আজকের (জুলাই ১৪, ২০১৫) বাংলা পত্রিকাগুলোতে চোখ বুলাতে গিয়ে হঠাৎ দৃষ্টি আটকে গেল দৈনিক আমাদের সময়ের একটা সংবাদে যেখানে বলা হয়েছে যে, সিলেটের রাজন-হত্যার প্রধান আসামী কামরুলকে জনতা হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ ঘুষের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দিলে সে সৌদি আরবে পালিয়ে যায়।- পুলিশ যে ঘুষের বিনিময়ে বড় বড় আসামীকে ছেড়ে দেয় এমন দু’একটা সংবাদ মাঝেমধ্যেই সংবাদপত্রে আসে। আর এমন দু’একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হাজার হাজার পুলিশের মধ্যে দু’একজন ঘটাতেই পারে।
বিস্তারিত»গোলাপের রঙ (শেষ পর্ব)
একটানা কথা বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন হাসান ভাই। বললেন, ‘দেখেনতো গল্প করতে করতে আসল কথাই বলা হয়নি। আপনারা খেয়ে এসেছিলেন?’ আমি বললাম আপনি ওয়েস্টার্ণ কালচারের লোক, আপনি তো সন্ধ্যায় খান ।
– তা, খাই। কিন্তু আজ আপনাদের সাথে খাবো ভেবেছিলাম।
– এখন খাবার পাওয়া যাবে কোথাও?
অন্য সবাই তখন গল্পের গভীরে ঢুকে গেছে।
বিস্তারিত»গোলাপের রঙ ২
হাসান ভাই এর গল্প দিয়েই শুরু হল আসর। মাগুরায় জন্ম আমদের মেজবানের। সর্বহারাদের দলে ঢুকেছিলেন সাম্যের রাজনীতিতে অনুপ্রাণীত হয়ে। এর পরের জীবনের কালো অধ্যায় আর মনে করতে চান না। এই ক্লেদাক্ত জীবনকে পিছনে ফেলার চেষ্টাতেই টাকা পয়সা ধার করে এরশাদের আমলে দেশ ছেড়েছেন। প্রথমে ইরাক, তুরস্ক হয়ে গ্রিস, তার পরে ইটালি হয়ে সুইজার ল্যান্ড, আর সব শেষে পায়ে হেটে জার্মানি।
বিস্তারিত»টিকটিকির কাটা লেজ
ছবির এই লোকের নাম আমি জানি না। জানতে ইচ্ছেও হয়নি। কারণ আমি তখন অবাক বিস্ময়ে তাকে দেখছিলাম। তার মুখ দিয়ে গল গল করে ফেনা বের হচ্ছিলো আর সারা দেহ কাঁপছিলো ঠিক টিকটিকির কাটা লেজের মত। টিকটিকির সদ্য কাটা লেজ জীবনে না দেখলে আমি হয়ত এই লোকের কাঁপাকাঁপির কোন উপমা খুঁজে পেতাম না।
এভাবেই সে DMCH এর admin wing এর সামনে মাটিতে পড়ে ছিল।
বিস্তারিত»গোলাপের রঙ ১
হাসান ভাইকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি খুশি হননি। তাঁর নিমন্ত্রণেই আমাদের মুঞ্চেনার ফ্রিহিইটে আসা। আমাদের রিসিভ করতে তিনি ষ্টেশনেও এসেছেন অথচ আমাদের সাথে দেখা হবার পর থেকেই তাঁর মুখে রাজ্যের অন্ধকার। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী রুমন। সে বললো, ‘হাসান ভাই এর মন খারাপ নাকি? সে কথার উত্তর না দিয়ে হাসান ভাই বললেন আপনাদের সার্ট-টাই পরে আসতে বলেছিলাম না!’
