১.
আচ্ছা, গনতন্ত্রের সংজ্ঞা কি? Of the people, By the People, For the People. এইটার মানে কি? এক নাগরিক, এক ভোট? সবাই সমান? Okay.
আমার ভাই দেশের বাইরে বড় চাকুরী করেন। প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার দেশে পাঠান। তার এবং তাদের মত আরও অনেকের পাঠানো রেমিট্যান্সে ফুলে উঠে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানী এবং ভোটের ভর্তুকি রাজ্যের একটা বড় অংশের অংশীদার তারা। তাদের কয়টা ভোট? ভোট দেন কিভাবে?
বাংলাদেশের কত গুলো লোক ট্যাক্স দেয়। ৫০ লাখ? ২৫ লাখ? কি জানি? আমি ট্যাক্স দেই, আমার অল্প আয়, কিন্তু ট্যাক্স দেই। আমার এক ভোট।
বাংলাদেশের হাজার হাজার ডাক্তার এবং উকিল অজস্র টাকা আয় করেন, টেষ্টের নামে রোগীর টাকা হাতিয়ে নেন। যথেষ্ট পরিমানে ট্যাক্স দেন না। এক ভোট।
রাষ্ট্র বিজ্ঞানে পি এইচ ডি, পুরো শাসন তন্ত্র মাথায় নিয়ে ঘুমান তিনি। এরিসষ্টটল, মার্ক্স, চে, লিংকন, চারু মজুমদার, মাও। লম্বা, লম্বা কথায় মাতিয়ে তুলেন দেশ এবং দেশের বাইরের ডেস্ক। এক ভোট।
নোবেল প্রাইজ, এক ভোট। ১১ খুনের আসামী, এক ভোট। চাদাবাজ, এক ভোট। রাষ্ট্রপতি, এক ভোট। বেকার, এক ভোট। চোরাচালানী, এক ভোট। রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী, এক ভোট। দেশ প্রেমিক, মুক্তিযোদ্ধা, এক ভোট। বাসায় শারমিনকে কাজের জন্য সাহায্য করেন যিনি, যার স্বামী বলে দিয়েছে “নৌকায় ভোট না দিলে তালাক দিব”, এক ভোট।
কিন্তু যেখানে মানুষ এক বেলা খেয়ে আরেক বেলার জন্য পরিশ্রম শুরু করে দেয়, যেখানে দুই শ টাকায় পুরো দুইদিনের খাবার জুটে যায় নিশ্চিন্তে, সেখানে গনতন্ত্রের সংজ্ঞা কি অই of, for আর by. নাকি একটি দিনের নিশ্চিন্ত রোজগার?
শ্রেনী বিভেদের সুচক ঠিক কতখানি হলে গনতন্ত্রের সঠিক ব্যবহার হয়? মধ্যবিত্তদের ভুমিকা কতটুকু? আর যেদেশে মধ্যবিত্তরা সংখ্যা লঘু (মেনশেভিক নাকি), ৮০% লোকের নুন আর পান্তার চিন্তা, তাদের কাছে গনতন্ত্রের অবয়ব কেমন?
