রাগ ভীমপলাশী। শুনলেই কেন জানি বিষণ্ণ হয়ে পড়ি। এত দীর্ঘ বাদনের শেষপর্যন্ত যেতে পারাটা চ্যালেঞ্জিং হবে।
প্রচুর বিচ্যুতি এবং ভুলভালসমেত নিবেদন করছি। আলস্য এবং অক্ষমতা কবুল করতঃ ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।
১৮ টি মন্তব্য : “আবোলতাবোল বাজনা – ৩”
মন্তব্য করুন
রাগ ভীমপলাশী। শুনলেই কেন জানি বিষণ্ণ হয়ে পড়ি। এত দীর্ঘ বাদনের শেষপর্যন্ত যেতে পারাটা চ্যালেঞ্জিং হবে।
প্রচুর বিচ্যুতি এবং ভুলভালসমেত নিবেদন করছি। আলস্য এবং অক্ষমতা কবুল করতঃ ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।
:hatsoff: :hatsoff:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙂 🙂
সময় নিয়ে শুনতে হবে। শিশুকালে আমাকে গানের স্কুলে যেতে হয়েছিলো। যখন গলা ভাংতে শুরু করলো নিজেই বুঝলাম কণ্ঠস্বর কুৎসিত (!) হয়ে যাচ্ছে। আর শেখা হয়নি। আরও গল্প আছে একদিন লিখবো
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
সাইদুল ভাই,
সে গল্প শোনান আমাদের। আর এটি না শুনলেও ক্ষতি নেই। আমি আজ শুনছিলাম অজয় চক্রবর্তীর ভীমপলাশি।
বর্তমানে আমাকে যে কাজটি করতে হচ্ছে, সেটি হলো আকাশের আঁচলে প্রত্যাবর্তনযোগ্য শব্দ পাঠানোর খেলা। ফিরে আসা শব্দটি কতটুকু বদলে গেল সেটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা। একরকম কবিতা লেখাই, আর কি!
'আঁচল' বলতে বুঝিয়েছি আকাশের একটি স্তর, বিজ্ঞানের পরিভাষায় তার নাম 'আয়নোস্ফিয়ার'। আর 'শব্দ' পাঠানোর যন্ত্রটির নাম 'আয়নোসন্ড'। আমার কাজে যে ডাটার ব্যবহার, মানে যাকে 'ফিরে আসা শব্দ' বলেছি, সেগুলোর 'র'-ফর্মের নাম 'আয়নোগ্রাম'। প্রতিদিন পাঁচ মিনিট পর পর এই খেলা খেলে খেলে যন্ত্রটি একেকটা দিবস-রজনীতে মোট ২৮৮ টি 'আয়নোগ্রাম' জন্ম দেয়। এগুলো দেখতে অনেকটা 'এক্সরে' কিম্বা 'ইসিজি' কিম্বা 'আল্টাসনোগ্রাফ'-এর মতো। 'র'-ডাটাকে গবেষণাযোগ্য ডাটায় রুপান্তর করতে হলে এর বিভিন্ন ফিচারগুলি চিহ্নিত করতে হয়। একে বলে স্কেলিং। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি আছে, তবে মানুষের বিচারশক্তির কাছে সেসব শিশু। তাই গবেষণায় ভাল ফল পেতে চাইলে ম্যানুয়াল স্কেলিং-এর বিকল্প নেই। ব্যাপারটা প্রচণ্ড মনযোগ দাবি করে, সেই সাথে বিরক্তিকর ও ক্লান্তিপ্রদায়ক।
তোমার বাজনা শুনতে শুনতে একদিনের স্কেলিং মাত্র একঘন্টায় করে ফেললাম। (সম্পাদিত)
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ
মোস্তফা ভাই ,
আপনার প্রতিদিনের কাজ দুরূহ এবং রোমান্টিক।
আর এ অক্ষম বাজনা নিয়ে আপনার মন্তব্য, বিশেষ করে একদিনের স্কেলিং একঘণ্টায় ঘটে যাওয়ার কথা শুনে কেমন যে অনুভূতি হল বলার নয়।
বাব্বাহ! তুমি এত কিছু করো, মোস্তফা? :hatsoff:
খায়রুল ভাই,
আমার নেশা ও পেশা পরস্পরের অব্যর্থ শত্রু!
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ
:clap: :clap: :clap: :clap:
আহ! আ পারফেক্ট উইকেন্ড বিগিনস উইথ ইউ! কেয়া বাত, নূপুর!