মনে পড়লো হাসান ভাই বলেছিলেন,
দিনলিপিঃ ইফতারের গল্প
আমার বিশালবপু ছোট মামা ভোজনরসিক মানুষ। বলা বাহুল্য রোজার মাসে বিকেল চারটের পর থেকে তার মেজাজ টং হয়ে থাকে। এসময়ে তার মুখোমুখি হতে মামী পর্যন্ত তিনবার ভাবতে বসেন। পাঁচটার পর থেকে তিনি নিজে হেঁশেলের আশেপাশে উঁকিঝুঁকি দেবেন খাবারের তদারকি করতে। এরপর ঘরে তিনখানা পাখা ছেড়ে দিয়ে তিনি শয্যাশায়ী। দিন ফুরোলে ইফতারের দশ মিনিট আগে সাদা নকশাদার পাঞ্জাবীর সাথে জরি চুমকির একখানা গোল টুপি পরে খাবার টেবিলে তিনি হাজির।
বিস্তারিত»আবার কলকাতা ৯
আবার কলকাতা ৮
আবার কলকাতা ৭
আবার কলকাতা ৬
আবার কলকাতা ৫
এক দুপুরে ছোট মেয়ে বলল, বাবা কস্তুরিতে আর খাবোনা, অন্য কোথাও চল।
– অন্য কোথায়? প্রিন্সে খাবা?
– না প্রিন্স তো ওই একই খাবার।
– একই খাবার মানে,তুমি জানলা কী ভাবে? আমরা তো প্রিন্সে যাইনি
–
এ ট্রিবিউট আফটার দ্যা ফাদার্স ডে
এ ট্রিবিউট আফটার দ্যা ফাদার্স ডে
সোলায়মান চাচাকে আমি দীর্ঘদিন থেকে চিনতাম। লাবু ক্লাস সেভেন এবং এইটে, ১৯৮৮ এবং ১৯৮৯-এ, রংপুর ক্যাডেট কলেজের ওমর ফারুক হাউজের ৩১২ নম্বর রুমে আমার রুমমেট ছিল। আশ্চর্যজনক কো-ইন্সিডেন্স হলো আমার বাবা এবং লাবুর বাবা তাদের টিন-এইজে ঠাকুরগাঁ হাইস্কুলে রুমমেট ছিলেন। বাবার মুখে শুনেছি সোলায়মান চাচা খুব ভাল ফুটবল খেলতেন। লাবুও ভাল ফুটবলার। ১৯৯৩ সালে ‘ইন্টার ক্যাডেট কলেজ ফুটবল মিট’-এ লাবুর ফুটবলের চমৎকারিত্ব কখনো ভোলার নয়।
বিস্তারিত»চীনের মসজিদ ১
এক বৃহষ্পতিবারে ভেনকে যখন জিজ্ঞেস করলাম তাদের এলাকায় মসজিদ আছে কী না, সে প্রথমে আমার প্রশ্নটাই বুঝতে পারল না । অনেক কায়দা কসরত করে তাঁকে বোঝাতে হল মুসলমানরা যেখানে প্রার্থনা করে সেটাকে বলে মসজিদ । সে বিজ্ঞের মত বলল, ‘ওহ আই নিউ ট্যট ইট ইস ইন মেক্কা’। কোন বুদ্ধিমান মুসলমান এরপর তাকে আর কোন প্রশ্ন করা সমীচীন বোধ করতেন কীনা সে বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে।
বিস্তারিত»শিরোনামহীন দিনলিপি
উৎসবে পার্বণে দেশ থেকে উপহার পাঠানো বন্ধ হয়েছে বহুদিন। আধা জন্ম দেশের বাইরে থাকলে যা হয় আরকি। আমরা হচ্ছি প্রায় ভুলে যাওয়া প্রিয়মুখ যাদের না পারা যায় ভুলতে আবার মনে রাখাটাও বেশ কষ্টকর বৈকি। বহু বছর পূজার ঢাক বাজবার আগেই হাতে পৌঁছে গেছে পূজা সংখ্যা সানন্দা অথবা দেশ বা আনন্দবাজার! হারকিপ্টে হরির মতো একটু একটু করে পড়তাম প্রতিদিন, পাছে ফুরিয়ে না যায়! আমাদের নীচতলাতে তিনটে হিন্দু পরিবার থাকতো,
বিস্তারিত»ব্যক্তিগত রেসিপি – ১২
হেডফোন কানে লাগাতেই রাহাত ফতেহ আলী। আ!
