শেষ না হওয়ার গল্প

ক্যাডেট কলেজের রাতগুলো নগর জীবনের রাতের চাইতে ভিন্ন ছিল। আমাদের ময়মনসিংহের শহরতলীতে সন্ধ্যা নামতো ঝুপ করে। এমজিসিসির তিন দিকে ছিল ধানক্ষেত, বছরের ছয়মাস জুড়ে সেখানে হাঁটু জল থাকতো। কলেজের দক্ষিণে ধারে কাছে কোথাও শেয়ালকূলের ঘর গেরস্থালি ছিল। সন্ধ্যা হতে না হতে পরিবার পরিজন সহ শতেক শেয়াল একসাথে হুক্কাহুয়া রবে চারদিক কাঁপাতো আর আমাদের শহরবাসী অনভ্যস্ত কান সেই ডাকাডাকিতে ভীত হয়ে পড়তো! শৃগাল সংগীত শুরুর আগে গেমস শেষে হাউসের স্বনামধন্য দৌড়বাজ ক্যাডেটরা বাথরুমের দখলদারিত্ব নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে দিত। কদাচিৎ আমার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে অথবা কেউ যদি নিতান্তই দয়াপরবশ হয়ে দ্বিতীয়বার গোসল না করবার সিদ্ধান্ত নিতো তবেই না আমার স্নানঘরে যাবার সুযোগটি মিলতো! ছোট্ট এক চিলতে বাথরুমের কুঠুরিতে প্রথম প্রথম আমার দম বন্ধ হয়ে আসতো। যে দিন খানিক বিলাসিতা করে চুলে সানসিল্ক শ্যাম্পু ঘষে গাঢ় বেগুনি রংগা কসকো সাবানে ফেনা তুলে যেমনি গা মাজতে যাবো অমনি হয়তো লুবনা সবার অলক্ষ্যে বাতিটি নিভিয়ে দিয়ে টানা বারান্দায় বসে অস্তায়মান সূর্য দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়তো!

নিত্যদিনের কাকস্নান সেরে ধবধবে সাদা সালোয়ার কামিজ পড়ে পড়িমরি করে প্রেয়ার রুমে মাগরিবের নামাজ পড়তে যেতাম সবাই মিলে। তারপর ডিউটি ক্যাডেটের বাঁশি বাজলে পিঁপড়ের সারির মত ফাইল আপ করে একাডেমিক ব্লকে প্রেপে যেতে হতো। আলো আঁধারের দোলাচলে তখন ঝিঁঝি পোকাদের উৎসব শুরু হয়েছে বাইরে। গ্রীষ্মে জোনাকীরা আসতো দল বেঁধে। আমরা তিনটি বোন তখন এমজিসিসির তিন ব্যাচের ক্যাডেট। সবার বড় বোনটি ক্লাস টেনে পড়ে, মাঝের জন নবমে আর সর্ব কনিষ্ঠ আমি তখন অষ্টমের জুনিয়র মোষ্ট ক্যাডেট। সন্ধ্যা হলেই বড় আপামণি স্মৃতিকাতরতায় ভুগতো, মায়ের কথা মনে পড়লে অশ্রুবিন্দুরেখা চিকচিক করতো তার বড় বড় চোখে। মেজ আপা বড়ই স্থিতধি মানুষ, তার মনের গলিঘুপচির খবরাখবর কেউ জানতো না। আমি সবার ছোট বিধায় বড় বোনেরা কোথায় দেখেশুনে রাখবে তা নয়। আমাকে বরং আজ পরিবারের জাতিসংঘ অথবা কাল তত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করতে হতো!

