সক্রামক ব্যাধি নিয়ে কাজ করছি বেশ কিছুদিন হয়ে গেলো, এপিডেমিক হিস্টোরি বলে একটা টার্ম আছে, এর মানে হলো ডাক্তার রোগীর কাছে জিজ্ঞাসা করে কিছু গুরুত্বপূর্ন ক্ষেত্রের প্রশ্নের উত্তর জেনে নেবে। যেমন ধরা যাক রোগী ছয় মাস আগে ডেন্টিসের চেম্বারে দাঁতের চিকিৎসা করিয়েছে, আর এখন তার জন্ডিস হয়েছে, ডেনিস্ট এর যন্ত্রপাতির কারনে ডাক্তার এখন হেপাটাইটিস বি স্ক্রিনিং করাবে, কারন হেপাটাইটিস বি ভাইরাস মানুষের শরীরে চুপচাপ ছয় মাস পর্যন্ত বসে থাকতে পারে, এরপর একটিভ হতে পারে। এজন্য রোগীদের আমাদের নানান প্রশ্ন করতে হয়, যেমন টিনের জমানো খাবার খেয়েছে কিনা, যেখানে কাজ করে সেখানে ইঁদুর, বেড়াল আছে কিনা, সুই-সিরিঞ্জ ব্যবহার করে কিনা,সেক্সুয়াল পার্টনার ঘন ঘন বদলায় কিনা, ইত্যাদি। এসব প্রশ্ন করতে করতে রোগীর গল্পের কিছুটা হলেও জানা যায়, এখানকার রোগী-ডাক্তারদের মধ্যে বিশ্বাস খুব প্রবল, তাই সম্পর্ক অনেক সহজ এবং বিশ্বস্তরোগীরা খুব সহজেই ডাক্তারদের কাছে নিজেদের মেলে ধরে।
নীচের তিনটি ছোটগল্প লেনিনগ্রাদের বিখ্যাত সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল বোটকিনায় কাজ করার সময় সংগৃহীত। অনিবার্য কারণবশতই চরিত্রদের নাম বদলে দেয়া, নভেম্বরে আমাকে নাক-কান-গলার ইনফেকশন ডিপার্টমেন্ট থেকে বদলে দেয়া হয়েছে এইডস বিভাগে, লাল দালানের পাঁচ তলায়। প্রতিটি গল্প এইচআইভি আক্রান্তদের।
এক
প্রাইভেট পার্টির লেডিস সিকিউরিটি লুদমিলা মাত্র দুই সপ্তাহ হলো এইচআইভি ডায়াগোনাইসড। রুশ দেখে শহর থেকে একটু দূরে কটেজ ভাড়া নিয়ে হাউজ পার্টি করার রেওয়াজ আছে, সাউনা, সুইমিংপুল, নাচ,গান-বাজনা আর এলকোহল হলো সারাংশ। এসব পার্টিতে প্রাইভেট সিকিউরিটির প্রয়োজন হয়, যাতে কোন কেউ মেয়েদের সাথে অসভ্য আচরণ না করতে পারে, মাতাল হয়ে কটেজের জিনিসপত্র ভাংচুর না করতে পারে এসব কারনে। লুদমিলা এমনই এক প্রাইভেট সিকিউরিটি।
লুদমিলা সেদিন এইরকমই কাজ করে বাসায় ফিরেছেন সকালের দিকে, একটু খেয়ে দেয়ে শুয়ে পরেছেন, দুপুরে ঘুম থেকে উঠে প্রচন্ড জ্বর, লুদমিলা ভাবলেন নিশ্চিত ফ্লুতে ধরেছে, এক হপ্তার ফ্যার, ছেলেটাকে কাছে ঘেরতে দিলেন না, যদি আবার ছেলের ফ্লু হয় এই ভয়ে, স্বামীকে রাতে বললেন, ছেলের ঘরে ঘুমাতে। পরের দিনও জ্বর কমার কোন কমতি নেই, প্যারাসিটামল খেলেন, কোন লাভ হচ্ছে না, ফ্লুতে সর্দি-কাশি গলা ব্যথা থাকে, তাও নেই। পরের দিনটাও এমন ভয়াবহ জ্বরে কেটে গেলো। পরেরদিন সকালে লুদমিলার শরীরের বাম পাশ প্যারালাইজড হয়ে গেলো। লুদমিলা কথা বলতে পারছেন না, বিছানা থেকে ঊঠতে পারছেন না, অথচ বাসার কেউ তা বুঝতে পারলো না। লুদমিলার বয়স্ক শাশুড়ি