একুশের বইমেলায় আমার বই ‘অন্য জীবন”!
প্রকাশকঃ ‘রূপ প্রকাশন’ (স্টল নম্বর ২৭০ এবং ২৭১)
বিষয়টাকে কি ভাবে উপস্থাপন করা যায়, সেটা নিয়ে আমি সত্যিই এখনো কিংকর্তব্যবিমুঢ়। আমি কখনই এ নিয়ে চিন্তা করিনি, সেটা সত্যি নয়। তবে বাস্তব জীবনে এর রুপায়ন সম্পর্কে আমার বিশ্বাস ছিল খুবই ক্ষীণ। আমার কাছে রীতিমত অলৌকিক মনে হচ্ছে।
বই পড়ার অভ্যেস আমার ছোটবেলা থেকেই। গ্রামের বাড়িতেই একটা ইনফরমাল লাইব্রেরি ছিল। এখন নেই! তবে লেখার ভাবনা বা চর্চা কোনটাই আমার ওপরে ভর করেনি সাম্প্রতিক কালে ছাড়া। বাঙলায় ‘অভ্র’ সফটওয়্যার আবিষ্কৃত হবার পর শৈশব, কৈশোর অতিক্রম করে যৌবনে পদার্পণের পর। ২০১৪ সালের শেষের দিকে। ‘ছবিঘর’ প্রোফাইল নাম নিয়ে ফেসবুকে আমার জন্মের পর।
ক্যাডেট কলেজের শিক্ষক ও সতীর্থগণ, আমার সামরিক জীবনের জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠরা এবং আমার বিজ্ঞ ফেসবুক বন্ধুরা প্রায় সকলেই আমাকে প্রবলভাবে উদ্বুদ্ধ করেছেন ভাবতে ও লিখতে। এমনকি লিখতে গেলে কি কি বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে, ইতিহাস বা বাস্তবতার নিরিখে কিভাবে তথ্য সমুহ পরখ করে নিতে হবে? এসব বিষয়েও। লেখার বিষয়গুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রন্থের আকার দেয়া যায় কিনা সেই ভাবনাটাও তাদেরই প্রথম। নাম নিতে গেলে অজস্র নাম মুহূর্তেই আমার চোখের সামনে চলে আসবে। এর সাথে আরও তিনজন। আমার সহধর্মিণী এবং দুই মেয়ে হৃদি ও রাইয়া।
আমার কর্তৃক নির্বাচিত ৭৫টি লেখা নিয়ে এই বই। বইয়ের নাম দেয়া হয়েছে ‘অন্য জীবন’। একটা গল্পের নাম অনুসারে। পৃষ্ঠা সংখ্যা সম্ভবত তিন শতাধিক। ফেসবুকে লেখা আমার অধিকাংশ লেখাই এই বইতে আছে। অতীত স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, দর্শন তত্ত্ব, বিরাজমান সামাজিক ও পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং নিছক ফিকশন এই বইয়ের বিষয়মালার অন্তর্ভুক্ত।
বইটার প্রচ্ছদ ২০১০ সালে সামরিক বাহিনীতে চাকুরি করার সময় কোন এক কনফারেন্সে অংশগ্রহনের সময়ে অফিসের নোটবইয়ের খাতার আঁকিবুঁকি থেকে নেয়া।অসম্পূর্ণ একটা স্কেচ। অনেকটা আমাদের জীবনের মতই! আমার ধারনা কাজের সমান্তরালে ছবি আঁকা আপনার কাজের গতিশীলতা বা কোনটাকেই বাধাগ্রস্ত করে না! ছবিটির ওপরে টেক্সট মার্কার ব্যবহার করে তাতে প্রাণ দেয়ার চেষ্টা করেছে আমার ছোট মেয়ে রাইয়া।
‘রূপ প্রকাশন’ এর মালিকের সাথে আমাকে মোবাইলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন আমারই অন্য একজন শ্রদ্ধেয় ফেসবুক বন্ধু। দুজনের কারো সঙ্গেই আমার এখনো সাক্ষাৎ হয়নি। সহযোগিতা ছাড়া যে কোন কিছু করা সম্ভব নয়, আমিই তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ!
আমি সবার ভালবাসার জন্যে ঋণী। বইটির প্রকাশ ভার কিছুটা হলেও লাঘব করবে বলে আমি ভাবি!
মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ
২৬ জানুয়ারি ২০১৭
অভিনন্দন আসাদ ভাই! বহু বহু বছর একুশে বইমেলা যাওয়া হয় না। বহু বছর দেশেও। আপনার লেখাগুলো একটি গ্রন্থে পূর্ণ কলেবরে প্রকাশ পাবে এটি ছিল সময়ের দাবী। আশা করছি, বইটি সংগ্রহ করতে পারবো।
খুবই সুখবর, আসাদ! মাত্র গতকালই বুঝি ফেইসবুকের একটা মন্তব্যে আমি তোমাকে তাগিদ দিলাম তোমার লেখাগুলো বই আকারে বের করার জন্য। আর আজই তুমি এ সুখবর দিচ্ছ। হার্দিক অভিনন্দন!
আশাকরি, মেলায় গিয়ে তোমার বই কিনে নিয়ে আসবো।
নতুন বইয়ের অভিনন্দন আসাদ ভাই!
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
অভিনন্দন আসাদ ভাই।
শুভকামনা থাকলো।