ইস্তানবুলের ডায়েরী………কিছু স্মৃতিচারণ

স্বপ্ন নাকি বাস্তবতা… নাকি দুটোই…অনেকের মত আমিও হাতড়ে বেড়াই এই প্রশ্নের না জানা উত্তরটি। হয়ত সেই অজানা উত্তরের আশায় হাতড়িয়ে বেড়াতেই কেটে গেছে সময়ের গর্ভ থেকে নামবিহীন ২ টি বছর। খুলে দেখা হয়নি সেই পুরনো ডায়েরীর মলাটখানা। হয়তবা তারই আবর্তে ঢাকা পড়ে গেছে সেই অভিজ্ঞতার পাতা গুলো, জীর্ণতা ছেয়ে বসেছে প্রতিটি কোণে। আজ হটাৎ করেই অজানা এক বাস্তবতার বুক চিরে আবারো সেই ডায়েরীর মলাটখানায় হাত রাখলাম।

বিস্তারিত»

একজন বিসিসি১৭ এর চোখে বরিশাল ক্যাডেট কলেজ রিউনিয়ন ২০১৫ঃ

10933744_10152707732239436_2579516722135620511_n10931687_10153596814326164_8822977008468374306_o

 

 

 

 

moments

10915222_10155162686305193_7726664750684326970_n

 

 

বরিশাল ক্যাডেট কলেজ এর রিউনিয়ন থেকে ফিরে আসলাম ১৮ জানুয়ারী ২০১৫ সকালে। শুরুটা ছিলো ১৪ জানুয়ারী ২০১৫ সন্ধ্যায় লঞ্চ যাত্রা এর মধ্য দিয়ে। সারারাত ধরে লঞ্চের কেবিন এ বসে জাতিকে উদ্ধার করার পর ভোরবেলা নামলাম বরিশাল শহরে!

বিস্তারিত»

মহান বিজয়ের দিনে আমার মিশ্র অনুভুতি; প্রসঙ্গঃ ইসিএফ-এর প্রথম এক্সজিভিএল

ডিস্ক্লেইমারঃ আজ ঘন্টা দুয়েক আগে এই লেখাটা আমি ইসিএফ (এক্স-ক্যাডেটস ফোরাম)-এর ফেসবুক পেইজে দিয়েছিলাম। অনলাইনে আমার লেখালেখি কেবল সিসিবিতেই। এই প্রথম এমনটা হলো যে মনে কিছু মিশ্র অনুভুতি হয়েছে কিন্তু সিসিবিতে সেটা প্রকাশ করিনি। তাই লেখাটাকে প্রাসঙ্গিক ভাবে কিছুটা এডিট করে এখানে আবার পোস্ট দিলাম। তবে যেহেতু আজকেই ইসিএফ আয়োজিত প্রথম এক্সজিভিএল (এক্স গার্লস ক্যাডেটস ভলিবল লীগ) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল, তাই সঙ্গত কারনেই আমার অনুভুতি আমি ইসিএফ-এই প্রথম শেয়ার করেছিলাম।

বিস্তারিত»

বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও

বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও

এর মধ্যে বেশ কয়েকদিন এই ব্যপারটা ঘটেছে। মনে বেশ দোলা দিয়েছে। পুরোনো স্মৃতির নতুন দোলা। কাকতালিয়ভাবে পরপর কয়েকদিন দেখি ঘড়িতে ৬টা বেজে ২৮ মিনিট। অর্থাৎ ৬.২৮ বাজে। আমার ক্যাডেট নম্বর ৬২৮। খুব স্বাভাবিক ভাবেই মনের অজান্তে ক্যাডেট কলেজের অনেক স্মৃতি স্ট্রীম অফ কনশাসনেসের মত একে একে ভেসে আসে। আর এটাই তো স্বাভাবিক! আমার মনে হয় ঘড়ির কাঁটার সাথে নিজের ক্যাডেট নম্বরের মত এমন চিরসঙ্গির সঙ্গতি দর্শনে আমার মত যে কোন ক্যাডেটের মন আলোড়িত হবে।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি-১০

আমার প্রাণের পরে চলে গেলো কে

বসন্তের বাতাসের মতো একটা পোস্টকার্ড এসেছে আজ অফিসের ঠিকানায় – সেখানে সবকটা গাছে আগুন লেগে আছে আর হ্রদের উদ্দামরকমের নীল পাড়ে থোকা থোকা সে-আগুন উল্টো ঝুলে আছে। আমি ব্যস্ত ঢাকার ভেতরে এক ডুবে সাঁতরে সে হ্রদের পাড়ে গিয়ে মাথা তুলতে’ পৃ-র দেখা পেয়ে যাই। তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছিয়ে দিতে দিতে বলে – কতক্ষণ ধরে ডাকছি!