একটা দেশের উন্নতির জন্য সবার কি সমান “ওয়েটেজ”? নেতা বাছাই করতে যোগ্যতা লাগে, এই যোগ্যতা কি বাংলাদেশের সব ভোটারের আছে? আচ্ছা সব বাদ দিলাম। ৫০% ভোটারো কি জানে তারা কাকে ভোট দিচ্ছে? আমরা কি সেখান যেতে পেরেছি, গিয়েছি কি? কি হাস্যকর আর উদ্ভট চিন্তা।
কিন্তু এরচেয়ে ভাল আর কি আছে? গনতন্ত্রের সুতিকাগার আমেরিকা কি এটা অনুসরন করে। সরাসরি ভোট? তাদের ইলোক্টোরাল জিনিসটা কি? এটা কেন একেক রাজ্যে একেক রকম? কিসের উপর ভিত্তি করে এই কম, বেশি? প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা আছে, সিনেট আবার প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করতে পারে। সিনেটের কিছু সদস্য আবার দুই বছর পর পর ভোটের সামনে যান। হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভ আছে। আছে মহা শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা।
আমার কাছে এসবের অর্থ একটাই। “এক নাগরিক, এক ভোট” এটা ঠিক রেখে তারা বিভিন্ন ভাবে এটার “ওয়েটেজ” কমিয়ে দিয়ে একটা ভারসাম্য আনার চেষ্টা করেছে।
কিছু অভিজ্ঞতা বলি।
যে রিক্সা ঘন্টা ভাড়ায় ঠিক করে রংপুর ঘুরেছি তার চালক, সে এরশাদকে ভোট দিবে। একটাই কারন এরশাদের বাড়ি রংপুর। অন্য কিছু তার জন্য জরুরী নয়।
শ্বশুর বাড়িতে যে ভ্যান চালকের ভ্যানে চড়েছি সে তখনও ঠিক করেনি কাকে ভোট দিবে। তার মতে এখন নৌকার হাওয়া ভালো, তবে সে অপেক্ষা করবে ভোটের আগের দিন রাত পর্যন্ত। যেদিকের পাল্লা ভারী মনে হবে, সেদিকে ভোট দিবে, অমুল্য একমাত্র ভোটটি পরাজিত প্রার্থীকে দিয়ে সে তা নষ্ট করতে চায় না।
আরও অনেকের সংগে কথা বলেছি, সব মার্কায় চলে। খুব অল্পই বলেছে দলের চেয়ে প্রার্থীর যোগ্যতা তারা বিবেচনা করবে।
এটাকে মনে হয় না গনতন্ত্র বলে। হুজুগতন্ত্র বলা যেতে পারে। আমরা হুজুগে মাতি।
২।
দলীয়করনের সংজ্ঞা কি? আমাকে জনগন পাচ বছরের জন্য মান্ডেট দিয়েছে। পাচ বছর পর ভোট দিয়ে আমার বিচার করবে। চুলচেরা বিশ্লেষন হবে আমার প্রতিটি সময়ের। কি করেছি, কি করিনি সবের পাই পাই হিসাব চুকিয়ে দেয়া হবে ৮ ঘন্টার ব্যালট যুদ্ধে।
এখন এই পাচ বছর আমি, আমার ভাবমুর্তি ধরে রাখার জন্য কাদের উপর নির্ভর করব। আমার মত চিন্তা করে যারা তাদের উপর, নাকি যারা আমার চিন্তার বিপরীত চিন্তা করে তাদের উপর।
আমি তো ব্যক্তিগত ভাবে তাকেই বেছে নেব, যিনি আমার মত ভাবেন, যোগ্যতায় যদি কিছু কমও থাকে। কিছু কম বলেছি, উনিশ-বিশ। অযোগ্যদের কথা বলিনি।
সমস্যা হবে, আমি যাকে বিশ্বস্ত মনে করে নিয়োগ দিয়েছি তার এবং আমার চিন্তা যদি একই সমান্তরালে না যায় পরবর্তী কাজের সময়।
একটু ব্যাখ্যা করি।
বি, এন, পি সরকার চুড়ান্ত ভাবে রাষ্ট্রপতি পদটি দলীয় করন করে নিয়োগ দিলেন অধ্যাপক বদরুদ্দোজাকে। তার নিরপেক্ষ চিন্তা (রাষ্ট্রপতি পদে যা জরুরী ছিল) পছন্দ হল না তার দলের। ফলাফল আমরা জানি। এর পর আসলেন মোটামুটি ভাবধারার আরেক জন। যিনি বি, এন, পি পন্থী, সাবেক উপদেষ্টা। সাবেক এম,পি বা মন্ত্রী কিন্তু নন। শিক্ষিত এবং মার্জিত। অথচ তিনি নিরপেক্ষ চিন্তার ধার দিয়েও যেতে পারলেন না জাতির এক সংকটকালে। মেরুদন্ডহীন নির্জীব আচরন করলেন।
তাই মিডিয়া আর বিরোধী দল যখন দলীয়করনের কথা বলে তখন আমি ভাবি এটা মনে হয় “প্রথম থেকেই সরকারী দলকে চাপে রাখার একটা কৌশল”। এটারও দরকার আছে, তবে মানাটা জরুরী নয় মনে হয়। তবে যাকে নিয়োগ করা হচ্ছে, তিনি এখন কত খানি নিরপেক্ষ কাজ করছেন, আর নিরপেক্ষ কাজের কারনে আবার দল থেকে বহিষ্কার হচ্ছেন কিনা এটাই এখন দেখার বিষয়।
প্রথম আলোর কথাটাই ঠিক, “সবার আগে বদলাতে হবে নিজেকে”। ঘরে এবং ঘরের বাইরে।
তবে এই সরকারে কাছে আমার বটম লাইন এখনো অই যুদ্ধাপরাধী আর দুর্নীতিবাজদের বিচার।
ফার্ষ্ট হইয়াও বলব না যে আমি ফাড়ড়ষ্ট হইছি ... 😀
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
ফয়েজ ভাইয়ের আউলা চিন্তার সাথে সর্ববিষয়ে সহমত :boss:
লেখা খুব ভাল হইছে ...