খুব মেজাজ গরম করে ফেললেন, ঘরের বউ এমন তিনদিন অসুস্থ, বাসায় খাবার দাবার নেই, ছেলেটা আজ না খেয়ে গেছে স্কুলে। মেজাজ গরম করে তিনি লুদমিলার মাকে ফোন দিলেন, লুদমিলার মা আসলেন সেদিন বিকালে বাসায়, মেয়ের অবস্থা তিনিও কিছু বুঝতে পারলেন না, মেয়ে কথা বলে না, নড়ে চড়ে না। উপায় না দেখে তিনি এমার্জেন্সি সার্ভিসে ফোন করলেন। সেদিন রাতে লুদমিলাকে এম্বুলেন্সে নিয়ে আসা হয় বোটকিনা হাসপাতালে।
পরেরদিন বিকেলে রিপোর্ট আসলে জানা যায় লুদমিলা এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত। ভাইরাস এখন প্রচন্ড সক্রিয় এবং লুদমিলার নার্ভাস সিস্টেম এটাক করেছে, সাথে সাথে লাংসের এক্সরেতে দেখা যায় লুদমিলার নিমোনিয়াও রয়েছে। লুদমিলা কথা বলতে পারছেন না, ডাক্তারদের কমান্ড ফলো করতে পারছেন না, তাই তিনদিন অপেক্ষা করার পর লুদমিলার স্বামীকে তার ডায়াগোনোসিস জানানো হয় সরাকারী প্রটোকল মেনে। স্বামী অনেক চিৎকার চেঁচামেচি করলেন ডায়াগোনসিস শুনে, এরপর একদম চুপ হয়ে গেলেন। পরদিন সকালে এলেন ছেলেকে নিয়ে, দুজনের রক্ত পরীক্ষা করে জানা গেলো দুজনই সুস্থ। ভদ্রলোককে সেদিনের পর থেকে আর দেখা যায়নি। সেদিনের পর থেকে প্যারালাইজড লুদমিলার একমাত্র ভিজিটর তার মা।
যখন লিখছি লুদমিলার সমস্ত শরীর স্কিন র্যাশ (খোশ- পাঁচড়া) উঠে ভরে গেছে, দুই পা আর মুখের মধ্যে প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। লুদমিলার গল্প যতটুকু জানা গেছে তা তার শাশুড়ির কাছ থেকে, স্বামীর কাছ থেকে। লুদমিলার দুই চোখ সবসময় খোলা থাকে, কথা তিনি বলেন না, কিন্তু কিছু খুঁজে বেড়ান। লাল দালানের পাঁচ তলায় সব রোগী এইচআইভি আক্রান্ত, কেউ কারো গল্প জানতে আগ্রহী নয়, আমি সকালে ৯ টার দিকে হাসপাতালে যাই, আমি গিয়ে লুদমিলার কেবিনে একবার চাই, যদি লুদমিলা কথা বলতে পারেন, যদি লুদমিলার গল্পটা একবার অল্প হলেও শুনতে পারি। আমার মাঝে মাঝে খুব ভয় লাগে লুদমিলার কেবিনের দরজা খুলতে, হয়ত একদিন সকালে কেবিনের দরজা খুলে বিছানা ফাঁকা দেখবো, অথবা অন্য কাউকে দেখবো।
দুই
লিজাবেতার বয়স মাত্র ১৩, মায়ের কাছ থেকে এইভআইভি নিয়ে জন্মেছে। লিজাবেতার জন্ম ইউক্রেনের পাশের এক ছোট রিজিওনে, এই বছর চারেক আগেও রুশ-ইউক্রেনের মধ্যে ভিসা লাগতো না, ক্রাইমিয়া টেক ওভারের পরে ভিসা লাগে। লিজাবেতার মা সন্তান দায়িত্ব না নেওয়ার কাগজপত্র সই করে ইউক্রেনে চলে গেলেন। লিজা বড় হতে লাগলো ফস্টার হোমে। লিজাবেতার বয়স যখন যখন চার বছর তখন থেকেই লিজাবেতা একটা লালরঙের আর একটা নীল রঙের ক্যাপসুল পেতে থাকে কেয়ারটেকারের কাছ থেকে। অন্য বাচ্চারাও এই একই রকম ওষুধ খাচ্ছে তাই