পার্সেপশন্স টুয়ার্ডস টিচিং কমিউনিটি

পার্সেপশন্স টুয়ার্ডস টিচিং কমিউনিটি

প্রাইভেট টিউটর হিসেবে অভিজ্ঞতা নিয়ে এক্স ক্যাডেটস ফোরামের ফেসবুক পেইজে কদিন আগে অনেকেই তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছিলেন। সেখানে একটা স্ক্রীণ-স্ন্যাপশটের পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি বেশ লম্বা হয়ে গেল। লম্বা মন্তব্য অন্যদের বিরক্তির কারণ হতে পারে ভেবে তখন লেখাটা আলাদা করে লিখেছিলাম, যেখানে আমি আগেই পরিস্কার করে নিয়েছিলাম যে, আমার লেখাটাতে কেবলমাত্র প্রাইভেট টিউশন নয়, বরং সার্বিকভাবে টিচিং কমিউনিটির প্রতি প্রায়শই অন্যদের যে দৃষ্টিভঙ্গিটা কাজ করে,

বিস্তারিত»

নিজের সাথে যুদ্ধ

নিজের সাথে যুদ্ধ করে কাজ করার অভ্যাস সেই ছোট বেলা থেকে। ক্লাস সেভেন-টেন এ যখন হ্যান্ডস ডাউন করে পুশ আপ দিতে বলা হত, বিশেষ করে ৩০+ হলে এক পর্যায়ে নিজের মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পুশ-আপ দিতাম। কিছু সিনিওর ভাই আমাদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির  ব্যাপারে খুবই সচেতন ছিলেন, যেমন জুনায়েদ ভাই, আরেফাত ভাই।একজন কলেজ প্রিফেক্ত, আরেকজন হাউস প্রিফেক্ত। তারা আমাদের ক্লাস টেন লাইফ টাকে তাঁরা মোটামুটি ঘটনাবহুল করে রেখেছিলেন।মনে পড়ে একবার আরেফাত ভাই জুনিয়র প্রিফেক্ত (জেপি) থাকার সময় ১০০ পুশ-আপ দিতে বললেন।

বিস্তারিত»

একদিনের বাংলাদেশ

দিন তিনেক আগে রাত সাড়ে বারোটার সময় ফোর্ট স্টেশন থেকে বাসে উঠে দেখি শমী আহমেদের (রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ)  মত কেউ একজন বসা। থুতনির নিচে এক মুঠ দাড়ি গজানোয় তাকে দেখতে স্কুবি ডু’র শ্যাগির মত লাগছে। শমী ম্যানিটোবা ইউনিভার্সিটির ছাত্র। ফেসবুকে দেখেছিলাম সে এলবার্টা চষে বেড়াচ্ছে। তারপরও নিশ্চিত হবার জন্যে বললাম, তুমি! কোথা থেকে? তোমার না এলবার্টায় থাকার কথা!

সে বলল, আমি আপনাকে বাসে উঠতে দেখেও চিনতে পারিনি।

বিস্তারিত»

কিছু চাওয়া, কিছু স্বপ্ন

দুই রুমের একটা বাসা হবে আমার। একটা বেডরুম আর একটা কমনরুম। একটা কিচেন আর একটা বাথরুম ও থাকবে।বেডরুমের সাথে একটা বেলকনিও থাকবে। বেডরুমে কোন বেড থাকবে না। শুধু ম্যাট্রেস। একটা টেবিল, চেয়ার আর একটা বুকশেলফ। কমনরুমটাও ফ্লরিং হবে। একটা টিভি থাকবে। আর দেয়ালে দেয়ালে স্পোর্টস, মিউজিক ওয়ালপেপার। বাসাটা হবে কোন এক শহুরে নদীর তীরে। তিনতলা কি চারতলা। বেডরুমটা হবে নদীর ধারে, বারান্দায় দাড়ালেই যাতে দূর থেকে আসা কোন ইঞ্জিনচালিত নৌকা দেখা যায়।

বিস্তারিত»

পোকোমন গো বাংলাদেশে আসলে কি হতে পারে!! (সত্য কাহিনী অবলম্বনে)

