যুগ শেষের ভাবনা

২০.০৫.২০০০

টি ব্রেক শেষে আমার গাইড ফুয়াদ ভাই যখন বললো , যাও তোমার প্যারেন্টস কে বিদায় দিয়ে আসো। এখন যেমন বাসা থেকে আসার সময় বলি আম্মা গেলাম তখন ও সেভাবে বলেছিলাম । একবার ও পিছনে ফিরে তাকালাম না , ৩১ নাম্বার রুমে এসে পেয়ে গেলাম নতুন তিন রুমমেট সাজ্জাদ , আমি , রেজা আর জাহিদ । দুনিয়ার অদ্ভুত সব নিয়মকানুন আমাদের শেখানো শুরু হলো ।

বিস্তারিত»

মোর প্রিয়া হবে এসো রানী

“আসলে এ অবস্থায় আমাদের কিছুই করার থাকেনা। রোগী মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। মানুষের মস্তিষ্কের যে অংশ স্মৃতি ধরে রাখে সেই অংশ গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তারি ভাষায় যার নাম Alzheimer. আপনি বরং এক কাজ করুন রোগীকে বাসায় নিয়ে যান। শুধু শুধু এত গুলো টাকা নষ্ট করবেন ক্যানো?” ডাক্তারের কথা গুলো অবিশ্বাস্য মনে হল। এর মানে আমার অবনী পাগল হয়ে গেছে। এ কিছুতেই সম্ভব না। আমি ডাক্তারকে শান্ত গলায় বললাম,

বিস্তারিত»

“সরি বলার মতো কোন কাজ করিনাই”

ক্লাস সেভেন এ সবাই মনেহয় কিছুটা অস্বাভাবিক থাকে! কেউ কথাবার্তায়, কেউ চলাফেরায়, কেউ ব্যবহারে, কেউ বা সবকিছুতেই! আমাদের ব্যাচ এর কথা তো বলাই বাহুল্য! কিসব যে ভয়ংকর ঘটনা ঘটতো, বলার মতো না! আমি নিজেই ভেবে অবাক হই, আমি সেভেনে রীতিমতো একটা গুন্ডা ছিলাম! সবাইকে মারামারির উপরে রাখতাম! একবার কাকে যেন একটা স্টিলের স্কেল ছুঁড়ে মেরেছিলাম, আরেকবার আঠার বোতলের মুখ খুলে কারো চুলে টার্গেট করে মেরেছিলাম!!!

বিস্তারিত»

আমার দ্বিচক্রযান

কিছু কিছু শব্দের প্রতি কেন যেন আমার এক অযৌক্তিক ভালবাসা তথা পক্ষপাত। তন্মধ্যে অন্যতম ‘দ্বিচক্রযান’। প্রথম এই শব্দটা কোন এক ঈদের নাটকের, জাহিদ হাসান এবং বন্যা মির্জা অভিনীত, শিরোনাম থেকে মাথায় ঢুকে যায়। কেন যেন তখন থেকেই এই শব্দটির প্রতি ভালোলাগা সৃষ্টি হল। সবাই যেখানে সাইকেল বলেই সহজভাবে কার্য সমাধানের পথ খোঁজে, আমি সেখানে এরকম এক কিম্ভূত কিমাকার শব্দের প্রেমে পড়ে যাই। না, শুধু শব্দের প্রেমেই না বস্তুটার প্রতিও আমার তীব্র আকর্ষণ।

বিস্তারিত»

স্যারদের আদর-ভালবাসা-১

কলেজে কাটানো দিনগুলিতে অনেক স্যারদের আদর-ভালবাসা বুঝতে পারিনি, যেটা বুঝতে পেরেছি কলেজ থেকে বের হবার দিন বা এরও অনেক পরে। সেইসব কিছু সৃতি তুলে ধরার চেষ্টা।

আমাদের ব্যাচের বি সেকশনের ফর্ম মাষ্টার ছিলেন আমাদের অনেক শ্রদ্ধেয় ও বন্ধু-সুলভ মিজান স্যার। বন্ধু-সুলভ কেন? কারণ আমাদের অনেকের গার্ল ফ্রেন্ড এর কাছে লিখা প্রেমপত্র ও বিভিন্ন অকেশান এর সময় কার্ডও আমরা স্যারকে দিয়ে কিনিয়ে পোস্ট করিয়েছি।

বিস্তারিত»

