ভারতের ব্যাটসম্যানদের নিজেদের মাটিতে রানের ফুলঝুরি ছুটিয়ে, বিদেশের মাটিতে রানের জন্য খাবি খাওয়ার হাজার নিদর্শন আছে। আবার ভারতের বোলারদের অবস্থাও তাই। ভারতের স্পিনাররা দেশের মাটিতে পারলে প্রত্যেকেই দশ উইকেট নেয়। কিন্তু বিদেশের মাটিতে সেই উইকেট টেকার বোলাররাই যেন স্ট্যাম্প চোখে দেখেন না। বেধড়ক মার খেয়ে তক্তা হয়ে যায়। যা হোক ভারতের দেশে বাঘ, বিদেশে বিলাই স্বভাব নিয়ে অনেক মজার মজার কৌতুক আছে। তার একটা শেয়ার করি :
একবার এক ম্যাচে ভারত ক্রিকেট টিম চালকের আসনে। প্রতিপক্ষ দল কোন ভাবেই ভারতের রানের ফুলঝুরি আটকাতে পারছে না। প্রতিপক্ষ ক্যাপ্টেনের সব তুরুপের তাসও শেষ। কিন্তু ভারতের রানের বন্যা শেষ হয় না। উপায় না দেখে প্রতিপক্ষ ক্যাপ্টেন তার শেষ চালটা চাললো। ক্যাপ্টেন ক্রিজে কি যেন একটা দাগ টানল তারপর ব্যাটসম্যানের কানে কানে কি যেন বলল। তারপরেই ব্যাটসম্যানরা একের পর এক আনাড়ীভাবে আউট হতে লাগল। প্রতিপক্ষ ম্যাচ জিতে গেল । উপস্থিত দর্শক , ধারাভাষ্যকার, সাংবাদিক সবাই অবাক। কেউই রহস্যটা বুঝতে পারলনা । সবার মনেই জিজ্ঞাসা কি এমন ঘটল যে ভারত ক্রিকেট দলে এমন হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়ল। তারপর ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে সবাই প্রতিপক্ষ ক্যাপ্টেনের কাছে রহস্য জানতে চাইল, যে কোন মন্ত্র বলে সে ভারত দলকে কুপোকাত করল। ক্যাপ্টেন ব্যাটসম্যানের কানে কানে কি বলেছিল, এবং ক্রিজে দাগ দিল কেন যে ভারতের চেহারা হঠাৎ করে পাল্টে গেল ?
প্রশ্ন শুনে প্রতিপক্ষ ক্যাপ্টেন মুচকি হাসল। সে কিছুতেই মুখ খুলতে চায় না। সবার পীড়াপীড়িতে শেষে বলল, ” আমি প্রথমে ক্রিজে একটা দাগ দিলাম, তারপর ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে কানে কানে গিয়ে বললাম এইযে দাগ দেখছো ক্রিজে, দাগের যে পাশে তুমি ব্যাট করছে সেই অংশ কিন্তু ভারতের বাইরে। ক্রিজের এই অংশ ভারতের বাইরে শুনেই ভারত হেরে গেল, কারন ভারত তো দেশের বাইরে ম্যাচ জেতে না ” 😉
আজ সাকিব ভারত বধের এই থিওরী ব্যবহার করে দেখতে পারে 😉
😀
প্রথম হয়েছ চা খাও । :teacup:
হাহাহা......কৌতুকটাতে মজা পেলাম।
ওদের অল্প রানে অলআউট না করতে পারলে বাংলাদেশের কোন আশা নেই। আমাদের বোলারদের দিকে মুখ চেয়ে আছি আজ। 🙂
দেখা যাক বোলার রা কি করে ।
=))
জোকসটা ভালো হইছে ভাইয়া। তবে কথা হইতেসে ভারতের সেইদিন নাই। এখন তারা বিদেশেও ভালো খেলছে। তবে শেবাগের উক্তিটি ঔদ্ধত্যপূর্ণ ছিলো। তবে আফসোসের কথা হইলো আামদের বোলাররা আজকে ওর কথাই সত্য প্রমাণ করে চলছে। একটা নাইটওয়াচ ম্যান আইসা ফিসটি কইরা ফেলছে !!!!
