আত্মহত্যাই শেষ উপায়???

সাবিয়া সুলতানার খবরটা হয়ত আমরা মোটামুটি সবাই পড়েছি। তবু লিঙ্কটা শেয়ার করছি এখানে

কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না। প্রথমেই আসি পুরুষের একটি পুরুষতান্ত্রিক আচরন এর বিশ্লেষণ নিয়ে।

পুরুষ যখন কোন নারীর সাথে সম্পর্কে জড়ায়,সে গর্ব ভরে সেটা প্রকাশ করতে থাকে,আর যদি শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় তখন সেটা আরও গলা বাড়িয়ে বলতে থাকে। অনেকটা বিজয় কেতন ওড়াবার মতো।
সেই সাথে মিডিয়া,ম্যাগাজিন এর প্রভাবে পুরুষের মাঝে একটা ধরনা বসে গেছে,যে যত নারীর সাথে সে ঘনিষ্ঠ হতে পারবে তত বেশি কৃতিত্ব,তত বেশি আবেদনময়।
যাই হোক বহুগামিতার রেলে এখন না চড়ি।

বরিশাল বি এম কলেজের এক প্রবীণ অধ্যাপক এর একটা সাক্ষাতকার পড়ছিলাম কোন এক দৈনিকে,সেখানে কোন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন
” বরিশালের ছেলেদের জন্য প্রেম করা একটা ট্রাডিশন, চাকরি করা,গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যাবার মতই প্রেম করা একটি নিয়মিত বিষয়।”

উনি বলেছিলেন শুধু বরিশালের কথা,কিন্তু সারা বাংলাদেশেই নারী-পুরুষের প্রেম বা সম্পর্ক এখন একটি নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়।
আর কামবিহীন প্রেম হয় না, জাগ্রত কামনার কমনীয় বহিপ্রকাশই ভালোবাসা। কিন্তু ওই যে শরীরটুকু আমরা অস্বীকার করতে পারি না। উত্তাপ জাগে সব শরীরেই। উথিত হয় সব প্রেমিকের শিশ্ন,ভিজে ওঠে সকল প্রেমিকার যোনি। শরীরতত্ত্বীয় এই সত্যকে অস্বীকার করার কোন উপায় নাই।
প্রেমিক,প্রেমিকার শরীরের উত্তাপ পেতেই পারে,দু জোড়া ঠোট একত্র হলে পৃথিবী ভেঙে পড়বে না।

কিন্তু যখন প্রেমিক প্রেমিকার শরীর উপজীব্য করে বিকৃত ইতিহাসের জন্ম দেয়,তখন প্রেমিকের দোষ কেউ দেখে না,সকল লালসার চোখ গিয়ে পড়ে নারীর উপরে।

প্রভার কথাই বলছি,প্রভা মানসিক ভাবে অনেক শক্ত,তাই পালিয়ে জায়নি,আত্মহত্যাও করেনি,বরং অভিনয়ে ফিরে এসেছে। কিন্তু তাই বলে পুরুষ কি গালি দেওয়া থামিয়েছে? তাকে অপমানিত কম করা হয়েছে? বিচ,স্লাট,বেশ্যা,খাঙ্কি এই উপাধি তার কম শুনতে হয়েছে?

সাবিয়া সুলতানার ঘটনা আরও এক কাঠি সরেস।
কয়েকজন সহপাঠী মুঠোফোনে মেয়েটির আপত্তিকর ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। চরম এক পরিস্থিতিতে পড়ে মেয়েটি। বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ওই পরিস্থিতিতে দুই সাংবাদিক যখন বাড়িতে গিয়ে বাবার কাছে তার আপত্তিকর ছবিসহ সংবাদ টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে প্রকাশের হুমকি দেন, তখন আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারেনি মেয়েটি। গত বৃহস্পতিবার সে স্যাভলন পান করে আত্মহত্যা করে।
এখানে মেয়েটির দোষ কি ছিল? প্রেমিকের কাছে যাওয়া? কই ছবি প্রকাশ হবার পর তো ছেলেদেরকে নিয়ে কোন হইচই হোল না,কাউকে বলতে শুনলাম না এদের কথা।
সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোর রমরমা জাকিয়ে বসার কারনেই আজ এই ইন্টারনেটে ছবি,ভিডিও দেয়া,দেখার বিষয়গুলো মানুষের জীবন নিয়ে টান বাধাচ্ছে।

