কলেজে একটা ‘এফ পি’ ছিল।সোহরাওয়ার্দি হাউসের সামনের রাস্তায় সাদা কালি দিয়ে লেখা ছিল।ঐ টা ছিল আসলে ফিনিশিং পয়েন্ট,অর্থাৎ ক্রস কান্ট্রি বা ইডি খেলে দৌড়ে এসে ঐ খানে ফিনিশিং হত।ক্লাস ৭ থেকে ‘এফ পি’ দেখে আসছি,কিন্তু ‘এফ পি’র সংজ্ঞা বদলে গেল ক্লাস ৮ এর মাঝামাঝি সময়ে।কারন হল ক্লাস ৮ এ আমরা দেখলাম কলেজে একজন ভূগোলের নতুন ম্যাডাম আসলেন,নাম ফরিদা পারভিন।
ফরিদা পারভিন ম্যাডাম সম্পর্কে আমার সিনিওররা অনেক কিছুই আমার চেয়ে অনেক অনেক বেশী বলতে পারবেন । উনি আমাদের কলেজ দিয়েই তার চাকরি শুরু করেন,পরে কুমিল্লায় বদলি হয়েছিলেন।মাডামের চেহারা বেশ ভালই ছিল আর কি! মানুষের রূপের বর্ণনা আমি দিতে পারি না, কিন্তু এটুকু বলতে পারি যে, ক্লাস ৮ এর নিরস জীবনে ভূগোল ক্লাস ছিল আমদের অতি আকাংক্ষিত একটা পিরিয়ড।আমাদের অনেকেই ক্লাস টাইমে বোর্ডে নিজের নাম সি এম এইচ/হসপিটাল এর পাশে লিখে বাথরুমে গল্প করে কাটাতাম,কিন্তু ফরিদা পারভিন ম্যাডামের ক্লাসে কিভাবে জানি সবাই প্রেজেন্ট থাকতো,এমনকি হসপিটাল থেকেও কেউ কেউ চলে আসতো ক্লাস করার জন্য,কি সিরিয়াস সাব্জেক্ট হয়ে গেল ভূগোল!প্রথম ক্লাসে এসেই ম্যাডাম বলেছিলেনঃ
আমি ফরিদা পারভিন,তোমাদের ভূগোল ক্লাস নিব…ইত্যাদি
আমি ঢাকা ইউনিভারসিটি থেকে অনার্স মাস্টার্স করেছি,ক্যাডেট কলেজে এটা আর্টসের সাব্জেক্ট কিন্তু ইউনিভারসিটিতে এটা সায়েন্স…ইত্যাদি
লাস্টে একটা কথা বললেনঃ(তর্জনী আঙ্গুল উঁচিয়ে) “আমার মেট্রিক,ইন্টারমিডিটিয়েট,অনার্স,মাস্টার্স সব রেজাল্ট ফার্স্ট ক্লাস।”
ব্যস,আমরা বুঝে গেলাম ম্যাডাম খুব ‘ধারাল’! প্রতিদিন রাতে শোয়ার সময় অনেক জল্পনা কল্পনা করতাম…আর কানে খালি একটাই শব্দ বাঁজতোঃ ফার্স্ট ক্লাস… ফার্স্ট ক্লাস… ফার্স্ট ক্লাস
যাই হোক,সবার মধ্যে ভূগোল পড়ার উৎসাহ দেখা গেল। নরমালি কেউ ফরম লীডার হতে চায় না কিন্তু দেখা যায় ভূগোল ক্লাসে অনেকেই চায় ফরম লীডার হতে(এক পিরিয়ডের জন্য,শুধু ক্লাস সাবধান দিবে ম্যাডামের সামনে-এটুকুর আশায়)।এইভাবে দিন যাচ্ছে।একদিন হাউসে আসার সময় শফিকের সাথে গল্প করছিলামঃ
দোস্ত,কলেজের ম্যাডামদের মধ্যে কে কে একটু রোমান্টিক রে?
-সবার মধ্যেই আছে কমবেশী,কিন্তু কাসপিয়া ম্যাডামের মধ্যে মনে হয় কিছুই নাই।
কেন্ কেন্ ?
-এম্নি,চালচলন দেইখা মনে হয়।
কার মধ্যে আছে রে?
-এফ পি…চরম,চরম রোমান্টিক 😡 দেইখা বুঝস না?