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
আমি বড় ভাই (হাত ঘড়ি মার্কায়...) রে ভোট দিছিলাম... 🙁
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আমেরিকার ব্যাপারটা আসলেই খেয়াল করে দেখার মত এবং ভাবার মত। ওয়েইটেজ ফ্যাক্টর জিনিসটা আসলে ভাল। ইন্ডাইরেক্টলি এটার প্রয়োগ করলে ভাল ফলাফল আসতে পারে।
ফয়েজ ভাই রক্স! :thumbup: :thumbup: :thumbup:
কিন্তু আমেরিকার ইল্কেটোরাল ভোটের একটা জিনিস আমার পছন্দ নয়। কেউ কোন রাজ্যের সঙ্খ্যাগরিষ্ট ইলেক্টোরাল ভোট পেলে ওই রাজ্যের সব ভোট তার হয়ে যায়। এটা তো পুরো গনতন্ত্র হলো না।
অবশ্য গনতন্ত্র যে পারফেক্ট এমন কথা কেউ বলেনি, যে কয়টি শাসন ব্যাবস্থা আছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো......। 😀
এটাতে মুল ভোটারের ওয়েইটেজ কমে গেছে। আমার ধারনা তারা এটা সুচিন্তিত ভাবেই করেছে, এবং তাদের অনুমান গ্রহনযোগ্য।
কিন্তু একটা জিনিস বুঝছি না একেক রাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোটার একেক রকম, এটার ভিত্তি কি?
গুগল করা যায়। কিন্তু আমি আবার অলস কিসিমের। দেখি কেউ হয়ত বলে দিবে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
সুচিন্তিত ভাবে করলেও মাঝে মাঝে এর অপ-প্রয়োগের সুযোগ থাকে। আমি যতটুকু জানি লাস্ট বার বুশ-আলগোর ইলেকশনে ফ্লোরিডাতে এই ধরনের একটা ঝামেলার সুযোগ নিয়ে বুশ আবার ক্ষমতায় এসেছিলান। তাই তাদের গনতন্ত্র কে পারফেক্ট হিসেবে ধরে নেয়া বা উদাহরন হিসেবে আনার পক্ষপাতী না আমি।
তুমি একটা উদাহরন দাও, যেটা তোমার ভালো মনে হচ্ছে।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কোন সিস্টেমই একেবারে পারফেক্ট হয় না। সেটাকে নিজেদের জন্যে পারফেক্ট করে নিতে হয়। 😀
নিচে মুহাম্মদের কথাটাই সবচেয়ে ভালো লেগেছে
আরে বাবা এটাই তো জানতে চাচ্ছি। সেটা কি? তোমার মত কি?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
১.
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরন। এবং ধাপে ধাপে জবাবদিহিতা। সেটা কিভাবে করা যায় আপনি একটা উপায় বলেছেন, প্রধান্মন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা। যাতে কেউ একজন একা সর্বেসর্বা না হয়। আমারো মনে হয় এটা ভালো আইডিয়া।
২.
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্টান গুলিকে কার্যত স্বাধীন করা।
৩.
