প্রিন্সের গল্প -২য় কিস্তি

প্রিন্সের তালতো ভাই আরিফ

আমরা আসলে দুই বন্ধু না তিন বন্ধু হলাম হরিহর আত্মা। প্রিন্স (আসল নাম এর ধারে কাছেও না), আরিফ (আসল নামটা একটু বদলে দেয়া হয়েছে) আর আমি। কে কার বেশি আপন তা অবশ্য হাওয়া বদলের সাথে উঠানামা করত। যখন বিড়ি খাওয়ার পয়সা নাই তখন আরিফ আমাদের সবচেয়ে প্রিয় আর ওর বাসায় বিড়ি খেলে যখন ও ঘর থেকে বের করে দিত অথবা ওদের দোকান থেকে শার্ট বা গেঞ্জি নিযে আসলে ও যখন চোর বলত তখন আমি আর প্রিন্স একজন আর একজনের প্রিয় বন্ধু হয়ে যেতাম।

বিস্তারিত»

একজন ‘মৃত’ ব্যক্তির গল্প

১.
মতি ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতে সুবিধা-অসুবিধা দুটোই আছে। মাঝে মধ্যে অতি মধুর ব্যবহার, কখনো ঝাড়ি। সেইদিন ছিল ঝাড়ির দিন। ঝাড়ি খাইয়া মেজাজ খারাপ। রাম্তায় ট্যাক্সি পাইলাম না। মেজাজ আরো বিলা। বাসায় ফিরতে ফিরতে মহাক্লান্ত।
দরজা খুলে দিলো ৭ বছরের পুরোনো বউ। কিন্তু দেখলাম যেন নতুন বউ, সেজেছে, চুলও কি কেটেছে? শাড়িটাও মনে হল নতুন, নাকি অনেক দিন পড়ে না?
মনে হলো মুগ্ধ যখন হয়েছি তখন কিছু একটা বলা দরকার।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন ! তৃতীয় পর্ব।

প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব

বিজ্ঞাপন চিত্রে যেমন বলে-চমকের উপর চমক। সকালে আকাশ যখন অফিসে পৌঁছুলো, ব্যাপারটা অনেকটা সেরকমই ঘটলো। রাতের ঘটনার রেশ নিয়ে অফিসের দরজা খুলে সে দেখলো যে- নানা রংএর বেলুন আর একটা ব্যানারে লেখা-
‘HAPPY BIRTHDAY TO DEAR AKASH’.
কাজটা ওদের বস্‌ এর। এই ভদ্র লোক সব্বার খুঁটিনাটি খবর রাখেন এবং অফিসের working environment টা কেমন সহজ করে রাখেন যে,

বিস্তারিত»

আপাতত সটান চিন্তা

একটু পরে একটা ক্লাশে ঢুকতে হবে। কন্ট্রোল সিস্টেমস এর ক্লাশ। মোট ছাত্রসংখ্যা পঞ্চাশ। ক্লাশে ঢুকতেই ড্যাব ড্যাবে ১০০টা চোখ আমার দিকে চেয়ে থাকবে। তাদের সরলরৈখিক দৃষ্টিতে বিদ্ধ হতে হতে ডায়াসে উঠবো, তারপরে রোলকল্‌, এবং গত ক্লাশের কথা বার্তা একটু বলে বকবক শুরু করবো। কন্ট্রোল একটা বাজে সাবজেক্ট, গাদাগাদা ল্যাপ্লাস করতে হয়। ইলেক্ট্রিকালের যে স্যারটা পড়াতেন, তিনি বড়ো বিশ্রিভাবে পড়িয়েছেন। কিছু বুঝিনি তখন। পি.এল.-এ গায়ে বাতাস লাগিয়ে বেড়ালাম।

বিস্তারিত»

মালেয়শিয়ার চিঠি – ৩

আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছেই মালেয়শিয়া একটা গরিব দেশ। আমি যখন পড়াশুনা করার জন্যে মালায়শিয়া রওনা দিচ্ছি, তখনও সবাই বলেছে “পড়াশুনার জন্য কি কেউ মালেয়শিয়া যায়?” এমন কি আমার মা বাবাও খুব একটা খুশি ছিলেন না । তারপরেও আমি আসলাম, এখন মনে হচ্ছে খুব একটা খারাপ হয় নি ।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন ! – দ্বিতীয় পর্ব।

