“স্বপ্ন দেখতেই হবে, নইলে তো বাস্তবায়ন করা যাবে না। ফুটবলের গৌরব ফেরানোর জন্য এরকম কিছু করতেই হবে যা সবাইকে নাড়া দিয়ে যাবে।”
কাজী সালাউদ্দিন বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হবার পর থেকেই ফুটবলের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন দেখানো শুরু করেন সবাইকে। ফেডারেশন কাপ ও বি-লীগের সফল আয়োজনের মাঝেই কোটি টাকার এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ঘোষনা দিয়ে চমকে দেন সবাইকে। আর সেই কোটি টাকার টুর্নামেন্ট “সিটিসেল সুপার কাপ” মাঠে গড়াচ্ছে আজ ১১ই মার্চ। আর সব ফুটবল পাগলের মত আমিও অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম এই টুর্নামেন্টের জন্য। বেশ কিছুদিন ধরেই সুপার কাপকে ঘিরে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছিল, সেগুলোর সূত্র ধরেই এই টুর্নামেন্ট সম্পর্কে সবাইকে কিছুটা ধারনা দিতেই এই পোস্ট।
অংশগ্রহনকারী দল সমূহঃ সদ্য সমাপ্ত ‘বি’ লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ৮ দলকে নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে সুপার কাপ। দলগুলোকে ভাগ করা হয়েছে দুই গ্রুপে। ‘এ’ গ্রুপে থাকছে লীগে বেজোড় স্থান অর্জনকারি দলগুলো তথা ঢাকা আবাহনী(১ম), শেখ রাসেল(৩য়), চট্টগ্রাম মোহামেডান(৫ম) এবং রহমতগঞ্জ(৭ম)। বি’ গ্রুপে জোড় স্থান অর্জনকারি দলগুলো তথা ঢাকা মোহামেডান(২য়), ব্রাদার্স (৪র্থ), ফরাশগঞ্জ(৬ষ্ট) এবং চট্টগ্রাম আবাহনী(৮ম)।
টুর্নামেণ্ট ফরম্যাটঃ গ্রুপ পর্ব শেষে দু’ গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল খেলবে সেমিফাইনালে। টুর্নামেন্টের আকর্ষন বাড়ানোর জন্য সেমিফাইনাল হবে দুটি করে চারটি, ইউরোপিয়ান লীগের মতো,হার-জিতে বা গোল পার্থক্যে সেমিফাইনালের নিষ্পত্তি না হলে টাইব্রেকারের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে তারপর ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। আর নীচের চার দলের জন্য থাকছে প্লেট পর্বের আরেকটি আয়োজন।
গ্রুপ পর্বের ফিক্সচার
গ্রুপ-এ: আবাহনী, শেখ রাসেল, রহমতগঞ্জ চট্টগ্রাম মোহামেডান।
গ্রুপ-বি: মোহামেডান, ব্রাদার্স, চট্টগ্রাম আবাহনী এবং ফরাশগঞ্জ।
১১ মার্চ আবাহনী-রহমতগঞ্জ ৪:৩০ (বিটিভি দেখাবে)
শেখ রাসেল-চট্টগ্রাম মোহামেডান ৬:৩০
১২ মার্চ ব্রাদার্স-ফরাশগঞ্জ ৩:৩০
মোহামেডান-চট্টগ্রাম আবাহনী ৫:৩০ (বিটিভি দেখাবে)
১৩ মার্চ শেখ রাসেল-রহমতগঞ্জ ৩:৩০
আবাহনী-চট্টগ্রাম মোহামেডান ৫:৩০ (বিটিভি দেখাবে)
১৪ মার্চ ব্রাদার্স-চট্টগ্রাম আবাহনী ৩:৩০
মোহামেডান-ফরাশগঞ্জ ৫:৩০ (বিটিভি দেখাবে)
১৫ মার্চ রহমতগঞ্জ-চট্টগ্রাম মোহামেডান ৩:৩০
আবাহনী-শেখ রাসেল ৫:৩০ (বিটিভি দেখাবে)
১৬ মার্চ ফরাশগঞ্জ-চট্টগ্রাম আবাহনী ৩:৩০
মোহামেডান-ব্রাদার্স ৫:৩০ (বিটিভি দেখাবে)
