জীবনের পুল পুশ ফ্যাক্টরঃ

জীবনে আমার যেটুকু এগিয়ে যাওয়া, তার অধিকাংশই কোন না কোন পুল-পুশ ফ্যাক্টরের কারণে হয়েছে। কখনো কেউ একটু পুশ করেছে, কখনো কেউ একটু পুল করে নিয়েছে, আর মাঝে মাঝে কোন কিছুতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজেই সেলফ স্টার্টেড হয়ে সামনে দৌড়িয়েছি। সেখানেও কোন প্রণোদনা হয়তো পুশ করেছে, নয়তো পুল।

৩৩ বছর কলমের খাপটাকে বন্ধ রেখেছিলাম। দূরের বন্ধু (টেনিসি প্রবাসী) ড. হুমায়ুন কবির একবার নিজের লেখা কবিতার একটা লিঙ্ক পাঠিয়ে পড়তে বললেন।

বিস্তারিত»

পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই।

কলোম্বতে বাংলাদেশ নিজেদের ১০০ তম টেস্ট খেলতে কাল মাঠে নামবে।যাত্রাটা প্রায় ১৭ বছরের। সময়টা কম না। যদিও আমাদের দাবী আমরা নতুন দল। ধীরে ধীরে উন্নতি করছি। হয়ত তাই। অন্যান্য দলগুলোর তুলনায় আমরা আসলেই অনেক কম সময় খেলেছি। অনেক নতুন একটা দল। কিন্তু সে অজুহাতে বারবার নিজেদের অব্যবস্থাপনাকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। আমার এই লেখাটা সম্পূর্ণ সমালোচনা পূর্ণ একটা লেখা।সাথে কিছু না পাওয়া আবেগ। ৯৯ টেস্ট,৮ জয়,৭৬ পরাজয় ও ১৫ ড্র।

বিস্তারিত»

বেস্ট ফ্রেন্ড

আজ নীলার বিয়ে।মা মরা বাড়ি র একমাত্র মেয়ে।আদর টা তাই ওর একটু বেশি। বাবা কখনই মেয়ের কোনো আব্দারের সাথে পেরে ওঠেননি।বাবাকেও অনেক ভালোবাসে নীলা।এক এক করে সব অতিথিরাই আসছে।এখোনো আসেনি কেবল নীলা র বেস্ট ফ্রেন্ড রাফি।
..
বাবাকে জিজ্ঞেস করে নীলা
-বাবা রাফি কি এসেছে?
-না মা ও তো এখনো আসেনি।
প্রচন্ড রাগ হয় নিলার।রাফিটা এমন কেন?ও না আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।অথচ আমার বিয়ের দিনটাতেও কি এমন কাজ ওর?

বিস্তারিত»

~ বইমেলা প্রাণের মেলা, তার প্রাণভোমরা সেথায় জোর দেখাক খেলা ~

বইমেলা প্রাণের মেলা। দীর্ঘ একটা মাস ধরে এমন বইমেলা পৃথিবীর কোথাও হয়না। লেখক-কবি-প্রকাশক-পাঠক সবার জন্য এমন একটা মেলা নিঃসন্দেহে দারুন প্রাণসঞ্চারী ভাব বিনিময়, কৃষ্টির চর্চা এবং প্রসারের এক মহামঞ্চ হবারই কথা। তা হবার জন্য এর চেয়ে বড় কোনো আয়োজন-উৎসব এদেশে নেইও। এক সময় বাঙলা একাডেমীর প্রাঙ্গন জুড়ে বসতো এ সৃজনশীলতার মেলা। গোটা প্রাঙ্গনে বইয়ের স্টল নিয়ে প্রকাশকরা সাজিয়ে তুলতেন নতুন পুরোনো সব প্রকাশনার এক আলোকজ্জ্বল গ্রন্থসমাবেশ।

বিস্তারিত»

জাপান ভ্রমণ ২০১৬ (ভিসা সংগ্রহ)

পেপার টা সম্পর্কে একটি হ্যাঁ সূচক ই-মেইল পাওয়ার পর থেকে মনের ভিতরে একটি সুন্দর অনুভুতি শুরু হল। জাপান ভ্রমনের এই সুযোগ কানাডীয় সরকারের খরচে ! যখন প্রাথমিক স্কুলে পড়তাম, তখন সম্ভবত চীন-জাপান নিয়ে একটি গল্প পড়ান হত। তাই ছোট বেলা থেকেই এই দুটো দেশ সম্পর্কে একটি কৌতূহল ছিল। যাহোক, এবার সেটা মেটানোর পালা। প্রফেসর ও খুশি, শুধু খুশি নয় জীবন সঙ্গিনী, যাচ্ছি যে  আমি একাই।