একটি গল্প বলি, শোন।
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খানের মিউজিক খুব পছন্দ করতেন আমাদের রবি কবি। গুরুদেবের নিমন্ত্রণে শান্তি নিকেতনে মাঝেমধ্যে বাজাতে আসতেন ওস্তাদজী। তখন তাঁকে থাকতে দেয়া হতো রবি ঠাকুরের সবচেয়ে কাছের ঘরটিতে। শান্তিনিকেতনে অবস্থানকালীন সময়ে আলাউদ্দিন খান তাঁর নাওয়া খাওয়ার সময়টুকু ছাড়া বাকী সময়টুকু ঘরে বসে বাজাতেন কবির জন্য।
একদিন কবির একজন ভক্ত ওস্তাদজীকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি দিনরাত বাজনা বাজাচ্ছেন কেন? এখানে তো কেউ নেই, কার জন্য আপনি বাজান? উত্তরে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান বললেন, কবিগুরু সদা ব্যস্ত মানুষ; উনি কখন অবসরে থাকেন তা আমার জানা নেই, তাই আমি দিনরাত বাজিয়ে যাই। কাজের ফাঁকে ফাঁকে গুরুদেবের যখন অবসর হবে তখনই তিনি যেন আমার বাজনা শুনতে পারেন।
মুগ্ধতায় ডুবে আছি। ফোনের ভয়েস মেমোসে তোমার সুদীর্ঘ এবং সুবাদ্য ভীমপলশ্রীকে তুলে রাখলাম; দিনের সকল কাজ ও অকাজের ফাঁকে ফাঁকে আবারও এক টুকরো নূপুরকে পাবো বলে! :clap: :clap:
(সম্পাদিত)
আলাউদ্দিন খাঁর এ কাহিনী আমার জানা আছে আপা। কি নিষ্ঠা আর শ্রদ্ধা -- ভাবো!
এই সেরেছে -- এটা ভীমপলশ্রী ( বা ভীমপলাশী) হয়নি, তার ছায়া হতে পেরেছে কি না কে জানে।
এমন তারের দ্যোতনা কর্ণকূহরে প্রবেশ করলেই কেমন যেনো এক ভাবালুতায় গ্রাস করে নেয়। আর তা যদি হয় বিষন্নতার জল মাখা তবে তো... তবে তো......
হোক বিষন্নতা, হোক আনন্দ, বাজুক তোমার বীনা... বাজুক সেতার.... বাজুক সরোদ..... বাজুক মোহন বাঁশী.....
বাজুক সকলি, অনুভবের সুখ-দু:খ-হেয়ালী।
:boss: :boss:
🙂 🙂 🙂
অশেষ ধন্যবাদ লুৎফুল ভাই!
বাহ, নুপুর ভাই অনেক সুন্দর বাজায়ছেন। এমনিতে বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন রাগ সঙ্গীত শুনছিলাম। এখন রাগ অনেক ভালো লাগে। নুপুর ভাই সত্যি আপনি অসাধারন মানুষ। শুভকামনা। :clap:
হা হা জিয়া। একজন সাধারণস্য সাধারণ মানুষ আমি।
আমিও মূলত শ্রোতাই। তোমার মন্তব্য আমাকে কি যে অনুপ্রাণিত করলো!
🙂 🙂 🙂 🙂
সিসিবিতে প্রায় তেইশ মিনিট ধরে বাজাতে গাটস লাগে, নূপুর! তোমার সেই গাটস আছে বলতেই হবে। রাগ অনুরাগের জন্য তেইশ মিনিট এক লহমা বৈ তো নয় জানি তবুত্ত সাহস থাকা চাই। তোমার সুরের টানে ঘুম ভাংলো আজ। আবারও বিনা সুদে তেইশ মিনিট ধার দিতে হলো তোমাকে। শুনতে শুনতে মনেহলো, You are the music while the music lasts!
বোকারা না বুঝে যা করে থাকে তাকেই সাহস বলে ভ্রম হয় আপা , নয়?
:clap: :clap: :clap:
মুগ্ধ হয়ে তোমার এই 'আবোল তাবোল' বাজনাটাই শুনে গেলাম। শুনতে শুনতে এরই ফাঁকে অবশ্য একটা কবিতাও লিখে ফেলেছি। বাজনার শেষটুকু বড়ই চমৎকার লেগেছে আমার এ অপ্রশিক্ষিত কর্ণযুগলেও।
ওয়েল ডান!
অশেষ ধন্যবাদ খায়রুল ভাই!
দুঃখিত বেশ কয়েকদিন পর জবাব দেবার জন্যে। ব্যস্ততার জন্যে ক'দিন মন্তব্য করে উঠতে পারিনি।
ধন্য হলাম খায়রুল ভাই, যে, আমার অক্ষম সুর আপনার কবিতা লেখার উপলক্ষ হতে পারলো।
বাজনার শেষ অংশের নাম 'ঝালা'।
লেখাটা কি শেয়ার করবেন এখানে?