উড়নে লাগা কিঁউ
মন বাওলা রে
আয়া কাঁহা সে
ইয়ে হোসলা রে
ও রে পিয়াআআ
হায়য়য়, ও রে পিয়াআআ
পৃ-কে মেসেঞ্জারে লিঙ্কটা পাঠিয়ে দিয়ে চোখ বুঁজে বৃষ্টি শুনি। জানলার বন্ধ কাঁচে কী আক্রোশে ঝাঁপিয়ে পড়ছে আর কেঁদে কেঁদে ভেসে যাচ্ছে সেই ভোররাত থেকে। নির্ঘুম একটা রাত পার করে দিলাম পৃ-র সঙ্গে ঝগড়া করে করে।
বিস্তারিত»সাদা বাড়ীর রহস্য
ইউনিভার্সিটি এভেন্যুর এক ধারে বিরাট ক্যাম্পাস, অন্য ধারে গরিব মহল্লা। লোকে বলে টেক গেটো। কথাটা একেবারে উড়িয়ে দেবার মত নয়। সারা এলাকা জুড়ে সারি সারি আপরিচ্ছন্ন জরাজীর্ণ বাড়ি, সামনে পেছনে জং ধরা তারের কি রংচটা কাঠের বেড়া, আর কাঁটা ঝোপের জঙ্গল। সাথে মানানসই পুরোনো ঢাউস গাড়ি, লোম উঠা কুকুর, ভাঙ্গাচোরা যন্ত্রপাতি। মার্কিন দেশের ঝাঁ চকচকে চেহারাটা এখানে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখানে থাকে যত বিদেশী ছাত্রছাত্রী।
বিস্তারিত»আলস্যে ভিজেছে মন, বৃষ্টিতে আর কি আসে যায় !
এক আমেরিকান বন্ধুর কাছ থেকে কেনা সেকেন্ড হ্যান্ড সেনহেইজার হেডফোন টা কানে লাগিয়ে কাউচে বসে গেলাম। ল্যাপটপে অর্ণব এর রবীন্দ্রসঙ্গীত এর প্লে-লিস্ট টা ছেড়ে দিলাম। কম করে হলে একটা ঘন্টা আর গান সিলেকশন করতে হবেনা। একটানা চলতে থাকুক। পারফেক্ট আবহাওয়া। বসে আছি আমার স্পন্সর ফ্যামিলির বাসার বেজমেন্টে।রাত প্রায় ১০ টার মতন। সন্ধ্যাই ঠিক মতন হলো ঘন্টাখানেক আগে। সূর্য টা ডুব দেওয়ার কিছুক্ষণ আগে থেকেই আকাশ কালো করে মেঘরা জড় হচ্ছিল।
বিস্তারিত»“যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চল রে!”
বেগুনি না খেলে কি রোজা সহীহ হবে না, নাকি? আমার যতদূর মনে পড়ে গত রমজানে আমাদের বাসায় বেগুন কেনা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। কাচাবাজারে গিয়ে যখন দেখতাম কেউ কোন দোকানদারের সাথে তুমুল দরদাম করছে/করছেন। আমি খুব বিনয়ের সাথে বোঝাতাম, বেগুনের দাম বেশি, আপাতত কেনা বন্ধ রাখেন, দাম এমনিতেই পড়ে যাবে। আমার কথায় অনেকে আমাকে পাগল মনে করে তাকাত। আবার অনেকে মনে হয় কনভিন্সডও হতো। এটা ছিল একান্তই আমার এবং আমার পরিবারের নিরব সমাজিক আন্দোলন।
বিস্তারিত»গার্ডেন্স বাই দ্য বে সিঙ্গাপুর
২০১০ সালে মেরিনা বে স্যান্ডসের ৫৭ তলার ছাদে নারকেল গাছ দেখে আমাকে চমকে যেতে দেখে আমার মেজবান প্যাসিফিক মেরিনের ক্যাপ্টেন শাখাওয়েত বলেছিলেন, আরও কিছু দিন অপেক্ষা কর, সমুদ্রের দিকে নতুন পার্ক হচ্ছে, সারা বিশ্বের গাছ পালা সেখানে দেখতে পাবে।
২০১৩ সালে গিয়ে শুনলাম, সেই পার্ক ২০১২ সালের জুন মাসে দর্শনার্থিদের জন্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। গার্ডেন্স বাই দ্য বে এখন সিঙ্গাপুরবাসীদের নতুন গর্ব।ভাবলাম আর কিছু দেখি না দেখি এই বিস্ময় উদ্যান না দেখে ফিরে যাওয়া যাবেনা।