সবগুলো খেলাই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এ। বিটিভি এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের ৭ টি খেলা সরাসরি সম্প্রচার করবে বলে জানিয়েছে। বাকি ম্যাচগুলো প্রাইভেট টিভি চ্যানেলে সম্প্র্রচারের উদ্যোগ নিচ্ছে বাফুফে।
প্রাইজমানিঃ এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় আকর্ষন চ্যাম্পিয়নের জন্য ১ কোটি টাকার প্রাইজমানির ব্যবস্থা। রানার্স আপ দল পাবে ২০ লাখ টাকা। এছাড়া তৃতীয় ৭ লাখ, চতুর্থ ৫ লাখ, পঞ্চম ৪ লাখ, ষষ্ঠ ৩ লাখ এবং সপ্তম ও অষ্টম দল দুটো সমান ২ লাখ টাকা পাবে। সেরা দেশি খেলোয়াড় পাবে একটী গাড়ী যা দেবে কাজী সালাউদ্দিনের নিজের প্রতিষ্ঠান এসএস স্টিলস, সেরা গোলরক্ষকের জন্য রয়েছে ১ লক্ষ টাকা আর সেরা দেশি রেফারি পাবেন ৫০ হাজার টাকা। টুর্নামেন্টের আরেক স্পন্সর নিটল-টাটা দেবে সেরা দর্শকের জন্য একটি গাড়ি, তবে তা কিভাবে নির্ধারত হবে তা এখনও জানা যায়নি।এছাড়াও টিকিট কিনলেই বিভিন্ন ছাড় দেবে সিটিসেল।
স্পন্সরঃ কাজী সালাউদ্দিনের প্রধান সাফল্য আমি মনে করি ফুটবলের জন্য স্পন্সরের ব্যবস্থা করা, যা আমাদের দেশে অন্যান্য খেলা এমনকি ক্রিকেটর জন্যও অত্যন্ত দূরুহ। এই টুর্নামেন্টের প্রধান স্পন্সর সিটিসেল, সহযোগী হিসেবে আছে ফুটবলের পুরনো বন্ধু নিটল-টাটা, আর সালাউদ্দিন নিজেও অবদান রেখেছেন নিজের প্রতিষ্ঠান এসএস স্টিলসকে স্পন্সর করে।
টুর্নামেন্টের আগে বাফুফে প্রতিটি দলের জন্য সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে, তার উপর ভিত্তি করে অংশগ্রহনকারী দলগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হল।
ঢাকা আবাহনীঃ
বাংলাদেশের ফুটবলের নিকটতম অতীতে নতুন দুটো প্রতিযোগিতা চালু হয়েছে। ‘৯৯ সাল থেকে জাতীয় ফুটবল লিগ ও ২০০৭ সালে বি. লিগ, দুটোরই প্রথম শিরোপা জয়ী আবাহনী সুপার কাপ অধ্যায়টাও শুরু করতে চায় সাফল্য দিয়ে।আবাহনী অধিনায়ক নজরুল ইসলাম সে কথাই বলেন, “জাতীয় লিগ ও বি. লিগের মতো সুপার কাপের প্রথম শিরোপাটাও আমরা জিততে চাই। এজন্য আবাহনী প্রস্তুত।” বি-লীগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী এ টুর্নামেন্টের টপ ফেভারিট, দলকে আরো শক্তিশালি করতে তারা দলে ভিড়িয়েছে নতুন ঘানাইয়ান মিডফিল্ডার আদজা তেত্তেকে। কোটি টাকা প্রাইজমানির চেয়ে কোচ অমলেশ সেন সম্মানকেই অধিক গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন,“টাকাটা বড় কথা নয়। বি. লিগ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আমাদের জন্য সুপার কাপের শিরোপা জয়টা অনেক বেশি গৌরবের।” দেশী-বিদেশী মিলিয়ে এখন বি. লিগ চ্যাম্পিয়নরাই সুপার কাপের ফেভারিটের তালিকার শীর্ষে, তাদের মূল শক্তি বলা যায় এমেকা-এমিলি স্ট্রাইকার জ়ুটি, লীগে দুজনে মিলে করেছিল ৩০ গোল। ১১ মার্চ রহমতগঞ্জের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে আবাহনীর অভিযান শুরু হলেও ‘এ’ গ্র”পে তাদের সামনে বড় বাধা শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র ও চট্টগ্রাম মোহামেডান। তারপর সেমিফাইনাল থেকেই শুরু হবে তাদের আসল লড়াই।
