প্রথম দিন

১। নোঙ্গর তোলা

উনিশ শো আটাত্তরের জুন, বাংলা তেরোশো পঁচাশি সনের আষাঢ় মাস। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সবে সাত বছরের কিশোর তখন। মৌসুমী হাওয়ায় বঙ্গোপসাগরের জলভরা মেঘ এসে বাংলার সবুজ প্রান্তরের উপরে ফেলেছে প্রগাঢ় ছায়া। দুরন্ত ছেলের মত থেকে থেকে মাটির বুকে আছড়ে পড়ে ঝমাঝম বৃষ্টি। আবার ক্ষনিকের বিরতিতে সূর্য তার রাজ্যপাট দেখে যায়। এই মেঘবৃষ্টি রৌদ্রছায়ার খেলায় বিভোর যখন চরাচর, আমি এবং আমার মতো আরো জনা পঞ্চাশেক কিশোরের জীবনে এক আশ্চর্য্য ভ্রমনের শুরু ঠিক অখন। সেই মহাযাত্রা তিরিশ দশক ধরে আজো চলছে, এবং আমরা সবাই যেন এক অবিনাশী সূতোয় বাঁধা পড়ে গেছি সারাজীবনের জন্য।

ছোট শান্ত জেলা শহরের ইশকুল ছেড়ে আমি চলেছি দেশবিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যাডেট কলেজে। এর আগে কয়েকটি মাস কেটেছে উৎকন্ঠায় আর অপেক্ষায়। ভর্তির জন্য লিখিত পরীক্ষা দিয়েছি, তারপর প্রতীক্ষার দীর্ঘ প্রহর শেষে এসেছে শারীরিক ও মৌখিক পরীক্ষার পালা। বাদ পড়ার সম্ভাব্য সব কারন ইতোমধ্যে বিশদ করে দিয়েছেন নান স্তরের গুরুজন। শারীরিক যোগ্যতা নিয়ে অনেকেরই সংশয় ছিল, আর মৌখিক পরীক্ষা তো কিংবদন্তির মহিমায় ভাস্বর। জটিল সেই পরীক্ষা, মেধা বুদ্ধি মনঃতাত্ত্বিক বিষয় সবকিছুরই পরিমাপ হয় সেখানে। কঠিন সব প্রশ্ন করা হয় সেখানে, অতি চৌকষ না হলে উত্তর দেয়া যায় না। চৌকষ হবার বা বুদ্ধিবৃত্তির উৎকর্ষ সাধনের কোন পন্থা জানা নেই, আপাতত “বাংলাদেশের ডায়েরি” নামে সাধারন জ্ঞানের বইটা পাণিনীর মত কঠিন সাধনায় প্রায় কন্ঠস্থ করে ফেলেছি। পরীক্ষার দিন বাবার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে হৃদকম্প সহ অপেক্ষার সময়টা স্মৃতিতে অম্লান। অবশেষে একদিন ডাকপিওনের হাতে এলো যেন নতুন দেশের ডাক। এরপরে যাবার প্রস্তুতি- আমার বাবা তাঁর স্বভাবসুলভ নিষ্ঠায় কলেজ কর্তৃপক্ষের সব নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। তালিকা মিলিয়ে নতুন পোষাক, কাল জুতো, তোরঙ্গ সব কেনা হয়েছে। জেলা ইশকুলের ছাড়পত্র, শিক্ষক ও সহপাঠীদের সাথে আবেগঘন বিদায়, সকল আয়োজন সমাপ্ত। আমার এতদিনের জীবনের সাথে বাঁধা সুতো ছিড়ে যাচ্ছে। সেই সকালে উঠে সুবোধ বালকের মত পড়তে বসা, পাড়ার বন্ধুদের সাথে দল বেধে ইশকুলে যাওয়া, বিকেল পর্যন্ত ইশকুল আর খেলা, সন্ধ্যেয় বাড়ি ফিরে আবারো পড়াশোনা, ভাইবোনদের সাথে হৈহুল্লোড়, বাবার শাসন, মায়ের পাশে বসে পিঠে বানানো দেখা, আর দিনমান ছোট শহরের এমাথা ওমাথা ঘোরাঘুরি- জীবনের চেনা ছক বদলে যাচ্ছে চিরদিনের জন্য। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি কোন ভারী বোধ আমাকে আচ্ছন্ন করেনি। হয়তো ওই বয়েসটাই এমন।