নুরুর আলম নামক এক ব্যক্তি খুব দুষ্ট এবং লোভী একজন পোকো খেলোয়াড়। পোকোমন ধরার সময়, ভাগিনা ভাগ্নির মোবাইল সাথে নিয়ে যায়, যাতে নিজের ব্যাটারি শেষ হলেও তাদের ফোন দিয়ে খেলা যায়। সাধারণত নিজের ফোন পরেই ব্যাবহার করেন তিনি। অন্য যেকোনো অলস সন্ধ্যার মত সেদিন ও তিনি বসে বসে স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করছিলেন। স্মার্ট ফোন টিপতে টিপতে রাত ১১ টা বাজিয়ে ফেললেন, এখন বিরক্ত তিনি। কি করবে কি করবে ভাবতে ভাবতে পোকোমন গোতে টিপ দিয়ে দিল।

বিস্তারিত»

সোলারিয়া, আসিমভের এক কাল্পনিক গ্রহ

আইজাক আসিমভ যখন ফাউন্ডেশন সিরিজ লেখা শুরু করেন তখন তার সম্পাদক চেয়েছিলেন তিনি যেন দশক শেষ হওয়ার আগেই সিরিজের ছয়টি বই লিখে ফেলেন।
কিন্তু আসিমভ সাহেব ১৯৫৩ পর্যন্ত ফাউন্ডেশন ট্রিলজি লেখার পর বিরক্ত হয়ে লেখা ছেড়ে দেন। লেখক যেই সিরিজের উপর বিরক্ত হলেন সেই সিরিজকে কয়েক বছর পর ‘বেস্ট অল টাইম সিরিজ’ হিসেবে হুগো অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
পরে ভক্ত এবং প্রকাশকদের চাপে ১৯৮১ সালে লিখলেন “ফাউন্ডেশন এজ”

বিস্তারিত»

সেনাবাহিনীর অনুশীলন এবং আমার বন্ধু হারানো!

সেনাবাহিনীর অনুশীলন এবং আমার বন্ধু হারানো!

“হঠাৎ রাস্তায় অফিস অঞ্চলে

হারিয়ে যাওয়া মুখ চমকে দিয়ে বলে

বন্ধু কি খবর বল

কত দিন দেখা হয়নি”! –  (গান, শিল্পীঃ সুমন চট্টপাধ্যায়)

১৯৯০ সাল।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর  ‘স্কুল অফ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স’ (এস এম আই)  এর ছাত্র অফিসার হিসেবে বহিরাঙ্গন  অনুশীলনের জন্য কুমিল্লা সেনানিবাস হতে ঢাকায় এসেছি।‘মোবাইল সারভেইলেন্স’ নামক গোয়েন্দা প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুশীলন।

বিস্তারিত»

“জীবন যখন শুকায়ে যায়, করুনাধারায় এসো”

“জীবন যখন শুকায়ে যায়, করুনাধারায় এসো”

অবশেষে আজ থেকে তিনদিন পূর্বে আমি সারাজীবনের মতন ধূমপান পরিত্যাগ করলাম!

বর্তমান থেকে ঠিক তিন দশক পূর্বে কোন এক আনন্দিত প্রত্যুষে সিগারেট নামক আপাত নির্দোষ ধুমায়িত বস্তুটির সঙ্গে আমার নিবিড় পরিচয় হয়। আমি তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন স্বাধীন সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট। অতঃপর এতটা বছর আমাদের পরস্পরের হাত ধরে চলা। কখনো সমতল, কখনো বন্ধুর পথে! সম্পর্কের এই জীবন কখনোসখনো ক্ষীণ হয়ে আসলেও একেবারে শুকিয়ে যায়নি কখনও!

বিস্তারিত»

রিভিউ: দ্য ভেজিটেরিয়ান

এ বছর ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ বিজয়ী উপন্যাস দক্ষিণ কোরীয় লেখক হ্যান ক্যাং এর ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’। লিটারারি থিওরি পড়া নেই, ভাল ক্রিটিকও পড়িনি। বলা যেতে পারে একজন ‘নাইভ’ পাঠকের বিশ্লেষণ এটা।
কিছু অদ্ভূত স্বপ্ন দেখার ফলে নিতান্ত সাদামাটা বিশেষত্বহীন ইয়াং হাই হঠাৎ ভেজিটেরিয়ান হয়ে যায়। তাকে ‘স্বাভাবিক’ খাদ্যাভ্যাসে ফিরিয়ে আনতে পরিবারের সদস্যরা জোর চেষ্টা চালায়। ইয়াং হাইয়ের এই পরিবর্তনের ধাক্কায় তার কাছের মানুষদের জীবনের অনেক কিছুই আর আগের মত থাকে না।

বিস্তারিত»