সাপের মত বেণী দুলিয়ে যে আপাটি আমাদের রুমে এসেই কলকল খলবল করে কথা বলা শুরু করলেন তিনি মিলি আপা, আমার প্রথম রুমমেট। পিঠ ছড়ানো ঘন কালো চুল আর বুদ্ধিদীপ্ত চোখের মিলি আপার সাথে একমাথা এলোমেলো ঝাকড়া চুলের ‘কবি কবি ভাবের’ ছোট বোনটির ভাব হতে পাঁচ মিনিটের অধিক সময় লাগে নাই! মিলি আপা মানেই মেঘপাহাড়, সমুদ্র আর বিটিসির গল্প। রিনরিনে গলায় কথা বলেন তিনি, ঝর্ণাধারার মতো হাসি তার। আমাদের অপর রুমমেট ছিলেন রিপা আপা। অই অতটুকু বয়েসেই আপা ছিলেন খুব রাশভারী স্বভাবের। পড়াশোনাতেও সিরিয়াস টাইপের মানুষ ছিলেন রিপা আপা। অন্য অনেকেই যখন লুকিয়ে লুকিয়ে কবিতা লিখছে আমি তখন রীতিমত প্রকাশে্য লেখালেখি শুরু করেছি। কলেজ থেকে ‘মুকুর’ নামে একটি হাতে লেখা ম্যাগাজিন ছাপা হতো সাইক্লোস্টাইল মেশিনে। প্রতি মাসে আমার পিতৃপ্রদত্য নামখানি মুকুরে ছাপার অক্ষরে দেখে আমি যারপরনাই বিগলিত হতাম। মিলি আপা আমার লেখার ঠিক পাঠক নয় বরং বলা চলে আপা আমার ভক্ত শ্রোতা। অখাদ্য কুখাদ্য যা’ই লিখিনা কেন মনের সব আবেগ ঢেলে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে পাঠ করতাম আপার জন্য। মিলি আপা তার বদলে কোন দিন চানাচুর আবার কোন দিন আন্টির পাঠানো ডোনাট খেতে দিতেন!

আমাদের থার্ড প্রেপ হতো হাউসে, তখনো হাউস প্রেপটি বেশ ঢিলেঢালা গোছের ছিল। সাদা জামাকাপড় পাল্টে আমরা রাতের পোষাক পরে নিতাম। তারপর ডিউটি ক্যাডেটের ঘন্টাধ্বনির সাথে টেবিলের সাথে সেঁটে পরা! অতি মনোযোগী ক্যাডেটরা অবশ্য নিজেকে বাঁচাতে বইপত্তর বগলদাবা করে কমনরুমে বসে নিজের মনে সুর করে পড়াশোনা করতো। আমরা যারা ফাঁকিবাজি করতাম তাদের কাজের অন্ত ছিলনা। দিনশেষে কত কথা যে জমে থাকতো আমাদের! মিলি আপার নেভার এন্ডিং স্টোরির একনিষ্ঠ শ্রোতা ছিলাম আমি। আমাদের আড্ডাবাজি স্বভাবের জন্য প্রায়শই বকা খেতাম রিপা আপার থেকে! একবার ছুটি থেকে কলেজে ফিরে এসেছি সবে, বাড়ির জন্য মন খারাপ সবারই কিন্তু হুঁকোমুখো হ্যাংলার মত মন খারাপের দিস্তা নিয়ে বেশীক্ষণ বসে থাকতে পারতাম না। পড়াশুনো শিকেয় তুলে বেলা বিস্কুট আর মুক্তাগাছার মন্ডায় যখন আড্ডাটা জমে উঠেছে তখন ছোটবড়র ভেদাভেদ ভুলে ছলছল চোখে রিপা আপার ধমক,
তোমাদের এতো হাসি আসে ক্যামনে?
মিলি আপা আর আমি খানিক অপ্রস্তুত হলেও অবিরল গল্প আর আমাদের চাপা হাসির তোড়ে রিপা আপার সজল চোখেও এক সময় ঝলমলানি দেখি।

এক রাতে নিম পাখি ডাকলো নিম নিম! আমাদের রুমটি তখন করিডোরের শেষ মাথায়, রুমের পেছনে ইয়া বড় একখানা গাছ। রিপা আপা বললো, নিম পাখি বড় খারাপ। সে নিমু নিমু বলে মানুষকে নিয়ে নেয় জমের বাড়ি। যে বাড়িতে নিম পাখি ডাকে সেই বাড়িতে মৃত্যু সন্নিকট! নিম পাখির নাম শুনি নাই কখনোই, ডাক তো দূরের কথা! রিপা আপা আমাদের সবাইকে বেশ ভাবিত করে তুললেন; না জানি কে কখন মরে যায়! জগতে বৃদ্ধের অপেক্ষা থাকে মৃত্যুর জন্য কিন্তু সেই কিশোর বয়েসে এক নামগোত্রহীন পাখি এসে মৃত্যু নামের এক অজানা ভয়ের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে গেল! তখন রুম পরিবর্তনের হিড়িকে রুনা এসেছিল আমাদের রুমমেট হয়ে। ও আমাদের নিলুফার ম্যাডামের কন্যা। ম্যাডাম বাইরে থেকে আমাদের ইংরেজী পড়াতে আসতেন। হাতকাটা ব্লাউজে নীল শাড়িতে চোখের পাতায় নীল শ্যাডো পরে ম্যাডাম আমাদের দ্য লানচন পড়াতেন। রুনা নিম পাখি ডাকা সেই রাতে বান্ধবীর সাথে কথা বলার সময়ে হাতের ‘সামান্য’ ধাক্কায় টেলিভিশন সেটটি ভেঙে ফেললো। জলজ্যান্ত মানুষ নয় নিম পাখি আমাদের একমাত্র টেলিভিশন সেটটি নিয়ে নিল!

