আমার কাজলাদিদিরা – ৬ ( তন্বীআপু )

আমার কাজলাদিদিরা -৫
তন্বী আপু কিন্তু আমাকে এখনো আপু বানাবার পারমিশন দেয়নি। উনি খুব ভালভাবেই আমার এই আপু বানাবার রোগ সম্বন্ধে অবগত। এবং প্রথম দিন থেকেই ওনার কাছে ওয়ার্নিং পেয়ে পেয়ে এখনো ওনাকে আপু বানানো হয়নি। কিন্তু এই সিরিজের অন্য সবার সাথে ওনার অনেক মিল তাই ওনাকে নিয়েও লেখা যাক।

বিস্তারিত»

ম্যাজিক বয় – ০৩

ম্যাজিক বয় – ০১০২
৩.
‘সর্বনাশ হয়ে গেছে। সর্বনাশ!’
ফরিদার এই চিৎকারে ঘুম ভাঙ্গল সবার। ঠিক কী হলে ফরিদা সেটাকে সর্বনাশ মনে করবেন এটা এত বছরেও নিশ্চিন্ত হতে পারেনি এ বাড়ির কেউ, তাই একটু কৌতুহল দেখা যায়! সমস্যা হলো ফরিদা সর্বনাশের কারণটা জানান অনেক দেরিতে। অনেক নাটক করে।
কিন্তু আজকেরটা সর্বনাশা কথাই। রতনের বল চুরি হয়ে গেছে।

বিস্তারিত»

একটি জনপ্রিয় গানের বিস্মৃত প্রায় রুপান্তর

কৈশোর নামক একটি রহস্যময় সময়ে ক্যাডেট কলেজে পদার্পন। কলেজে ঢুকে নিয়ম কানুনের প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠে কৈশোরের শারিরীক পরিবর্তন গুলো যখন অনুভব করতে লাগলাম তখন হঠাত করেই খেয়াল করলাম আমাদের এক বন্ধুর ‘কপোল’ যেন পলিমাটির চরের মতোই উর্বর। আমাদের গাল যখন হালকা ‘তৃণরাজি’ তে আচ্ছাদিত তখন তার গালে যেন বাম্পার ফলন! এছাড়া নানান “মানবিক সম্পর্কের” বিষয়ে তার অগাধ জ্ঞান। শীঘ্রই বন্ধু মহলে সে পিতৃপ্রদত্ত নামের বদলে ‘চাচা’

বিস্তারিত»

আবারও কিছু লিখলাম

আমার পাশের সিটটা এখনও ফাঁকা আছে, মনে আছে কষ্ট, কিন্তু কেন যেন কোনও খেদ নেই এই ছোট্ট জীবনে। মানুষ এই পৃথিবীতে সব কিছু পেতে পারে না, তাই যা পাওয়া যায় তা নিয়ে সন্তুষ্ট থেকে সর্বক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াটাই মানবধর্ম হওয়া উচিত। আমার নিজস্ব জীবনদর্শন হলো, “সবচাইতে ভালো কিছু চাও, মন প্রাণ দিয়ে চাও, চেষ্টা করো তা অধিকার করতে, কিন্তু সবচেয়ে খারাপ কিছুর জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাক”।

বিস্তারিত»

শেখ আলীমের হাইকু -২

চৈত্রের চরে ইলিশ রঙের বালি
পালহীন নায়ে বৈঠা ঝিমায় থেমে গেছে ভাটিয়ালি
পদ্মা মরছে বোন গঙ্গার কোলে।

দিগন্তে নাচে সোনালী ধানের ঢেউ
সাত বলদের মলন ঘুরছে শক্ত ক্ষুরের পাড়া
উঠোনে লুটানো হেমন্তে ভেজা নাড়া।

বিস্তারিত»

হাইকু ভূমিকা

হাইকু সম্পর্কে নতুন ভাবে কিছু বলতে চাইনা কারন এ সম্পর্কে বোদ্ধা অনেক। তবে একটা কথা বলবো, পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় চমৎকার সব হাইকু রচিত হলেও বাংলা ভাষায় হাইকু হয়নি খুব বেশী। বুদ্ধদেব চ্যাটার্জী তাঁর তিনশো বছরের হাইকু – গ্রন্থের ভূমিকায় প্রথমেই বলেছেন, সুন্দরের প্রকাশ ব্যাপ্তিতে আছে আবার ক্ষুদ্র পরিসরেও আছে।তার পরে তিনি অবশ্য হাইকুর গঠন নিয়ে অন্য প্রসঙ্গ টেনেছেন। যে কথাটা অব্যক্ত রয়ে গেছে তা হলো,