বিস্তারিত»

বইমেলার টুকিটাকি-৩

বই মেলার টুকিটাকি-৩

গতকাল ছিল “অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৭” এর শেষ দিন। বেলা একটার দিকে বন্ধু লুৎফুল কবীর মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলো, আমি তো তোমার স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে, কিন্তু তুমি কোথায়? আমি ততক্ষণে কাছাকাছি চলে এসেছি, শাহবাগ মোড়ে। বললাম, আর দশ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যাব। কবীর এর আগে একদিন এসে আমার বই “প্রেমের একটি ফুল ফুটুক, শুষ্ক হৃদয়েই” এর একটি কপি কিনে নিয়ে গিয়েছিল। সে আমার অন লাইন লেখালেখির একজন আগ্রহী পাঠক।

বিস্তারিত»

প্রিয় আরিশার আম্মু

প্রিয় আরিশার আম্মু,

গত দশ বছর ধরে আমাকে সহ্য করে যাচ্ছ, করে যাও। সামনে আরো অনেক অনেক ঝামেলা আছে তোমার কপালে। আমার অনিচ্ছাতেও যে তোমার সাথে আমি ঝামেলা করেই যাব এটা নিশ্চিত থাক; এটা কোন ওয়ার্নিং নয়, এটা একটা একান্ত প্রমিস, হুইচ ইজ নেভার এভার মেন্ট টু বি ব্রোকেন, টিল মাই লাস্ট ব্রেথ।

জানি, তুমি এখন আর আশা কর না, তারপরেও যদি ভুলেও ভেবে থাক যে,

বিস্তারিত»

প্রেম, প্রকৃতি আর প্রার্থনার কথা

প্রেম, প্রকৃতি আর প্রার্থনা- আমার চিরদিনের প্রিয় বিষয়, ছোটবেলা থেকেই। প্রশ্ন আসতে পারে, ছোটবেলায় আবার প্রেমের কী বুঝতাম? তখন প্রেম বলতে বুঝতাম স্নেহ, আদর, ভালবাসা। মা যখন শীত আসার আগেই উলের বল আর উল বুননের কাঁটা যোগাড় করে রাখতেন, আর তাঁর স্বল্প অবসরে দিনের পর দিন ধরে উল বুনে আমাদের জন্য সোয়েটার, মাফলার ইত্যাদি বানিয়ে দিতেন, বুঝতাম সেটা ভালবাসা। গোসলের পর মাথা না আঁচড়িয়ে থাকতাম।

বিস্তারিত»

শেষ তৈলচিত্র

সাদাকালো অরণ্য- পাহাড়- নদী পার হয়ে
মরুর ধুলো উড়িয়ে দুরন্ত ছুটে চলা ভাবনার
লাগামহীন এক পাগলাঘোড়ায় সওয়ার হয়ে
নিশ্চুপ বসে আছি।

দুর্দান্ত গতিময় স্বপ্ন – স্থবির বাস্তব – অর্থহীন -সম্ভাবনাহীন।
অথবা কি সম্ভাবনাময়?
কী রং তাদের?
.
এক হঠাৎ বর্ণান্ধ শিল্পী।
যা কিছুই আঁকি – যে রং এ আঁকি – কিছুই দেখিনা।
আঁকার অসহ্য তাড়না ছবির পর ছবি আঁকিয়ে নেয় আমাকে দিয়ে।

বিস্তারিত»