নিয়মানুবর্তিতা, সময়ানুবর্তিতা ইত্যাদি গালভরা ব্যাপারগুলো ছাড়াও ক্যাডেট কলেজ আমাদের যা শিখিয়েছে তাকে যদি এক কথায় বলি, সেটি হবে সহনশীলতা! আমাদের কেউ কেউ সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মে ছিলাম, কারো কারো পেছনে একজন গৃহকর্মী নিয়োজিত ছিল সার্বক্ষণিক, অন্যদিকে কারো ঈদে হয়তো নতুন জামা জুটেছে কদাচিৎ, কেউ হয়তো আলাদা বিছানায় শোয়নি কখনোই অথচ সেই আমরাই ডাইনিং হলে কাটাচামচে এতটুকু শব্দ না করে একসাথে খেতে শিখে গেলাম। আমাদের কেউ কেউ নিউজপ্রিন্টের খাতায় প্রথমে পেনসিলে লিখে তারপর সেটির ওপর ঝর্ণা কলমে রসায়নের সূত্র লিখতো, অন্যদিকে কেউ হয়তো বৃহষ্পতিবার জহির মামার ক্যান্টিন থেকে এক ক্রেট সোডা কিনে রাখতো সপ্তাহ ভরে খাবে বলে! কেউ কেউ কাগজওয়ালা মত সুর করে পড়া তৈরি করতো, লুবনার মত দস্যি কেউ কেউ এর জুতা মাড়িয়ে তো ওর খাতায় গোটা গোটা অক্ষরে লিখে দিয়ে আসতো, গরু ঘাস খায়! অন্য দিকে কলির মত চুপচাপ মানুষও কম ছিল না! আমাদের সময়ে প্রায় সবাই চুলের যত্নে নানারকমের তেল ব্যবহার করতো। তেলের গন্ধ সহ্য করতে পারিনা বলে আমি চুলে তেল দিতাম না কখনো, শ্যাম্পু করার পর ঝাকড়া চুল যদি বেশী বাড়াবাড়ি করতো তবে মধ্যমার ডগায় মটরশুঁটির মত এক চিমটি ব্রায়ার ঘষে দিতাম চুলগুলোকে পোষ মানাতে! কনকনে শীতের এক রাতে লুবনার মাথায় ভূত চাপলো। আমি তখন ঘুমিয়ে পড়েছি আর রুমের বাকিরা তখন ঘুমঘুম প্রায়; লুবনা চুপচাপ বিছানা ছেড়ে নেমে তীব্র গন্ধযুক্ত হিমকবরী তেল আমার চুলে ঘষে দিয়েই একছুটে বাথরুমে লুকালো। ঘুমের তীব্রতায় প্রথমে আমি ঘটনার ভয়াবহতা আঁচ করতে পারি নাই, রুমের বাকী সবার হাসাহাসিতে যখন আমি বিছানায় উঠে বসেছি ততোক্ষণে চুল বেয়ে পীত রং এর হিমকবরী তেল কোলে এসে পড়ছে! ময়মনসিংহের তীব্র শীতের রাতে বরফশীতল শাওয়ারের জলের সাথে আমার চোখের জল মিলেমিশে যে করুণ রসের সৃষ্টি করলো তার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে রইল আমার বাকী দুজন রুমমেট!