অশনী সংকেত

সামীউর, স্টার্ট ফ্রন্টরোল। আরো একবার দিনটা শুরু হলো ফ্রন্ট্ররোল দিয়ে। সকালের পিটিতে যাওয়ার ফল ইন। যথারীতি ঘুম থেকে উঠতে দেরী এবং হাউজ ফল ইনে লেট। ক্লাস নাইন পর্যন্ত প্রায় প্রতিটা দিনই আমার শুরু হয়েছে রুমের দরজার কাছ থেকে ফ্রন্টরোল দিয়ে। এভাবে গড়াতে গড়াতেই নোটিশ বোর্ডের সামনে পৌঁছে যেতাম, পা থাকলেও হেঁটে আসার সুযোগ খুব একটা হয়নি। তাই সবাই যখন শ্বেতশুভ্র পোষাকে রাজহংসের মত গলা উঁচিয়ে পিটিতে যাচ্ছে,

বিস্তারিত»

স্ট্যান্ডিং এট দি এজ (Standing at the Edge)

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। আমার জীবনের কতো কতো স্মৃতি জড়িয়ে রেখেছে সযত্নে। কতোবার এই সবুজের বুক চিরে ছুটেছি, কখনো এদিক, কখনো ওদিক। কোনদিন তো এমন হয়নি আমার, এই চিরচেনা পথটার জন্যে এভাবে বুকটা হুহু করে ওঠেনি!
ছয়তা বছর ধরে, বছরে সাত-আট বার আমি এই সড়ক পাড়ি দিয়েছি। যতবার এই পথে ছুটেছি আমি, প্রতিবার নতুন কিছু পেয়েছি, নতুন নতুন জিনিস দেখেছি। মনেহয় যেন এই সড়কের প্রতিটি নুড়ি আমার চেনা।

বিস্তারিত»

আমি একটা বাঘের বাচ্চা!

গ্রীষ্মকাল, আম কাঁঠালের দিন। নতুন ক্লাস 12!! বাকিটা মনেহয় বলা বাহুল্য!

সারা গেমস টাইম কেটে যায় আমগাছ গুলোর নীচে! গাছগুলাও basketball এর বারি খেতে খেতে fed up হয়ে গেছে! আমি মিউজিক ক্লাব এর প্রানী, মোটামুটি দিনের আলোই দেখিনা! ব্যান্ড প্র্যাকটিস Banned হয়ে যাওয়ায় আমার কিছুটা কুবেরের মতো দশা হোল “অন্ধকারে যে বাস করে মৃদু আলোতে তার চোখ ঝলসাইয়া যা আর চোখ ঝলসানো আলোতে সে হয় অন্ধ।” দীর্ঘদিন পর গ্রাউন্ডে গিয়ে ক্লাসমেটদের আম পাড়ার অভিনব দক্ষতা দেখে আমি মুগ্ধ!

বিস্তারিত»

মহাবীর W

জীবনে প্রথম বারের মত কোন গল্প পোস্ট করলাম। দয়া করে ভুল গুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন…………………………………………

মহাবীর W

১।    চোখ মেলতেই  একটা আবদ্ধ কক্ষ দেখতে পেলাম। বুঝলাম না আমি কোথায়। বোঝার সময় ও পেলাম না। নিচে থেকে আমাকে ঠেলে ওপর দিকে পাঠানো হচ্ছে। হঠাৎ করেই পাশে নিজের মত একজনকে দেখে নিজের অজান্তেই হাতটা বাড়িয়ে দিলাম-

–      হাই আমি রবিন।

বিস্তারিত»

হাতি ও পিঁপড়া কৌতুক সমগ্র

এক্সক্যাডেট ফোরামে শরীফ ভাই এর দেয়া হাতি পিঁপড়া জোকস দেয়ার পর অনেক গুলো কমেন্টে আরো কিছু জোকস উঠে এল। সব গুলোর একটা কালেকশান করে ফেললাম। যদিও অধিকাংশ অনেকের ই জানা। তবুও নতুন ফ্লেভারে পুরাতন জোকস

হাতি আর পিপড়া প্রেম কইরা ধরা খাইছে।
পিপড়ার মা : তোর এত বড় সাহস তুই আমার
মেয়ে হইয়া হাতির লগে প্রেম করোস? আজ
থেকে হাতির সাথে তোর যোগাযোগ বন্ধ
পিঁপড়া: (কাঁদো কাঁদো কন্ঠে) তা হয়না মা আমার
পেটে হাতির বাচ্চা.