পরিমল জয়ধরের কথাও শুনেছি,দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়েছে ভিডিও এর হুমকি দিয়ে। শুধু শরীর না,নিয়মিত ধর্শন করা হয় এদের জীবন এবং মানসিকতা।
ভিডিও এবং তার মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল এবং সবশেষে আত্মহত্যা! এটা সমাজে ক্যান্সার হয়ে গেছে। এ নিয়ে কতজন মেয়ে এমন পরিস্থিতিতে আত্মহত্যা করেছে তার হিসেব আছে? একে আত্মহত্যা বলবেন নাকি হত্যা?

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাবিয়ার সঙ্গে দেখা করতে আসে তার ঘনিষ্ঠ এক বান্ধবী। ওই বান্ধবী জানায়, সাবিয়া তাকে বলে, ‘ঘটনার জন্য দায়ী ছেলেদের বাড়ি সাংবাদিক যায় না, আমার বাড়িতে সাংবাদিক আসে। আমি কোথাও বের হতে পারি না। বাড়ির মধ্যেও অনেক কথা শুনতে হয়। আমি আর পারছি না। আমার মনে হয় মরে যাওয়াই ভালো।’ ওই বান্ধবী সাবিয়াকে অনেক বুঝিয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই স্যাভলন পানে আত্মহত্যা করে সাবিয়া।

কারা এই সাংবাদিক? নগ্ন ছবিতে তাদের কেন এত আগ্রহ?

মেয়ের আপত্তিকর ছবি নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। সে বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়ে সব সময় বই নিয়ে থাকত। ১৫-২০ দিন আগে বাড়িতে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আবদুর রব ও রিফাত আল মাহমুদ বলেন, ‘আপনার মেয়ের আপত্তিকর কিছু ছবি আমাদের কাছে আছে। আমরা এ বিষয়ে তার সাক্ষাৎকার নিতে চাই।’ তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি না হলে তাঁরা কয়েকটি সংবাদপত্রে ও টেলিভিশনে মেয়ের এ ঘটনা প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে চলে যান।

এই ঘটনা কি টিভিতে আসার মতো কোন খবর? অবশ্যই না,অর্থাৎ তাঁরা যে কাজটি করতে চেয়েছিল,সেটি হোল ব্লাকমেইল করে টাকা আদায়,এবং সুযোগ পেলে মেয়েটিকে ভোগ করা।
একবার ভাবুন মেয়েটির বয়স ১৫, কি অসহ্য মানসিক অত্যাচার হলে সে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিতে পারে? আর কত মুখ হারিয়ে যাবে? আর কত প্রান?

ফেশবুকের কথা বলতে হয়,বিভিন্ন অশ্লীল পেজের বাড়াবাড়ি,অশ্লীল ছবি,অশ্লীল ভিডিও, শুধু এই সব পেজের কারনেই ছড়িয়ে যাচ্ছে এই ধরনের অপরাধ।
দুটো মানুষের শারীরিক বিষয়গুলো অবশ্যই তাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়,কত ছোট নিচু মানসিকতা হলে একটা পুরুষ সে মুহূর্ত গুলো ধারন করে ছড়িয়ে দিতে পারে?