পতেঙ্গা বিচে সূর্যাস্ত দেখতে গিয়ে আতিকের সাথে দেখা হয়ে গেল। মোরশেদ দেখি কাঁধে একখানা টু-ইন-ওয়ান নিয়ে গার্লস ক্যাডেটদের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে সজোরে ‘আই অব দ্য টাইগার’ বাজাতে বাজাতে চলছে; পাশে কে একজন সেই ভর সন্ধ্যাবেলায় চোখে সানগ্লাস সেঁটে বেশ কায়দা করে হাঁটছে! সিলেট ক্যাডেট কলেজের ছেলেদের এইসব ঢংঢাং দেখতে গিয়ে আমাদের একজন বান্ধবী পা হড়কে সৈকতে পড়ে গেল; এই নিয়ে ছেলেদের মাঝে ব্যাপক হাসির রোল! আমরা একেক জন তখন টুয়েলভের সবজান্তা সমশের! পৃথিবীর সকল বিষয়েই আমাদের জ্ঞানের পরিধি মহাজাগতিক সীমানা ছাড়িয়ে অন্য গ্রহলোক অবধি বিস্তৃত। ততোদিনে কাঁধের এ্যাপুলেটের তারকা কিংবা কলেজের বক্তৃতা/বিতর্ক আমার মত মুখচোরা মানুষকেও কম মুখরা বানায়নি! অন্যদিকে আতিক তখনই দেখি মহা মাস্তান। খেলাধূলো আর দৌড়ঝাঁপে, কথার সৌকর্যে অথবা তার মনভুলানো হাসি কিংবা তার বন্ধুঅন্তপ্রাণ স্বভাবের কারণে সবার প্রিয় পাত্র সে। আমরা একই সৈকতে দুই কলেজের প্রায় একশো জন ক্যাডেট দিগন্তের ওপারে অস্তমান সূর্যকে বিলীন হতে দেখলাম কিন্তু একশো গজের ব্যবধান ঘুচিয়ে সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে আতিকের সাথে একটি কথা বলার মত সৌভাগ্য হয় নাই!

ক্যাডেট কলেজ থেকে আমার প্রাপ্তির অন্ত নাই। মিলি আপা, ইতি আপা কিংবা লুবনা, নীরা, বাচ্চুর মত বন্ধুদের তো কলেজ থেকেই পেয়েছি। অপরিচিত মানুষের সাথে আত্মবিশ্বাসের সাথে হাসিমুখে কথা বলতে পারি আজ। জীবনে যতবার কঠিন সমস্যার মাঝে পড়েছি ততোবারই মনেমনে বলেছি, এ আর এমন কী, প্রিন্সিপ্যালস প্যারেড তো নয় আর! একা থাকতে শিখেছি, অন্যের ভিন্ন মত অথবা ভিন্ন পথটিকে সম্মান করবার যে শিক্ষা সেটিও তো কলেজ থেকেই পাওয়া! গতকাল এম ফাইভ ধরে বাড়ি ফিরছিলাম, হঠাৎ একখানা ভোক্সওয়াগনের তিনশো বাইশ লেখা নম্বর প্লেট দেখে আতিক উত্তেজিত কন্ঠে বলে উঠলো, এইখানেও দেখি সাদেক! একদিন সিডনীর আরএমএস অফিসে বসেছিলাম আমার আমেরিকান ড্রাইভারস লাইসেন্সটিকে অস্ট্রেলিয়ান টোপর পরাতে, ডিজিটাল বোর্ডে দেখি একশো পঁয়তাল্লিশ নম্বরটি জ্বলছে। নিজের সিরিয়াল নম্বরটি দেখার আগেই চশমা পরা মুনিরার শান্ত মুখখানি মনে পড়ে গেল আমার। ক্যাডেট নম্বর নিয়ে আমাদের এই যে খেলা সেটি বোধকরি জীবনের শেষ দিন অবধি চলবে!

বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে মধ্যরাত্রির বন্ডাই সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে বেড়িয়ে ছিলাম আমার বরটির সাথে। বোবা জোছনার রূপসুধায় ভেসে যাচ্ছে চরাচর। আছড়ে পড়া জলের শব্দ ছাড়া কোথাও কোন কোলাহল নেই, বাতাসও যেন ফিসফিস করে কথা বলছে। আশেপাশে আমাদের মত দু’চারজন রাতের পেঁচা ছাড়া লোকজন তেমন নেই বললেই চলে। ফ্লিপ-ফ্লপ খুলে খালি পায়ে হাঁটছিলাম আমরা। আতিকের মাথায় কোন ভূত চাপলো কে জানে, এক লহমায় আমাকে কোলে তুলে বড় বড় পায়ে হাঁটু জল পেরিয়ে আরো সামনে যাচ্ছে। আমি সাঁতার জানি না, হাত পা ছুঁড়ছি প্রাণের ভয়ে। আমার ছেলেমানুষী চিৎকারে আতিক হাসতে হাসতে বললো, আরে ডরাও ক্যান, দুই শো পঁচানব্বই আছে না সাথে!