ঢাকা মোহামেডানঃ
দেশের ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি মোহামেডানের লক্ষ্য স্বাভাবিকভাবেই চ্যাম্পিয়নশীপ, বিশেষ করে বি-লীগের ব্যর্থতাকে কাটিয়ে উঠতে চায় কোটি টাকার সুপার কাপ ঘরে তুলে। অধিনায়ক আরমান আজিজ বলেন, “বি-লীগের ভূলগুলো শুধরে আমরা সুপার কাপ জিততে প্রস্তুত৷ এবার আর হতাশ করব না সমর্থকদের।” বি-লীগে ব্যর্থতার কারন হিসেবে মোহামেডান তাদের গোল মিসকে চিহ্নিত করেছে। স্ট্রাইকার বুকোলো লীগ সর্ব্বোচ্চ ১৮ গোল করলেও অন্য কেউ তার সাথে জুটি বাধতে পারেনি। দলের কোচ মারুফুল হক বলেন,“মোহামেডানের দর্শনই হল চ্যাম্পিয়ন হওয়া৷ গোল মিস না করলে, খেলোয়াড়েরা ঠিকমত পারফরমেন্স করলে সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারব আশা করি”
শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রঃ
গত কয়েক বছর ধরে বরাবরই শিরোপার জন্য দল গড়ে আসছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। শুরুর দিকে শিরোপার দৌড়েও থাকছে তারা, কিন্তু ওই গতিটা ধরে রাখতে পারছে না শেষপর্যন্ত। সদ্য সমাপ্ত বি. লিগেও একই ধারা বজায় রেখে তারা হয়েছে তৃতীয়। সর্বোচ্চ সাফল্য বলতে প্রিমিয়ার লিগে একবার রানার্স-আপ হওয়া। তবে সিটিসেল সুপার কাপেই দুর্ভাগ্যের এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চায় তারা।বরাবরের মতো শেখ রাসেলের বিদেশী নির্ভরতা বজায় থাকছে সুপার কাপে।দলের অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান বলেছেন, “প্র্যাকটিসে খেলোয়াড়রা খুবই আন্তরিক। আমাদের টিম স্পিরিটও ভাল। মনে হয় আমাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা আছে।” কোচ ওয়াজেদ গাজী মনে করেন যোগ্যতার মাপকাঠিতে এবার তারা অনেকখানি এগিয়ে, কারন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন,“লিগে আমাদের স্ট্রাইকার ছিল আলফাজ, সে-ই দলকে টেনে নিয়ে গেছে। এবার তার সঙ্গী হবে মিলো(সার্বিয়ান স্ট্রাইকার মিলোনোভিচ), তাকে প্র্যাকটিসে খুব ভাল লেগেছে আমার।” তিনি আরো বলেন, “এ টুর্নামেন্টের কথা শোনার পর থেকে খেলোয়াড়রা সিরিয়াস। এবার সুপার কাপ জিতে শেখ রাসেল সত্যিকারের বড় দল হিসেবে আভির্ভূত হোক, এটাই আমি চাই।”
ব্রাদার্স ইউনিয়নঃ
বি-লীগের চতুর্থ হওয়া ব্রাদার্স ইউনিয়নের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সুপার কাপ উপলক্ষ্যে নতুন কোন বিদেশিকে দলে নেয়নি তারা।ম্যানেজার আমের খান বলেছেন, “আমরা দেশী ফুটবলারদের ওপরই ভরসা করছি। তাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। আমাদের লক্ষ্য সুপার কাপ জেতা।” “বিদেশী আনা এবং ট্রায়ালের জন্য যে সময় দরকার তা নেই। তাছাড়া ইদানীং ভাল মানের বিদেশী ফুটবলারও আসছে না ঢাকায়”-— এভাবে বিদেশীর প্রতি অনীহার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ব্রাদার্স ম্যানেজার।
