প্রেম, প্রকৃতি আর প্রার্থনার কথা

প্রেম, প্রকৃতি আর প্রার্থনা- আমার চিরদিনের প্রিয় বিষয়, ছোটবেলা থেকেই। প্রশ্ন আসতে পারে, ছোটবেলায় আবার প্রেমের কী বুঝতাম? তখন প্রেম বলতে বুঝতাম স্নেহ, আদর, ভালবাসা। মা যখন শীত আসার আগেই উলের বল আর উল বুননের কাঁটা যোগাড় করে রাখতেন, আর তাঁর স্বল্প অবসরে দিনের পর দিন ধরে উল বুনে আমাদের জন্য সোয়েটার, মাফলার ইত্যাদি বানিয়ে দিতেন, বুঝতাম সেটা ভালবাসা। গোসলের পর মাথা না আঁচড়িয়ে থাকতাম।

বিস্তারিত»

শেষ তৈলচিত্র

সাদাকালো অরণ্য- পাহাড়- নদী পার হয়ে
মরুর ধুলো উড়িয়ে দুরন্ত ছুটে চলা ভাবনার
লাগামহীন এক পাগলাঘোড়ায় সওয়ার হয়ে
নিশ্চুপ বসে আছি।

দুর্দান্ত গতিময় স্বপ্ন – স্থবির বাস্তব – অর্থহীন -সম্ভাবনাহীন।
অথবা কি সম্ভাবনাময়?
কী রং তাদের?
.
এক হঠাৎ বর্ণান্ধ শিল্পী।
যা কিছুই আঁকি – যে রং এ আঁকি – কিছুই দেখিনা।
আঁকার অসহ্য তাড়না ছবির পর ছবি আঁকিয়ে নেয় আমাকে দিয়ে।

বিস্তারিত»

নীড়ে ফেরা পাখি

১.
বৃষ্টি পড়ছিলো।।অরকা রি ইউনিওয়নে এসে ইমরান এমন প্রকৃতি বেশ উপভোগ ই করছিলো।।একটু পরেই শিরোনামহীনের কনসারট।।দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।।হঠাত চোখ আটকে গেলো।।পাশে যে শাওন ছিলো তা যেনো খেয়ালই করেনি,বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পিছু নিলো হঠাত দেখা সেই রমণীর পিছে পিছে।।পরিচয় জানা আবশ্যক।।বলেই ফেললো,”ওয়াও”।।
দেখা গেলো যে রমণী ২৪ ব্যাচ সিনিয়র এক ভাইয়ের কন্যা।।ভাবলো মন্দ নয়।।সে যাত্রা বুঝি বিধি সাথেই ছিলো কেনোনা আরও জানা গেলো যে যুবতী যুবকের ইয়ারমেট।।আর পায় কে,ইমরানের আকাশে বাতাসে ভাস্তে শুরু করলো রঙ বেরঙ্গের মেঘ।।আর কিসের রি ইউনিয়ন কিসের কি!!সারাটা সময় মানে ঐ ৪টা দিন যুবক শুশুমাত্র নাম না জানা যুবতীর পিছন ছুটে চললো।।এবার বুঝি সিঙ্গেল থাকার দিন ফুরোলো।।অনেক কষ্টে সৃষ্টে রমণীর নাম আবিষ্কার হলো।আনিকা!!

বিস্তারিত»

একুশের বইমেলায় আমার বই ‘অন্য জীবন”!

একুশের বইমেলায় আমার বই ‘অন্য জীবন”!

প্রকাশকঃ ‘রূপ প্রকাশন’  (স্টল নম্বর ২৭০ এবং ২৭১)

বিষয়টাকে কি ভাবে উপস্থাপন করা যায়, সেটা নিয়ে আমি সত্যিই এখনো কিংকর্তব্যবিমুঢ়। আমি কখনই এ নিয়ে  চিন্তা করিনি, সেটা সত্যি নয়। তবে বাস্তব জীবনে এর রুপায়ন সম্পর্কে আমার বিশ্বাস ছিল খুবই ক্ষীণ। আমার কাছে রীতিমত অলৌকিক মনে হচ্ছে।

বই পড়ার অভ্যেস আমার ছোটবেলা থেকেই। গ্রামের বাড়িতেই একটা ইনফরমাল লাইব্রেরি ছিল।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি – ১৩

সেলফোনটা ঘুমিয়ে পড়ছিলো। অবশ হয়ে ওর পাশে আমিও শুয়ে ছিলাম রাত দুটো পর্যন্ত। চোখ মেলে দেখি বারান্দার আলো ঘরের ভেতরে এসে দাঁড়িয়ে আছে। যেন বললেই এক দৌড়ে চার্জারটা এনে দেবে, ভেতরের ঘর থেকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে।

