দেশে মা খালাদের দেখেছি কেউ অসুস্থ হলে আতপ চালের ভাত, কচি মুর্গির ঝোল, আর সুপ রাঁধতে ব্যতিব্যাস্ত হয়ে পরেন। সাথে কাঁচা পেঁপে সহযোগে শিঙ্গি মাছের সুরুয়া অথবা জাম আলু আর মাগুর মাছের জড়াজড়ি কোন প্রেপ থাকে। অসুস্থতার কারণ যা’ই হোকনা কেনো ঝোলে ভাতে মাখামাখি আয়োজনে রোগীর প্রতি উপচানো ভালবাসা দেখাতে সবাই তৎপর হয়ে ওঠে। আর কেউ মারা গেলে তো বাঙ্গালী বাড়িতে উনুনই জ্বলেনা পাঁচদিন। আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুদের বাড়ি থেকে প্রতিবেলা খাবার থেকে শুরু করে থারমোফ্লাস্কে চা অবধি পৌঁছে যায় সেই বাড়িতে।
বিস্তারিত»উদ্বাস্তুর উদ্যান
ঢাকায় আমাদের কোন বাড়ি নেই। ভাড়ার বাসায় উদ্বাস্তুর মত জীবন যাপন।এক চিলতে বারান্দায় প্রথমে কয়েকটা টব রেখেছিলাম মাঝে মধ্যে বারান্দায় বসে চায়ে চুমুক দেয়ার জন্যে। বড় লোকদের পাড়ায় এসে মনে হল বারান্দায় বসে চা খাওয়ার চল টা উঠে গিয়েছে। সুন্দর সুন্দর বারান্দা শূন্য পড়ে থাকে। পরে বুঝেছি এই সব বাড়ির মালিকদের অঢেল বিত্ত, তবে ছেলেমেয়েরা কাছে অথবা দেশে না থাকায় তাদের ভরসা,
দিনলিপিঃ পোড়া কপাল অথবা পোড়া বেগুণের গল্প
একঃ
ডগউড, ক্যামেলিয়া, আর নানান বর্ণের আজ্যালিয়াতে কনে বউটি সেজে আছে আমাদের শহর। শনিবারের ঘুম ঘুম সকাল। ফ্লাফি আর তারা জাগার আগেই বাইরে বেড়িয়ে পরি হাঁটবো বলে। দু’চারজন পাড়া প্রতিবেশী জেগে উঠেছেন সবে। চাইনিজ সুন্দরী লিয়ানা তার ধবধবে সাদা মল্টিস নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছেন দেখি। ওর বোকা বোকা চেহারার ছেলেবন্ধুটি বোধকরি ঘুমোচ্ছে এখনো, তাই লিয়ানা পিঙ্কির লিশ হাতে একাই হাঁটছেন কানে হেডফোন লাগিয়ে। প্রায় বিকেলেই দেখি এই যুগল কথা বলতে বলতে জোর পায়ে হাঁটেন আমাদের এই ওয়াকিং ট্রেইলে।
বিস্তারিত»১লা মে ২০১৫ – দিবসে দিবসের ব্যবচ্ছেদ
১লা মে ২০১৫ – দিবসে দিবসের ব্যবচ্ছেদ
১। মে দিবসের কথা আসলেই ফকির আলমগীরের কিছু গান আমার মনে পড়ে যায়। মেহনতি জনতার জন্য দরাজ গলায় গাওয়া গান। যদিও এই শিল্পীর গাওয়া আমার প্রিয় গান অন্য আরেকটা, “মায়ের এক ধার দুধের দাম, কাটিয়া গায়ের চাম, পাপোষ বানাইলেও ঋণের শোধ হবে না … এমন দরদী ভবে কেউ হবে না, আমার মা গো …”। ছোটবেলায় কেন যেন এই গানটাতে বেশ মোহাবিষ্ট হতাম।
বিস্তারিত»সাত-সকাল
-এখানে?