চট্টগ্রাম মোহামেডানঃ
অনেকটা শক্তি বৃদ্ধি করেই সুপার কাপে নামছে চট্টগ্রাম মোহামেডান। পূরণ করেছে চার বিদেশীর কোটা — কামারা, অ্যান্থনি, মুসা ও রাফায়েলকে দিয়ে। সঙ্গে নিয়েছে তারা স্বদেশী চারজন, সেনাবাহিনীর স্ট্রাইকার নাসির, বাড্ডা জাগরণীর কমল, ভিক্টোরিয়ার মামুন ও করিমকে। এই দল নিয়ে তারা সেমিফাইনালের স্বপ্নও দেখছে। তবে চট্টগ্রাম মোহামেডানের অধিনায়ক মাসুদ পারভেজ কায়সার বলেছেন অন্যভাবে, “আমাদের লক্ষ্য ভাল খেলা। ম্যাচ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও ভালো না হলে কোটি টাকার টুর্নামেন্ট দেখতে মাঠে দর্শক আসবে না।”
ফরাশগঞ্জঃ
ফরাশগঞ্জ এর লক্ষ্য সেমিফাইনাল। বি-লীগে অংশগ্রহনকারী তিন বিদেশিকে বাদ দিয়ে দেশি খেলোয়ারদের নিয়ে দল পুনর্গঠন করেছে তারা। নিজেদেরকে তারুণ্য নির্ভর দল হিসেবে চিহ্নিত করে কোচ কামাল বাবু বলেন, “আমরা মধ্যমসারির দল গঠন করেছি। যে দল অঘটন ঘটাতে পারবে এবং আমাদের প্রথম টার্গেট হচ্ছে সুপার কাপের সেমিফাইনাল।”
রহমতগঞ্জঃ
রহমতগঞ্জ তাদের বি-লীগ শুরু করেছিল ঢাকা আবাহনীকে হারিয়ে, পরবর্তিতে তারা মোহামেডানের সাথেও সাফল্য পেয়েছে। সুপার কাপে তাদের লক্ষ্য উল্লেখ করে কোচ মীর ফারুক বলেন, “লক্ষ্য সেমিফাইনাল, তবে আমরা ছেড়ে দেব না।” অধিনায়ক ফ্রান্সিসও একই সুরে বলেছেন,“আমরা সহজে ছেড়ে দেব না। চমক দেখানোর চেস্টা করব।”
চট্টগ্রাম আবাহনীঃ
চট্টগ্রাম আবাহনীর চাওয়া সেমিফাইনাল ওঠা। তাদের ম্যানেজার রেদোয়ান কবির বলেছেন, “আমরা বি. লিগে চার-পাঁচ নম্বরে থাকার জন্য নেমেছিলাম কিন্তু পারিনি। এবার নতুন কয়েকজন খেলোয়াড় দলে নিয়ে আমরা সেমিফাইনালে উঠতে চাই।” দেশী সংযোজন দুজন— আরামবাগের করিম ও খুলনা আবাহনীর শরীফুল। মুক্তিযোদ্ধা থেকে নেওয়া হয়েছে দুই বিদেশী পল ও ভিক্টরকে। এদের নিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনী ভাল ফুটবল উপহার দেবে, এমনটাই আশা অধিনায়ক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর।
পুরো টুর্নামেন্টের সফল আয়োজনের জন্য প্রথমবারের মতন ইভেন্ট ম্যানেজার নিয়োগ দিয়েছে বাফুফে। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণায় নামার উদ্যোগ নিয়েছে বাফুফে, এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মাস্টহেড পিআর-কে । বাংলাদেশ-পাকিস্তান ক্রিকেট সিরিজ বাতিল হওয়ায় আরও স্বস্তিতে আছে বাফুফে, কারন সিরিজ হলে ক্রিকেটের সাথে সরাসরি জনপ্রিয়তার যুদ্ধে নামতে হত তাদের।
ভবিষ্যত পরিকল্পনাঃ সালাউদ্দিন তার মেয়াদ থাকা পর্যন্ত অর্থাৎ ২০১২ পর্যন্ত নিয়মিত সুপার কাপ আয়োজনের ঘোষনা দিয়েছেন, এর ভেতরে ২০১১তে আয়োজন করা হবে আন্তর্জাতিক সুপার কাপ, যেখানে দেশি দুটি দলের সাথে ৬টি বিদেশি দল খেলবে।