৮,৭৯৬ বার দেখা হয়েছে

২০ টি মন্তব্য : “শেষ না হওয়ার গল্প”

  1. অরূপ (৮১-৮৭)

    আরে, সাবিনা কত্ত দিন পর।
    সব সময়ের মতই মুগ্ধ হয়ে পড়ি তোমার লেখা। পড়া শেষ হবার পরও রেশ থেকে যায় মুগ্ধতার ...

    পতেঙ্গা সৈকতের কাহিনী কোন বছরের?


    নিজে কানা পথ চেনে না
    পরকে ডাকে বার বার

    জবাব দিন
    • চমৎকার লিখেছ। মন ছুঁয়ে গেছে আমার।লেখার হাত আগের চাইতে অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে।অনেক অনেক ধন্যবাদ।তোমার লেখা পড়ে দীর্ঘ সময় সেই cadet কলেজের আজ্ঞিনায় মনটা ঘুরে বেরিয়েছে। ওখানকার স্মৃতি সব সময়েই মধূর আমার কাছে।ভাল থেকো সবসময়।

      জবাব দিন
    • সাবিনা চৌধুরী (৮৩-৮৮)

      🙂 🙂 🙂 🙂 🙂 🙂

      অরূপদা, তোমার দেখা পাওয়া গেল অবশেষে সিসিবিতে। ফেসবুক আমাদের প্রিয় ব্লগারদের আত্মসাত করছে দেখতে পাচ্ছি।

      পতেঙ্গা সৈকতের ঘটনা অথবা দূর্ঘটনা যা'ই বলো না কেন সেটি ৮৭'র শেষের দিকে। ক্লাস টুয়েলভের সমুদ্রদর্শনের সময়কার ঘটনা এটি।

      জবাব দিন
    • এস এ মোরশেদ (৭৮-৮৪)

      বেশ সাবলীল লেখা; খুব ভাল লাগল । আমাদের সবার জীবন অভিজ্ঞতা কম বেশী ভাল খারাপ সব ঘটনায় সমৃদ্ধ । ক্যাডেট কলেজ পর্বটাও অন্যথা নয় । তবে তার মধ্য হতে শুধুমাত্র নির্ভেজাল ভাল লাগার বিষয়গুলো সন্নিবেশ করে প্রকাশ করাটা সহজ কাজ নয় । শুভকামনা রইল।

      জবাব দিন
  2. জিয়া হায়দার সোহেল (৮৯-৯৫)

    এখন রাত প্রায় ১২ বেজে ৯ মিনিট। ঘুমোতে যাবো যাবো বলে মুগ্ধ হয়ে আপু'র লিখাটা পড়লাম। এতো সুন্দর বর্ণনা দুই একটা বই বেরিয়েছে এমন লেখকদের লিখাতেও দেখি না। অনেক গুছিয়ে এবং সময় নিয়ে লিখেছ বোধ হয়। আপু আমার আর ধৈর্য নেই, তুমি একটা উপন্যাস লিখো। অনেক ভালো থাকো আপু। :clap: :clap:

    জবাব দিন
  3. মোবাশশির

    আপু,
    আপনার লেখনী নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে “শেষ না হওয়ার গল্প” এর মুগ্ধতার রেশ এখনো আমার শেষ হয়নি। কিছু লেখা হৃদয়ে বিচরণ করে আর কিছু করে মস্তৃস্কে..... আপনার লেখা সবসময় হৃদয়েই থাকে।
    ভালো থাকবেন।

    মোবাশশির
    রকক (৯৪-০০)

    জবাব দিন
  4. পারভেজ (৭৮-৮৪)

    ডাব চুরি, কাঠাল চুরি, রস চুরি - ইত্যাদির গল্প ছাড়াও যে ক্যাডেট কলেজ জীবন নিয়ে মনমুগ্ধকর স্মৃতিচারনা সম্ভব, তাঁর একটি জলন্ত প্রমান তোমার এই লিখাটি।
    "নিয়মানুবর্তিতা, সময়ানুবর্তিতা ইত্যাদি গালভরা ব্যাপারগুলো ছাড়াও ক্যাডেট কলেজ আমাদের যা শিখিয়েছে তাকে যদি এক কথায় বলি, সেটি হবে সহনশীলতা!" -আসলেই কি ক্যাডেট কলেজ আমাদের সবাইকে সহনশীল হবার শিক্ষা দেয়?
    নাকি কাউকে কাউকে চুড়ান্ত পরমত অসহিষ্ণু করেও গড়ে তোলে?
    ভাবছি, ভাবছি, ভাবছি.........


    Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।