লিজার মনে কখনো কোন প্রশ্ন জাগেনি। লিজার বয়স যখন দশ তখন সে জানতে পারে, উদর থেকেই এইচআইভি নিয়ে জন্মেছে সে। ভাগ্যকে আসলে দোষা্রোপ করে খুব বেশি পার পাওয়া যায়না। লিজা পুরো ব্যপারটা একপাশে সরিয়ে রেখে পড়াশুনা আর ছবি আঁকায় মন দেয়। ফস্টার হোমের স্কুলের ভালো ছাত্রী, ভালো আঁকিয়ে, এরপর সে লেনিনগ্রাদ শহরে আসে বেড়াতে এক্সকারশনে। শহরটা তার খুব পছন্দ হয়, সে আবেদন করে লেনিনগ্রাদ শহরের ফটার হোমের জন্য, তার জায়গাও হয়ে যায়।
লিজা আমাদের হাসপাতালে এসেছে দিন সাতেক আগে, সবকিছু ভালো চলছে তাই সে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলো, প্রায় ছয় মাস থেরাপি নেয়নি, এরপর শুরু হয়েছে প্রচণ্ড জ্বর আর টনসিলাইটিজ, হাসপাতালে আসার পর দেখা গেলো সেল একদম কমে গেছে, ভাইরাস কাউন্ট বাড়ছে, লিজার ডোজ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, আপাতত নেক্সট ভাইরাস কাউন্টের অপেক্ষা করছি। প্রফেসর এসে লিজাকে শাসিয়ে গেছেন, এরপর যদি কোনদিন ওষুধ খাওয়া সে বন্ধ করে তাহলে তার কপালে খারাবি আছে। তবে সব ডাক্তার লিজাকে শাসায় না, আমি সেদিন চকলেট নিয়ে গিয়েছি, চকলেট পেয়ে খুব খুশি সে, আমার সাথে গল্প করার পাশাপাশি সে আমার সেলফোনে গেম খেলতে পারে এটাও তাকে বড্ড খুশি করে।
অনেক গল্প করি লিজার সাথে, জানতে চাই কি করতে চায় লিজা বড় হয়, সে বলে রিহ্যাবিটেশনাল মাসুয। আমি বললাম, ম্যাসাজ করতে অনেক শক্তি লাগে, তোমার সেই শক্তি আছে? সে বলল আগে জিম করে বডি বিল্ড করবে, তারপর কোর্সে ভর্তি হবে। সেদিন লিজাকে শক্ত এক প্রশ্ন করে ফেললাম- তোমার মা তোমার সাথে দেখা করতে আসলে কি করবে তুমি? বেশ কিছুক্ষন কোন কথা বলল না, আমরা টিভি রুমে ছিলাম, সে উঠে কেবিনে চলে গেলো। আমি নিজের কাছে প্রচন্ড খারাপ লাগতে শুরু করলো, আমি আসলে আঘাত করার জন্ত প্রশ্নটা করিনি, অথচ মেয়েটা হয়ত আঘাত পেয়েছে। পরদিন লিজার কেবিনে গেলাম, আমাকে দেখে সে ঠান্ডা গলায় বলল- অনেক ভাবলাম আসলে, মা’কে মনে হয় ক্ষমা করে দেবো।
আমি খুব করে চাই লিজারা বেঁচে থাকুক, লিজার ভাইরাসেরা নির্জীব হয়ে যাক। লিজা আজই মানুষ, বড় হয়ে হয়ত আরো অনেক বড় মানুষ হবে।
তিন
ওলগার বাবা পাড় মাতাল, মাতালের সংসার করতে করতে মা’ও মানসিকভাবে মাতাল হয়ে গেয়ে প্রায়। সময়টা ১৯৯০ সালের দিকে, ওলগার বয়স মাত্র ১৭ বছর তখন, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেছে, কমুনিজম থেকে বের হয়ে রাশিয়া গণতন্ত্রের পথে, ক্যাপিটালিস্টরা আস্তে আস্তে বের হয়ে আসতে শুরু করেছে, এপার্টমেন্ট কেনা বেচার ব্যবসা, জমি-গাড়ি বেচা কেনার দালালেরা সবাই নিজেদের পুঁজি খাটিয়ে টাকার কাঁড়ি গড়ে নিচ্ছে, এই ভয়াবহ সময়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিলো নারকো-ডিলারেরা, ১৯৯০ সালেই প্রথম রাস্তায় রসুন, পেঁয়াজের দোকানে মরফিন- কোকেইন পাওয়া যেত, পুলিশ ছিল নারকো ডিলারদের পকেটে, পুলিশদের মাসিক বেতন ছিল ২০০০ রুবলের মতো, অথচ নারকো ডিলারদের