‘এই ভালো।

বিস্তারিত»

Mocha উইথ আ ‘k’ ফ্রম মিশিগান – ৪র্থ সংস্করণঃ তোমার শীতল স্পর্শে আমার ফ্রস্টবাইট।

অল্প লিনাক্স বিদ্যা কার্যকরী
লাইব্রেরীর তিনটি তলার মোট শ-খানেকের উপরে কম্পিউটারের সবগুলো কারো না কারো দখলে। শুধুমাত্র দ্বিতীয় তলার ৬টি কম্পিউটার খালি পড়ে আছে। অবাক হয়ে কাছে গিয়ে দেখি ছয়টি কম্পিউটারের স্টিকারে লিখা “লিনাক্স বুট অনলি।” চলচিত্রের বিখ্যাত ভিলেন প্রয়াত রাজিবের মত অট্টহাসি দেয়ার ইচ্ছা সংবরণ করে একটিতে বসে পড়লাম। আইন ও পলিসি সায়েন্সের ছাত্র হয়ে লিনাক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি ভালবাসাটা বেশখানিকটা “সমাজ বহির্ভূত”

বিস্তারিত»

জার্নাল মালয়েশিয়া

১। প্রথম দেখা

আমার শ্যামল বাংলা- তার পূবে ব্রম্মদেশ, তারও পরে শ্যাম রাজ্য। সেখান থেকে  লম্বা একটা বকের পা যেন দক্ষিনে সমুদ্রের ভেতরে চলে গেছে অনেক দুর। এটাই মালয় উপদ্বীপ। যার দক্ষিন অংশ আজকের মালয়েশিয়ার প্রধান ভাগ, যাকে পেনিনসুলার মালয়েশিয়া বলা হয়। চীন সাগরের ওপারে বিশাল বর্নিও দ্বীপে আছে আরো দুটি প্রদেশ- সাবা ও সারাওয়াক।পঞ্চাশের দশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে স্থান হবার পর ইদানীং রীতিমত উন্নত বিশ্বের সারিতে স্থান করে নিতে সচেষ্ট।

বিস্তারিত»

দুই চাকার দিনলিপি- ১ (ট্যুর ডি কুয়াকাটা)

[বিচ্ছিরি রকমের বড় ব্লগ। ছবি বড় করে দেখতে ছবির ওপরে ক্লিক করতে হবে]

১.
সিদ্ধান্তটা নেয়া হলো হুট করেই। শহীদুল্লাহ হলের পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে প্রাত্যহিক রুটিনের অংশ হিসেবে আমরা ফুচকা খাচ্ছিলাম। আমরা বলতে আমিন ভাই, এহসান ভাই, ইমতিয়াজ, জামান এবং আমি। ঈদের ছুটি তখন আসি আসি করছে, আর মাত্র কয়েকদিন। আমিন ভাই খেতে খেতে হঠাৎ বলে উঠলো – “ধূর মিয়া, তোমাদের দিয়া কিছু হইবোনা।”

বিস্তারিত»

Mocha উইথ আ ‘k’ ফ্রম মিশিগান – ৩য় সংস্করণঃ জীবনের গল্প।

(১) প্রেমটা করার আগে বলতে গিয়েও পারিনি যে আমার এর আগে আরো একবার বিয়ে হয়েছিল। এই দেশে মেয়ে হিসেবে “আগে বিয়ে হয়েছিল” বিয়ে বাজারে বিশাল বড় লালকালির দাগ। মন্দের ভাল পারিবারিক চাপে করা বিয়ে মাসখানেকের সমঝোতায় শেষ করে বের হয়ে এসেছিলাম। গত সপ্তাহে যখন বললাম ততদিনে রাজনের সাথে সম্পর্ক অনেকদূর গড়িয়েছে। বলার পরে রাজনকে হতাশ হবার চেয়ে চিন্তিত হতে দেখে জানা আশংকাই মাথায় চেপে বসলো।

বিস্তারিত»

অণু ব্লগঃ দুই

ডুরাভিলে আমাদের বাড়ীতে একটা কাঁচের ছাদওয়ালা ঘর ছিল। আমি বলতাম আমার মেঘের বাড়ী। আবহাওয়ার খবর না শুনেও আমি সেই ঘরে বসে টের পেতাম মেঘের ডমরু অথবা মধ্য রাতের ঝুম বৃষ্টি। আকাশের রাগ, অভিমান, উল্লাস অথবা চীৎকারে বা শীৎকারে আমার আশ্রয় সেই কাঁচের ঘরটি। টিনের চালে বৃষ্টির কান্না শোনা মানুষ আমরা, আমাদের কি আর মন ভরে কাঁচের চালের বৃষ্টিতে? আমার কিন্তু মন ভরতো ঐ টুকুতেই। বৃষ্টি নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ভাবালুতা আমার কোন কালেই ছিল না।