এমন এক সময় আমি হলাম ফরম লীডার,আমি তো চরম খুশী!সবাইরে বলে দিলাম যে আমি কোনো ক্লাসের আগে এক পিরিয়ডের জন্য কোনো অদল বদল এলাউ করব না :grr: অনেকের চোখে হিংসা দেখতে পেলাম,অনেকে অনেক রকম বাণী শুনাইল(বিশেষ করে তারা,যাদের ফরম লীডারশীপের সময় আমি রিকুয়েস্ট করতামঃদোস্ত,দে না এই ক্লাসে আমি তোর ডিউটি করে দেই)।কিন্তু সেসব শোনার মত সময় তখন আমার হাতে নাই,আমি অতি গুরুত্বের সাথে ফরম লীডারশীপ করে যাচ্ছি।একদিন ক্লাসে আমাকে দিয়ে বোর্ডে একটা বাংলাদেশের ম্যাপ আঁকালেন,তারপর সেই ম্যাপ দেখিয়ে কি যেন পড়ালেন,ফলে অন্যান্য অনেকের চোখে আমি একটু ‘হাই’ হয়ে গেলাম।আর আমার আঁকাআঁকির অবস্থা ভয়ংকর হলেও সেদিন কিভাবে যেন ম্যাপটা মোটামুটি ভালই হয়ে গিয়েছিল…সব মিলিয়ে আমার তখন চরম ফরম চলছিল!
কিন্তু হায়! :(( এক সপ্তাহ পর নিয়ম অনুযায়ী ফরম লীডারশীপ চেঞ্জ হল,এবার ফরম লীডার হল রওনক।আমি রওনকের সাথে একটু তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করলাম,কিন্তু সে এতো তাড়াতাড়ি বিগত এক সপ্তাহের কাহিনী ভুলতে অনিচ্ছুক। 😡 ফলে আমার সাথে তখন রওনকের শুরু হল কোল্ড ওয়্যার! :gulli:
রওনকের সময়ে,একদিন ক্লাস শেষে ম্যাডাম বের হয়ে যাওয়ার সময় সে খুব স্টাইল করে বললঃ সীট টু শাইইই আ আ আ ননন! ম্যাডাম বুঝতে পারলেন রওনক ফাইজলামি করছে,(ক্লাস ১০-১১-১২ কত ঘোল খাইল,আর ক্লাস ৮ আসছে টাংকি মারতে??),তিনি আবার ক্লাসে ঢুকলেন।রওনকের কান মুচঁড়ে দিয়ে বের হয়ে গেলেন।রওনক পুরা হতভম্ব! আমার ম্যাডাম অন্যের কান মুচঁড়ে দেয়ায় আমি কিঞ্চিত দুঃখিত।তারপরও স্পোর্টসম্যান সুলভ আচড়ন দেখিয়ে সরল মনে বললামঃ(একটু জোড়ে হয়ে গিয়েছিল) রওনক,তোর কানটা বাঁধাই করে রাখ।
কথাটা বলে দেখলাম আশেপাশে সবাই হাসছে,তাই আমিও বীর ভঙ্গিমায় মৃদু হাসি দিলাম…
হঠাৎ বাম কানে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করলাম!অবাক হয়ে দেখলাম ‘মেরে স্বাপ্নোকা ম্যাডামে’র হাত আমার মাথাকে(কান টানলে ওটা তো এম্নিতেই চলে আসে) নিজের কাছে টেনে নিয়ে আসছে!(উনি ক্লাসের পিছনের দরজা দিয়ে আবার ঢুকে গিয়েছিলেন,আমি খেয়াল করি নি)নিজের ওজন শূণ্য অনুভব করে খেয়াল করলাম চেয়ার ছেড়ে কয়েক ইঞ্চি উপড়ে উঠে গেছি,অভিকর্ষজ ত্বরণ g (৯.৮ মি/সে) আমার উপড় কাজ করছে না।আমি অত্যন্ত হতাশ হলাম…এই জন্যই মানুষকে ভালবাসতে নেই :bash:
এরপর বললেনঃমাহমুদ,খুব পেকে গিয়েছ,তাই না?এবার তোমার কানটাও বাঁধাই করে রাখ…
হাহাহা!!! =)) =)) =))
খুব মজা করে লিখছ।
থ্যাংকস তানভীর ভাই 🙂
:))
হা হা হা! ম্যাডামের গল্প শুনেই পছন্দ হয়ে গেলো। ক্লাস এইটের একটা ছেলেকে যে ম্যাডাম কানে ধরে শূন্যে উঠায় দেন তিনি বস! :boss: :boss:
লেখাটা খুবই মজার হয়েছে। 🙂 =))
আন্দালিব ভাই,গল্প শুনেই পছন্দ হয়ে গেল?যদি দেখতেন...