বিস্তারিত»

বিপন্ন বিস্ময় এবং দুঃখবিলাসী এই আমি

(এই লেখাটা ক্যাডেট কলেজ ব্লগে দিতে একটু কুন্ঠিত ছিলাম। কিন্তু নূপূর ভাই সহ অনেক জীবনানন্দপ্রেমীদের ভীড়ে সাহসটা করেই ফেললাম। সামুর প্রথম পাতায় প্রকাশিত আমার প্রথম লেখা। ক্যাডেট কলেজে কোনো বার্ষিকীতে কিংবা বুয়েটের কোন সাময়িকীতে কখনো কোন লেখা ছাপাতে না পারা আমার জন্য এ লেখাটা তাই সবসময়ই বিশেষ কিছু। লেখা পড়ে বিরক্ত হলে পাঠককে নিজগুণে ক্ষমা করার অনুরোধ রইল। )

কোন কষ্ট না থাকাটা বড় কষ্টের কারণ।

বিস্তারিত»

লিভারপুল রিয়াল মাদ্রিদ

উয়েফা চ্যাম্পিওন্স লীগ, ১ম নক-আউট পর্ব, ২য় লেগ
ভেন্যুঃ এনফিল্ড তারিখঃ মঙ্গলবার, ১০ই মার্চ (বাংলাদেশে দিবাগত রাত বুধবার ভোরবেলা)
কিক অফঃ ১৯:৪৫ GMT (বুধবার ০১:৪৫)

চ্যাম্পিওন্স লীগের রেকর্ড নয়বারের বিজয়ী হলো রিয়াল মাদ্রিদ কিন্তু গত চার বছরে শেষ ১৬ এর বাঁধা পার হতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। আর কালকেও তারা ফেবারিট না। দু সপ্তাহ আগেই নিজের মাঠে হেরেছে লিভারপুলের কাছে ০-১ গোলে।

বিস্তারিত»

কূলধারার গল্প

[প্রাক-কথন: ২০০৬ এ বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলাম ভারতের রাজস্থান প্রদেশটিতে। সেখানকার জয়সলমীর অঞ্চলটির নাম নিশ্চয়ই অনেকেরই জানা।
সত্যজিত রায় খ্যাত সোনার কেল্লা এখানেই অবস্থিত। তো জয়সলমীর থেকে প্রায় কুড়ি কি.মি. পশ্চিমে রয়েছে কূলধারা নামে একটি পরিত্যক্ত জনপদ। প্রায় দেড়শো বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে কেউ থাকেনা, অথচ এক-ইটের আনুমানিক পাঁচ হাজার ঘর দাঁড়িয়ে আছে মাথা তুলে। প্রচলিত ইতিহাস বলে,পঁচাশিটি গ্রাম জুড়ে এখানে বাস করতেন কৃষিজীবী ব্রাহ্মণদের একটি গোষ্ঠী।

বিস্তারিত»

হাইকু জগতে আমি : প্রথম পর্ব

আলিমুজ্জামান ভাই (জেসিসি) এর কল্যাণে হাইকুর সাথে দেখলাম সিসিবির পরিচয় হয়েছে। তাই আমার কিছু হাইকু শেয়ার করার দুঃসাহস দেখাচ্ছি। 😕 আরেকটা ব্যাপার হল নেটে পঁচা ডিম ছুঁড়ে মারার কোনো চান্স (পড়ুন ইমো) নাই। :grr:

যেভাবে শুরু

তখন নিউ এজ সবে প্রকাশিত হয়েছে, লিটেরারী এডিটর নিয়াজ জামান ম্যাডাম। আমি তখনো ফার্স্ট ইয়ার এর গন্ডি পেরোই নি। একদিন ডিপার্টমেন্টের নোটিশ বোর্ডে দেখলাম নিউ এজ এবং জাপানীজ দূতাবাস একটা হাইকু প্রতিযোগিতার জন্যে হাইকু চেয়েছে।

বিস্তারিত»

রক্তাক্ত উল্লাস (রক্তাক্ত সুখ-এর ২য় পত্র)

রক্তাক্ত সুখ

গীর্জাটি এখনো পড়ে আছে
নির্জন,স্পন্দনহীন কোন স্থানে
পরিচর্যার কেউ নেই
ছোঁয়াও হয় না বাইবেলটি
দেয়ালে আশ্রয় নিয়েছে গাছ
আগাছা আগলে রেখেছে পথটি।

