হাতে ব্লেড নিয়েও চামড়ায় বসায় আর কয়জন! আমরা আসলে ভাবিই এভাবে… কিন্তু বসায়,অনেকেই বসায়। প্রতি স্কুলে, প্রতি কলেজে, প্রতি ভার্সিটির কোন না কোন ক্লাসে দুই একটা ছেলে বা মেয়ে থাকবেই যারা এই জিনিস নিজেদের কোমল হাতে এপ্লাই করে ফেলেছে, যারা বন্ধুরা “মুড়ি খা” বললে মুড়ি খাবার বদলে ঘুমের ওষুধ গিলেছে। বোকা বাচ্চাগুলো বোঝেনা বন্ধুরা বা মা বাবা মুড়ি খা” বললে মুড়িই খেতে হয়, “দূরে গিয়ে মর” বললে কাছে থেকে দীর্ঘ দীর্ঘ দিন বাঁচতে হয়!
ব্লেড ব্যথা বাড়াবে, সারা জীবন দাগ থাকবে…
নদীতে ঝাঁপ দেবে? স্যাঁতসেঁতে দমবন্ধ করা অনুভূতি…
গলায় দড়ি? চিন্তা কর বেগুনী হয়ে ফুলে যাওয়া চেহারাটা… গলার চারপাশে দড়িটার আটকে বসা…
ড্রাগ? চেহারা নষ্ট, নিজেকে যতটুকু চেনা আছে তখন ততটুকুও আর চেনা যাবে না…
ঘুমের ওষুধ? ভাইরে, বুড়া বয়সে এমনিতেই খেতে হবে… কি দরকার! আর স্টোমাক ওয়াশের মধ্য দিয়ে একবার যেতে হলেই ইনশাআল্লাহ্ আর ইচ্ছা থাকবে না। মরার ইচ্ছা হলে কিছু না খেয়েই একটা স্টমাক ওয়াশ ট্রাই করে দেখতে পার।
জীবনের ভুলগুলোকে বিপথে যাওয়া সন্তানের মত দেখ, আদর করে যত্ন নিয়ে তাদের মন ভালো করে দাও…তাদের ভুল থেকে ঠিক করে দাও…
ডিপ্রেশন কার থাকে না! ক্রনিক ডিপ্রেশন আর ইনসমনিয়া কে নিত্যসঙ্গী করেও তো ভালোবেসে যাচ্ছি জীবনকে, প্রতিদিন, আরো বেশি বেশি করে… ঘুমের ওষুধের বদলে ক্রাশ খাও মুড়িমুড়কির মত, গলায় দড়ির বদলে রঙ্গিন স্কার্ফ জড়াও, হাতে যে ইঞ্জেকশন দিয়ে ড্রাগ ঢুকাবে, সেই ইঞ্জেকশন দিয়েই ড্রাগ ঢুকানোর বদলে নিজের রক্তদান কর। বিশ্বাস কর হালকা লাগবে, ভালো লাগবে!
ছবি আঁক, ছবি তোল, লেখালেখি কর, গান শোন… চোখে সানগ্লাস চড়াও, সূর্যকে ভয় না পেয়ে একটা ক্যামেরা বা মোবাইল হাতে বেড়িয়ে পর রাস্তায়, তুলে রাখ সব সুন্দর স্মৃতি- মজাদার দৃশ্য। ছবি যে হতেই হবে এমন কোন কথা নেই! তোমার ভালো লাগাটাই মুখ্য! ছবি বোদ্ধা রা নাক কুচকাবে তোমার ছবি দেখে? নামিদামী লেখকেরা বলবে কলম ধরতেই জানো না? আঁকিয়েরা রঙ পারসপেকটিভের ভুল প্রয়োগ নিয়ে কথা বলবে?
বলুক! হেসে বলবে,আমি পারিনা যে! এই শিখছি
দেখবে কিভাবে জীবনটা উপভোগ করতে শিখে গেছ …
:thumbup: :thumbup: :thumbup: ভালো লাগল।
Prisoner of Own Mind
:hatsoff: :hatsoff:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
লেখাডা খুব ভালা পাইছি আফামনি...... এহন কার পুলাপান গো এইসব কওয়ার বেশী মানুষ নাই... ::salute::
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
"ডিপ্রেশন কার থাকে না! ক্রনিক
ডিপ্রেশন আর
ইনসমনিয়া কে নিত্যসঙ্গী করেও
তো ভালোবেসে যাচ্ছি জীবনকে,
প্রতিদিন, আরো বেশি বেশি করে…"
এই লাইনগুলো অসাধারণ লাগল,একদম আমার মনের কথা।
আমারো মাঝে মাঝে নিজেকে :gulli: করতে ইচ্ছা করে । কিন্তু বন্দুক বড় ভয় পাই 🙁
:thumbup: তবে ২০০৫ সালের নভেম্বরের কোন এক ভোরে তাওহীদ (মির্জাপুর ৯৮-০৪) কেন ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়েছি বলতে পারি না। ক্রনিক ডিপ্রেশান ছিলো না, ছিলো না নির্ঘুম রাতের হাজারখানেক পর্ব। তারপরেও চলে গেল আমার রাত দুইটায় উঠে জাহিদের লুকিয়ে রাখা সিগারেট চুরি করে খাবার একমাত্র সঙ্গী।
তোমার ভেতরের সহযোদ্ধা অনেক শক্তিশালী। দিনের পর দিন যুদ্ধ করে যাচ্ছে। সবার ভেতরের সহযোদ্ধা এত শক্তিশালী হতে পারে না। হার মেনে যায় একসময়। তোমাকে ::salute:: (সম্পাদিত)
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ভালো লাগলো।
রবি ঠাকুর বহু বহু আগে বলে গেছেন -
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ফেসবুকে পড়ছি, খুব সুন্দর হইসে।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
জীবন সুন্দর
আকাশ-বাতাস পাহাড়-সমুদ্র
সবুজ বনানী ঘেরা প্রকৃতি সুন্দর
আর সবচেয়ে সুন্দর এই বেঁচে থাকা...
---রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
শোনা গেল লাশকাটা ঘরে
নিয়ে গেছে তারে;
কাল রাতে - ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হল তার সাধ। ___ জীবনানন্দ দাশ 🙁
একজন ভাল মা হতে পারবে।
শুধু যাওয়া আসা শুধু স্রোতে ভাসা..
🙂
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সবাইকে ধন্যবাদ। খুব কাছের একজন আত্মহত্যা করতে চাইত, আমি জানি আপনজনদের কেমন লাগে...
যখন চলে যাব দূরে...বহুদূরে...নৈশব্দের দূর নগরীতে
ভাল লিখেছেন ভাই।