গ্রাম সরকারও একটা লেবেলে ভালো আইডিয়া মনে হয় আমার কাছে, তবে তার জন্যে দরকার শিক্ষিত তৃনমূল জনগোষ্টী।
oita sopnei somvob,bastobe konodin o ei deshe hobe na
শুর, আবারো সিল্ভার
সিল্ভার???? :khekz: :khekz: :khekz:
আমার মনে গনতন্ত্রের সফলতা নির্ভর করে জাতিগত শিক্ষার উপরে। একটা দেশ যার বেশির ভাগ মানুষ অর্ধশিক্ষিত বা অশিক্ষিত তাদের জন্যে গনতন্ত্র অনেক সময় হিতে বিপরিত হয়ে যেতে পারে নেতা নির্বাচনে তাদের অযোগ্যতার কারনে। কিন্তু এতোকিছুর পরে এটাও সত্যি এই ক্ষেত্রেও আমি অন্য কোন বিকল্প দেখি না। তাই সবচেয়ে দরকারি হলো সবার আগে সৎ ও শিক্ষিত জাতি গড়ে তোলা।
অন্য কেউ এসে করে দেবে না, আমাদের নিজেদেরই নিজেদেরকে কথা কাজ ও চিন্তায় সৎ হতে হবে, শিক্ষিত হতে হবে।
আপনার শেষ দুইটা কথা একেবারে আমারো মনের কথা।
১.
সবার আগে নিজেকে বদলাতে হবে
২.
যুদ্ধাপরাধী আর দুর্নীতিবাজদের বিচার করতে হবে।
সদিচ্ছাটাও ভীষন দরকার। আর যোগ্য নেতার জন্য দরকার যোগ্য ভোটার।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
সহমত
বস গণতন্ত্রের নতুন সংজ্ঞা হইল Off the people, Bye the People, Far the People........... :-B
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
হায়দার হুসেন'এর গানের লিরিক চেঞ্জ করার চেষ্টা করার জন্য অণুকাব্য সুদ্ধা টিটোর ব্যাঞ্চাই ...
(তবে যা বলেচিস না দাদা)
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
হায়দার হুসেন’এর ব্যঞ্চাই
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
বস,
অনেক চিন্তা করার মত দামী কথা লিখসেন...
আসলেই "এক ব্যক্তি-এক ভোট" ব্যাবস্থার সফলতা পুরাটাই নির্ভর করে ভোটারদের শিক্ষা আর সচেতনতার উপর...আর আমাদের মত জাতির প্রেক্ষাপটে- যারা এমনিতেই হুজুগপ্রবণ- এই সিস্টেমের যৌক্তিকতা অবশ্যই প্রশ্নের অবকাশ রাখে...
কিন্তু, বিকল্প খুঁজতে গেলেই তো আইয়ূব খানের 'বেসিক ডেমোক্র্যাট' দের কথা মনে পড়ে যায়...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
ভাল কোন বিকল্প পাচ্ছি না।
আর দেশের কথা কি বলব, সিলেক্টেড লোকজন ঠিক করে কিভাবে ইলেক্টেড নেতা আসবে। আজিব।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
লেখা খুব ভাল লাগছে।
গণতন্ত্রের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু গণতন্ত্রের প্রায়োগিক দিক একেক ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে। আমাদের দেশে গণতন্ত্র কিভাবে প্রতিষ্ঠা করলে ভাল হবে সেটা আমাদেরকেই বের করতে হবে। সেরকম একটা সমাজ তৈরী হচ্ছে মনে হয়। ভবিষ্যৎ তাই একেবারে অনুজ্জ্বল নয়।
সেদিনের প্রত্যাশায়...
একটা বিকল্প হতে পারে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা। সাংসদরা সেখানে শুন্য। ক্ষমতার ভারসাম্যের জন্য প্রেসিডেন্ট ইলেকশন সরাসরি হতে পারে। প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে। মন্ত্রী হবে দুজনের পরামর্শে।
তবে এটার জন্য যেই পরিমান ম্যাচিউরিটি দরকার তা কোন নেতার আছে আমাকে বল তুমি। স্থানীয় পরিষদের সর্বময় ক্ষমতা সাংসদের থাকবে। ইয়াং মন্ত্রী মহোদয় বানী দিয়ে দিয়েছেন আলরেডি। :thumbdown:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
গণতন্ত্র হচ্ছে মন্দের ভাল । তবে কামরুল ভাই উপরে বুশের যেটা বললেন সেটা আসলে গণতন্ত্রের দোষ না বলেই আমার মনে হয়। সেখানে ভোট কারচুপি হয়েছিল। দোষটা তাই সিস্টেমের নয় প্রয়োগের। আমাদের দেশের এগুলাকে গণতন্ত্র বলা যায় কি?
