ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (ছ)

মানুষজন ইদানিং বুঝে রসিকতা করে নাকি দৈব্যক্রমে ঘটে যায় সেটা চিন্তা করি। সেনানিবাস থেকে বাসে করে অফিস যাচ্ছি। ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের এই রুটে ছাড়া নতুন বাস। জ্যামে আটকা পড়ে বিরক্ত কন্ডাক্টর ছেড়ে দিল ধুমধাড়াক্কা হিন্দী গান। মিনিট দুয়েক সহ্য করার পর পিছেন থেকে গোটা কয়েক যাত্রী বজ্রনিনাদে বকাঝকা শুরু করলেন, “ঐ শালা বান্দীর বাচ্চা হেল্পার, এইটা ইন্ডিয়া পাইছস? গান ছাড়লে বাংলা গান ছাড়!” ঘটনার আকস্মিকতায় কন্ডাক্টর তড়িঘড়ি করে গান বন্ধ করে বক্স থেকে আরেকটি সিডি বের করে ছেড়ে দিতেই হেসে দিলাম।

বিস্তারিত»

সাদা বাড়ি থেকে ব্লগ বাড়ি

বিকেলের রোদ খানিক মরে এলে আমরা সত্যধামের ছাদে খেলতে যেতাম। আমাদের নিজেদের অতো বড় ছাদ থাকতে সত্যধামের ছাদে খেলতে যাওয়া কেনো সেটি একটি প্রশ্ন হতে পারে বটে কিন্তু উত্তর কে দেবে?

ময়মনসিংহে আমাদের বাবা চাচাদের বাড়িগুলো পাশাপাশি। আমাদের তিনটে বাড়িই দোতলা; সাদা রঙের। বড় চাচার বাড়িটি মাঝে, হাতের ডানে আমাদের বাড়ি; বাঁয়ে ছোট চাচার। আমাদের বাড়িটির সামনে বড়সড় একটি বাগানবিলাস আছে; ডালপালা মেলে সেটি তিনতলার ছাদ অবধি ছুঁয়েছে।

বিস্তারিত»

চিন্তা খেলা করে ১

মনখারাপের সুর

ম্যাকাও পাখির মতো মন খারাপ করে বসে ছিলাম সারা বিকেল, সারা সন্ধ্যা। ছুটির এইসব একান্ত অবসরে ইদানিং একাকিত্বই ভালো লাগে। একাকিত্বের কাছে সময় চাইলে কখনোই ফিরিয়ে দ্যায় না ও। এছাড়া শহরভর্তী অগুণতি ব্যস্ত মানুষ। কার কাছে সময় চেয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি, তাই একাই এ শহর হেঁটে বেড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। শহরভর্তী মায়া মায়া মানুষ। যেন ঈদ উদযাপন। প্রেমিকাদের পারফিউমের গন্ধে সমাচ্ছন্ন প্রেমিকেরা ঘুরে বেড়ায় চারপাশে।

বিস্তারিত»

আলাপন ১

আশিস‘দা,

কেমন আছো?

মনে আছে, সেবার মেলায় যাবো বলে কী বায়নাটাই না ধরেছিলাম! মেলা বসে সকালে, বিকেলের মধ্যেই গুটিয়ে যায়। সেই সময়টায় আব্বা থাকেন অফিস নিয়ে। উপায়? … আমার স্পষ্ট মনে আছে, সেদন ছিল মেলার শেষ দিন। অগত্যা তোমার সাথে পাঠালেন আমাকে আম্মা। ভয়ে তোমার চেহারা হয়েছিলো দেখবার মত, যদি আমার কিছু হয়?… বিশ টাকা দিয়েছিলেন আম্মা; হাঁড়িপাতিল আর পুতুল কিনেই যখন টাকা শেষ,

বিস্তারিত»

অদ্ভুত এক মানসিক অবস্থা, নাম তার “বাই পোলার ডিজঅর্ডার” – (প্রথম পর্ব)

আমাদের আশেপাশে এমন অনেককেই দেখি, যারা সময় সময় কি যে উৎসাহের সাথে নানান উদ্যোগে ঝাঁপিয়ে পড়েন, উচ্ছাসে উল্লাসে ভরপুর হয়ে ওঠেন, আবার হঠাৎ করেই তেমন কোন কারন ছাড়াই নিজেদের গুটিয়ে নেন সব কিছু থেকে। আর তা এতটাই যে আমরা গভীর ভাবনায় পড়ি, “হলোটা কি ওর? এই না সেদিন দেখলাম, কি দারুন প্রানোচ্ছাসে ভরপুর? আর আজ………?”

