টু হুম ইট মে কনসার্ন – চল্লিশের আত্মকথন

টু হুম ইট মে কনসার্ন – চল্লিশের আত্মকথন

এটা কেবলমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একটা জনসচেতনতামূলক লেখা। নিজদায়িত্বে পড়তে হবে এবং লেখার কোন অংশের জন্য লেখককে কোনভাবেই দায়ী করা যাবে না। লেখাটা কিছুটা পুরুষ মানষ থেকে লেখা; নিজের জেণ্ডার এবং বয়সের উপলব্ধির রিফ্লেকশনস মাত্র। এখানে লেখককে জেণ্ডারবিদ্বেষী না ভাবাই স্বস্তিকর, কারন এটা এই লেখাটার একটা বড় দূর্বলতা, আর নিজের দূর্বলতা কেই বা আলোচনায় আনতে চায়?

বিস্তারিত»

পাহাড়ের দিনলিপি-২

DSC_0529
Good Morning Sunday…সকাল থেকে আকাশ মেঘলা…এই মধ্য কার্তিকে, এই হেমন্তে বৃষ্টি হওয়ার কথা না…কাল দুপুর পর্যন্ত আঝোর বৃষ্টি হয়েছে…ঠিক ভাবে বললে মন্ত্রী আসার আগ পর্যন্ত…অথবা মন্ত্রী বৃষ্টি থামতেই এসেছেন…রেইনকোট পড়ে বৃষ্টিতে হাটতে হাটতে ভেবেছি এই কার্তিকের বৃষ্টি নিয়ে কেউ কবিতা লিখেছেন কিনা…ভেবে পাইনি…রাতে ঘরে ফিরে নেটে ঘেটেছি…পেয়েছিলামও…এখন মনে নেই…তাই অফিসে বসেই খোঁজ করছি…পাচ্ছি না…অস্থির লাগছে…
কাল রাতে কোন কোন পেজ গুলো ব্রাউজ করেছি?

বিস্তারিত»

নারীর কোন দেশ নাই

ভাবছিলাম, শততম ব্লগটি কি নিয়ে লিখবো?
চোখের সামনে ঘটে যেতে থাকা একটা বিষয়, যা আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছে, There is no country for Women – ভাবলাম, সেটা নিয়েই লিখি…

এদেশে যৌন হয়রানি হয়।
ভালরকমেরই হয়।
অথচ এটার প্রতিকার পাবার জন্য সুনির্দিষ্ট কোন আইন নাই।
একবার একটা আইন হয়েছিল, পরে তা সংশোধন করে হয়রানির ক্লজটা বাদ দেয়া হয়।
তাহলে কি যৌন হয়রানি করে যে কেউ পার পেয়ে যেতে পারবে?

বিস্তারিত»

কেটলি আছে, চা কই?

কাজের কারণে দেশের নানা জেলায় যেতে হয়। কখনও রেলগাড়িতে, কখনও বাসে, কখনও বিমানে। দু-তিন দিন করে থাকাও হয়। হোটেলে থেকে কাজ করা বেশ অন্যরকম অভিজ্ঞতা। হোটেলগুলোর স্থাপত্যকলা চমৎকার, থাকার রুমগুলো ঝকঝকে, আসবাবপত্র অপূর্ব, গোসলখানা আরামদায়ক! সুইমিং পুল আছে, শরীরচর্চার জন্য জিম আছে। কোথাও-কোথাও আবার বারও আছে। মনে হয় পারলে হোটেলেই থেকে যাই। ঢাকায় ফেরার দরকার নেই।
তবে প্রায় প্রতিটি হোটেলেই আপ্যায়নের অভাব। আর এতেই ভাটা পড়ে আমার উৎসাহে।

বিস্তারিত»

চিন্তা খেলা করে ২

ট্রেনে যেতে যেতে

ট্রেনে যেতে যেতে অনেক কিছুই মনে পড়ে যায়। সবকিছুই ট্রেন কেন্দ্রিক। ভাবি, রবী বাবুর ‘হঠাত দেখা’ কবিতার মতো দেখা হয়ে যাবে কোন ডুরে শাড়ি পড়া নারীর সাথে। যেতে যেতে কতো যে গল্প হবে আমাদের। তারপর কোন অচেনা স্টেশনে সে নেমে গেলে মনে হবে, ফেসবুক আইডিটা সাহস করে চাইতে পারতাম।

আবার, পথের পাচালির অপু আর দুর্গাকে মনে পড়ে।

বিস্তারিত»

ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (ছ)