আজ আমি উত্তেজিত। কলম্বাস আটলান্টিক পাড়ি দেবার প্রাক্কালে, কিংবা নীল আর্মষ্ট্রং রকেটের উঠার আগে এমনই উত্তেজনা বোধ করেছিলেন হয়তো। আজানার হাতছানিতে, নতুনের আকর্ষনে, নতুন আকাশে অবাধ উড়ালের আশায় পরান পাখি ডানা ঝাপটায়। বেলা দ্বিপ্রহরে আমার যাত্রা শুরু। একখানা প্রাচীন জীপে আমরা চলেছি- ফরিদপুর থেকে ঝিনাইদহ। খুব বেশি দূরে নয়। যাত্রা নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয় তবে বৃষ্টির ছাঁট কখনো জীপের ত্রিপল ভেদ করে আমাদের ভিজিয়ে দিচ্ছিল। পথে কামারখালি- বর্ষার জলে প্রবলা মধুমতি ফেরিযোগে পার হয়ে কিছুদুর যাবার পরই ছবির মত জনপদ মাগুড়া। আরেকটু যেতেই- ওই তো ঝিনাইদহ। মহাসড়কের দু’ধারে ইতিহাসের সাক্ষী সব প্রাচীন বৃক্ষের সারি, আজ যেন এই জনপদের নব আগন্তুকদের বরন করতে দাঁড়িয়ে।

২। নতুন বন্দর

শহর ছাড়িয়ে দু’ধারে বিস্তীর্ন সবুজ ফসলের মাঠ। তারই মাঝে যেন আরো একটু বেশি সবুজে মাখামাখি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ। নান্দনিক স্থাপত্য, মর্মর প্রাসাদের মত শ্বেতবর্ন ভবন, বিশাল গম্বুজ যেন গৌরবময় ঐতিহ্যের দ্যোতক। প্রবেশপথের ঠিক উপরে উৎকীর্ন লিপি- “সু-শিক্ষিত জনই সু-বিবেচক”, শিক্ষাদীক্ষার এই মহার্ঘ আয়োজনের মূল লক্ষ্য ঘোষনা করছে।
সারা কলেজ সেজেছে নবীন বরনে। নতুন ক্যাডেটরা আসছে একে একে, আর দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা তাদের বুঝে নিচ্ছেন। কার কোন হাউস সেখানেই ঠিক হয়ে যাচ্ছে। স্যারদের দেখে আমি মোহিত- কি চলন বলন, কি পোষাক আশাক, আমার এতদিনের চেনা স্কুল শিক্ষকদের চেয়ে কত আলাদা! কাগজপত্রের কাজ সেরে গার্জেন সহ অডিটরিয়ামে গিয়ে বসলাম। একটু পরেই কলেজের বাদবাকি ক্যাডেটবৃন্দ আডিটরিয়ামে আসলেন। তাদের গায়ে সামরিক বাহিনীর মত পরিপাটি উর্দি, পায়ে ঝকঝকে জুতো, ধাতব অশ্বক্ষুরের সাথে মেঝের সংঘর্ষে জোর শব্দ উঠছে, কেতাদূরস্ত তাদের আচার, আর মুখে চোস্ত ইংরেজি। যত দেখি ততই মুগ্ধ হই। এসবই আমার নিতান্ত অচেনা। আমি মফঃস্বল শহরের জেলা স্কুলের মুখচোরা ছেলে, এই পরিবেশে পড়ে যেন মিইয়ে যেতে থাকি। আমরা ভর্তি হচ্ছি ক্লাশ সেভেনে, আমাদের সাথে বসানো হল ক্লাশ এইটের ক্যাডেটদের।

আমকে শিখিয়ে পড়িয়ে নেবার ভার দেয়া হয়েছে ক্লাশ এইটের মঞ্জুর মোর্শেদ ভাইকে। জানলাম ক্যাডেট কলেজের পরিভাষায় তিনি আমার “লকার পার্টনার”। আমার পাশে বসে নানা বিষয় বুঝিয়ে দিচ্ছেন। কথা বার্তা ইংরেজিতে, আমি তাল রাখতে হিমশিম খাই। ওদিকে আমার গার্জেন উনার আদবকেতা দেখে আর কথাবার্তা শুনে পরম মুগ্ধ। নাহ- ছেলেকে একবারে ঠিক জায়গায় দেয়া হয়েছে। ফেরার তাড়া ছিল, তাই আমার পরিবার একটু আগেই বিদায় নিলেন।

নবীনবরনের বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে- “কারেন্ট এফেয়ার্স ডিসপ্লে”। ছবি, প্রতিকৃতি, ধারা বিবরনী, আর খন্ড খন্ড অভিনয়ের মাধ্যমে নিপুন ভাবে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া কিছু গুরুত্ত্বপূর্ন ঘটনা। আমি এর আগে চারটে স্কুলে পড়েছি, এমন অনুষ্ঠান কোথাও দেখিনি। অমন বিরাট সুন্দর অডিটরিয়ামও কোন স্কুলে ছিল না। আর ধারাভাষ্যের কথা কি বলব, অমন চোস্ত ইংরেজি আগে কখনো শুনিনি, পরেও খুব বেশি না। মনে হচ্ছে এখানে আসার কষ্ট সার্থক হলো। অনুষ্ঠান শেষে প্রিন্সিপাল স্যারের স্বাগত ভাষন। তিনি সেনাবাহিনীর অফিসার লেফটেনেন্ট কর্নেল সৈয়দ আশরাফুজ্জামান। ভাষন শেষে আমরা ধীরে ধীরে নির্দিষ্ট হাউসে গিয়ে উঠলাম, সাথে লকার পার্টনার পথের দিশারী।