একদিন চুপচাপ থেকে সার্ভিস দিলেই ২০০ রুবল পাওয়া যেত। সেই সময়ের নারকো ডিলারদের এক শিকার আমাদের ওলগা।
বাসায় মাতাল বাবা বউ পেটাতো, সারাদিন দুজনের মধ্যে খিটমিট, তরুনী ওলগা চিনে নেয় ট্রেন স্টেশনের পেছনে এক পুরান বাড়ির কোকেইন আড্ডাকে। নারকো দুনিয়ার ঢুকে যাবার পর আর তেমন কিছুই ওলগাকে স্পর্শ করে না,তবে ছোট একটা ঝামেলা রয়ে গেছে, নারকো নিতে পয়সা লাগে, মায়ের আয়ের পয়সার অর্ধেক চলে যায় বাড়ি ভাড়ায়, বাকি অর্ধেকের আধা মাতাল বাপ মারধোর করে নিয়ে যায় মদ খেতে, আর যতটুকু থাকে তাতে সবার খাবার পয়সাই জোটে না। তাই নারকোর পয়সা জোগাড় করতে ওলগাকে একসময় ডিলিং করতে নামতেই হয়। একদিন ধরাও পরে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে, তারপর তিন বছর জেলে, জেল খেটে বের হয়ে এসে আবার নারকো ডিল, আবারো জেল এবারে চার বছর, জীবনের সুন্দর সময়টা কেটে গেছে জেলে। এবারে বের হয়ে এসে রিহ্যাব করলেন ওলগা, তার পর ব্রিটিশ এমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর প্রোডাকশন অফিসের কুক হিসাবে চাকরী নিলেন। হাতড়ে হাতড়ে একটু আলো দেখা যাচ্ছে, মাদকের এডিকশন আর নেই, দেখলেও এখন ঘৃণা লাগে নারকোটিকস। প্রায় ১২০ জন কর্মীকে রান্না করে খাওয়ান ওলগা, প্রচন্ড কাজের চাপ, একদিন সারা বুকে পিঠে খোশ পাঁচড়া উঠলো, ভীষণ ব্যথা, আর যোনী থেকে রক্তক্ষরণ, গাইনোকোলজিস্ট আর সব টেস্টের সাথে এইচআইভির টেস্টও করাতে দিলেন, যা ভেবেছিলেন তাই। কোষ কমে যাচ্ছে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একদম শুন্যের কোঠায়।
ওলগার মেজাজ ইদানিং তিরিক্ষি হয়ে থাকে, কথাবার্তা পারতপক্ষে কারো সাথেই বলেন না। এক সপ্তাহে ওজন কমে গেছে ৪ কেজি। সেদিন হুট করে ওলগার এক ভিজিটর এলেন, এই এতদিনে প্রথম ভিজিটর, দেখেই ওয়ার্ড নার্সের সন্দেহ হলো, দুজনে মিলে গেলো টয়লেটে, সেখানেই দুজনে মিলে সেউই সিরিঞ্জ দিয়ে হেরোইন নিয়েছে, নার্স সব দেখেছে। প্রফেসরকে জানানো হল, প্রফেসর এসে বলে গেলেন- যদি এই ভিজিটরকে এবং এই ধরনের ড্রাগ নেয়া রিপিট হয় হাসপাতালে তাহলে পুলিশ কেস হবে এবং পরিনাম হবে খুব খারাপ। ওলগা শুনে শুধু হাসে। আমি হাসার কারণ খুঁজে পাই না। আমি সেদিন জিজ্ঞেসই করে ফেললাম- আপনার ভয় লাগে না ওলগা? এই অবস্থায় যদি আবার জেলে যেতে হয়?