বাংলাদেশের বোলারদের এই কীর্তি নতুন না।সারাজীবন দেইখা আসছি আমাদের বিরুদ্ধে গিলেস্পিরা ডাবল সেঞ্চুরি করে,নামগোত্রহীন টেইলএন্ডাররা নিয়মিতভাবে ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের পরিচয় দেয়,ব্যাট হ্যান্ডেল দিয়ে ধরে না ব্লেড দিয়ে ধরে সেইটা নিয়ে কনফিউশনে থাকা মুরালিধরণেরা পিটায় তামাতামা করে ক্রুশিয়াল ম্যাচ জিতায় দেয়...
আপনার ডিসপ্লে এর গাড়ীটা দেইখা কিনতে মন চায়। আমার একটা সিরিজ ছিলো এদেরকে নিয়ে (যদি পাইতাম)
দিলাম তোমাকে, বড়টার সাথে ছোটটা ফ্রি 😛
এটা পোজো, ফ্রেন্ঞ্চ ব্র্যান্ড। সেই রকম একটা মডেল । আমিও দেখি আর আফসোস করি ।
=)) =)) =)) =))
খেলাধুলা নিয়া এবং বিশেষভাবে চলমান সিরিজটা নিয়া আগেই একটা লেখা আশা করছিলাম.........ধন্যবাদ, শেবাগের বোঝা উচিত সবার সব দিন সমান যায় না।
জেমি সিডন্স:- "He should stay away from the like" :hatsoff:
এই ম্যাচ যদি বাংলাদেশ সেভ করে ফেলতে পারে তাইলে একটা দারুণ ব্যাপার হবে 🙂
কোন ভাবে আজকে রাতে যদি শেভাগকে দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে একটা উলটাপালটা কমেন্ট করিয়ে নেয়া যাইত তাহলে কালকে ১ম দিনের বোলারদের মত জোশের চোটে কিছু একটা করে ফেলার সম্ভাবনা ছিল 😉
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
দাদা,আপনার কলকাতার পত্রিকাগুলো "সহবাগ" কে যেভাবে ধুয়েচে তার কোন তুলনা নেইগো।আর আনন্দবাজার তো মনে হচ্চিল ভারত নয়,বাংলাদেশের সাপোর্টে লিকেচে :shy:
:)) আসলে শেওয়াগ ভাবছেঃ সারাজীবন তো বিদেশের মাটিতে বিলাই হইয়াই থাকলাম...বাংলাদেশে যখন আইছি- এই সুযোগে একটু পাট লইয়া লই..." B-)
ও বলছিল বাংলাদেশ নাকি ২০ উইকেট ফালাইতে পারে না 😛 ... ১৮ উইকেট পড়ার পর নিজের ভবিষ্যদ্বাণী বাঁচানোর জন্য ইনিংস ডিক্লেয়ার করছে খাটাইসটা =)) !!
মনে হচ্ছে না আমরা কিছু করতে পারবো... ব্যাটিং এর অবস্থা তো ভয়াবহ... তবুও আশায় বুক বাধি... আল্লাহ ভরসা... এগিয়ে চল তোমরা, আমরা সাথে আছি।
মাস্ফ্যুদা তো দেখি জটিল কলকাতীয় বাংলা বলেন!!! :hatsoff:
অঃটঃ আপনার :just: ফ্রেন্ড নেটওয়ার্ক কি কলকাতা পর্যন্ত কাভার করে নাকি? 😮
ঠিক তা নয় গো,তবে ওখানকার এক সাংবাদিক পায়েল সেন নূপুরের সাথে এককালে বেশ দহরম মহরম ছিলো,ওর সাথে কথা বলতে বলতে শিকেছি,বুজেচিস ওহে তরুন বায়ুসেনা? :shy:
অন্তত ম্যাচটা যদি ড্র হয়ে যায়, তাইলেও চলে।
গুল্লুরে খুব মিস করতেছি। 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
এইটা কি কস?