গালি দিতে ইচ্ছা করছে,দেব না,কারণ তাহলে তাদের আর আমার মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না।
বর্তমানে ফেশবুকের অনেক নামকরা মুখোশধারী সুশীল এই নিয়ে একদম নিশ্চুপ। কারণ তাদের ও ছিল মালিকানাধিন পর্ন সাইট।নিজেরাই সেখানে লিখেছে গল্প,আপলোড করেছে ছবি,এবং ভিডিও। হায় সেলুকাস।

সর্বশেষ নিজের একটা অভিজ্ঞতার কথা দিয়ে শেষ করি। আমি প্রাইমারি স্কুল পাশ করেছি আমার মায়ের স্কুলে। সেখানে আমার শিক্ষিকা শিউলি আপা। শিউলি আপার মেয়ে আমাদের থেকে ৪ বছরের ছোট,গত বছর টেলিফোনে সম্পর্ক হয় ঢাকাবাসি এক ছেলের সাথে, ছেলে মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াতে যায় কুয়াকাটা,সেখানে নিজেদের কিছু একান্ত মুহূর্ত তুলে রাখে ফোনে,এবং ঢাকা গিয়ে সোজা ফেসবুকে।

আমি গিয়েছিলাম স্কুলে দেখা করতে,সব আপাকে সালাম করলাম,সবাই অনেক কথা জিজ্ঞাসা করল,শিউলি আপা কেমন আছ জিজ্ঞাসা করে চলে গেলেন, আমার মনের মধ্যে এটা গেঁথে রইল,আমি রাস্তায় আপাকে ধরলাম,জিজ্ঞাসা করলাম “আপা আপনার কি হয়েছে”

আপা ধরা গোলায় বললেন ” সবাই শুধু মেয়ের কথা জিজ্ঞাসা করে,লজ্জা দেয়,মেয়েকে মানুষ করতে পারিনি সেই কথা বলে”

শুধু মেয়েদের না,এই কুকুরগুলো মানসিক ভাবে ধর্ষণ করছে তাদের পরিবারকে,অভিবাবকদের। কেন শুধু মেয়েদের এই অত্যাচারের ঘানি টানতে হবে? কেন দিতে হবে জীবন?

আমি আপনাদের সবার কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম। দয়া করে উত্তর দেবেন।

১,৫৪১ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : “আত্মহত্যাই শেষ উপায়???”

  1. ইমরান (২০০০-২০০৬)

    আগেকার দিনে নানী দাদী রা একটা কথা বলতেন "প্রেমের চিঠি যে জমাইয়া রাখে সে সবচেয়ে বোকা"
    কথাটা কেন বললাম?কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের লুতু পুতু প্রেমিক প্রেমিকারা তাদের ঘনিষ্ঠ অবস্থার কিছু নিদর্শন রাখতে খুব উৎসাহ বোধ করেন।আমার প্রথম কথা মেয়েদের একটা কথা মাথায় রাখতে হবে তার সতীত্ব তার কাছে বড় সম্পদ তা কিছুতেই সামাজিক স্বীকৃত কোন সম্পর্কের বাইরে কারও অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে দেব না।এই চেতনাটা এখন নাই।এজন্য অনেক ক্ষেত্রে আমাদের বিনোদনের মাধ্যমগুলো অনুঘটক।আর যদি স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করি তাহলে যে কোন ছেলের কিন্তু শরীরের প্রতি আকর্ষন আগে তৈরি হয়।আর যে হায়েনাগুলোর কথা তুমি বলেছ সেগুলো তো চিন্তা করে আমার হারানোর কিছু নেই।
    সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য পারিবারিক শিক্ষা দরকার,সেই সাথে দরকার অনুশাসন।গতকাল পুরান ঢাকা গিয়েছিলাম বিসিএস এর সিট যে স্কুলে পড়েছে সেই স্কুল দেখতে।ই হক কোচিং সেন্টারের সামনে বয়সে ৩/৪ বছরের ছোট ২/৪ টা মাস্তান এর মত ধরণ ছেলেদের দেখলাম বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কোচিং এর গেটের সামনে একটি মেয়ে ছেলেটির সাথে কথা বলছে বড়জোড় ক্লাস ৮/৯ এ পড়ে।আর একজন তো বাইকের উপরই বসে আছে।এদের বাবা মা কি এজন্য এই কোচিং এ পাঠিয়েছে?এখন এদের বয়স কম এরা যদি এই সব শয়তান (আমার কাছে এদের আউটলুক দেখে তাই মনে হল) এর খপ্পড়ে পড়ে অঘটন ঘটিয়ে ফেলে তখন?
    অথচ এখানে যদি মেয়েটির বাবা/মা তাকে নিতে আসতেন,বড় ভাই/মামা অথবা কোন অভিভাবক তাকে নিতে আসতেন তাহলে মেয়েগুলো কি এই সুযোগ পেত?
    ছেলেদের ভিতর এই সুযোগ খোঁজার প্রবনতা দমাতে পারবে কে?আর মেয়েরাও কি প্রলুব্ধ হয়না?