অনেক সময়েই এঁদের এইসব অচরনকে আমরা “খামখেয়ালিপনা” ভেবে তাদেরকে “খেয়ালি মানুষ”

বিস্তারিত»

হযবরল

আমি মানুষ। অন্যান্য মানুষদের মতই আমারও দুইখান হাত, দুইখান পা ইত্যাদি ইত্যদি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পাশাপাশি স্বাভাবিক নিয়মে একখান মাথাও আছে। আর সেই মাথার উপর বর্তমানে একখানা বড়সড় আকৃতির পাহাড় উঠে বসে আছে। পাহাড়খানা কাজ দ্বারা নির্মিত । বড়ই নাছোড়বান্দা সেই পাহাড়। তবে আমিও কি কম যাই। পাহাড়টারে ঘাড় ধরে মাথা থেকে নামায়ে ব্লগ লিখতে বসলাম। কারণ হঠাৎ মনে হইলো আমার একখান ব্লগ লিখতে হবে। কেন লিখতে হবে সেই ব্যাপারে আমার একমাত্র মাথাকে জিজ্ঞেস করেও তেমন কোন সদুত্তর পাওয়া গেলোনা।

বিস্তারিত»

যেভাবে লিখি

kobita
“There is nothing to writing. All you do is sit down at a typewriter and bleed.”
“You can get hurt bt u enjoy it.”
প্রতি সন্ধ্যায় বসি কালো স্ক্রিনে…ব্যাক্তিগত ডায়েরী লিখি কবিতার কোডে। খানিক দুর্বোধ্য, আপাত নিরর্থক শব্দবন্ধে……কোনো কোনো দিন ctrl s না চেপেই ওঠে যাই, কতকিছু লেখা হয় না কোনদিন…কতদিন লিখবো ভেবে লিখতে বসে ভুলে যাই। যে দুঃখ পৃথুর,সে দুঃখ আমারও।

বিস্তারিত»

প্রলাপ ১৪

Copy of DSC_0613

জাদু বাস্তবতার গল্পে কী থাকে? ঘর! …ঘর পেরুলেই নীল হ্রদ…যতদূর চোখ যায় নীল,নীল…নীলের পর আবার নীল পাহাড়ের সারি…দূরে আরেকটা নীল পাহাড়ের সারি…কাছেরটা গাঢ়,দূরেরটা ঝাপসা…ঝাপসা হতে হতে শেষে আকাশে গিয়ে মেশে নীল।সেখানে লাল আর কমলার এলোমেলো পোচ…হাওয়া লেগে ছড়িয়ে যাওয়া রঙিন মেঘ। এই রঙিন মেঘগুলোই ফড়িঙ হয়।

রঙিন মেঘ ফড়িঙ হয়
আকাশ ছোঁয় হাওয়ার টান
মাচার ‘পর পরীর ঘর
হলুদ রঙ পাখির গান

হলুদ রঙ পাখির গান
মাতাল সুর,

বিস্তারিত»

ইসিএফ-এর চলমান ইভেন্ট টয়েজ আর ইওরস…

যতদুর জানি, ইসিএফ (এক্সক্যাডেটস ফোরাম) এখনো কোন আনুষ্ঠানিক সংগঠিন না। মূলতঃ এটি তরুণ এক্সক্যাডেটদের একটি ফেসবুক ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম।
কোন সংগঠনকে কার্যকর হতে হলে তাঁর আনুষ্ঠানিক অস্তিত্ব যে জরুরী হতেই হবে, এমন ধারনার প্রতি তাই ইসিএফ একটি চ্যালেঞ্জ।

তবে আশার কথা, ইসিএফ নিয়ে ভাবনা চিন্তা ও প্রস্তুতি চলছে একে আনুষ্ঠানিক রূপ দেবার। আশা করছি, অচিরেই তা হয়ে যাবে।

আজকের লিখাটা ইসিএফকে পরিচয় করানোর জন্য না।

বিস্তারিত»

ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (চ)

শ্যাম্পু কিনতে ভুলে গিয়েছিলাম। বাথরুমে অনেক দিন আগে থেকেই দেখছি মেরিল বেবী শ্যাম্পুর একটি শিশি পড়ে আছে। সম্ভবত আমার ভাতিজি ওয়ারিশার মাস তিনেকের অবস্থানের সময় কেনা হয়েছিল। রাত বাজে প্রায় দেড়টা। ঈদের পরে প্রথম অফিসের আগের রাতে ঘুমাতে দেরী হয়ে যাচ্ছে চিন্তা করতে করতে শিশিটা হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখে নিলামঃ ‘E-09/16’ যাক তাহলে এখনো তারিখ আছে। হাতে নিয়ে মাথায় ডলে দিতেই পরিচিত সেই গন্ধ। শিশুদের গায়ের সেই চিরচেনা গন্ধ।