নীড়ে ফেরা পাখি

১.
বৃষ্টি পড়ছিলো।।অরকা রি ইউনিওয়নে এসে ইমরান এমন প্রকৃতি বেশ উপভোগ ই করছিলো।।একটু পরেই শিরোনামহীনের কনসারট।।দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।।হঠাত চোখ আটকে গেলো।।পাশে যে শাওন ছিলো তা যেনো খেয়ালই করেনি,বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পিছু নিলো হঠাত দেখা সেই রমণীর পিছে পিছে।।পরিচয় জানা আবশ্যক।।বলেই ফেললো,”ওয়াও”।।
দেখা গেলো যে রমণী ২৪ ব্যাচ সিনিয়র এক ভাইয়ের কন্যা।।ভাবলো মন্দ নয়।।সে যাত্রা বুঝি বিধি সাথেই ছিলো কেনোনা আরও জানা গেলো যে যুবতী যুবকের ইয়ারমেট।।আর পায় কে,ইমরানের আকাশে বাতাসে ভাস্তে শুরু করলো রঙ বেরঙ্গের মেঘ।।আর কিসের রি ইউনিয়ন কিসের কি!!সারাটা সময় মানে ঐ ৪টা দিন যুবক শুশুমাত্র নাম না জানা যুবতীর পিছন ছুটে চললো।।এবার বুঝি সিঙ্গেল থাকার দিন ফুরোলো।।অনেক কষ্টে সৃষ্টে রমণীর নাম আবিষ্কার হলো।আনিকা!!

বিস্তারিত»

একুশের বইমেলায় আমার বই ‘অন্য জীবন”!

একুশের বইমেলায় আমার বই ‘অন্য জীবন”!

প্রকাশকঃ ‘রূপ প্রকাশন’  (স্টল নম্বর ২৭০ এবং ২৭১)

বিষয়টাকে কি ভাবে উপস্থাপন করা যায়, সেটা নিয়ে আমি সত্যিই এখনো কিংকর্তব্যবিমুঢ়। আমি কখনই এ নিয়ে  চিন্তা করিনি, সেটা সত্যি নয়। তবে বাস্তব জীবনে এর রুপায়ন সম্পর্কে আমার বিশ্বাস ছিল খুবই ক্ষীণ। আমার কাছে রীতিমত অলৌকিক মনে হচ্ছে।

বই পড়ার অভ্যেস আমার ছোটবেলা থেকেই। গ্রামের বাড়িতেই একটা ইনফরমাল লাইব্রেরি ছিল।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি – ১৩

সেলফোনটা ঘুমিয়ে পড়ছিলো। অবশ হয়ে ওর পাশে আমিও শুয়ে ছিলাম রাত দুটো পর্যন্ত। চোখ মেলে দেখি বারান্দার আলো ঘরের ভেতরে এসে দাঁড়িয়ে আছে। যেন বললেই এক দৌড়ে চার্জারটা এনে দেবে, ভেতরের ঘর থেকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে।

দু’দিন আগে পৃ বলছিল এই দৃশ্যের কথা – আগাম। ছুটির দিন সারা দুপুর এঁটো হাতে বসে রইলো — অনেকক্ষণ আমাকে দেখতেই পাচ্ছিল না যেন। আমি টিভিতে একটা অখাদ্য নাটকের সুখাদ্য নায়িকার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেখিয়েও ওর ধ্যান ভাঙাতে পারলাম না।

বিস্তারিত»

নারীবাদ নিয়ে আমার কিছু কথা…

এক
অনেকেই মনেহয় জানেন যে নারীবাদ তিনটি ডিস্টিংক্ট ওয়েভের মধ্য দিয়ে গিয়ে তাঁর আজকের এই অবস্থানে এসে উপনিত হয়েছে।
এই প্রতিটা ওয়েভেই নারীকে সম্মিলিত ভাবে আন্দোলন করে পরবর্তি পর্যায়ে পৌছুতে হয়েছে।
প্রথম ওয়েভে নারীকে লড়াই করতে হয়েছে তাঁর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকারের অনুপস্থিতিতে সেগুলো অর্জনের জন্য। তাঁর মানে হলো, এখনো যাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার অর্জন হয় নাই, তাদের আন্দোলনটা ঐ ফার্স্ট ওয়েভেই আটকে আছে।

বিস্তারিত»

কুয়াশার-চাদরে আবৃত কান্না

রাত আনুমানিক ২টা বাজে। বাস থেকে নেমে প্রায় ১ কিঃমিঃ যাওয়ার পর আমার বাড়ী। এত রাতে পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। মেইন রাস্তা থেকে কিছুটা পথ হেটে আমার বাড়ীর যাওয়ার রাস্তায় পা দিতেই কিছু সময়ের জন্য একটু থমকে গেলাম। কুয়াশার চাদরের আবরণ এতই যে এক হাত দূরের কোন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। অনেক অনেক দিন পর আজকে এই রকম কুয়াশা দেখলাম। যাকে বলে “কুয়াশার-চাদর”।

বিস্তারিত»