সুপার কাপের মধ্য দিয়ে আমাদের ফুটবল আবার সুপার ডুপার ভাবে জেগে উঠবে, সালাউদ্দিনের বাফুফের সাথে আমিও সেই স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছি।
ফলাফলঃ
১১ মার্চ আবাহনী ৩ – ০ রহমতগঞ্জ ( এমেকা (২), আত্মঘাতি)
শেখ রাসেল ০ – ২ চট্টগ্রাম মোহামেডান (নাসির, রাফায়েল)
১২ মার্চ ব্রাদার্স ০ – ০ ফরাশগঞ্জ
মোহামেডান ১ – ০ চট্টগ্রাম আবাহনী ( বুকালো )
১৩ মার্চ শেখ রাসেল ১ – ০ রহমতগঞ্জ ( মিলুনোভিচ )
আবাহনী ২ – ১ চট্টগ্রাম মোহামেডান ( এমেকা (২) — রাফায়েল )
১৪ মার্চ ব্রাদার্স ৩ – ০ চট্টগ্রাম আবাহনী ( জাহিদ, হেনরি,তপু)
মোহামেডান ৪ – ০ ফরাশগঞ্জ ( বুকালো, এনামুল (২), আরমান আজিজ)
১৫ মার্চ রহমতগঞ্জ ০ – ২ চট্টগ্রাম মোহামেডান ( রাফায়েল (২))
আবাহনী ৩ -০ শেখ রাসেল ( ইব্রাহিম, এমিলি, এমেকা)
১৬ মার্চ ফরাশগঞ্জ ২ – ০ চট্টগ্রাম আবাহনী ( খোকন,ইদ্রিস মুতেবি)
মোহামেডান ১ – ১ ব্রাদার্স (জন গুডউইন — হেনরি)
1 B-)
ব্যাপক তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট আহসান :clap: :clap:
দলগুলোকেও দেখলাম বেশ সিরিয়াস, হয়তো প্রাইজ মানির কারণেই; তবে যেটাই হোক এই দুঃসময়ে এরকম পৃষ্ঠপোষকতার ব্যবস্থা করা সালাউদ্দীনের বিশাল সাফল্য কোন সন্দেহ নাই :boss:
আমাদের ফুটবলের জমকালো দিনগুলো ফিরে আসুক :thumbup:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:thumbup:
ইলিশ মাছের তিরিশ কাঁটা বোয়াল মাছের দাড়ি
মোহামেডান ভিক্ষা করে আবাহনীর বাড়ি।
ঐ.. :grr:
:party: :party: :thumbup: :thumbup: :awesome: :awesome:
সেই ক্লাস ৩-৪ এর পর এই লাইন টা আবার শুনলাম। তখন আবাহনী মোহামেডান খেলার সময় বাসার ছাদে আবাহনীর পতাকা উরাইতাম। বাংলাদেশ ফুটবলটা পুরা নাই হইয়া গেল। 🙁
এই সুপার কাপ দিয়া যেন আবার প্রাণ ফিরা আসে।
:thumbup: :thumbup:
ঐ :thumbup: :thumbup: :thumbup:
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
x-( :thumbdown: :thumbdown: :thumbdown: :thumbdown: :thumbdown:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
লেখার জন্য :hatsoff: :hatsoff:
আশা করি ভাইয়া টুর্নামেন্ট চলার সময় নিয়মিত আপডেট দিবেন।
ঐ
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আশা করি আপডেট দিতে থাকব।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
মারাত্মক একটা পোষ্ট হয়েছে। :hatsoff: :hatsoff:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ধন্যবাদ।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আহসান, ব্যাপক তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট। :clap: :clap:
ইস্...বাংলাদেশের ফুটবলের সেই গৌরবময় দিনগুলা কবে ফিরে আসবে! :dreamy: :dreamy:
খেলা চলাকালীন নিয়মিত আপডেট চাই কিন্তু।
তানভীর ভাই সেই বুয়েটিয় প্রেমের কি হইলরে ভাইয়া। কক্সবাজার থেকে আসবে না?
