কক্সবাজারের ‘হান্ডি’ রেস্টুরেন্ট

(আমার কিছু ভ্রমন আর ফুডপোস্ট অন্য ব্লগে দিয়েছিলাম। এখানে আবার দিলাম সিসিবির জন্য)

জুনের শেষে বউ-বাচ্চাদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছি কক্সবাজার। তখন প্রচন্ড বৃষ্টি আর ঝড় চলছে। অফসিজনে কক্সবাজারের অন্যরকম মজা হলেও তখনকার টানা বৃষ্টি ভোগালোও বেশ। লাবনী বিচ দিয়ে ঝিনুক মার্কেটে সন্ধ্যার পর এসে আটকে রইলাম দীর্ঘ সময়। ইচ্ছা ছিলো সি-ক্রাউন হোটেলের রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবো। এর আগে অনেকবার ওখানে খেয়েছি আর ওখানকার খাওয়াটা মনে আছে খুব।

বিস্তারিত»

বার্ধক্য

একটা বয়সের পর সব বয়ষ্ক লোকদের মনে হয় তিন ভাগে ভাগ করা যায়।এক দল,যারা খুবি বিরক্ত দুনিয়ার উপরে,প্রচলিত বাংলায় এদের বলে “খাইষ্টা বুইড়া”। এদের একমাত্র কাজ সারাদিন ক্যাচ ক্যাচ করা।আরেকদল থাকেন যারা থাকেন অসুখ বিসুখ এর দোকান,মাথা ব্যাথা,পা ব্যাথা, কোমরে ব্যাথা……এমন কোন জায়গা নাই যেখানে ব্যাথা নাই। আরেক দল থাকেন আনন্দিত বৃদ্ধের দল,এরা খুব খুশি থাকে সবসময়।প্রিয় ছেলেটা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও হাসি মুখে আরেকজনের সাথে গল্প করেন-“জানেন ভাই,আমার ছেলেটা আমেরিকা থাকে,ওখানে তার বিরাট বড় একটা বাড়ি আছে…

বিস্তারিত»

আজকে আমার লেখালেখি সার্থক হইল…(গুগল কইর‍্যা আমার লেখা চোর গুলারে পাইলাম)

প্রথমে মেজাজ খারাপ হইসিলো…আমার মত একজন ভাতকবির লেখাও যে চুরি হয় দেইখ্যা গর্বিত বোধ করলাম-
আপনারাও দেখুনঃ-

বিস্তারিত»

৬ বছর বা ২২০৩ দিন – ১৯তম পর্ব

ক্যাডেট কলেজে আমাদের বিনোদনের সবচেয়ে সহজ বা সস্তা উপায় ছিল বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কৌতুক(ফ্লপ) করা। খুবই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কৌতুক(ফ্লপ) করা হত। যেমনঃ প্রেপে চিরাচরিতভাবে গল্প চলছে। পাশ থেকে একজন বলে উঠল, “অই পড়তে দে।” আড্ডা থেকে একজন বলে উঠল, “তাহলে চেয়ার সরা।”

এর সারমর্ম যারা বুঝতে পারেননি তাদের জন্য বলছি, চেয়ার সরালেই তো মেঝেতে পড়ে যাবে। এরূপ কৌতুক(ফ্লপ) করতে বিশেষজ্ঞ ছিল বা হয়তো এখনও আছে মেশকাত,

বিস্তারিত»

মরণের ওপারে – ১


————————ডঃ রমিত আজাদ

মৃত্যু একটি সমাপ্তি। এর সাথে জড়িয়ে আছে ভয়, কান্না আর দুঃখ। কেউ কেউ মানসিক প্রশান্তির কথাও বলে থাকে। জানিনা। তবে এটুকু বুঝতে পারি, মৃত্যু রহস্যে ভরা। মৃত্যু কি? দেহের মৃত্যু হয় জানি, তারপর? আত্মা বলে কি কিছু আছে? দেহহীন সেই আত্মা কিভাবে টিকে থাকে? আমাদের এই অপার রহস্যময় জগতে খুব সামান্যই আলোর সন্ধান দিয়েছে বিজ্ঞান।