বিস্তারিত»

বরাবর,অধ্যক্ষ, পাবনা ক্যাডেট কলেজ, পাবনা।

জীবনে যে কতবার লিখছি এই কথাটা তা গুনে শেষ হবে না। তো যাদের কাছে  এতগুলা চিঠি লিখলাম তাদের নিয়ে লিখতে বসছি আজ। আমার জীবন কালে আমি সাড়ে তিন জন  প্রিন্সিপাল পাইছিলাম।

এক.)  মাহবুবুর রহমান ফারুক স্যারকে পাইলাম গিয়া সেভেনে। তখন ক্লাশ এইটের ঠেলাতেই জানডা আলজ্বিভ ধরে ঝুলত, কখন জানি বাইর হইয়া যায় অবস্থা। প্রিন্সিপাল তো ভিন গ্রহের কথা। তখন মনে করতাম হাউস মাস্টারই সবকিছু কলেজের।

বিস্তারিত»

ডেইলি প্যাসেঞ্জার -পর্ব ১

ঢাকা শহরের সব রুটের বাসে চলাফেরার দুর্লভ অভিজ্ঞতা অর্জন করসি গত কয়েক মাসে  ~x(  । আবুল নামক কোম্পানির আবুলীয় কর্মকাণ্ডে অগত্যা এই সময়ে অসময়ে বাসযাত্রা। আমি সবসময় ই একটু নিরাপদ দূরত্বে থেকে ক্যাচালের মজাক নেই  ;))  । যাই হোক ,এই বাস যাত্রার সুবাদে অনেকসময় অনেক কাহিনী ঘটে যা শেয়ার না করে  পারলাম না।

কয়েকদিন আগে উত্তরা থেকে মতিঝিলের বি আর টিসির বাসে উঠসি।

বিস্তারিত»

আমার কিছু সম্পদ এখনো তোমার কাছে পরে আছে

আমার কিছু সম্পদ এখনো তোমার কাছে পরে আছে

—– ডঃ রমিত আজাদ

আমার দেয়া উপহারগুলো তুমি গুনে গুনে ফিরিয়ে দিলে,
আমার একটি নিদর্শনও তোমার কাছে রাখতে চাওনা তাই।
তুমি কি সবকিছু ফিরিয়ে দিতে পেরেছ?
এতকিছুর পরেও তো আমার আরও কিছু সম্পদ তোমার কাছে পরে আছে।
তোমার কি মনে পড়ে বোটানিকাল গার্ডেনের সেই নরম-উষ্ণ রোদের দিনগুলি,

বিস্তারিত»

সমসাময়িক ভাবনাঃ স্থির দেশের স্থির চিত্র

জামালপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরের এক জনপদের নাম ‘খেওয়ার চর’।

দূরত্বের সঠিক হিসাব এই মুহূর্তে মনে না থাকলেও, খেওয়ার চরে যেতে গিয়ে পথে আমার কী কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল-সে বিষয়ে স্পষ্ট মনে আছে। এখানে সরাসরি যাওয়ার অনেকগুলো রাস্তা আছে। সবচেয়ে সহজ রাস্তার কথা বলি। আপনাকে ঢাকা থেকে সরাসরি শেরপুর জেলা সদরে চলে যেতে হবে। সেখান থেকে ছোট ছোট লোকাল বাসে করে বক্সিগঞ্জ সদর।

বিস্তারিত»

প্লীজ আলটিফাই ইওরসেলফ!

‘ধূম’ ছবির সিলেট শাখার মহানায়ক কিছুদিন আগে ইংরেজী ভাষার উপর ক্যাপসুল কোর্স করে এসেছেন বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী থেকে। ক্যপসুল কোর্সের বদৌলতে কতগুলো অলস সময় যে আমরা ফ্লোরে গড়িয়েছি হাসতে হাসতে তার সঠিক সংখ্যাটা কারও জানা নেই।হাসির ফাঁকে একটু দম নিতাম আর বলে বলে উঠতাম, “এতদিন কোথায় ছিলে?” নায়কের জানার পরিধি তখন ভূগোলের গন্ডি পেড়িয়ে আমেরিকান ইংরেজীর দিকে ধাবিত হতে লাগল চরম গতিতে এবং স্ববেগে।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের সাথে বলা মহানায়কের সেই আমেরিকান ইংরেজীর কিছুটা তুলে দেওয়া হল।

বিস্তারিত»