মানুষজন ইদানিং বুঝে রসিকতা করে নাকি দৈব্যক্রমে ঘটে যায় সেটা চিন্তা করি। সেনানিবাস থেকে বাসে করে অফিস যাচ্ছি। ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের এই রুটে ছাড়া নতুন বাস। জ্যামে আটকা পড়ে বিরক্ত কন্ডাক্টর ছেড়ে দিল ধুমধাড়াক্কা হিন্দী গান। মিনিট দুয়েক সহ্য করার পর পিছেন থেকে গোটা কয়েক যাত্রী বজ্রনিনাদে বকাঝকা শুরু করলেন, “ঐ শালা বান্দীর বাচ্চা হেল্পার, এইটা ইন্ডিয়া পাইছস? গান ছাড়লে বাংলা গান ছাড়!” ঘটনার আকস্মিকতায় কন্ডাক্টর তড়িঘড়ি করে গান বন্ধ করে বক্স থেকে আরেকটি সিডি বের করে ছেড়ে দিতেই হেসে দিলাম।

বিস্তারিত»

সাদা বাড়ি থেকে ব্লগ বাড়ি

বিকেলের রোদ খানিক মরে এলে আমরা সত্যধামের ছাদে খেলতে যেতাম। আমাদের নিজেদের অতো বড় ছাদ থাকতে সত্যধামের ছাদে খেলতে যাওয়া কেনো সেটি একটি প্রশ্ন হতে পারে বটে কিন্তু উত্তর কে দেবে?

ময়মনসিংহে আমাদের বাবা চাচাদের বাড়িগুলো পাশাপাশি। আমাদের তিনটে বাড়িই দোতলা; সাদা রঙের। বড় চাচার বাড়িটি মাঝে, হাতের ডানে আমাদের বাড়ি; বাঁয়ে ছোট চাচার। আমাদের বাড়িটির সামনে বড়সড় একটি বাগানবিলাস আছে; ডালপালা মেলে সেটি তিনতলার ছাদ অবধি ছুঁয়েছে।

বিস্তারিত»

চিন্তা খেলা করে ১

মনখারাপের সুর

ম্যাকাও পাখির মতো মন খারাপ করে বসে ছিলাম সারা বিকেল, সারা সন্ধ্যা। ছুটির এইসব একান্ত অবসরে ইদানিং একাকিত্বই ভালো লাগে। একাকিত্বের কাছে সময় চাইলে কখনোই ফিরিয়ে দ্যায় না ও। এছাড়া শহরভর্তী অগুণতি ব্যস্ত মানুষ। কার কাছে সময় চেয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি, তাই একাই এ শহর হেঁটে বেড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। শহরভর্তী মায়া মায়া মানুষ। যেন ঈদ উদযাপন। প্রেমিকাদের পারফিউমের গন্ধে সমাচ্ছন্ন প্রেমিকেরা ঘুরে বেড়ায় চারপাশে।

বিস্তারিত»

আলাপন ১

আশিস‘দা,

কেমন আছো?

মনে আছে, সেবার মেলায় যাবো বলে কী বায়নাটাই না ধরেছিলাম! মেলা বসে সকালে, বিকেলের মধ্যেই গুটিয়ে যায়। সেই সময়টায় আব্বা থাকেন অফিস নিয়ে। উপায়? … আমার স্পষ্ট মনে আছে, সেদন ছিল মেলার শেষ দিন। অগত্যা তোমার সাথে পাঠালেন আমাকে আম্মা। ভয়ে তোমার চেহারা হয়েছিলো দেখবার মত, যদি আমার কিছু হয়?… বিশ টাকা দিয়েছিলেন আম্মা; হাঁড়িপাতিল আর পুতুল কিনেই যখন টাকা শেষ,

বিস্তারিত»

অদ্ভুত এক মানসিক অবস্থা, নাম তার “বাই পোলার ডিজঅর্ডার” – (প্রথম পর্ব)

আমাদের আশেপাশে এমন অনেককেই দেখি, যারা সময় সময় কি যে উৎসাহের সাথে নানান উদ্যোগে ঝাঁপিয়ে পড়েন, উচ্ছাসে উল্লাসে ভরপুর হয়ে ওঠেন, আবার হঠাৎ করেই তেমন কোন কারন ছাড়াই নিজেদের গুটিয়ে নেন সব কিছু থেকে। আর তা এতটাই যে আমরা গভীর ভাবনায় পড়ি, “হলোটা কি ওর? এই না সেদিন দেখলাম, কি দারুন প্রানোচ্ছাসে ভরপুর? আর আজ………?”