দু’দিন আগে পৃ বলছিল এই দৃশ্যের কথা – আগাম। ছুটির দিন সারা দুপুর এঁটো হাতে বসে রইলো — অনেকক্ষণ আমাকে দেখতেই পাচ্ছিল না যেন। আমি টিভিতে একটা অখাদ্য নাটকের সুখাদ্য নায়িকার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেখিয়েও ওর ধ্যান ভাঙাতে পারলাম না।

বিস্তারিত»

নারীবাদ নিয়ে আমার কিছু কথা…

এক
অনেকেই মনেহয় জানেন যে নারীবাদ তিনটি ডিস্টিংক্ট ওয়েভের মধ্য দিয়ে গিয়ে তাঁর আজকের এই অবস্থানে এসে উপনিত হয়েছে।
এই প্রতিটা ওয়েভেই নারীকে সম্মিলিত ভাবে আন্দোলন করে পরবর্তি পর্যায়ে পৌছুতে হয়েছে।
প্রথম ওয়েভে নারীকে লড়াই করতে হয়েছে তাঁর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকারের অনুপস্থিতিতে সেগুলো অর্জনের জন্য। তাঁর মানে হলো, এখনো যাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার অর্জন হয় নাই, তাদের আন্দোলনটা ঐ ফার্স্ট ওয়েভেই আটকে আছে।

বিস্তারিত»

কুয়াশার-চাদরে আবৃত কান্না

রাত আনুমানিক ২টা বাজে। বাস থেকে নেমে প্রায় ১ কিঃমিঃ যাওয়ার পর আমার বাড়ী। এত রাতে পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। মেইন রাস্তা থেকে কিছুটা পথ হেটে আমার বাড়ীর যাওয়ার রাস্তায় পা দিতেই কিছু সময়ের জন্য একটু থমকে গেলাম। কুয়াশার চাদরের আবরণ এতই যে এক হাত দূরের কোন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। অনেক অনেক দিন পর আজকে এই রকম কুয়াশা দেখলাম। যাকে বলে “কুয়াশার-চাদর”।

বিস্তারিত»

হঠাৎ হাওয়ায় নির্বাপিত

হঠাৎ হাওয়ায় নির্বাপিত

২৯ ডিসেম্বর ২০১৬। অন্যান্য দিনের মতই সকালে ঘুম ভাঙ্গার পরেও একটা ঘুম ঘুম আমেজ নিয়ে কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়ে র’লো রুখসানা। বিছানায় শুয়ে শুয়েই স্মৃতির যাবর কাটতে থাকে। একদিন কত ব্যস্ত ছিল তার দিন! সেই সাত সকালে ঘুম থেকে ওঠা, বাচ্চাদেরকে স্কুলের জন্য তৈরী করা, স্বামী অফিস যাওয়ার আগে তার নাস্তাটা টেবিলে পরিবেশন করা, তারপর একে একে সবাই বেরিয়ে গেলে নিজের ঘর সংসারের কাজে মন দেয়া।

বিস্তারিত»

লতাগুল্মের গালগল্প

আমাদের শহরে এখন সন্ধ্যা নামছে। দিনশেষের এই সময়টুকু আমার বড় প্রিয়। এখানে গ্রীষ্মের দিনগুলি অনেক লম্বা। ‘ঠাডাপড়া’ গরমে স্থানীয় লোকজন দেখি কেবল সমুদ্র সৈকতের দিকে দৌড়োয়। মাঝেমধ্যেই তাপমাত্রা একশো ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। দিনভর তুমুল গরম থাকলেও সন্ধ্যা আসে প্রশান্তি নিয়ে। সারাদিনের প্রচন্ড দাবদাহে গাছেরা তৃষ্ণাতর্ হয়ে থাকে। আমাদের বাড়ির সামনে পেছনে খোলামেলা সবুজ সমতল জায়গা আছে। সামনের চত্বরে আগে কেবল বুনো লাল গোলাপ ছিল, আর দক্ষিণের সীমানা ঘিরে ছিল ঘন সবুজ ফার্ণের ঝোপ ও জেরানিয়াম।

বিস্তারিত»

Poetry for friendship

© Mostafizur Rahman Tito

সেপ্টেম্বর ১৯,২০০৬ সাল। সাইক্লোন থেকে নিজের জাহাজ এবং নাবিকদের বাঁচাতে গিয়ে হারিয়ে যান বানৌজা শহীদ ফরিদ এর ক্যাপ্টেন ফিরোজ কবীর। তাঁর বীরত্বগাঁথা বিশ্ববাসীকে বলার জন্য লিখেছিলাম Ballad for a Sailor. এটি ক্যাডেট কলেজ ব্লগ এবং অলপোয়েট্রিতে প্রকাশ করি। অলপোয়েট্রি কবিদের এক বিশাল ওয়েবসাইট। কোন কবিতা  বা গল্প প্রকাশ হবার কিছুক্ষনের মধ্যেই তা পিছনে চলে যায়। তাই অন্যদের তা পড়ানর জন্য একটি কবিতা প্রতিযোগিতা আয়োজন করি।

