(২৯)
থার্ড পিরিয়ডে ক্লাশ চলছে । হঠাৎ তীব্র গন্ধে ক্লাশ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ল । স্যার বললেন “কিডা ই কাম করছেরে ? কয়দিন ধরি লং এ যাস না , যে ইডা করছে তাড়াতাড়ি লং থিকা ঘুরি আয় ।” স্যারের কথায় কেউ সারা দিল না । অগত্যা স্যার ক্লাশ বাদ দিয়ে চলে গেলেন । পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে জানা গেল এটা ছিল h2s (হাইড্রোজেন সালফাইড) এর গন্ধ । নিচতলায় কেমেষ্ট্রি প্র্যাক্টিক্যাল চলার সময় স্যারের অনুপস্থিতিতে কোন এক দুষ্ট ক্যাডেট কিপস এপারাটাসের মুখ খুলে দিয়েছিল ।
(৩০)
আমদের এক বড় ভাইয়ের নিক নাম দিয়েছিলাম মিঃ ফটোজেনিক । এর কারণ তার ছিল যেখানে সেখানে ছবি ওঠার বাতিক । লুকিয়ে সিগারেট খেতে এসেছেন জুনিওর টয়লেটে , কোন এক জুনিওরকে ডেকে বলবেন ছবি তুলে দাও । তাও আবার বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি তুলতে হত । প্রিন্সিপাল ইন্সপেকশনে হাউসের সামনে কিছু ছবি দেয়া হবে , দেখা যাবে সবগুলো ছবিতেই তার উপস্থিতি । বিভিন্ন কম্পিটিশনে আমাদের এক একজনের উপর দ্বায়িত্ব পড়ত তার ছবি তোলার । তাই যখন তাদের ব্যাচ বিদায় নিতে যাচ্ছে তখন আমরা খুশিই হলাম । অন্তত ছবি তোলার ঝামেলা শেষ হল এই ভেবে । বিদায়ের দিন দেখলাম তিনি তার ফ্রেন্ডদের জড়িয়ে ধরে কাদছেন । অঝোর ধারায় অশ্রু ঝরছে তার চোখ থেকে । দেখে খুব খারাপ লাগল । এই যখন অবস্থা তখন আমাদের এক জুনিওরকে ডেকে বললেন “এই ক্যামেরাটা নাও আর কয়েকটা ছবি তুলে দাও । দেখো কান্নার দৃশ্য যেন ভাল আসে ।” এই বলে আবার কাদতে শুরু
করলেন তিনি ।
(৩১)
ইন্টার হাউস ক্রিকেট কম্পিটিশন চলছে । ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন আমাদের এক বড় ভাই । জানিনা ভুল করেই কিনা কিংবা ফান করার উদ্দেশ্যেই তিনি বলেছিলেন “ওভারের পরের বল , বলে বলে সংঘর্ষ লাগানোর চেষ্টা কিন্তু হল না ” । কাকতালীয়ভাবে ঐ বলের আঘাতে একজন ব্যাটসম্যানকে আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায় ।
(৩২)
দুইদিন পর প্রিন্সিপাল প্যারেড । এজন্য এডজুটেন্ট স্যার স্টাফকে ইন্সট্রাকশন দিচ্ছিলেন । চুল কাটার ব্যাপারে স্টাফকে বলছিলেন “স্টাফ , ক্যাডেটরা যেন সবাই হেয়ার কাট কাটে” ।
(৩৩)
ইলেভেনে ফার্ষ্ট টার্মে ধুম উঠল সবাই ফেল করবে । এক ফ্রেন্ড প্রতিদিন আড্ডায় বলে “এবার যা পরীক্ষা দিলাম , বাংলা ছাড়া সবগুলাতেই ফেল করব । গ্রেড পয়েন্ট হবে পয়েন্ট
সামথিং” । কিন্তু খাতা দিলে দেখা গেল সে সব পরীক্ষাতেই পাশ করেছে । এই অপরাধে তাকে গণধোলাই দেয়া হল এবং তার নাম দেয়া হল পয়েন্ট সামথিং ।