৩। এপাড়ে তোর বসত বাড়ি

আমার ঠাঁই হল খাইবার হাউসে। অন্য দুটো হাউসের নাম বদর ও হুনাইন। নামগুলো একটু অদ্ভুত লাগছিল, কারন এতদিন দেখেছি আমাদের দেশে সব জিনিষের নাম হয় বিখ্যাত মনীষিদের নামে। এই নামগুলো কাদের! পরে জেনেছি এসব হচ্ছে ইসলামের ইতিহাসে তিনটি গুরুত্ত্বপূর্ন যুদ্ধক্ষেত্রের নাম। ক্যাডেট কলেজের জন্ম ও লালন পালনে যেহেতু সেনাবাহিনির ভূমিকা মূখ্য, সেখানে ছেলেদের হোষ্টেল গুলো রণক্ষেত্রের নামে হলে বেশ মানিয়ে যায়।

হাউস সাদা চুনকাম করা দোতলা দালান, টানা বারাদার দুপাশে সিঁড়ি। আমরা নতুন চারজন পেয়েছি দোতলার প্রথম কামরা। সেখানে ক্লাশ নাইনের দুজন, এইটের চারজন, আর আমরা চার- একুনে দশজন নিয়ে আমার ডর্ম সিক্সের অধ্যায় শুরু হলো। এতক্ষনে নিজেদের মধ্য আলাপ পরিচয়ের সু্যোগ পাওয়া গেল। একজন আশরাফ, ছেলেবেলায় ওর সাথে কিছুদিন পড়েছিলাম। আরেকজন নাদিম, কলেজের সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক জনাব আব্দুল করিমের ছেলে। ভারী হাসিখুশি, চটপটে, চমৎকার গান ও ইংরেজি কবিতা আবৃত্তি করে। আর আছে বাবুগঞ্জের সায়িদ খান। অমায়িক মিশুক ছেলে, তবে ভাষা নিয়ে বোধহয় কিছু সঙ্কোচে ছিল। আমাকে বলে “মাহাবুব ভাই, চলুন আমরা হাতমুখ ধৌত করিয়া আসি”। ওর ভাষা শুনে সবাই মোহিত। বহুকাল আগে ভটচায বামুন পন্ডিতেরা নাকি এমন ভাষায় কথা কইতেন। আমার নিজের ভাষার অবস্থাও বিশেষ সুবিধার না। আঞ্চলিক টানে বেশ সম্বৃদ্ধ। যাহোক, নিজেদের মধ্যে দ্রুতই ভাব হয়ে যায়।

রাতে খাবারের সময় হলো। ক্যডেট জীবনের প্রথম আহার। প্রকান্ড ডাইনিং হলে সারি সারি চেয়ার টেবিল পাতা, দেয়ালে ঝুলছে সেনাবাহিনির নানা ইউনিটের ক্রেষ্ট। প্রথম খাওয়ার ব্যাপারটাও মনে রাখার মত আনুষ্ঠানিকতায় ভরপুর। সবার টেবিল ছ্যার সবই আগে থেকে ঠিক করা। সেখানে সবাই দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। ডিউটি মাস্টার, এবং প্রিফেক্টগন আসন নেবার পর বাকি সবাই বসলাম। কলেজ প্রিফেক্ট এবার একটা ঘন্টা বাজিয়ে হাঁক দিলেন “ডাইনিং হল প্রিফেক্ট! বিসমিল্লা হির রহমানির রাহিম”। অন্য প্রান্ত থেকে ডাইনিং হল প্রিফেক্ট উত্তর করলেন, “জেন্টলমেন ক্যডেটস! বিসমিল্লা হির রহমানির রাহিম”। এরপর খাওয়া শুরু। যদ্দুর মনে পড়ে, মেনু ছিল সাদা ভাত, মাংস ও ডাল। কাঁটা চামচ হাতে সেই খাবার আত্মস্থ করতে রীতিমত প্রশিক্ষন নিতে হয় আমাকে।কথাগুলি এত ইনিয়ে বিনিয়ে বলাছি কারন এরকম কঠিন অথচ সুচারু ব্যবস্থা, এমন আদব-কেতা, শৃংখলা- সবকিছু আমার কাছে এতই নতুন ও চমকপ্রদ ছিল যে, মনের ভেতরে শক্তভাবে গেঁথে গেছে। লিখতে বসে এতকাল পরেও প্রতিটা মূহুর্ত আবার জীবন্ত হয়ে ফিরে আসছে।