বিস্তারিত»

Too much Water in Wrong Place (চীনা বিড়ম্বনা, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা – ১)

আমেরিকা আসার পর সবচেয়ে বেশি যা দেখেছি আর মাঝে চাইনিজ মানুষজন অন্যতম। তাদেরকে নিয়ে মনেহয় সবারই কম-বেশি অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি আমার কিছু শেয়ার করলাম।

 ক্লাস শুরুর আগে একটা ইন্টারন্যাশনাল ষ্টুডেন্ট অরিয়েন্টশন হয়। তা অরিয়েন্টশনের দিন, আমার পাশে বসেছিল এক চাইনিজ ছেলে, জনি (ইংরেজি নাম)। তা কথায় কথায় জানতে পারলাম সে পরিবেশ বিজ্ঞানে ০২ সেমিষ্টারের জন্য এসেছে, ট্রান্সফার ষ্টুডেন্ট বলে যাকে। তা নিজের ফীল্ডের কাছাকাছি বলে ভাবলাম কথা চালিয়ে যাই।

বিস্তারিত»

বিজিস-এর “ট্র্যাজেডি” শোনার পর…

ট্র্যাজেডির আনন্দ
===============
সারাদিন যত ব্যস্ততায়
যত আনন্দময়তায়
যত বন্ধু-বাৎসল্যতায়
কাটুক না কেন
তোমার সময়,
আমি জানি –
রাত এলে, কী এক শূন্যতা
ঘিরে ধরে তোমায়।
বিশিষ্ট এক শূন্যতা-উদ্ভুত একাকিত্ব,
কুরে কুরে খায় তোমায়।
সকাল অবদি কুরে কুরে খায় –
আর ক্লান্ত করে,
ক্লান্ত, ক্লান্ত করে তোমায়।

ক্লান্ত চোখে ঘুম ভেঙ্গে যখন
তুমি ওঠো,

বিস্তারিত»

লাইবেরিয়ার ডায়েরি

লাইবেরিয়া এসেছি প্রায় ১ মাস হতে চলল। নতুন একটা দেশে আসলে কেন যেন আপনা থেকেই নিজের দেশের সাথে একটা তুলনা চলে আসে। লাইবেরিয়ার সাথে তুলনা করলে আমরা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতেই পারি কিন্তু লাইবেরিয়া তুলনা করার মত কোন দেশ কিনা সে প্রশ্নটাই প্রথমে আসে, যে দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন চলছে সে দেশের সাথে তুলনা করা কোন কাজের কথা নয়।

লাইবেরিয়ার আবহাওয়া, ভূমি বৈশিষ্ট্যের সাথে বাংলাদেশের অসাধারণ মিল।

বিস্তারিত»

আমাদের কোরবানী হয়তো কবুল হতো

আমাদের কোরবানি বোধ হয় কবুল হতো। শৈশবের কোরবানি। আমাদের বাড়িতে ছিলো বারোটি ঘর। বারো ঘরের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিলো বারো রকম। কেউ চারটা গরু কোরবানি দিতো, আবার কেউ কোরবানি দিতে পারতো না অর্থাভাবে। গ্রামের সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত মুসলিম বাড়ি। ঐতিহ্য ধরে রাখার খাতিরে অনেকেই ধার দেনা করে একটা গরু কোরবানী দিতো। কেউ কেউ ভাগে। দুই পরিবার মিলে একটা বা কখনো তিন চার ঘর।

বাড়ির অদূরেই ছিলো গরুর হাট।

বিস্তারিত»

দুঃসংবাদের জন্য দৈনিক পত্রিকা, সুসংবাদের জন্য ফেসবুক


উপরের শিরোনামটি লেখার পর একবার ফেসবুকে ঢুঁ মারলাম। প্রথম খবরটিই ছিল একটি দুঃসংবাদ। জিহাদের বাবা আর এই পৃথিবীতে নেই। আমাদের জিহাদ। এই ব্লগের একজন মুখ্য কারিগর। কত বয়স জিহাদের? ত্রিশের আশপাশ কিছু হবে। সত্তর বছর বয়সে যার মা মারা যান তিনিও দুঃখ পান। অবশ্য বৃদ্ধাশ্রমের অধিবাসীদের সন্তানদের কী অবস্থা তা হয়তো জানি না। সে খবর আপাতত না জানলেও চলবে। জিহাদ এখন কী ভাবছে?

বিস্তারিত»