বিস্তারিত»

Mocha উইথ আ ‘k’ ফ্রম মিশিগানঃ ২য় সংস্করণ

(১) কাস্টডিয়াল সার্ভিসের সহকর্মীরা একজন বাদে সবাই মার্কিনি। বয়সের হিসেবে ওরা সবাই বেশ ছোট বলা চলে। ১৯৯৪ সালে গায়ে ১০৪ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে যখন প্রথমবারের মত ব্রাজিল-ইতালীর ফাইনালে “অনেকগুলো পেনাল্টি” দেখছি তখন ওদের অনেকেই হয়তো মায়ের কোলে হাস্যোজ্জ্বল ১৬-১৮ মাসের শিশু। প্রতিদিন আমার খাবারে গন্ধ শুঁকে বায়না ধরলো কিছু একটা বানিয়ে নিয়ে আসতে হবে। কষ্ট করে হলেও কাবাব বানালাম। বাসাবাড়িতে মায়েরা সেদ্ধ মাংসের যেই কাবাব বানায় সেটি।

বিস্তারিত»

অ-দাস

দাসত্ব আমাদের সমাজে একটা ঋণাত্বক শব্দ। চিন্তায়, কাজে, এমনকি শরীরেও আকণ্ঠ দাসত্বে ডুবে থাকা একটা মানুষও চিন্তা করার সময় “দাসত্ব” ব্যাপারটাকে খারাপ হিসেবে জানে। যদিও তাদের কাছে “দাসত্ব” আসলে যে কি বস্তু, খায় না মাথায় দেয় সেটা পরিষ্কার না। আবার মজার ব্যাপার হল এই লোকগুলাই আবার “অ-দাসদের” সন্দেহের চোখে দেখে, একটা ঘিনঘিনে অবজ্ঞার ভাব নিয়ে অ-দাসদের দিকে তাকায়, দাসের মগজ দিয়ে ওদেরকে ঠিক বুঝা যায়না কিনা।

বিস্তারিত»

অণু ব্লগঃ এক

আমার পড়শী শ্রীমতী ঊর্মিলা আর তার স্বামী শ্রীমান বলরাম সিং কে ছুটির দুপুরে দুটি ডাল ভাতের নিমন্ত্রন করেছিলাম। বিচিত্র কারণে এই দম্পতি আমাদের মা মেয়েকে খানিক স্নেহ করেন। উইকেন্ডে, জন্মদিনে অথবা পড়শীদের পটলাক পার্টিতে আমাদের কদাচিৎ দেখা সাক্ষাৎ ঘটে।

ওদের একমাত্র পুত্র অজয় আসে নাই সাথে, ও জর্জিয়া টেকে পড়ে। ছুটির দুপুরে ক্যাম্পাসে গেছে গ্রুপ স্টাডি করতে।

মোরগ পোলাউ, ভেড়ার রেজালা আর রায়তায় আমাদের সাদামাটা আয়োজন।

বিস্তারিত»

নিশীথ প্রলাপ।

রিয়ার ভিউ মিররে পেছনের গাড়ির তীব্র হেডলাইটের প্রতিফলনে চোখ যেন ঝলসে যায়। এদেশে কি কোন আইন কানুন নাই? এভাবে হাই-বিম মেরে এরা কি রাস্তায় মানুষ খুন করতে নামসে? রাস্তা ভর্তি লাইট। আলোর কোন কমতি নাই। তারপরও এত প্রকট আলো জ্বালিয়ে কি লাভ, শুনি? রাস্তার এপারে গাড়ি অনেক আস্তে চলছে। পাঁচ লেনের প্রশস্ত হাইওয়ে। রাত ১২টা ছুঁই ছুঁই। মঙ্গলবার পেরিয়ে বুধবার হবে। তারপরও এত জ্যাম কেন?

বিস্তারিত»

ডিজিটাল সুখ দুঃখ

পাঁচ মাস ফেইসবুক আর জিমেইলে ইলেক্ট্রনিক বার্তা চালাচালির পর অবশেষে স্কাইপে দেখা হলো রোদেলার সাথে।

: হ্যালো বিউটিফুল! ফাইনালি পাওয়া গেলো তোমাকে

আমি হাত নেড়ে বলি

: হাই, প্রিন্স অব নোভাই!

দুই হাত আর একমাথা ঝাঁকড়া চুল দুলিয়ে রোদেলা আমাকে উইশ করে

রোদেলাকে ভড়কে দিতে আমার চুলগুলোকে অনেক কায়দা করে একটা মোহক স্টাইল দিয়েছি একটু আগেই,

বিস্তারিত»