তপু, কক্সবাজার থেকে চলে আসছে কিন্তু। তুমি মনে হয় খেয়াল কর নাই। 😛 😛
খেয়াল করেছি ভাইয়া। আমি ভাবলাম বুঝি এর পরের পর্ব দিছেন। বুঝাতে চাইছিলাম কক্সবাজারের পরের পর্বটা কবে আসবে। সেটার লাষ্টে যে হলে বসে চিন্তা করতেছে সেটা আমার চোখ এড়ায়নি।
ধন্যবাদ তানভির ভাই, আপডেট চালিয়ে যাব।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
পুরাই সুপার ডুপার পোষ্ট দিছ তুমি, আসলেই, দেশে ফুটবল টিকায় রাখছে আবাহনী, আবাহনীর পুরান প্লেয়ার (সালাউদ্দিন) আর আবাহনীর সমর্থক (আহসান আকাশ)।
চ্যাম্পিয়ন হইব আবাহনী, না হয় ফরাজগঞ্জ, আর কারও বেইল আছে নাকি?
জয় হো জয় হো.........
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
:thumbup: :thumbup:
:thumbdown: :thumbdown:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ধন্যবাদ ফয়েজ ভাই...
জয় হোক জয় হোক আবাহনীর...………
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
😮 😮 :thumbdown: :thumbdown:
কোটি টাকার সুপার কাপে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে বি. লিগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী। বুধবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে রহমতগঞ্জ কে ৩-০ গোলে হারিয়েছে তারা। 🙂
জয় হোক জয় হোক আবাহনীর…………
জয় হোক জয় হোক আবাহনীর…জয় হোক জয় হোক আবাহনীর…
আবাহনী ৩-০ গোলে হারিয়েছে রহমতগঞ্জকে, আবাহনীর পক্ষে ম্যাচের ২য় মিনিটে গোল করে এমেকা, ৫৮ মিনিটে শিপনের আত্মঘাতি গোলে ২-০ তে এগিয়ে যায় তারা, আর ৮১ মিনিটে নিজের ২য় এবং দলের ৩য় গোল করেন এমেকা।
অফটপিকঃ ব্যস্ত থাকায় পুরো খেলা দেখতে পারেনি, তবে যতটুকু দেখেছি তাতে চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত ও তার দলের কারনে এক পর্যায়ে মিউট করে খেলা দেখতে হয়েছে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:goragori: :goragori:
=)) =))
আবাহনীর গোল উৎসব
সেরা খেলোয়ারের গাড়ি
দর্শকের গাড়ি
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
গাড়ির সাথে কি নারীও দেওয়া হবে? ;;; ;;;
:no: :no:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
গাড়ির সাথে এই মানুষগুলা কি নারী নাকি বালিকা!! যাইহোক বেশ লাগছে। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পশ্চিমা দেশে গাড়ি বিষয়ক যেকোনো কিছুতেই নারীদের ছবি দিয়ে দেয়া হয়। কিছুদিন আগে শুনলাম আমেরিকান এক নারী নাকি ২০১০ সাল থেকে লুইস হ্যামিল্টনদের সাথে রেসিং করবে। ভালোই তো। ট্যাবলয়েডগুলো আরো কিছু ফ্লাশিং ছবি ছাপাবে। 🙂
ফটোগুলা বেশী ছোট হয়ে গেছে। গাড়ীর মডেলগুলো ঠিক মতো বুঝতেসি না। আরো বড় আকারের ফটো সংযোজন করার অনুরোধ রইলো। গাড়ীর ব্যাপারে আমার আগ্রহ অনেক তাই বললাম। অন্যকিছু মনে করার অবকাশ নাই 😛
আজকের ২য় খেলায় চট্টগ্রাম মোহামেডান ২- ০ গোলে হারিয়েছে শেখ রাসেলকে, এটাকে ছোটখাটো একটা অঘটন বলা যায়।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এইটা তো বেশ বড় অঘটন...
আমি বুড়া আলফাজের উপর সর্বোচ্চ গোলদাতার বাজি ধরতে রাজী ছিলাম...আর ওয়াজেদ গাজীও অনেক ডেডিকেটেড কোচ...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
চ্রম তথ্যবহুল পোস্ট আজাদ ভাই। ড্রাফট করে রাখছিলেন যখন তখনি পড়ে ফেলছিলাম। 😛
ড্রাফট করে রাখা অবস্থায় পড়ে ফেলার জন্য তোর......