ফয়েজ ভাই খুব ভাল একটা লেখা। রাজনীতি নিয়ে ইদানীং বেশি মাথা ঘামাচ্ছি আমি। মনে হয় অনেক বোকাদের মত আমিও ভেবেছিলাম দেশ বুঝি বদলে যাবে।
একেবারে তো পুরা বদলাবে না বাচ্চু। সময় নিবে, আস্তে আস্তে হবে।
আমি বরং ভাবছি, পিছিয়ে না যাই আবার।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বসতি আবার উঠবে গড়ে
আকাশ আলোয় উঠবে ভরে
জীর্ণ মতবাদ সব ইতিহাস হবে,
পৃথিবী আবার শান্ত হবে।
............নচিকেতা
ফয়েজ ভাই,অসাধারণ লেখা।
হাসপাতালের বেডে, টিবি রোগী সাথে খেলা করে শুয়োরের বাচ্চা
তবু টিভিটা রেডিওটার সাথে সুর ধরে, সারে জাহা ছে আচ্ছা......।
নচিকেতা।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:salute:
বস দারুন একটা লেখা। খুব ঠিক কথা বলছেন।
কিন্তু কি আর বলবো?
আমরা বড়ই হুজুগে জাতি। - :duel:
আত্ম সম্মান এর বদলে যখন আত্ম মালামাল বৃদ্ধিতে ব্যস্ত সবাই - সে দেশে কিসের দেশ প্রেম - কিসের গণতন্ত্র !
কাহিনী সবই এক। আগে ভিডি ক্যাসেট ছিল। এরপর আসলো ভিসিডি এবং অতঃপর ডিভিডি ফরম্যাট।
অভিন্ন সিক্যুয়েল হওয়ায় মাঝে মাঝে মুখ বদল হয়।
অভিনয়ে নতুনত্ব দেখা যায় কখনো কখনো - কিন্তু বটম লাইন অ্যাজ ইউজুয়াল।
"তাল গাছ আমার।"
😡
সৈয়দ সাফী
দারুন বলেছ। :thumbup:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
লগ ইন না করে থাকতে পারলেন না। দেশের শাসন আর সরকার ব্যবস্থার সাথে আমার ভাবনাগুলো খুব গোছানোভাবে পড়লাম যেন। খুব ভালো লাগছে ফয়েজ ভাই।
আমার যখন খুব হতাশ লাগে, ক্ষেপে গিয়ে বলি, যে দেশে এক প্যাকেট বিড়ির বিনিময়ে ভোট বিকায়, সেই দেশে গণতন্ত্র ...দায়া লাভ নাই। আমি তো বিষেদাগার করেই খালাস, এর প্রতিকারে কি করা যায় জানি না।
আনিসুল হকের একটা লেখায় পড়েছিলাম, বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সমাজ একদিন নিজেদের স্বার্থেই এই জীর্ণ গণতন্ত্রকে সোজা করবে। আমার এত কিছু চাই না, বাংলায় একটা অভুক্ত মুখ না থাকলেই আমার চলে।
স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করার মতো সততাটুকু আছে কিনা জানি না। এই ধরনের লেখাগুলো তবু মাঝে মধ্যে ভাবনার জগতে আলোড়ন তোলে, ভেবে আত্নতৃপ্তির ঢেকুঁর তুলি। আমরা যে কবে কিছু করেও অতৃপ্ত থাকতে পারবো!