শেলফের উপরে রাখা পেপার রোলগুলোর মধ্যে বাঁদিক থেকে দ্বিতীয় রোলটার পেটে চাপড় মেরে জিজ্ঞেস করলেন তৌহিদ ভাই।
-হ্যাঁ। ওখানেই।
পাশ ফিরে শুয়ে কাঁথাটা গায়ে টেনে নিতে নিতে জবাব দিলাম।
চড়ুই পাখির বাসা।
ঘুমে দুচোখ লেপ্টে আছে। এখানে ভোরবেলা শীতশীত লাগে। ইলেক্ট্রিসিটি রিকশাওয়ালাদের মত। রিকশাওয়ালারা যেমন ভাড়া বাড়ানোর জন্য রোদ, বৃষ্টি, রাত ইত্যাদি অজুহাত খোঁজে,
বিস্তারিত»প্রবাসের গল্প
অনুগল্প – ১ঃ পড়াশুনা আর টিকে থাকা
ইউরোপের উদ্দশ্যে উচ্চ শিক্ষার্থে দেশ ছেড়েছি ২০১২ সালে – তাও প্রায় আড়াই বছরেরও বেশি হয়ে গেল। মোটেও সোজা ছিল না শুরুর সময়টা। নতুন দেশ, পরিবেশ, পড়ালেখার ধরণ, খাওয়া-দাওয়ার কষ্ট, জন্মের ঠান্ডা, স্বর্ণকেশী/নীলনয়নাদের আনাগোনা – সব মিলিয়ে অনেক কঠিন মন বসানো। তারপরেও জীবন চলে যায় জীবনের নিয়মে।
ইউরোপীয়ানদের তুলনায় আমাদের ম্যাথের ব্যাকগ্রাউন্ড যথেষ্ট দুর্বল।
ভূমিকম্পঃ ভয় বনাম দায়িত্ব
ভূমিকম্পঃ ভয় বনাম দায়িত্ব
নেপালের জন্য বেশ খারাপ লাগছে। প্রায়ই বিধ্বস্ত স্তুপের ছবি দেখছি। গতকাল টিভিতে ভূমিকম্পের সময়ে ধারণকৃত নেপালের একটা ভিডিও ক্লিপ দেখলাম। মায়ের কোলে সন্তানের চিৎকার, কান্না, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার ছুটোছুটি। যথেষ্ট পরিমানে মন খারাপ করা দৃশ্য। ফেসবুকের কল্যানে আপডেটগুলো আরো মন খারাপ করে দিচ্ছে। পরম করুণাময়ের কাছে প্রার্থনা ছাড়া আমার আর এই মুহূর্তে কিই বা করার আছে। পরশুদিনের পরে কাল আবার দুপুরের ভূমিকম্পের পর যখন বিকেলে বাসায় ফিরছিলাম,
বিস্তারিত»নবীশী কুচকাওয়াজ
নবীশী কুচকাওয়াজ
ক্যাডেট কলেজে আসার পর পরই শুনেছিলাম নভিসেস প্যারেড বলে একটা ভীষন ব্যাপার আছে। নতুন ক্যাডেটদের বেশ ভাল করে সামরিক কায়দায় কুচকাওয়াজ শেখানো হবে। তারপর তিন হাউসের মধ্যে প্রতিযোগিতা। চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলে নাকি কপালে বিশেষ দুর্ভোগ আছে। আগের বছরে আমাদের বড়ভাইদের দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারে নি। ফলে তাদের কেমন সাজা হয়েছিল তার রোমহর্ষক বিবরন কিছু শুনেছি। সেই থেকে আমার নিত্য এক দুশ্চিন্তা।
বিস্তারিত»দিনলিপিঃ Bon Appetit

বৃষ্টিভেজা শনিবারে বন্ধু অরিন্দমের সাথে থাই কুজিনে খেতে গিয়েছিলাম। মাইল পাঁচেক ড্রাইভ করতেই তার পছন্দের রেস্তোরাঁটিতে পৌঁছে গেলাম। আমরা ভোজনবিলাসী মানুষ কিন্তু খাই ক্যালরী মেপে। দু’জনের জন্য খাবার অর্ডার করলে কখনোই শেষ করতে পারিনা। তাই বলি, তোমার পছন্দের সুপ আর এপেটাইজার বলো, আমি অর্ডার করছি মেইন ডিশ। দু’জন মিলে ভাগাভাগি করে খাওয়া যাবে। ও চাইলো ফ্রাইড ক্যালামারি আর কোকোনাট সুপ। আমি চিংড়ি নাকি চিকেন নেবো এই নিয়ে ‘ইনি মিনি’
বিস্তারিত»ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (গ)
ঘটনা (ক)
কিশোরগঞ্জ গিয়েছিলাম গত সপ্তাহে। সিলেট ক্যাডেট কলেজের ছোট ভাই ইবনে সিনা ইয়েনের বিয়েতে। সবাই যখন বাসে করে যেতে চাইছে আমি তখন সুবোধ বালকের মত শুক্রবার সকালের ‘এগারোসিন্দুর প্রভাতি’ ট্রেনের টিকেট কিনে ফেললাম। যাতায়াতের ব্যাপারে ট্রেন ব্যবহারের প্রতি আমার স্পষ্ট পক্ষপাত রয়েছে। বাঙলাদেশের অভ্যন্তরে কোথাও যেতে চাইলে সড়কের আগে প্রথমে দেখি রেললাইন আছে কিনা। সড়ক-প্রেমী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পর্যন্ত রাস্তা ছেড়ে সমান্তরাল লাইনে চলে এসেছিলাম।