মাহমুদ,খুব পেকে গিয়েছ,তাই না?এবার তোমার কানটাও বাঁধাই করে রাখ… =)) =)) =))
গুরু,আমারে ম্যাডাম কান ধইরা উপড় কইরা ফালায়,আর আপনি এইটা পইড়া হাসেন,এই আপনার ফিলিংস ইমিডিয়েট জুনিওরের প্রতি 🙁 🙁
খেলুম না
:shy: আমরা ক্লাস এইটে থাকতে(আর আন্দা ভাইরা ক্লাস নাইনে থাকতে) বাংলার এক ম্যাডাম ছিলেন আমাদের,আন্দা ভাই-আপনি তো উনার কাছ থিকাই বাংলা শিখছেন,তাইনা? :shy: 😡
আন্দা বাংলা পারে???!!!
লিখছ খুব মজা করে।
হাহাহা!!! =)) =)) =))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:)) :)) :)) :))
=)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =))
=)) =)) =)) .... :thumbup:
:)) 'ফার্স্ট ক্লাস'
:khekz: :khekz: :khekz: :khekz:
তা শেষ মেষ কি কানটা বাধাই করে ফেলসিলা?? চুল ধইরা টান দিলেতো মনে হয় কলেজেই বাধাই কইরা স্পাইক কইরা ঘুরতে পারতা :thumbup:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ইয়ে মানে...আমার কিন্তু ভালই লেগেছিল,আর তাই তো ঘটনাটা মনের ফ্রেমে বাঁধাই করে রেখেছি ;))
মাহমুদ আসলেই পেকে গিয়েছো!! :-B :-B :-B
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
প্রিন্সিপ্যাল স্যার...আপনার কমেন্ট পেয়ে খুব ভাল লাগছে 🙂 🙂
আসলে আমি মাস্ফ্যু ভাইর ইমিডিয়েট জুনিওর তো,তাই পেকে যাওয়া তো আমার দোষ না,আমি :just: ফলোয়িং সিনিওরস O:-)
x-( আমি এখনো কচিকাঁচা x-(
তাহলে আমি এখনও মাতৃগর্ভে 🙂
তাইলে আমি কইইইইইইইই :((
খুব সম্ভবত ফরিদা পারভিন ম্যাডাম কুমিল্লা থেকেই চাকরি ছেড়ে দেন; বতর্মানে বাজিতপুরে জহুরুল ইসলাম মেডিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে থাকেন, ওনার হাজব্যান্ড ডা. বনি (সম্ভবত কুমিল্লারই ex-cadet) ওখানের teacher. ও ভাল কথা, ম্যাডামের একটা ছেলে একটা মেয়েও আছে ... ...
তারিক,তুমি ম্যাডামের প্রেজেন্ট,পাস্ট,পাস্ট পারটিসিপল...সব কিছু জান কেম্নে?তাও উপর তুমি তো কুমিল্লারও না...তোমার আচরণ পুরাপুরি সন্দেহজনক x-( x-(
জাতি বিস্তারিত জানতে চায়
আমার রুমমেট ইশরার CCC'র আর :just: (...) একটু বাজিতপুরে আসা-যাওয়া আছে আরকি ... ... তো last time যখন বাজিতপুরে গেলাম, সে সময়ে ইশরার আর রাইয়ান (আমাদের ব্যাচ CCC) ম্যাডামের সাথে দেখা করতে গেল, চামে আমিও দেখে এলাম ... ...
কেমন দেখলি? এম এ পাস,ফার্স্ট কেলাস ?
=)) ভাল লিখছিস মাহমুদ । কত কিছু মনে করায়ে দিলি 🙂
হোসেন ভাই,কি কি মনে করাইয়া দিলাম একটু বলেন না প্লীজ...
আর ঐ সময় তো আপনারা ক্লাস ১১-১২ এ ছিলেন,তাই জাতি আপনাদের কাছ থেকে আরও কিছু ঘটনা জানতে চায়
সময় করে লিখব । আমাদের তো কেউ আর্টসে ছিলনা তবুও অনেকে কিসব যেন বুঝতে যেত । একটু টাইম বের করেই লিখে ফেলব 😀
তাড়াতাড়ি লিখেন না ভাই...