অনেক সময়েই এঁদের এইসব অচরনকে আমরা “খামখেয়ালিপনা” ভেবে তাদেরকে “খেয়ালি মানুষ”

বিস্তারিত»

হযবরল

আমি মানুষ। অন্যান্য মানুষদের মতই আমারও দুইখান হাত, দুইখান পা ইত্যাদি ইত্যদি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পাশাপাশি স্বাভাবিক নিয়মে একখান মাথাও আছে। আর সেই মাথার উপর বর্তমানে একখানা বড়সড় আকৃতির পাহাড় উঠে বসে আছে। পাহাড়খানা কাজ দ্বারা নির্মিত । বড়ই নাছোড়বান্দা সেই পাহাড়। তবে আমিও কি কম যাই। পাহাড়টারে ঘাড় ধরে মাথা থেকে নামায়ে ব্লগ লিখতে বসলাম। কারণ হঠাৎ মনে হইলো আমার একখান ব্লগ লিখতে হবে। কেন লিখতে হবে সেই ব্যাপারে আমার একমাত্র মাথাকে জিজ্ঞেস করেও তেমন কোন সদুত্তর পাওয়া গেলোনা।

বিস্তারিত»

যেভাবে লিখি

kobita
“There is nothing to writing. All you do is sit down at a typewriter and bleed.”
“You can get hurt bt u enjoy it.”
প্রতি সন্ধ্যায় বসি কালো স্ক্রিনে…ব্যাক্তিগত ডায়েরী লিখি কবিতার কোডে। খানিক দুর্বোধ্য, আপাত নিরর্থক শব্দবন্ধে……কোনো কোনো দিন ctrl s না চেপেই ওঠে যাই, কতকিছু লেখা হয় না কোনদিন…কতদিন লিখবো ভেবে লিখতে বসে ভুলে যাই। যে দুঃখ পৃথুর,সে দুঃখ আমারও।

বিস্তারিত»

প্রলাপ ১৪

Copy of DSC_0613

জাদু বাস্তবতার গল্পে কী থাকে? ঘর! …ঘর পেরুলেই নীল হ্রদ…যতদূর চোখ যায় নীল,নীল…নীলের পর আবার নীল পাহাড়ের সারি…দূরে আরেকটা নীল পাহাড়ের সারি…কাছেরটা গাঢ়,দূরেরটা ঝাপসা…ঝাপসা হতে হতে শেষে আকাশে গিয়ে মেশে নীল।সেখানে লাল আর কমলার এলোমেলো পোচ…হাওয়া লেগে ছড়িয়ে যাওয়া রঙিন মেঘ। এই রঙিন মেঘগুলোই ফড়িঙ হয়।

রঙিন মেঘ ফড়িঙ হয়
আকাশ ছোঁয় হাওয়ার টান
মাচার ‘পর পরীর ঘর
হলুদ রঙ পাখির গান

হলুদ রঙ পাখির গান
মাতাল সুর,

বিস্তারিত»

ইসিএফ-এর চলমান ইভেন্ট টয়েজ আর ইওরস…

যতদুর জানি, ইসিএফ (এক্সক্যাডেটস ফোরাম) এখনো কোন আনুষ্ঠানিক সংগঠিন না। মূলতঃ এটি তরুণ এক্সক্যাডেটদের একটি ফেসবুক ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম।
কোন সংগঠনকে কার্যকর হতে হলে তাঁর আনুষ্ঠানিক অস্তিত্ব যে জরুরী হতেই হবে, এমন ধারনার প্রতি তাই ইসিএফ একটি চ্যালেঞ্জ।

তবে আশার কথা, ইসিএফ নিয়ে ভাবনা চিন্তা ও প্রস্তুতি চলছে একে আনুষ্ঠানিক রূপ দেবার। আশা করছি, অচিরেই তা হয়ে যাবে।

আজকের লিখাটা ইসিএফকে পরিচয় করানোর জন্য না।

বিস্তারিত»

ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (চ)

শ্যাম্পু কিনতে ভুলে গিয়েছিলাম। বাথরুমে অনেক দিন আগে থেকেই দেখছি মেরিল বেবী শ্যাম্পুর একটি শিশি পড়ে আছে। সম্ভবত আমার ভাতিজি ওয়ারিশার মাস তিনেকের অবস্থানের সময় কেনা হয়েছিল। রাত বাজে প্রায় দেড়টা। ঈদের পরে প্রথম অফিসের আগের রাতে ঘুমাতে দেরী হয়ে যাচ্ছে চিন্তা করতে করতে শিশিটা হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখে নিলামঃ ‘E-09/16’ যাক তাহলে এখনো তারিখ আছে। হাতে নিয়ে মাথায় ডলে দিতেই পরিচিত সেই গন্ধ। শিশুদের গায়ের সেই চিরচেনা গন্ধ।

বিস্তারিত»