আমার দেখা প্রথম মৃত্যু ১৯৭৪ সালে।

বিস্তারিত»

নীল দানব

গ্রামের সরল শিশু জিজ্ঞাসে,
বাবা, বাবা, এইটা কি?
বাবা বলে বেলু্ন।
বাবা ওইটা কি?
বাবা বলে ওইটা ফুচকা, তুমি খাবে?
হ্যাঁ , বাবা খাবো।
আবার জিজ্ঞাসা,বাবা ওটা কি?
বাবার সরল উত্তর ,উনি পুলিশ।
উনি কি করে?
চোর ধরে ,ডাকাত ধরে , খারাপ লোক ধরে।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে ডিউটি করে।
উনি কি বেতন পান?
হ্যাঁ,সবাই বেতন পায়।

বিস্তারিত»

বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও ??

১৫  নভেম্বর  ২০০৯

ঢাকা থেকে যাওয়ার আগে ফেসবুক এ একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম

‘ যেদিন কোচিং এর জন্য প্রথম ঢাকাই আসলাম সেদিন এর লক্ষ্য আর আজ যখন চলে যাচছি তখন কার প্রাপ্তি !! হয়ত ফার্মগেটের এই সাত রাস্তার মোড়ের মতই আমাদের জীবনের একটা টার্ন তৈরি হচ্ছে’

ক্লাস ১ থেকে শুরু করে ক্লাস ১২ পর্যন্ত যে কইবার Aim in Life বা জীবনের লক্ষ্য রচনা লিখেছি সব গুলোর বিষয়ই আমি ডাক্তার হব ।

বিস্তারিত»

খাগড়াছড়ি, ভালোবাসার টানে কাছে আনে – ১

হ্যান্ডস ডাউন হতে চাচ্ছিলাম না। কপট রাগের আরো এক ঝাপ্টা গায়ে লাগতেই আর উপায়ন্ত দেখলাম না। অব্যবহিত পূর্বের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হিসাবে ফেরদৌস ভাইয়ের (ফৌজদারহাট, ৯০-৯৬) হাতে বার-বি-কিউ স্টিক দিয়ে উত্তম মধ্যম খাবার আরেকটি সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়ে হ্যান্ডস ডাউন হলাম। অন্ধকার ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে বসে থাকা সিনিয়ারদের নিঃশব্দ ভিলেন টাইপের হাসিটা ছিলো অনুভবের ব্যাপার মাত্র। সাইফুল্লাহ ভাইয়ের (রংপুর, ৯০-৯৬) হাতের ক্যামেরার ফ্ল্যাশ ঝলসে উঠলো বেশ কয়েকবার।

বিস্তারিত»

X-Files-6

ওদের ভাষায় বলে “কুণ্ডলী”। একটা গোল করে মাটিতে আঁকা দাগ। চক্রাকার। সেজন্যে কেউ কেউ চক্রও বলে।

অনেক কাল পরে আবার যেই চক্রের কথা শুনেছিলাম, এটা সেই চক্র বা কুণ্ডলী।

আমরা শিশু কিশোর সহ গ্রামের অনেক মানুষ জড় হয়েছি। খাঁ বাড়ীর বৌকে ভুতে ধরেছে, ছাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। ওঝা এসেছে।

কাচারি ঘড়ের সামনের বিশাল উঠানের মাটিতে কুণ্ডলী দেয়া হচ্ছে।

ভিতর বাড়ী থেকে কাচারির দরজা খুলে বউকে আনা হল।

বিস্তারিত»

পরিবর্তন

চারপাশে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে । একটা সময় ছিল যখন বৃষ্টি খুব ভালো লাগত। এখন আর অতটা লাগে না , ঘোর বৃষ্টিতেও মাঝে মাঝে টেরই পাইনা যে বৃষ্টি হচ্ছে।

বিস্তারিত»