বিস্তারিত»অণু ব্লগঃ চলতি পথে
বিকেলে হাঁটতে বেরুলে প্রতিবেশী মিজ বারবারার সাথে আমার দেখা হয় মাঝেমাঝে। সত্যি কথা বলতে কি মধ্য পঞ্চাশের বারবারা বাগান করতে ভালবাসেন এইটুকু ইনফরমেশন ছাড়া তার সম্পর্কে আমি আর কিছুই জানি না। টল এন্ড স্লেন্ডার বারবারার এক মাথা সাদা কালো চুল। ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি তার লেগেই আছে। দেখা হলে হাত নাড়ি দু’জনেই, আরো একটু সময় হলে হয়তো জানতে চাই কুশল। সামার এলে হয়ত বারবারা জানতে চান আমার কাছে বাড়তি দুটো চারটে শশার চারা আছে কিনা অথবা তার দুটো টমেটোর চারা পরে রয়েছে আমি চাইলে তিনি দিতে পারেন।
বিস্তারিত»সিসিবি-তে কবিতা পাঠ
সাবিনা চৌধুরী অনেকদিন ধরেই পিছনে লেগে আছেন একটা ভিডিও ব্লগ যেন নামাই, সেইজন্য।
নানা অজুহাত দিয়ে অনেক সময় পার করলাম। কিন্তু শেষমেষ বুঝলাম, ফিতা না কাটা পর্যন্ত এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ নাই।
যদিও প্রধান অজুহাতই ছিল, “আমি তো ফটোজনিক না” – কিন্তু সাবিনা ওটা মানতে রাজী না।
অনুরোধের ঢেকি গিললাম কিন্তু তা যে ভবিষ্যতেও হবে সেই গ্যারান্টি কিন্তু নাই।
আমি তো পারি কেবলই “পাঠ-প্রচেষ্টা”
বিস্তারিত»দিনলিপিঃ আলো’র বাড়ি যাবো
পশ্চিমে জন্মালে মিলি আপার নিজের টিভি শো থাকতো, একটা দুটো ম্যাগাজিন থাকতো ওপরাহ উইনফ্রির মতো, বাড়ীর পেছনে অর্গানিক ভেজি গার্ডেন থাকতো আর প্রতি বৃহস্পতিবার রেড বেল পেপার আর ব্রাসেলস স্প্রাউটের ঝুড়ি হাতে ফটো শুট করতেন তার ফেইসবুক ফ্যানদের জন্য! কিন্তু আপা পূর্বে জন্মেছেন যেখানে রান্নাবান্না করে ঠিক জাতে ওঠা যায়না, আর মনি কাঞ্চনের কথা নাইবা বললাম এখানে!
আগের দিনে পালকি পাঠিয়ে নাইওরী নিতো গ্রামের বাড়ি আর এখন কেউ ভালবাসলে নিজেই ঘন্টাখানিক ড্রাইভ করে এসে চ্যাংদোলা করে সাথে নিয়ে যান।
বিস্তারিত»দিনলিপিঃ গডের স্টেক
এক গেলাস জল গড়িয়ে খেতে হয় নাই দেশে অথচ এখানে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবই নিজেকে করতে হয়। বাজার সরকার থেকে শোফার, রাঁধুনি থেকে কবি অথবা জেনেটর বলতে সবই আমি এই জগত সংসারে!
বড়দিনের ছুটি কাটাতে বড় আপার ফ্যামিলি আসবে আমাদের আটলান্টার বাড়ী তাই মা মেয়ের আনন্দ আর ধরে না। তারা আর আমি বসে বসে খাবারের মেন্যু বানাই। বড় আপা আমার তিন বছরের বড় হলেও আমার প্রতি তার আচার আচরণ আমার মায়ের চাইতে কোন অংশেই কম নয়।
বিস্তারিত»আত্মহননঃ আমার অভিমত – প্রেক্ষাপটঃ ক্যাডেট কলেজ কম্যুনিটি
আত্মহননঃ আমার অভিমত – প্রেক্ষাপটঃ ক্যাডেট কলেজ কম্যুনিটি
[আমার এই লেখাটা কোন ভাবেই কোন সিস্টেম বা ব্যাক্তিকে দায়ী বা কটাক্ষ করে লেখা নয়। বরং গত কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু ঘটনার কারনে মনের মাঝে জমে থাকা অনেকগুলো বিষয়কে রিলেট করে একটা সমাধানের আশায় লেখার একটা প্রয়াস মাত্র। আমি নিজে একজন ক্যাডেট বলেই হয়তো বিষয়টা নিয়ে আমি ক্যাডেট কলেজ কম্যুনিটির প্রেক্ষাপটে লিখছি। কিন্তু আসলে এটা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
বিস্তারিত»