কালো হলে উজ্জ্বল শ্যামলা বলা যায়, ততটুকু কিংবা তার কাছাকাছি কালো। অসম্ভব শান্ত চোখ। ক্লাসে মেয়েদের মধ্যে সে ছিল সবচেয়ে লম্বা। মেয়েরা সবাই যখন একসাথে দাঁড়াতো, দৃষ্টির চোখ ওদের সবার মাথার উপরে থাকতো। ওর দাঁড়ানোর ভংগিটা ছিল ঋজু, যদিও তাকে যখন শেষ দেখি, তখনও এই “ঋজু” শব্দটার সংগে আমার পরিচয় হয়নি। কতইবা বয়স, নয় কিংবা দশ। কিন্তু পরে যখন এই শব্দটার মানে বুঝতে পারলাম,

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজের দিনগুলো- (২)

ক্যাডেট নাম্বার, পোষাক, পিটি, গেমস, হাউস মাস্টার এবং প্রথম হাউস এসেম্বলি

তখনো আমাদের ক্যডেট নাম্বার দেয়া হয়নি কারন আমরা আগে এলেও আমাদের অনেক সিনিয়র ( ক্লাস ১১ এবং অন্যান্য ক্লাসের বাকীরা) এখনো ক্যাডেট হয়ে যোগদান করেনি। এস এস সি পরীক্ষার রেজাল্ট বের হবার পর ক্লাশ ১১ এর ছাত্র ভর্তি নেয়া হবে যারা মুলত কলেজকে লীড করবে, অন্যান্য ক্লাশের বাকী ক্যাডেটদের নেয়া হবে তারপর ক্যাডেট নাম্বার দেয়া হবে।আমদের ক্যাডেট নাম্বার দেয়া হলে তো আমদের সিনিওরদের ক্যাডেট নাম্বার আমাদের পরে হয়ে যাবে।

বিস্তারিত»

মালয়েশিয়া ভ্রমন (পর্ব-২)

মালয়েশিয়া ভ্রমন (পর্ব-১)
অবশেষে ঢাকায় প্রায় ৮ দিন কাটানোর পর ঠিক করতে পারলাম যে, ২৪ তারিখ রাতে যেতে পারবো। ২৩ তারিখ গেলাম বেস্ট এয়ারের অফিসে টিকেট এর তারিখ চেঞ্জ করতে। ওরা বল্লো, ৩১ তারিখের আগে কোনো ফ্লাইট খালি নাই। মেজাজ টা একেবারে গরম হয়ে গেলো।
কি করবো, চলে আসলাম। এম্নিতেই টুর এর এতগুলো দিন নস্ট হলো। পারলে বিমান কিনে চলে যাই।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজের দিনগুলো- (১)

প্রথম কিছুদিনঃ উদবাস্তু জীবন

আমি ক্যাডেট কলেজ এ আসার পূর্বে রংপুর জিলা স্কুলে পড়তাম। তাই এখানে ৭/৮ জন পুরাতন বন্ধু পেলাম।আমি ছিলাম তিতুমির হউসে আর অন্য বন্ধুরা ওমর ফারুক হউসে। আমার প্রথম রুম ছিল দোতলা পশ্চিম পাশের ২য় রুম সম্ভবত বর্তমানে ২০২ নম্বর। কারন তখন যে রুম নম্বর ছিল তা পরিবর্তন হয়ে গেছে। তখন পর্যন্ত ক্লাশ ১১ এবং ১২ এর কোন ছাত্র ছিলনা।

বিস্তারিত»