চিঠি সমাচার

বহুদিন পর ইদানিং ব্লগে ঢুকা হচ্ছে। ব্লগে ঢুকে কিছু নবীন লেখকের লেখা পড়ে খুব মজা পাচ্ছি। মনে পড়ছে ১/২ বছর আগের কথা। তখন সারাদিন ব্লগেই পড়ে থাকতাম। এ যেন এক নিত্য updated গল্পের বই। যাই হোক তখন সকলকে দেখে মনে হয় আমিও ২/১ টা ব্লগ লিখেছিলাম। আজকে মনে হচ্ছে কিছু একটা লিখি। কিন্তু কি লিখব তাই নিয়ে ভাবছিলাম অনেক্ষন ধরে। হঠাত মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে কেন জানি না হলুদ রঙের খামের কথা মনে পড়ে গেল।

বিস্তারিত»

ঘুম

গ্রীষ্মকাল আর ঘুম ক্যাডেটদের জন্য এই সমীকরণটা মনেহয় একে অপরের সাথে সমানুপাতিক।

ঘটনা-১
ঘটনাটা কোন সময়ের তা মনে করে উঠতে পারছিনা। তবে ক্লাস ১০ এ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আলভী (ডাকনাম) ক্লাস ১০ এর ফর্ম থেকে একটা চেয়ার নিয়ে টয়লেটে চলে গেল এবং যথারীতি আরাম করে ঘুমিয়ে গেল। আমরা ক্লাসের সবাই বেমালুম ভুলে গেলাম যে আলভী টয়লেটে ঘুমাচ্ছে। বাংলার রাবেয়া ম্যাডামের ক্লাস। হঠাৎ করে আমরা সবাই শুনি এক সুইপার চিৎকার করে বলছে টয়লেটে এক ক্যাডেট অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।

বিস্তারিত»

X-Files-5

চমনের বাবা ।নিজের আসল নাম বলতে নারাজ। কালো, ছোট খাট মানুষটি।আদি বাড়ী নাকি কামরূপ-কামাক্ষ্যা।

বেশ অপরিষ্কার, মলিন একটা ফতুয়া গায়ে, হাঁটু অব্দি চেক লুঙ্গী উঁচু করে পরা। একদম সাদারন একজন মানুষ। বন্ধু খসরূর আগ্রহে ওকে আবার তলব করা হল।

বিনীত ভঙ্গিতে জড়সড় হয়ে বসে আছেন।

আমাদের ইনভেস্টিগেটিভ ইন্টারভিউ শুরু হল। বেচারা সংকোচে ম্রিয়মান।একশত ভাগ বাঙালি বলে মনে হলোনা কথায়।

বিস্তারিত»

X-Files-4

 

“নাপিতের ভিটা” নিয়ে গ্রামে অনেক মুখরোচক গল্প প্রচলিত আছে।সবথেকে অথেনটিক গল্প বাবার তৃতীয় ভাই, ‘ চেয়ারম্যান চাচা’, বর্তমানে আমাদের ঢাকা জেলার দোহার পৌরসভার ‘মেয়র রহিম চাচার’ কাছ থেকে শুনা।

ঘোর বর্ষার রাত। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। হিসেব-নিকেশ, মানুষের বিচার-সালিস শেষে বাড়ি ফিরতে রাত দশটা এগারটা প্রতিদিনই হয়। আসামান্য শারীরিক শক্তি, দুর্দম্য সাহস আর ন্যয় পরায়ণতা ‘রহিম চেয়ারম্যান’

বিস্তারিত»

X-Files-৩

ভদ্রলোকের নাম নাথ বাবু।সম্পূর্ণ নাম কি ছিল আজ আর মনে নেই।১৯৮৭~৮৮’র দিকে চট্টগ্রামে কৃষি ব্যাংক এর ডি জি এম ছিলেন। তুখোড় অংকবিশারদ। সেই সুবাদে অনুরোধে আমাদের ভাগিনা ‘রনি’ কে অংকে সাহায্য করার জন্যে শেলি আপা’র বাসায় যাতায়াত ছিল।

এই পর্বে এসে সংশ্লিষ্ট সকলের সঠিক নাম-পরিচয় উল্লেখ করবো মনস্থ করেছি, না হয় আবার কেউ আমাকে “কল্প কাহিনীকার” ভেবে বসতে পারেন।সঠিক নাম-পরিচয়ের সুবিধা হোলো, হয়তো কারো পরিচিত গণ্ডির মধ্যেই পরে গেলে,

বিস্তারিত»