মাহমুদ ভাই ভালো ছিল। কানটা কি পরে বান্ধাইছিলেন? =))
লেখা সিরাম হইছে।
মাহমুদ ভাই, বাঁধানো কানের একখান ছবি দিলে ভালো হইতো। :-B
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আদনান ও রকিব,লুংগী নিয়া মাস্ফ্যু ভাইর কাছে ফল ইন...কুইক
=)) =))
যতোদূর জানি কাসপিয়া ম্যাডাম স্টমাক ক্যান্সারে মারা গেছেন। আল্লাহ তাঁকে ভালো রাখুন। ছোটখাট এই মহিলা চুপচাপ থাকতেন, কিন্তু উনার একটা ভিন্নতা ছিল যেন কোথায়। ম্যাডামের বড় ফ্যান না হলেও উনি আমার প্রিয় একজন ম্যাডামই ছিলেন।
F.P ম্যাডামকে নিয়ে আমার নিজের একটা কাহিনী মনে পড়ে গেল। ম্যাডাম প্রেপ ডিউটিতে ছিলেন, আমাদের মনে হয় টার্ম ফাইনাল পরদিন। বিষয় ইসলামিয়াত। সবাই যার যার মতো আড্ডা মারছিল, কতিপয় বুদ্ধিমানের মাথায় ম্যাডামকে উত্যক্ত করার বুদ্ধি চাপল। সুযোগমত অধিকাংশ পোলাপাইন "ফাটা" (কলেজভেদে "বিট") দিল। ম্যাডাম ক্ষেপে ফর্মে ঢুকলেন, সবাইকে দাঁড় করালেন। আমি আবার অবজেকটিভ পড়ছিলাম সেইসময়, ফাটা মুটা আমি দেই নাই। তবু পাঞ্জেরী সিরিজের গাইডটা এতোই হাসির ছিল, ফিক করে হেসে দিলাম। অবজেকটিভে লেখা ছিল, মেয়েরা কি পরে বাইরে যাবে?
ক) স্কার্ট-টপ পরে
খ) সালোয়ার-কামিজ পরে
গ) জিন্স-টিশার্ট পরে
ঘ) হিজাব পরে
এই প্রশ্ন আর তার মাল্টিপল চয়েজ পড়ে না হেসে তো আর থাকা যায় না। কিন্তু ম্যাডাম আমার হাসি দেখে ফেললেন। কাছে এসে হাতে চিমটি দিয়ে ধরলেন, চিবিয়ে চিবিয়ে বললেন, এতো হাসির কি হয়েছে? সাউন্ড করেছিলে কেন? আমি ম্যাডামরে যতোই বলি, আপনাকে দেখে হাসি নাই, ইসলামিয়াত গাইড পড়ে হেসেছি, ম্যাডাম বিশ্বাস করেন না। ম্যাডামকে গাইডটা অবশ্য দেখাই নাই, দেখালে ভাবতেন ফাজলামো করছি। পুরো ক্লাসকে তো আর রিপোর্ট করা যায় না, পরদিন কিছু লোকজনের নামে রিপোর্ট গেল। ব্যাচের নন্দঘোষ এবং পাঞ্জেরী গ্রুপের লেখকদের বদান্যতায় ভিপি অফিসে অন্য সবার সাথে গিয়ে হাজির হলাম। হাজির হওয়াদের মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশি ভোকাল ছিলাম, আমার যুক্তি ছিল, কোন প্রমাণ নাই, শুধু প্রেজুডিসের উপর ভিত্তি করে আমাদের উপর অভিযোগ আনা হইছে। আমরা এইটা মানি না। ভিপি স্যার বলেন, তোমরা কর নাই বুঝলাম তাইলে কারা করছে? আমি বলি, স্যার, আমি মনোযোগী ছাত্র, পড়তেছিলাম মুখ গুঁজে, কানে আঙ্গুল দিয়ে, শব্দ হইছে ওইটাই শুনি নাই। 😀
স্যার তো মানেন না, মিনিট বিশেক কথা চালাচালি হওয়ার পর স্যার খ্যামা দিয়ে আমাদের পাঠায়ে দিলেন। ইডি খাচ্ছি, শিওর। কিন্তু কোন এক দৈববলে ইডির নোটিশ আসার পর দেখলাম আমার নাম নাই। যারা ইডি খেয়েছিল (ইডি খানেওয়ালাদের মধ্যে নিয়মিত ইডি খানেওয়ালারাও ছিল) তারা বলছে তাদের অভিজ্ঞতায় এতো ভয়ংকর ইডি নাকি আর খায় নাই। স্পেশাল অর্ডার ছিল স্টাফদের প্রতি, সবার যেন ক্রল করে মাঠ ছাড়তে হয়......