বিস্তারিত»

টাশকি অফ দ্যা ইয়ারঃ ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৬

টাশকি অফ দ্যা ইয়ারঃ ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৬

২০১৬ সালটা আর সব বছরের মতই মিশ্র কিছু অনুভূতি নিয়ে বিদায় নিচ্ছে। এত কিছুর মাঝে এই ডিসেম্বর বেশ মজার একটা অভিজ্ঞতা, কিংবা বলা চলে “শিক্ষা” দিয়ে গেল।

ঘটনাটা এমনঃ ফেসবুকের প্রায় সবকিছুতেই বৌকে ট্যাগ করে দেই। এখানে বৌ-প্রীতি বা বৌ-নেওটা টাইপের কোন বিষয় না, বরং নিয়মিত পালন করে যাওয়া অভ্যাসটাই আসল। যাহোক, ফেসবুকে “লাইক-প্রেমী”

বিস্তারিত»

দিনলিপিঃ চিকেন টামালে কিংবা খগেন জে্যঠুর চালতার আচার

এক
সাতদিনের জন্য কেটি এসেছিল আমাদের বাড়ি; চৌদ্দ দিন পুরিয়ে অবশেষে সে ফিরে গেল কানেকটিকাটে। তবু কি যেতে চায়? আমিই প্রায় ঠেলে ধাক্কিয়ে পাঠিয়ে দিলাম। কেটির বাবা এবছর অবসর গ্রহণ করেছেন। বাবার সূত্রে কন্যা বছরে বিমানে তিনটে ট্রিপ নিতে পারে বিনা টিকিটে। ওর আটলান্টা ট্রিপটা এমনই একটা ফ্রি ট্রিপ ছিল।

চার পুরুষ আগে কেটি আরমানিনির পরিবার ইটালী থেকে এদেশে এসেছিল বসতি গড়তে।

বিস্তারিত»

কষ্টের জোছনা

সক্রামক ব্যাধি নিয়ে কাজ করছি বেশ কিছুদিন হয়ে গেলো, এপিডেমিক হিস্টোরি বলে একটা টার্ম আছে, এর মানে হলো ডাক্তার রোগীর কাছে জিজ্ঞাসা করে কিছু গুরুত্বপূর্ন ক্ষেত্রের প্রশ্নের উত্তর জেনে নেবে। যেমন ধরা যাক রোগী ছয় মাস আগে ডেন্টিসের চেম্বারে দাঁতের চিকিৎসা করিয়েছে, আর এখন তার জন্ডিস হয়েছে, ডেনিস্ট এর যন্ত্রপাতির কারনে ডাক্তার এখন হেপাটাইটিস বি স্ক্রিনিং করাবে, কারন হেপাটাইটিস বি ভাইরাস মানুষের শরীরে চুপচাপ ছয় মাস পর্যন্ত বসে থাকতে পারে,

বিস্তারিত»

ঢাকার রাস্তার সবচেয়ে বড় আতঙ্ক- হর্ন!

বর্তমানে ঢাকার রাস্তার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম হর্ন। জ্যামে আমরা অভ্যস্ত (বাধ্য) হয়ে গেছি। ছিনতাই, রাহাজানি বা দুর্ঘটনা উপরওয়ালার হাতে ছেড়ে দিয়েছি, কিন্তু হর্নের কোন ব্যবস্থাই করা যাচ্ছে না।

অবশ্য, সেটা হবেই বা কিভাবে? আমাদের শ্রবণশক্তি তো আর রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়! গবেষণায় দেখা গেছে শব্দের মাত্রা ২৫ ডেসিবল পর্যন্ত আমাদের শ্রবণযন্ত্রের জন্য স্বাভাবিক। এরচেয়ে বেশি হলেই শুরু হয় ঝামেলা।

কী কী ঝামেলা?

বিস্তারিত»

টলমল জল মোতির মালা দুলিছে ঝালর –পলকে!!!

ফযরের আযান শুনে নীলার ঘুম ভাংলো। উঠি উঠি করেও অভ্যেস বশতঃ কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়েই এপাশ ওপাশ করলো। তারপর গা ঝারা দিয়ে উঠে সে বিছানার পাশে দখিনের জানালার পর্দাটা সরিয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ বাইরে তাকিয়ে থাকলো। দুই একজন মসজিদমুখী মুসল্লীর হেঁটে যাওয়া নির্বিকারভাবে তাকিয়ে দেখলো। জানালার কাঁচটা কিছুটা সরিয়ে দিয়ে নেটের ফ্রেমটা টেনে দিল। ঝিরঝিরে মৃদু সমীরণ শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছিল। নীলা ওযু করে এসে ফ্যানটা অফ করে দিয়ে নামাযে দাঁড়াল।

বিস্তারিত»