প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব

রাতের খাবার এর পাট চুকে গেছে বেশ কিছুক্ষন আগে। দেয়াল ঘড়িটা সশব্দে জানান দিল এখন এগারটা বাজে। যাক্‌। শেষ হলো লেখাটা! আকাশ স্বস্তিতে একটা সিগারেট ধরিয়েছে। এরপর শর্ত অনু্যায়ী বাবার কাছে যেতে হবে। দাঁত ব্রাশ করে বেশ আয়োজন নিয়ে সদ্য রচিত লেখাটি নিয়ে সে বাবা’দের রুমের সামনে এসে দাঁড়ালো। দরজায় মৃদু টোকা দিতেই বাবা বললেন,

বিস্তারিত»

ফাইট ক্লাব

‘ফাইট ক্লাবে’র সাথে আমার প্রথম পরিচয় বুয়েটে গিয়ে।

আমি তখন ঢাবি’র একুশে হলে থাকি। আমাদের ব্যাচের আর কেউ নেই কার্জন হলে। বন্ধু-বান্ধব সব কলা ভবনে। সনেট ম্যানেজম্যান্টে, সুব্রত ল’তে। সারাদিন ওখানে আড্ডা দেই আর রাতে বুয়েটে গিয়ে মাসুদের রুমে থাকি। কি করবো ? বন্ধুদের ছাড়া থাকতে আমার একদম ভালো লাগে না। তাই নিজের হলের রুম আর ডিপার্টমেন্টের ধারে কাছেও যাই না। এমন অনেক সময় গেছে আমি মাসের পর মাস ধরে বুয়েটে মাসুদের রুমে।

বিস্তারিত»

শুধুই লেখা অথবা গল্প (শেষ পর্ব)

পূর্ব প্রকাশের পর………
প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব

ছোট ছোট ভালো লাগা- মিষ্টি করে ভালোবাসায় এগিয়ে যেতে থাকে মানব মানবীর দিন। তাদের একজনের দিন শুরু হত অপরকে দেখার সুতীব্র বাসনা নিয়ে, শেষ হত সারাদিনে যাপিত সময়ের মধুর অতল সমুদ্রের তল ছুঁতে ছুঁতে। প্রতিটি দিন তাদের কাছে নতুন হয়ে আসত – একে অপরের আরও কাছে আসত।

বিস্তারিত»

আচার ০১৬: আবারো কাব্যকথা

[নতুন পোস্ট দেয়ার সময় নাই, তাই পুরোনো একটা কবিতা আবার দিচ্ছি। বাংলা ব্লগ সম্পর্কে তখনো জানি না, চরম বুদ্ধির আধার এই অধম তাই ফেসবুকে ব্লগিং করা শুরু করেছিল। কবিতা লিখে তার স্ক্রিনশট ফেসবুকে আপলোড করে দিতাম। ওটা ছিল আমার প্রথম বাংলা অনলাইন পাবলিকেশন। এর কিছুদিন পরেই বাংলা ব্লগ সম্পর্কে জানতে পারি। আমার ওখানের কবিতা এখানে আবার দিলাম।]

ভালোবাসি ততোটাই যতোটা বাসা যায়।
লোবান জ্বেলে রাতের আধাঁর সাজিয়ে
বাতাসের ফিসফিসানিতে বহুবার বলেছি,

বিস্তারিত»

বইমেলা’য় মোস্তফা মামুন ভাইয়ের নতুন বই

‘ক্যাডেট নাম্বার ৫৯৫’র পর থেকে আমার প্রিয় লেখকদের তালিকায় মামুন ভাইয়ের নাম। মোস্তফা মামুন। জনপ্রিয় ক্রীড়া সাংবাদিক, লেখক। আমাদের কাছে অবশ্য তার বড় পরিচয় তিনি আমাদের ক্যাডেট কলেজের বড় ভাই। সেজন্যে তার লেখা নিয়ে হয়তো আমার মধ্যে (আমার ধারনা আমাদের অনেকের মধ্যেই) মাঝে মাঝে বাড়তি উচ্ছাস কাজ করে। কিন্তু সত্যি কথা হলো, লেখক হিসেবে ক্যাডেট ছাড়া অন্যদের কাছে তিনি আরো বেশি জনপ্রিয়।

