আজ তাকে শাড়ীতে দেখেছি
মেয়েটিকে প্রায়ই দেখি,
অসম্ভব সুন্দর, নিস্পাপ একটি মুখ,
বৃষ্টির পরে সবুজ সতেজ ঘাস যেমন,
কখনো তুলনা করি বন ছেয়ে যাওয়া পিংক কাসিয়ার সাথে,
ঐ সৌন্দর্য থেকে চোখ সরানো যায়না।
তার অনুপস্থিতি আমার মাঝে শূণ্যতার সৃষ্টি করে।
আবার কখনো কখনো তাকে দেখি,
অনেক মানুষের ভীড়ে হঠাৎ হঠাৎ দেখা দেয়,
অনেকটা দক্ষিণা হাওয়ার দিনে,
গাছের পাতা আর সুর্যের আলোর লুকোচুরির মত
আর আমার চোখ ফিরে ফিরে আসে নতুন মুগ্ধতা নিয়ে।
ব্যাতিক্রম কেবল তার পোশাক,
আধুনিক যুগে সব মেয়ে আর অস্টপ্রহর বাঙালী পোশাক পড়েনা,
সালোয়ার-কামিসের পাশাপাশি
প্যান্ট-শার্ট, স্কার্ট-টপস চলছে বেশ,
একসময় এগুলো ছিল নিতান্তই অপ্রচলিত,
এখন এটাই হয়ত রীতি।
বাঙালী নারীর আজন্ম লালিত পরিচ্ছদ
শাড়ীটা এখন একেবারেই আনুষ্ঠানিক হয়ে গিয়েছে,
খুব ইচ্ছে হতো চপলমতি ইনোসেন্ট ঐ মেয়েটিকে
একবার শুধু শাড়ীতে দেখতে।
অবশেষে দেখলাম,
অপ্রত্যাশিত একটি জায়গায়, হঠাৎ করেই সে,
ফিরোজা রঙের চমৎকার কারুকাজ করা শাড়ী পড়া,
আমি থমকে গেলাম,
অপ্সরী দেখিনি সত্যি,
কিন্তু ঠিক ঐ মুহুর্তে মনে হলো,
সেই তো অপ্সরী ।
চপলমতি হেটে গেল বাতাসে ঢেউ তুলে,
যেন পাহাড়ী ঝর্নার গায়ে ঝরে ঝরে পরছে সোনালী ফুল,
তখনো নামেনি সন্ধ্যা এই ব্যাস্ত নগরীতে,
বসন্ত এলো এলো বলে ঐ আকাশটাও পুরোপুরি নীল।
শাড়ী? হ্যাঁ শাড়ীই তাকে এতটা সুন্দর করেছে,
শাড়ীই তাকে দিয়েছে রমণীর রূপ,
আচ্ছা এই সুন্দর বসনটি কি চিরস্থায়ী হতে পারেনা?
চিরস্থায়ী সৌন্দর্য হয়ে তুলুক ঢেউ দক্ষিণা হাওয়ায়,
নন্দনের প্রসুন হয়ে বসন্ত বাগানে ফুটুক কামিনী,
তোমাকে আমি বারবার শাড়ীতে দেখতে চাই রমণী।
আসম্ভব সুন্দর একটা আবেগ ঘন কবিতা। সাথে কোথায় যেন দেশের মাটির সোঁদা গন্ধ।
ড. রমিত আজাদ, ধন্যবাদ দিলে তোমাকে ছোট করা হবে। নতুন বছরের এক রাশ শুভেচ্ছা।
Smile n live, help let others do!
আজিজুল ভাই, খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
রমিত ভাই, কবিতাটি পড়ার সময় কখন যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম............... 🙂 মনে হল সত্যিই চোখের সামনে শাড়ি পরে এসেছে কেউ 🙂
এত রোম্যান্টিক ভাবে আমাদের ঐতিহ্যের কথা শুনতে খুব ভাল লাগল। অনেক আবেগী ও বটে ।
তানভীর আহমেদ
তুমি তরুণ, এটাই তো হারিয়ে যাওয়ার বয়স।
তোমার মন্তব্যটিও চমৎকার হয়েছে।
অপূর্ব, অপুর্ব ............
খুব বেশি সুন্দর একটি কবিতা
তোমার মন্তব্যটিও সুন্দর হয়েছে।