গুল্লু এই ম্যাচ ড্র করবো?? ওর দৌড় ফ্ল্যাট উইকেটে জিম্বাবুয়ের সাথেই। রাকিবুল যদি জমে যেতে পারে তাইলে চান্স আছে। তবে আমাদের ব্যাটিং লাইন লম্বা অনেক। আশা করা যায় ব্যাটসম্যানরা কমন সেন্স ইউস করলেই টেস্ট টা ড্র হবে।
গুল্লু কে নিয়ে মজার এক কমেন্ট করেছিল আমার এক বন্ধু। গুল্লু নাকি ইয়র্কার বলে স্কয়ার কাট করে 😛
যে যত যাই বলুক, আশরাফুল এখনও বাংলাদেশের ব্যাটিং এর মরা হাতি। মরা হাতি লাখ টাকার মত আজ তার ঝলকানি দেখা গেলেই বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরন হয়ে যায়। আশা আছে তামিম ও মুশফিকুর রহিমের প্রতিও। আশা করেই রইলাম ।
আচ্ছা,কেউ কিছু মনে না নিলে অসম্ভব একটা স্বপ্ন দেখি? বুঝলাম পঞ্চম দিনের খেলা,বুঝলাম বাংলাদেশের ব্যাটিং নড়বড়ে-এত কিছুর পরেও সারাদিন খেলে ৩৪০+ রান ধাওয়া করে বাংলাদেশ কি জিততে পারেনা কোনভাবে??৫০ ওভারে যদি অহরহ ৩০০+রান হয় তাহলে ৭৫ ওভারে ৩৫০ এর চেয়ে অল্প কম রান ধাওয়া করে ফেলার সম্ভাবনা কি শূণ্যেরও নিচে? গন্ডায় গন্ডায় এক্সট্রা রান রেয়া "এক্সট্রা"-অর্ডিনারি ভারতকে কি আমাদের "অর্ডিনারি" বাংলাদেশ নববর্ষের উপহার এই অসম্ভব উপহার দিতে একেবারেই অক্ষম???
রান রেট দিয়ে বিচার করা উচিত হবে না। টেস্টের ফিল্ডিং সেটিং মূলত উইকেট টেকিং ফিল্ডিং । তাই উইকেট টিকিয়ে রেখে প্রথম সেশন ব্যাট করতে পারলে ভারত ব্যাকফুটে চলে যাবে। তখনই ব্যাপারটা ওয়ানডের সাথে তুলনীয় হবে। প্রথম সেশনে একটা উইকেট হারালেও তা বাংলাদেশের জন্য বিপর্যয় বয়ে আনবে। তামিম ও আশরাফুলের প্রথম সেশন পুরোটা টিকে থাকার কোন বিকল্প নেই।
শতভাগ সহমত।আশা করি বাংলাদেশ ভাল খেলবে।তবে শ্রীলঙ্কার সাথে ৪০৩-৬ থেকে ৪১৩ অলআউটের কাহিনী মনে পড়লেই পেটব্যাথা করে 🙁
111 for 4,সম্মানজনক পরাজয়ও কপালে জুটবে বলে মনে হয়না-প্রথম সেশনেই দুই উইকেট 🙁
মুশফিক রহিমের এমন একটা ইনিংস পুরা বৃথা গেল। উইকেট এমন কঠিন কিছুই ছিল না। রহিমের ব্যাটিং দেখে বুঝা গেল সাকিব যে জয়ের কথা বলেছিলেন সেটা অসম্ভব ছিল না। কিন্তু আামদের টপ মিডল অর্ডার রা আর কত শিখবে???
প্রথম ইনিংসে ১০০ টা রান আগায় রাখলে অথবা এই অথর্ব আশরাফুল-ওভার ইস্মাট শাহরিয়ার নাফিসদের টপ অর্ডারে আরেকটু ধরে খেল লে এই ম্যাচ যেতা যেত-গাম্ভীরও এই কথা বলছিল।
লেখাটা সেরকম :khekz: :khekz:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
হুমমমম... :-B