    জবাব দিন
    • তাওসীফ হামীম (০২-০৬)

      ভাইয়া পয়েন্ট করে উত্তর দিচ্ছি
      ১) কোচিং থেকে মেয়েদের কেন নিতে আসতে হবে অভিবাবকদের? একই জিনিস ছেলেদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য নয় কেন? কেন ছেলেদের এই আচরন থেকে মেয়েদের বেঁচে থাকতে হবে?
      ২) সতীত্ব বড় সম্পদ তখনই যখন লুটে নেবার ভয়টা ধীরে ধীরে সমাজে বাসা বেধে বসে।
      হরমোন ক্ষরণের সাথে সাথে নারী পুরুষের অনুভুতির পরিবর্তন খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়,একে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। একটু হিসাব করলে দেখা যাবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যৌন শিক্ষার স্থান নেই এক ফোটাও। কোথা থেকে শিখছে এই ছেলেমেয়েগুলো? চটি বই এবং পর্ন থেকে। যেটা খুবই ভয়ঙ্কর একটি অবস্থার সৃষ্টি করছে।
      সেই সাথে সাথে ফেসবুকের অশ্লীল পেজগুলোতে নারীর নগ্ন ছবি এই ভয়াবহতায় রঙ চড়াচ্ছে আরও তীব্র ভাবে।


      চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।

      জবাব দিন
      • আহসান আকাশ (৯৬-০২)

        ভাল একটা পয়েন্ট বলেছো হামিম। ফরমাল যৌন শিক্ষার অভাবে আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা এ সম্পর্কে ধারনা পাচ্ছে বিভিন্ন পর্ণ বই, সাইট, সিনেমা এসব থেকে। ফলে বিপরিত লিঙ্গের প্রতি তারা খুব অসুস্থ একটা ধারনা, দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বেড়ে উঠছে। আর ইন্টারনেট এ ফেসবুক সহ অন্যান্য সাইটে মেয়েদের ছবি, মেয়েদের নিয়ে অশ্লীল জোকস, আলোচনা, মন্তব্য জিনিষটাকে আরো ভয়াবহ রুপ দিচ্ছে। এদের কাছে মেয়েরা সহপাঠি, সহকর্মী, সহচারী কিংবা নিতান্ত একজন মানুষ হিসেবে থাকছে না, হয়ে উঠছে কামনা, লালসার বস্তু, রসালো আলোচনার টপিক। আর সুযোগ পেলেই এরা বিভিন্ন ধরনের হয়রানী করছে মেয়েদের।


        আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
        আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

        জবাব দিন
      • সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)
        আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যৌন শিক্ষার স্থান নেই এক ফোটাও। কোথা থেকে শিখছে এই ছেলেমেয়েগুলো? চটি বই এবং পর্ন থেকে। যেটা খুবই ভয়ঙ্কর একটি অবস্থার সৃষ্টি করছে।

        সহমত।


        You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

        জবাব দিন
    • সামিয়া (৯৯-০৫)
      মেয়েদের একটা কথা মাথায় রাখতে হবে তার সতীত্ব তার কাছে বড় সম্পদ

      শুনে মজা পাইলাম খুব। সতীত্বের স্ত্রীলিঙ্গটা কি? স্বামীত্ব? ছেলেটার স্বামীত্ব কি ছোট সম্পদ? হারায় গেলে সমস্যা নাই? 😀 এই কথাটার উত্তর দিও প্লিজ ভাইয়া, এড়ায় যাইও না।

      শয়তান ছেলেগুলোকে গিয়ে বলো না, এইট নাইনের মেয়েটার সাথে না কথা বলতে। খালি মেয়েটারে বইলা তো লাভ নাই।