...না থাক
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আজকের দিনের প্রথম খেলায় ফরাশগঞ্জ আটকে দিয়েছে শক্তিশালি
ব্রাদার্সকে, খেলা গোল শূন্য ড্র হয়েছে।
২য় ম্যাচে ঢাকা মোহামেডান ১-০ গোলে হারিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীকে, ২য় অর্ধের ১৮ মিনিটের মাথায় এক বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে ম্যাচের এক মাত্র গোল করে বুকালো। ডি বক্সে হ্যান্ডবলের কারনে রেফারি এ পেনাল্টি দেয়, তবে বল আসলেই হাতে লেগেছিল কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে। তবে কাগজে কলমে টুর্নামেন্টের দূর্বলতম দল চট্টগ্রাম আবাহনীর বিরুদ্ধে মোহামেডানের পারফরমেন্স ছিল হতাশাজনক। পূরো ম্যাচে তারা খেলা গুছিয়ে উঠতে পারেনি, একটিও গোল করার মত আক্রমন রচনা করতে পারেনি, পেনাল্টি বাদে ম্যাচে তাদের গোলে শট ছিল একটি, খেলা শেষ হবার ২ মিনিট আগে আরমান আজিজের ফ্রি কিক ওয়ালে ডিফ্লেকটেড হয়ে ক্রস বারে লাগে। অপর দিকে চট্টগ্রাম আবাহনী ১ম থেকেই গুছিয়ে খেলার চেস্টা করেছে, বেশ কিছু সুযোগও তারা তৈরি করেছিল, কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় তারা সুযোগ গুলো কাজে লাগাতে পারেনি।
মোহামেডানকে টুর্নামেন্টে ভাল ফলাফল করতে হলে খেলার যথেষ্ঠ উন্নতি ঘটাতে হবে, অপর দিকে চট্টগ্রাম আবাহনী আজকের ম্যাচের পারফরমেন্স ধরে রাখতে পারলে আর সুযোগের সদব্যবহার করতে পারলে অন্য দলগুলোর(ফরাশগঞ্জ ,ব্রাদার্স) সাথে চমক সৃস্টি করতে পারে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
তোর দেশের কাভার আর এহসান ভাইর বিদেশের কাভার আমাদের সিসিবির ক্রীড়া বিভাগ যথেষ্টই সমৃদ্ধ্।
আমি ভাবছিলাম নতুন পোষ্ট দিবি। খেলা কি দেখস? কত্তদিন আবাহনী মোহামেডানের খেলা দেখিনা। আমরা যখন কলেজে ঢুকি তখনো একবার মনে আছে আবাহনী মোহামেডানের ফাইনাল দেখার জন্য আমরা প্রেপ মাফ করাইছিলাম।
প্রথমে নতুন পোস্ট দেয়ার কথা ভাবছিলাম, পরে ভাবলাম এক জায়গায় সব থাকুক।
টিভিতে দেখালে সাধারনত খেলা মিস করিনা, আজকেও দেখছি, আর এবার সুপার কাপে মাঠে যাব বলে ঠিক করেছি।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ম্যাপ শেষে প্রতিক্রিয়াঃ
মোহামেডানের কোচ মারুফুল হকের কথায়, "সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রেফারি। তবে আমারও মনে হয়েছে বলটা তাদের কোনো এক খেলোয়াড়ের হাতের নীচের দিকে লেগেছে।" "আমার দল মোটেও ভাল খেলেনি। আসলে ইনজুরি আর অসুস্থতার কারণে আমাদের স্টার্টিং লাইন-আপটাই ভাল হয়নি।"
চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ মোহাম্মদ কাশেম, "আপনারা সবাই ম্যাচ দেখেছেন। হাতের ওপরের অংশে লাগলে পেনাল্টি হয়, এরকম কোথাও দেখিনি আমি। এরকম বাজে রেফারিং হলে আমারা কীভাবে খেলবো ?"
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
মোহামেডানের দর্শক কেমন হইছিলরে?
টিভিতে তো গ্যালারির যেই জায়গায় দর্শক আছে সেটাই ঘুরে ফিরে দেখাইতে থাকে তাই ঠিক বোঝা যায় না, তবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি হইছিল, বড় ম্যাচে আরো অনেক দর্শক হবে আশা করি।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আজকের ৩য় দিনের খেলায় শেখ রাসেল ১-০ গোলে রহমতগঞ্জকে এবং
আবাহনী ২ - ১ গোলে চট্টগ্রাম মোহামেডানকে পরাজিত করেছে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আবাহনী রকস :tuski:
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না