বিস্তারিত»

সারপ্রাইজ

“স্যার,আজকে আর পড়ব না।”-মাথার দুইপাশে বেণী দুটো দুলিয়ে রিনরিনে গলায় বলে ওঠে তিশা।
রোহান তখন গোবেচারার মত তাকিয়ে বলে,” কিন্তু আরেকটা সরল যে বাকি ছিল।”
“ওটা আজকে থাক স্যার প্লিইইইজ।”
এবার হার মানল রোহান।ছাত্রীকে ছুটি দিয়ে দিল।উঠতে গিয়েও আবার বসে পড়ল।বলা ঠিক হবে কিনা বুঝে উঠতে পারছে না। আন্টি আবার কি মনে করে।ওর চেহারা দেখে স্মার্ট ছাত্রী বলে উঠল, “স্যার কি কিছু বলবেন?”

বিস্তারিত»

বাচ্চা ভয়ংকর…..কাচ্চা ভয়ংকর…..(২)

মান্নান ভাই এর বাচ্চা ভয়ংকর…..কাচ্চা ভয়ংকর….. পড়ে আমারও এক বাচ্চার কাহিনী মনে পড়ে গেলো।
তার নাম ছিলো আবীর।সে আমার এক সিসিআর এর ফ্রেন্ডের মামাতো ভাই।আমরা যখন ১১ এ পড়ি তখনকার গল্প।

তো একবার সবাই ঈদের কানাকাটা করতে গেলো।সাথে আবীরও।কিন্তু কিছুক্ষন পরে দেখা গেলো যে তাকে কেউ খুঁজ়ে পাচ্ছে না।শেষে তাকে পাওয়া গেলো এক দোকানে সেখানে সে দোকানীর সাথে বেশ জমিয়ে কথা বলছে।পরে দোকানী যা জানালো তা হলো দোকানে রাখা একটা ছেলে ডলের জিপার খুলে সে বলছে “আঙ্কেল আঙ্কেল এই ভাইয়ের নু*টা কোথায়??”

পরে আর একবার বন্ধুর এক মামার বিয়ে।তো সবাই বউ নিয়ে কথা বলছে।তো আবীর কি মনে করে তারই এক কাজিন(মেয়ে) কে বলে ফেললো “তোমাকে আমি বিয়ে করবো!!!!কিন্তু তোমাকে আগে তুমি কাপড় খুলো তোমাকে দেখি।তুমি অনেক সুন্দর!!”
এইবার কিন্তু আবীর মায়ের কাছে চরম মাইর খাইলো।কিন্তু সে কি আর লাইনে আসে?

বিস্তারিত»

নীলা-৩য় পত্র

নীলা
নীলা-২য় পত্র

আবার শালা জ্যাম! শালার ঢাকা শহরের কবে যে উন্নতি হবে! ৩০ মিনিট ধরে নিউমার্কেটের জ্যামে আটকা আছি। হেঁটে গেলে এতক্ষণ ৪ বার টিএসসি যাওয়া-আসা করা যেত! পারলে যেতাম। কিন্তু রিকশায় ওর পাশে বসা হবে না। গতরাতে ভাল করে ঘুম হয়নি। হঠাৎ ফোন,ভাইব্রেশনে শুধু ফোন না,আশেপাশের সবকিছুই যেন ভাইব্রেট করছে! রাশেদ ফোন দিল নাতো! ওর হাতটা ছেড়ে দিয়ে পকেট থেকে ফোন বের করলাম।

বিস্তারিত»

গল্প: কালকান্দি গ্রামের মেয়েরা।

( পুরনো লেখা। কিছুটা সংস্কার করা হয়েছে। দিতে কেমন যেন লাগে! তবুও দিলাম। সানাউল্লাহ ভাইয়ের “নারী দিবস” বিষয়ক পোস্ট পড়ে ভাবলাম এই লেখাটা পোস্ট করা যায়। আর পুরনো লেখা দিব না। আর ফাঁকিবাজি না। এই শেষ। 😀 )

কালকান্দি গ্রামের মেয়েরা চৌদ্দ বছর বয়েসে নারী হতো।

শেফু নামের মেয়েটা-
তেরো’র শেষ দিনেও রান্নাবাটি খেলায় ডালে লবণ কম দিয়েছিল বলে
আমরা যার কোঁকড়ানো চুলকে কাকের বাসা বলতাম।

বিস্তারিত»