      শুনো ভাইয়া, মেয়েদের যেমন সমস্যা থাকে, ছেলেদেরও অনেক সমস্যা থাকে। এইটা একটু মাথায় রাখলে দেখবা জীবনটা সহজ সুন্দর হয়ে গেছে। তোমার ছোট বোনকে যদি তুমি বাসায় ঠিকমত শিক্ষা দাও, তাইলে সে মস্তান পোলার প্রেমে পড়বে না। ছোট ভাইকে যদি ঠিকমত শিক্ষা দাও, তাইলে সে এইট নাইনের মেয়ের পিছনে ঘুরবে না।

      ছোট বোনটাকে যেমন কোচিং এ আনা নেয়া করবা, ছোট ভাইটাকেও আনা নেওয়া কইরো, সেও ওই মেয়েটারই সমান বয়সের। যেকোন ভুল করে ফেলতেই পারে।

      জবাব দিন
  2. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    একটা মেয়ের দ্বায়িত্ব তার নিজের সম্মান রক্ষা করে চলা, নিজেকে মোড়ক বন্দী করে রাখা যাতে কোন পুরুষের তাকে দেখে মনে কোন বদ উদ্দেশ্যের সৃষ্টি না হয়, তার দ্বায়িত্ব কোন ছেলের প্রতি বিশ্বাষ স্থাপন না করা, এরকম হাজারটা দ্বায়িত্ব তার। কোন মেয়ে যদি কোন কারনে নির্যাতিত হয় তাহলে নিশ্চয়ই সে এই লিস্টের কোন একটা কাজ ঠিক মত করতে পারেনি, সুতরাং দোষ তারই। তাই তাদেরকে সাবধানে চলতে হবে, ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতি মেনে চলতে হবে, ছেলেদের সাথে ঢলাঢলি বন্ধ করতে হবে, সঠিক পোষাক পরতে হবে, আর এগুলো না করে বিপদে পড়লে তার জন্য কিছু ব্লেইম তো নিতেই হবে। বেহায়া, বেশরম মেয়েদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর কিছু নেই, এর মাধ্যমে তারা উচিৎ শিক্ষাই পেয়েছে।

    এটাই হলো আমাদের বেশিরভাগ মানুষের চিন্তাধারা, আর একারনেই এধরনের প্রতিটি যৌন হয়রানির ঘটনার জন্য আমি আমাদের সবাইকেই দায়ী মনে করি। এ ধরনের ঘটনায় কখনোই আমরা অপরাধী ছেলের দিকে আঙ্গুল তুলি না, তুলি ভিকটিম মেয়েটির দিকে। ছেরেরা বেশিরভাগ সময়ই আলোচনার বাইরে চলে যায়। এসব দেখে বাকিরাও একই ধরনের কাজে লিপ্ত হবার জন্য উৎসাহিত হয়, কারন তারা জানে যে এতে তার তেমন কিছুই হবে না।

    যতদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের ফোকাস ভিকটিমের দিক থেকে প্রকৃত অপরাধীর দিকে সরাবো, ততদিন এই অবস্থার কোন পরিবর্তন হবে না।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • তাওসীফ হামীম (০২-০৬)
      এটাই হলো আমাদের বেশিরভাগ মানুষের চিন্তাধারা, আর একারনেই এধরনের প্রতিটি যৌন হয়রানির ঘটনার জন্য আমি আমাদের সবাইকেই দায়ী মনে করি। এ ধরনের ঘটনায় কখনোই আমরা অপরাধী ছেলের দিকে আঙ্গুল তুলি না, তুলি ভিকটিম মেয়েটির দিকে। ছেরেরা বেশিরভাগ সময়ই আলোচনার বাইরে চলে যায়। এসব দেখে বাকিরাও একই ধরনের কাজে লিপ্ত হবার জন্য উৎসাহিত হয়, কারন তারা জানে যে এতে তার তেমন কিছুই হবে না।

      কঠিন সহমত। দিনে দিনে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে এইসব কর্মকান্ড।


      চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।

      জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।