ডিনারের পরে হাউস মাষ্টার, হাউস টিউটর প্রমুখ স্যারদের সামনে সবাইকে ডাকা হলো। এঁরা বিচক্ষন মানুষ আমাদের মনের অবস্থা তাঁদের অজানা নয়। আমাদের কারো কারো ভেতরে হয়তো ছিন্ন নাড়ীর বেদনা ঘনিয়ে আসছে বেশ বুঝতে পারছেন। সহৃদয় ব্যাবহার এবং মধুর ভাষনে নবাগতদের নতুন পরিবারের সাথে একাত্ম করে নিতে চাইছেন। পড়াশোনার বাইরে কার কি শখ আছে, খেলাধূলা, গান, কবিতা, অভিনয় এসবে কার কেমন আগ্রহ জানতে চাইলেন। ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনার মতই এসব বিষয় ভীষন গুরুত্ত্বপূর্ন। আমি অবাক বিস্ময়ে দেখি নতুন ছেলেরা সবাই একেকজন গুনী। কেউ ফুটবল খেলে তো কেউ ক্রিকেট, কেউ টেবিল টেনিস তো কেউ বা দাবা। কারো গানের গলা চমৎকার, কেউবা আবৃত্তি করে তাক লাগিয়ে দেয়। হতেই হবে- সারা দেশের বাছাই করা সব ছেলে। সবার জন্য একধরনের অনুরাগ জন্ম নেয় সেই প্রথম লগ্নেই।

এভাবে প্রথম রাতের কিছুটা অংশ বেশ সুন্দর ভাবে কেটে যায়। পরে যে যার ডর্মে ফিরে যাই। নতুন বিছানার চাদর থেকে গন্ধ আসছে। মশারী খাটানোর কায়দা শিখিয়ে দিলেন মঞ্জুর ভাই। আমরা নতুন চারজন এই ঘরে কেমন যেন ঘোরলাগা অনুভূতি নিয়ে ঘুমোতে যাই। নতুন জীবনের প্রথম নিদ্রা আমাদের অতীতের সাথে অমোঘ যতিচিহ্ন এঁকে দেয়। রিপ ভ্যান উইংকল যেমন জেগে উঠেছিল সম্পূর্ন অন্য এক জগতে, তেমনি আমরাও আর কোনদিন জাগবোনা আমাদের ফেলে আসা সকালে।

২,৪৫১ বার দেখা হয়েছে

২৪ টি মন্তব্য : “প্রথম দিন”

  1. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    সেই সব স্মৃতির বাগান । সেই সব সখ্যতার বুননে গাঁথা সোনালী লেস ।
    আজো অম্লান, রৌদ্রকরোজ্জ্বল আসমান সমান ।
    ইচ্ছে হলেই চোখে ভাসে এ ও সে সকলে অনিমেষ ।
    প্রতিটি দিন, ক্ষণ আমরণ রইবে স্মৃতিষ্মান ।

    জবাব দিন
  2. সাইদুল (৭৬-৮২)

    মঞ্জুর মোর্শেদকে শেষ কবে দেখেছো জানিনা। এখন টাক ও দাড়িতে তাকে চিনতে কষ্ট হবে।
    লেখাটা অসাধারণ হয়েছে। (সম্পাদিত)


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন
  3. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ক্যাডেট কলেজ গুলার হাউজের নামকরণ অনেক ক্ষেত্রেই বেশ প্রশ্নবিদ্ধ।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  4. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ক্যানো জানি না বাবা-মা ছেড়ে দূরে থাকতে কখনোই খারাপ লাগে নি।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
  5. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    এক লহমায় আমাদের সেই দিন ফিরে এলো। এই তো সেদিন!
    কেমন স্বপ্নের মত সব মুহূর্ত। কি সুন্দর করেই না আঁকলেন!

    ডাইনিং টেবিলের অধ্যায়ে এসে চেয়ারটা 'ছ্যার' হয়ে গেছে ফন্ট বিভ্রাটে। সেটাও কত আপন লাগছে। ক্লাস সেভেন হলে ফিক করে হেসে দিতো আর তারপরেই উপুর্যপরি হুঙ্কারের মুখে ফ্রন্টরোল। 😀

    জবাব দিন
  6. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    চমৎকার নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হ'লাম। ডিটেলসগুলো আকর্ষণীয় হয়েছে।
    "আমার বাবা তাঁর স্বভাবসুলভ নিষ্ঠায় কলেজ কর্তৃপক্ষের সব নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন" - আমার বাবাও ঠিক তেমনটিই ছিলেন। সব বাবাব্রাই কি এমনই হয়?

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।