নীতাদের অদ্ভুত বাড়ি

বাইশে মার্চ রাত আড়াইটায় যখন নীতাদের বাড়ি এলাম, কুয়াশা মাখা জোসনার ঘোলাটে আলোয় পাতাহীন গাছের ছায়ায় বাড়িটাকে গুগলে দেখা ৯৮ একেডিয়া বে’র নেগেটিভ মনে হচ্ছে। শাদা বরফের একটা পাতলা আস্তর গেটের বাইরে সাবানের ফেনার মত ছড়িয়ে আছে। তারমধ্যে বাস্কেট বলের একটি পোষ্ট বাড়ির কাঠের বেড়ার সামনে নিঃসঙ্গ দাঁড়ানো।পেছনে খানিকটা দূরে আরও কয়েকটা গাছের কঙ্কাল। কাঠের সিঁড়ির কয়েকটা ধাপ পেরিয়ে ঘরে ঢোকার সময় মনে হল বড়দিয়ার লঞ্চে উঠছি।

বিস্তারিত»

আমি কি? শিক্ষক? – ২য় পর্ব

আমি কি? শিক্ষক? – ১ম পর্ব
আমি কি? শিক্ষক? – ২য় পর্ব

যারা ১ম পর্বটা মিস করেছেন, তারা এখানে ক্লিক করে পড়ে আসতে পারেন। ১ম পর্বটা না পড়ে থাকলে ২য় পর্বটা খুব বেশি সাব্জেক্টিভ মনে হতে পারে।

[শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা আমার পুরোনো একটা ব্লগে আমারই একটা প্রাসঙ্গিক মন্তব্যকে বেশ খানিকটা এডিট করে এই ব্লগটা লিখেছি।]

প্রায় ১০/১২ বছর আগের একটা অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেল।

বিস্তারিত»

DSLR ক্যামেরা কিনছেন? পর্ব- ২ ( লেন্স পরিচিতি )

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আমাদের প্রায় সবারই ফটোগ্রাফির প্রতি খানিকটা দুর্বলতা আছে, এটাই স্বাভাবিক। হরেক রকমের সোস্যাল নেট ওয়ারকিং আর ফটো আপলোডের এত প্লাটফর্ম থাকায়, সবাই এখন ভালো ছবির কাঙ্গাল। ভালো ছবির জন্য DSLR ক্যামেরা একটি অন্যতম মাধ্যম।আমদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন হইতো চিন্তা করছেন DSLR কিনবেন, কিন্তু বাজারে এত বেশি অপশন থাকায় ঠিক ধরতে পারছেন না , কি করা উচিত।

বিস্তারিত»

গ্র্যান্ড বিচ

গ্র্যন্ড মারাইস শহরের উত্তর পশ্চিম প্রান্তে ছোট ছোট বালিয়াড়ি, প্রায় তিন কিলোমিটার ধনুকের মত বেকে এসে শহরকে লেক উইনিপেগ থেকে আগলে রেখেছে। সেই বালির প্রাচীরের ওপারে এক চিলতে বালুচর,বালিয়াড়ির প্রায় সমান্তরাল ভাবে দুইদিকে বিস্তৃত। বালুচরের এই বিস্তার নিরবচ্ছিন্ন নয়। মাঝে মধ্যে অনিয়মিত ভাবে উইনিপেগ লেকের পানি বালি সরিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েছে। এই বালুচরের নাম গ্র্যান্ড বিচ! বছরের পর বছর কক্সবাজারে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে পদ্মলোচন শব্দটা মুখে এসে গিয়েছিলো।

বিস্তারিত»

DSLR ক্যামেরা কিনছেন? পর্ব- ১ ( মধ্যম দামের মধ্যে কয়েকটা ক্যামেরা )

আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া আপুরা। আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আমাদের প্রায় সবারই ফটোগ্রাফির প্রতি খানিকটা দুর্বলতা আছে, এটাই স্বাভাবিক। হরেক রকমের সোস্যাল নেট ওয়ারকিং আর ফটো আপলোডের এত প্লাটফর্ম থাকায়, সবাই এখন ভালো ছবির কাঙ্গাল। ভালো ছবির জন্য DSLR ক্যামেরা একটি অন্যতম মাধ্যম।আমদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন হইতো চিন্তা করছেন DSLR কিনবেন, কিন্তু বাজারে এত বেশি অপশন থাকায় ঠিক ধরতে পারছেন না , কি করা উচিত।

বিস্তারিত»