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে দেখি একটা পোস্টই লিখে ফেললাম। 🙂
তবে ম্যাডাম সিরিয়াস ছিলেন পড়াশোনার ব্যাপারে। একবার সৌরজগত পড়ানোর সময় ম্যাডামকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, সবগুলো গ্রহ কি একই সমতলে নাকি, যেমন ছবিতে দেখা যায়? ম্যাডাম চাপা মারতে পারতেন, কিন্তু মারেন নাই। বলেছিলেন পরদিন বলবেন। পরদিন ক্লাস ছিল না, উনি প্রেপে জুনিয়ার ব্লক থেকে এসে বলে গিয়েছিলেন উত্তরটা।
মাহমুদ, তোমার কান বাঁধানোর কাহিনী আগেই জানতাম। কলেজ থেকেই। নতুন করে তোমার মুখ থেকে শুনতে ভালোই লাগল। 🙂
হায় হায়, কবে? কোথায়?
ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ উনাকে জান্নাত বাসী করুন।
আয় হায়,সত্যি সত্যি জানতেন আমার কান বাধানোর কাহিনী?? :shy: :shy:
এই ঘটনা সিনিওররা জানত,তাতো জানতাম না :frontroll:
ওরে মাহমুইদ্দা তুই দেখি কলেজে থাকতেই হিট ছিলিরে 😀
সবই আপনাদের দোয়া!
এফ পি রে আমরাও খুব ভালো পাইতাম
তার একজন প্রিয় ছাত্র ছিলেন সৈকত ভাই(৯৫-০১)।মাঝে মাঝেই উনি প্রেপে এসে প্রেপ গার্ড সৈকত ভাইয়ের সাথে বেশ জমিয়ে কথা বলতেন।আর এই সুযোগে আম্রাও একটু .....................
পড়ে মজা পাইছি। মাহমুদ ভাই চালিয়ে যান।
তোর কথায় কিছু কারেকশন আছেঃ
পড়ুনঃতার একজন প্রিয় ছাত্র ছিলেন মাহমুদ ভাই(৯৮-০৪)
জন্যঃতার একজন প্রিয় ছাত্র ছিলেন সৈকত ভাই(৯৫-০১)
আহারে ম্যাডাম অনেক ভাল ছিলেন।
আমি ক্লাস সেভেন থেকেই নিজ ব্যবস্থায় বাসায় যেতাম। সেভেনের থার্ড টার্মে কলেজের সামনে থেকে বাসে উঠলাম একবার, দেখি ম্যাডামও উনার হাজব্যান্ডের সাথে উঠেছেন একই বাসে, অবশ্য সেই বাসে শরীফ উদ্দিন স্যারও (কেমিস্ট্রি-বর্তমানে মির্জাপুরের ভিপি) ছিলেন। পরের স্টপেজে ম্যাডাম আর উনার হাজব্যান্ডের সামনে একটা ডাবল সীট খালি হলে ম্যাডাম বসে আমাকে ডাকলেন, বাবু, তুমি এদিকে আস। এখানে বস। আর উনার হাজব্যান্ডকে বললেন, বাচ্চা ছেলে, এত বড় ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে পারবে না। আমি একটু না করার ট্রাই করলেও ম্যাডাম জোর করে আমাকে উনার পাশে বসিয়ে ছাড়লেন। সেবারের পর থেকে কলেজে ম্যাডামের স্নেহের নজরেই ছিলাম উনি যাবার আগ পর্যন্ত।
তুহিন,তুই আমার ম্যাডামের পাশে বইসা জার্নি করছস ক্যান?
লাগাতার :frontroll: :frontroll: দিতে থাক্
x-( তোর মন এত কলুষিত কেনু কেনু কেনু?
না না...মন ঠিকই আছে, :just: জুনিওরদের একটু গাইড করছিলাম আর কি O:-)
অই তুহিন,যা যা...সারাদিন ম্যাডামের পাশে বইসা বাসে চড় গিয়া,যাহ...কেউ জিগাইলে বলবি মাস্ফ্যু ভাই কইছে
পড়ে খুব ভাল লাগল
:)) খিব মিজি পিয়িছি :grr: ,জিটিল লিখিছিন :salute: বস :boss: :khekz:
আপনাদের কলেজ থেকে আগত শামীমা(ক্যাস্পার) ম্যাডাম কে টীজ করে আমিও সেইরাম রগড়ানি খাইছিলাম :goragori: ।বিস্তারিত পরে বর্ণনা করিব।।.............. :-B
মাহমুদ স্যার ফাটাফাটি...। =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =)) =))
বস্................কি যেন মনে পড়তে পড়তেও পড়ছে না..........যাউগ্গা, মনে পড়ছে, মাগার কমু না 😀
বইলা ফালা