গনতন্ত্রের মুল কথা এটাই। নিজের স্বার্থেই ভাল নেতা বানাও। শুধু ব্যবসায়ী বলে না, সবাই তাই করবে।
কিন্তু ব্যাপার কি যান, আমরা নিজেদের ভালো চাই না, আমরা চাই ক্ষমতা।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ : গণতন্ত্রের বিকল্প আরো গণতন্ত্র। এ নিয়েই যতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এর কোনো নির্দিষ্ট মডেল নেই। প্রত্যেকেই তার তার মতো করে একে গড়ে নেয়। তবে লক্ষ্য থাকে এক. সুশাসন দুই. জবাবদিহিতা তিন. ব্যক্তি ও বাক স্বাধীনতা।
ক্ষমতার ভারসাম্যটা কিভাবে হবে, পাল্লাটা কার দিকে, কোন দিকে ঝুলবে- এসবও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। ভারসাম্য করতে গিয়ে যেন আবার গণতন্ত্র অকার্যকর না হয়ে যায়, সেটাও দেখতে হয়।
উদারনৈতিকতা গণতন্ত্রের আরেকটা বিশেষ জায়গা। মার্কিন গণতন্ত্রে "ইউনার টেক অল"- এটা স্পষ্টভাবে বলা আছে। এই পদ্ধতির সাফল্য আছে। যেকারণে যারা ক্ষমতায় যায় তারা তাদের মেনিফেস্টো বাস্তবায়ন করতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় দলীয়করণ স্পষ্ট। এ নিয়ে সমালোচনা থাকলেও কেউ একেবারে নাকচ করছে না। ব্রিটিশ, ভারতীয় বা সংসদীয় গণতন্ত্রে এভাবে বলা নেই। সেখানে একধরণের ঝুলে পরা ভারসাম্য আছে। এটা কাজও করছে। এখানেও দলীয়করণ আছে। তবে মার্কিনিদের মতো নগ্ন নয়। রয়েসয়ে।
আমাদেরটা জগাখিচুড়ি। এটা ব্যক্তি বিশেষকে তুষ্ট করার জন্য। নানা বিকৃতিতে পূর্ণ। জনপ্রতিনিধি আসলে জনের নয়, ব্যক্তি বিশেষের প্রতিনিধি। এখানে দলীয়করণ ইশতেহার বা প্রতিশ্রুতি পূরণের হয়না। চাটুকারদের পুরস্কার দেওয়া হয়। ফলে ভালো কোনো কিছু পাওয়া তো যায়ই না, বরং খারাপের চূড়ান্তটা মিলে।
তোমার বটমলাইন বলেছ :
ঠিক আছে। ভিন্নমত নাই। তাহলে এর বাইরে সব অনাচার, অত্যাচার সহ্য করে যাবো? কাল যদি আমার বাড়িতে ঢুকে বলে এইটা তার বা তাদের বাড়ি- তাহলে কোথায় যাবো?
এই গতিতে এগোলে সুশাসন, দারিদ্র বিমোচন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ- জবাবদিহিতা অর্জন (এর সঙ্গে আবার দুর্নীতি রোধ করার বিষয়টি যুক্ত আছে) করতে আরো এক শতক যে লেগে যাবে।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
বস, সমস্যাতো এইটাই। আর সমাধান তো অই "সবার আগে বদলাতে হবে নিজেকে"।
আমি তো বটম লাইন বলেছি। সার্বিক বিচারে হামলা হবে, মামলা হবে, দল-লীগ দলবাজি করবে, টেন্ডারবাজি হবে, হয়তবা এই টার্মে কিছু কমবে। হয়তোবা কমতে কমতে এক সময় শুন্য হবে। আমার বাসায় হামলা হবে, আমি বাধা দিব, মারপিট হবে, থানায় মামলা হবে। জোট, মহাজোট যেই হোক এই প্যারামিটারের বদল নেই। কিছু কিছু করে কমবে এটাই আশা।
তবে পাচ বছর পর কিভাবে ঠিক করব কাকে ভোট দিব, ওইটার বটম লাইন বলছি। আর আমার ধারনা নিরপেক্ষ বিচারে গেলে তাদের নিজেদের দুর্নীতিবাজদের বিচার করতে হবে। নিজের দলের লোকদের বিচার করতে পারা একটা বিরাট সাফল্য হিসাবেই ধরব আমি।
পিরোজপুরে একটি আসনে যিনি সাইদীকে হারিয়েছেন, খবরে দেখলাম তার বিরুদ্ধেও যুদ্ধপরাধের অভিযোগ আছে।
তাই আমার বটম লাইনটা অর্জন হলে পরের বার মনে হয় আবার নৌকায় সিল দিব।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ভালো লাগছে ভাইয়া।
Life is Mad.