ওলগা শুনে হাসে, আমাকে বলল- “এই অবস্থায় কোন জেলই আমাকে নেবার দায়িত্ব নেবে না, আমার মতো নারকো এডিক্ট এর পেছনে হাউজ এরেস্ট করার মতো পয়সাও সরকারের নেই, একথা আমিও জানি, প্রফেসরও জানে, ঘুরে ফিরে কোর্ট থেকে আমার জায়গা হবে এই হাসপাতালেই, আর তাছাড়া আমি আমার শরীরে মৃত্যুর গন্ধ পাচ্ছি, হয়ত তুমিও পাচ্ছ, কোকেইনে আমি শান্তি পাই, মৃত্যুর আগে সামান্য শান্তি পাওয়াটা খারাপ কিছু নাহ, সারাজীবন অশান্তির শেষে এখন একটু শান্তির দাবি আমি করতেই পারি, তুমি কি বলো ডাক্তার?”
আমার প্রচণ্ড মন খারাপ হয়, ৯০ দশকে অনেক ওলগা তৈরি করেছে নারকো ডিলারেরা, অনেকেই ধুকে ধুঁকে বেঁচে আছে, সবার গল্পই কি এক রকম? নাকি সবার গল্পের ভিত আলাদা আলদা? হয়ত কোন ১৭ বছরের তরুনী প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সুই-সিরিঞ্জ নিয়েছে, অথচ তার আর ওলগার পরিনিতি একই হবে। এইচআইভি ভাইরাসের কোন মায়া মততা নেই, রেজিসমও নেই। কালো-সাদা-ধনী- গরিব- শিক্ষিত- অশিক্ষিত- অভিজাত সবার শরীরে তার একই রকম প্রতিক্রিয়া।
(গল্পগুলো পহেলা ডিসেম্বরে প্রকাশ করার ইচ্ছে ছিলো, বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে, সময় এবং সুযোগ হয়নি। তবু বলব এই লেখাটা বিশ্ব এইডস দিবসের। দীর্ঘদীন পরে ব্লগে প্রতাবর্তন, লেখা কি হয়েছে কেমন হয়েছে জানার জন্য সহ-ব্লগারদের উপর ভরসা করলাম। দীর্ঘ একবছর অথবা তারও বেশি সময় ধরে লেখা হয়নি, ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো)
গল্পগুলো পড়ে মনখারাপ হয়ে গেল। মৃত্যু যখন এত কাছে চলে আসে তখন মানুষের মনের অবস্থা ঠিক কেমন হয় কখনো হয়তো উপলব্ধি করা হবেনা, যদিনা নিজের জীবনে এমন কিছু হয়। লুদমিলা, লিজাবেতা আর ওলগাদের জন্য ভালোবাসা
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
কত বিচিত্র এই মানব জীবন। কত কথা, কত গল্প একেকজনের জীবনে। তোর লেখা বরাবরই অন্য ধাচের,প্রাণবন্ত। অনেকদিন পর ব্লগে আসলি। আমি নিজেও এর থেকে বেশী সময় ধরে নাই। অনেক ভাল লাগছে লেখাটা। :boss: :boss: :boss:
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
কেকজনের জীবনে। তোর লেখা বরাবরই অন্য ধাচের,প্রাণবন্ত। অনেকদিন পর ব্লগে আসলি। আমি নিজেও এর থেকে বেশী সময় ধরে নাই। অনেক ভাল লাগছে লেখাটা। :boss: :boss: :boss:
কয়েকদিন ধরে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। আপনার লেখা উসকে দিল সেই প্রশ্ন আরো।
একজন মানুষ (দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত বা যুদ্ধবন্দী বা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি) যখন নিশ্চিত হ্য় যে অমুক সময়ে তার মৃত্যু হবে,
তার চিন্তার জগতে ঠিক কেমন পরিবর্তন আসে।
ক্ষোভ-হতাশা/নির্জীব শূন্যতা নাকি অন্য কিছু?
তিনটে গল্পই স্পর্শ করে গেল। গল্পের নায়িকাদের জন্য সমবেদনা রইলো।
গল্প সুলিখিত, আবেদনময়।
যে কটা দিন থাকুক, যেন সুখে থাকুক।
\\\"।নিউট্রন বোমা বোঝ. মানুষ বোঝ না ! ।\\\"
এইডস রোগি দের সাথে কাজ করা বিশাল ব্যাপার।
তোর সৌভাগ্যে গর্বিত।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মর্মস্পর্শী! মন খারাপ করা গল্প!
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
কষ্ট পেলাম 🙁 লেখার জন্য ধন্যবাদ।
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
লেখার ধরন ভালো লাগলো... :clap: