আলিমুজ্জামান ভাই (জেসিসি) এর কল্যাণে হাইকুর সাথে দেখলাম সিসিবির পরিচয় হয়েছে। তাই আমার কিছু হাইকু শেয়ার করার দুঃসাহস দেখাচ্ছি। 😕 আরেকটা ব্যাপার হল নেটে পঁচা ডিম ছুঁড়ে মারার কোনো চান্স (পড়ুন ইমো) নাই। :grr:
যেভাবে শুরু
তখন নিউ এজ সবে প্রকাশিত হয়েছে, লিটেরারী এডিটর নিয়াজ জামান ম্যাডাম। আমি তখনো ফার্স্ট ইয়ার এর গন্ডি পেরোই নি। একদিন ডিপার্টমেন্টের নোটিশ বোর্ডে দেখলাম নিউ এজ এবং জাপানীজ দূতাবাস একটা হাইকু প্রতিযোগিতার জন্যে হাইকু চেয়েছে। ফার্স্ট ইয়ারেই হাইকুর সাথে পরিচয় হয়েছিল, তবে লেখা হয়নি কখনো। আমার আবার সব কিছুতেই ছোঁক ছোঁক করার অভ্যাস আছে। তাই ভাবলাম ছাতামাথা যা পারি লিখে পাঠাই। আয়োজকরা ভালোই রোমান্টিক ছিলেন, রেজাল্ট বের হবে ১৪ই ফেব্রুয়ারী। 😡
আমার যেহেতু কপোতী ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না, ওই দিন একাই ছিলাম। রাস্তার ধারে পেপার বিক্রি হচ্ছে দেখে ওই দিনের নিউ এজ খুঁজলাম, দেখলাম আমার এই হাইকু কাগজের বুকে শুয়ে আছে।
Girl in yellow met
Boy in white on first Falgun
They loved and lived on.
নাহ, প্রথম, ২য় বা ৩য় হয়নি আমার হাইকু, শুধু ছাপা হয়েছিল। :guitar:
ডিপার্টমেন্টে এসে দেখলাম নোটিশ বোর্ডে লেখা নিয়াজ ম্যাডাম দেখা করতে বলেছেন। গেলাম উনার রুমে, বললেন সামনে কোনো একদিন অ্যাম্বাসেডর এর বাসায় ডিনার এর দাওয়াত পড়তে পারে অন্যান্য হাইকু লিখিয়েদের সাথে (সে গল্প আরেকদিন) :awesome:
নির্মম হলেও সত্য হল এর চার বছর পর আমি বুঝতে শিখেছিলাম আমার ওই হাইকুকে আসলে সার্থক হাইকু বলা যায় না। :bash:
আমি অল্প লিখলে যারা বিরক্ত হন তাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বাংলায় আমি এখনও তেমন পারঙ্গম হয়ে উঠতে পারিনি, তাই সময়ের সাথে পেরে উঠি না।
এই যে। আমি আসলে মনে মনে হাইকু সংক্রান্ত একটা পোস্টই চাইছিলাম তোমার কাছে। হাইকু সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। কাব্যমান যে উচ্চমূল্যের হতেই হবে একটি সার্থক হাইকুর এ ব্যাপারে সন্দেহ নাই। আরো জানার ইচ্ছে রইলো।
আলীমুজ্জামান ভাইয়ের একটা পোষ্ট আছে সিসিবিতে, পুরাই হাইকু।
আমি লিংক দিতে পারতাম, দিলাম না, খুজে দেখেন। 😀
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে। লিখব শীঘ্রই।
ঠিক আছে, ক্ষমা করা হল। ক্ষমা মহৎ গুন।
তবে লেগে থাকতে হবে......।।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
শুধু পিছনে না,সবদিক থেকে 😀
শালার মাথায় খালি আজে বাজে চিন্তা :gulti:
হাইকু কি জিনিস? 😮 ~x(
বিষয়টা বুঝিয়ে না বলে শুরু করার জন্য হাসানের ব্যান চাই। :grr: :grr:
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
হাইকু এক ধরনের জাপানীজ কবিতা। এর বৈশিষ্ট্য হল এটি পাঁচ-সাত-পাঁচ সিলেবলে লিখতে হয়, একটি ঋতুর উল্লেখ থাকতে হয় আর একটি ইমেজ ফুটে উঠতে হয়। তবে আধুনিক হাইকুতে এত নিয়ম মানা হয় না।
আমার কাছে কিন্তু খারাপ লাগেনাই। সার্থকতার খ্যাতা পুড়ি 😛
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ধন্যবাদ 🙂
ভাই ভালা লাগিচ্চে। সার্থক নয় বললেন কেন :no: ? বুঝায়ে দেন। 😕 😕
সার্থক নয় কারণ এতে পুর্ণাংগ একটি ইমেজ ফুটে উঠে নি।
জোসসসসসসসসসসসসসসস
শুনে ভাল লাগল।
ইংরেজি কবিতা সেটা যতই পিচ্চি হাইকু হোক না কেন বুঝার ক্ষমতা নাই। একটা মাত্র বুঝছিলাম টুইঙ্কেল টুইঙ্কেল। তাও যদি এখন আইসা আমিন কয় ছোটবেলায় পড়া সেই কবিতার কোন অন্তর্নিহিত ভাব আছে তাইলে সেটাও যাইব।
তপু, টুইঙ্কেল টুইঙ্কেল এর অন্তর্নিহিত ভাব থাকতে পারে। এই ব্যাপারে আমিন তোমাকে সাহায্য করতে পারে। 😛 😛
হাসান, হাইকুটা তো ভাল লাগল।
আরও কিছু লেখে এইখানে দিয়ে দাও।