ক্যাডেট কলেজের প্রেক্ষাপট বলে নয় সব মিলিয়েই ‘কলেজ ক্যাপ্টেন’র মতো দারুন উপন্যাস আমি অনেক দিন পড়িনি।

বিস্তারিত»

উঠে যাওয়া সিঁড়ি…

ক্রমশ অপষ্ট হয়ে আসা একটা গান-

যে গানের শুরুতে হয়তো মিলাভাবীর রূপবান গানের মতো বিট ছিল না- বলা যেতে পারে, বেশ বিষন্ন একটা সুর ছিল, বুক ভরা হতাশা ছিল। তবু নিজস্ব কষ্টের সাগরে যখন ডুবে যেতাম তখন সেই গানটা আমার আশ্রয় ছিল, আমার ভীনদেশী তারা ছিল-

তারাটি- ধুম করে একদিন হারিয়ে যায়। একরাতে কালো কফির কাপ হাতে নিয়ে পা টিপে টিপে ছাদে যাবার পর কফির ভেতর তার ছাঁয়া পড়েনা।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন ! – প্রথম পর্ব।

আকাশের ঘুমটা আজকেও ভেঙ্গে গেল।
সে ঘড়িতে দেখলো আড়াইটা বাজে। রাতে ও যায় যায় দিন দিন পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে গিয়েছিল। তখন জানালাটা খোলা ছিল। এখন বন্ধ। মা নিশ্চয় রাতে বন্ধ করে গেছেন। এ বাসায় সব কিছুই চলে এই মমতাময়ী’র নিপুণ হাতের ছোঁয়ায়।

আকাশ আজ আবার সেই স্বপ্নটা দেখেছে। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার এই অদ্ভুত স্বপ্নটা দেখলো সে। কেমন একটা অস্বস্তিবোধ হচ্ছে তার।

বিস্তারিত»

প্রিন্সের গল্প -প্রথম কিস্তি

ঈশপের গল্প

আমরা সবাই ঈশপের গল্পের সাথে কম বেশি পরিচিত। সেই গল্পটা আছে না, দুই বন্ধু বনে বেড়াতে গেছে হটাৎ একটা ভালুক সামনে পড়ল। দুই বন্ধুর একজন গাছে চড়তে পারে অন্যজন পারে না। যেই না ভালুক সামনে আসল অমনি যে গাছে চড়তে পারে সে অন্যজনকে রেখে গাছে চড়ে বসল। অন্যজন কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে মাটিতে মরার মতো শুয়ে পড়ল। ভালুক এসে তাকে শুকেটুকে মরা ভেবে চলে যেতেই গাছে চড়া বন্ধুটা নেমে এসে বলল ভালুক তোকে কি বলেছে ?

বিস্তারিত»

আমার বন্ধু হিমেল -১

ওর আসল নাম জানার আগে আমি ওর টিজ নাম টা আগে জেনেছিলাম। ক্লাস সিক্সের কথা। শাহীন কোচিংয়ে ক্যাডেট কোচিং করি তখন। আমি ছিলাম আবাসিক সেকশনে। আর ও অনাবাসিক এ। এডমিশন টেস্টের কয়েক দিন যখন বাকি তখন থেকে আবাসিক অনাবাসিক মিলে একটা ব্যাচ করা হয়েছিল। “বান্দর” এর সাথে পরিচয় হয় তখনই। কেউ আদর করে ডাকতো। আর কেউ ওর সাথে মারামারিতে না পেরে। আমি অবশ্য কোনটা ভেবেই কিছু ডাকতাম না।

বিস্তারিত»

কাঁকড়া দ্বীপে কয়েক ঘন্টা …

কুয়ালালুমপুর থেকে মাত্র ২ ঘন্টার রাস্তা কাঁকড়া দ্বীপ । ক্রাব আইলান্ড, মাল্লাকা উপ সাগরের একটা দ্বীপ। এই দ্বীপ এ মাত্র ৮০০০ লোক বাস করে, এবং সবাই চাইনিজ। মূলত জেলেদের আবাস স্থল। একনকার কাঁকড়া খুব বিখ্যাত, এক কেজি কাঁকড়ার দাম ৪০ রিংগিত (৮০০ টাকা )।

বিস্তারিত»