(৩৪)
ক্লাশ ইলেভেনে উঠে সবাই নতুন কম্পিটিশন শুরু করল । মানচিত্র অংকন কম্পিটিশন । প্রতিদিন রাতে চুড়ান্ত অসভ্য গল্প করে ঘুমাতে যায় সবাই , সকালে উঠে নির্ণয় করে কে কোন
দেশের মানচিত্র অংকন করেছে । কেউবা আকায় ভারতের মানচিত্র আবার কেউ বা আকায় ভ্যাতিকান সিটি । কিন্তু আমাদের এক ফ্রেন্ড কোনদিনই মানচিত্র আকাতে পারত না ।
একদিন আমরা জিজ্ঞেস করলাম “দোস্ত তুই মানচিত্র আকাতে পারিস না” । উত্তরে সে বলল “দোস্ত আমিও আকাই কিন্তু ভূমিতে নয় আকাশে” ।
২৮ টি মন্তব্য : “ফিরে দেখা (পর্ব-৭)”
মন্তব্য করুন
😀
😀 😀
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
😀 😀 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
এহহে, তোরে কোচিং দিয়াও পরথম বানাইতে পারলাম না ;))
পরথম হইতে হইলে এখন বলে আর কোচিং এ কাম হয়না 🙁 সাথে হরলিক্সও খাওন লাগে, টিভিত হুঞ্ছি 😀 😛
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
তাহলে হরলিক্স খাওয়াও শুরু কর :grr:
হরলিক্স খেয়ে কোন লাভ নাই । প্রথম স্থানটা আপু ভাবিদের জন্য সংরক্ষিত । তা না
হলে লেডিস ফার্ষ্ট প্রবাদটির কোন মুল্য থাকে না । কি বলেন কায়উম ভাই । 😀
কাইউম ভাই আসলে ইচ্ছা করেই প্রথম স্থান ছেড়ে দিয়েছে । তাই না ভাইয়া ।
😀 😀 😀 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আপনাদের সাথে আমিও একটু দাত ক্যালায়া হাসি । 😀 😀 😀
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ দাত বের করে হাসিবার পূর্বে খেয়াল করুন ঠিকভাবে
দাত মাজা হয়েছে কিনা । 😀 😀 😀
ভাল ছিল :thumbup:
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
ভাল ছিল।
ভাইয়াকে ধন্যবাদ ।
বলে বলে সংঘর্ষ লাগানোর চেষ্টা কিন্তু হল না ” । কাকতালীয়ভাবে ঐ বলের আঘাতে একজন ব্যাটসম্যানকে আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায় ।
=)) =)) =)) =)) =))
মাশরুফ ভাইয়ের সাথে ক্রিকেট খেলতে মন চায় । মাশরুফ ভাই
ব্যাটসম্যান আর আমি বলার । =)) =)) =))
নাহ তুই তোর পিসিসির বন্ধুদের সাথে লাঠালাঠি খেল 😛
আমি কি চোইরা যে লাঠালাঠি খেলব ? তার চেয়ে আসেন লাঠি বল খেলি মানে ক্রিকেট খেলি ।
😮 😮 😮
মাসরুফ ভাই তো ব্যাট করতে পারে না 😛 😛 😛 😛
:thumbup:
এইরকম কাহিনী লেখা শুরু করবো কিনা ভাবছি । :dreamy: :dreamy:
এখনো বসে আছেন । তাড়াতাড়ি শুরু করেন ।
darun mamu oshadharon 😀
😀 😀 😀
ভালই চলছে ...... চালিয়ে যাও ...... 😀 :))
পুজি প্রায় ফুরাইয়া আসিয়াছে ।
মজা পাইছি আগের গুলার মতই :))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
থ্যাঙ্কস । :))