এখন চোখের ওপরে খড় দিয়ে তৈরি সুতো আর শাবল দিয়ে তৈরি সুঁই দিয়ে কেউ একজন আমার চোখ সেলাই করে দিচ্ছে। চোখের দু’পাতারা চিরে গিয়েছিলো জন্ম-মুহূর্তে। তারপরে চেরাফুটোয় গলগলিয়ে রঙ ঢুকেছে, আলো বাতাস পিতা মাতা সহোদরা ঢুকে গেছে এবং মেডুলায় তাদের কাদালেপা ঠাণ্ডাঘর বানিয়েছে। সে চোখচেরা গুহামুখেই প্রবল প্রতাপী তরুণীর শাদা শাদা স্তন আর যোনি ঢুকে গেছে সাথে করে কুষ্ঠভিখারিনীর গলিত হাত আর নখ, জটামাখা চুল।
বিস্তারিত»নপুংসকের আত্মকথন
বিশেষ কারণে ( :gulli: ) এই লেখাটি উত্সর্গ করা হলো IUTর তুহিনকে (আমাদের অতি পরিচিত কুচ্ছিত হাঁসের ছানা)।
কেমন আছো মেয়ে?
খামের গায়ে ঠিকানা দেখে চিনতে পারোনি নিশ্চয়?
আমি এখন অনেক উঠেছি,
ঢের বেড়েছি বিত্তভবে।
তোমার কী খবর?
বড় ছেলেটা ইস্কুলে যেতে শুরু করলো কি?
আর মেয়েটা?
আমার কোলে উঠেই যার কান্না থেমে গেছিল?
সকলেই ভালো থাকুক
এই আমার প্রার্থনা।
এক ডজন অনুকাব্য, একটা কম
১
যাবে যাবে করেও
যায়না তবু বশ করা
আমি বলি ভালবাসি
তুমি ভাব মশকরা
২
মন কেড়েছে উরমিলাই
ওর গানে তাই সুরমিলাই
অপলাপ – ২
অফটপিকঃ আজ নিজের পোষ্টগুলো একটু ঠিকঠাক করছিলাম। অনেকগুলোতেই কোন ট্যাগ নেই বিভাগ নেই হয়ে আছে। সেই করতে গিয়ে দেখলাম আমার একার পোষ্ট হচ্ছে ৪২ খানা। আমার অর্ধেক ও নেই কারো। এরপর পোষ্ট দিতে লজ্জা লাগছে। আমার মত নাদান যদি এই ব্লগের সর্বোচ্চ পোষ্টার ( যে পোষ্টায় ) হয় তাহলে কেমনে হয় । তাও লজ্জা লাগার পরও একখানা কবিতা দিলাম।
বলেছিলে,
ইচ্ছে হলে ডাকবে।
ডায়েরীর পাতা থেকে
কলেজ ছেড়েছি বহু বছর হয়ে গেল । অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে, শুধু আমার ডাইরীটা আছে । ডাইরীতে আমার সব বন্ধু কিছু না কিছু লিখেছে । প্রবাসের সদা ব্যস্ত জীবনে যখন কিছু ভাল লাগেনা, ডাইরীর পাতা উল্টাই । আমার আত্মার ছোট ছোট অংশ গুলো ছুঁয়ে দেখি । আমি কবিতা তেমন বুঝিনা । তবে এই কবিতাটা আমার অনেকবার পড়া । কামরুল তুই কি এখনো কবিতা লিখিস??
এই কবিতার কোন নাম নেই,
বিস্তারিত»আচার০০২: অণুকাব্য
বুকের ভেতর জমাট জল,
অকস্নাৎ নিহারকণা…
পাঁজরা ভাঙে, পাঁজরা ভাঙি।
টুপটাপ, তারপর নৈঃশব্দ।
ভীষণ ধ্বংসস্তূপের উদর হতে
বেরিয়ে আসেন কালপুরুষ।
গায়ে মেখে নয়া রোদ,
আবার গড়েন, হার না মানা,
সৃষ্টিসুখের উল্লাসে অবোধ।।
(আমার সিরিজটার নাম তারেক ভাইয়ের কাছ থেকে ধার করা। যখন শুরু করেছিলাম তখন কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়নি, এখন করছি, ধন্যবাদ সহ।)
বিস্তারিত»দুটি কবিতা
বছরের বিভিন্ন সময় ইংরেজীর খেতাব স্যারের উতপাত বেড়ে যেত। বিশেষ করে আমাদের রংপুর ক্যাডেট কলেজের ইংরেজী বার্ষিক পত্রিকা sprout প্রকাশের আগে আগে। স্যার যাকে কাছে পেতেন তাকেই ইংরেজী কবিতা অথবা কিছু একটা লিখা দেয়ার জন্য অনুরোধ করতেন। বেশিরভাগ সময় অবশ্য অনুরোধ না করে আদেশ করতেন। বিশেষ করে জুনিয়র ক্লাসের ক্যাডেটদের বেশি আদেশ করতেন লিখা দেয়ার জন্য। স্যার একবার মান্নানকে sprout এর জন্য কবিতা লিখতে বলেছিল।
বিস্তারিত»১৯ সেপ্টেম্বরে মনে পড়ে বন্ধু তোকে…
মনে পড়ে তোকে বন্ধু আমার!
সে আমার বন্ধু ছিল।
তার নামে উঠতো গেয়ে নাম না জানা পাখি,
তার টানে রঙ্গীন ফুলে বসতো যে প্রজাপতি।
তার পানে চলতো ধেয়ে চঞ্চলা স্রোতস্বিনী,
তার ধ্যানে ঘন অরন্যে চলতো কানাকানি ।
তার ছন্দে ঝংকারিতো পায়ের নুপুর রিনিঝিনি,
তার ইশারায় ব্যক্ত হতো এ জীবনের হাতছানি…।
সেই যে আমার বন্ধু ছিল।
বিস্তারিত»শিরোনাম নাই!
তোমাদের কোলাহল ছেড়ে-
বহুদূরে যেতে চাই
নোংরা ধ্বংসস্তুপে পঁচতে চাই না আর!
থাকতে চাই না আর-
এই ধূলোর নগরে,
স্বার্থপর কলুষিত পতঙ্গের মত মানুষের মাঝে!
দূষিত শহর ছেড়ে দূরে চলে যাব
আকাশের পথ ধরে,
যেখানে নক্ষত্ররা মরে যায়
লাশ হয়ে থাকা নক্ষত্রের শহরে!
নির্জন একাকিত্বে-
যেখানে কেউ নাই আর,
আমি ছাড়া-সব মিথ্যে!
১২ সেপ্টেম্বরে মনে পড়ে বন্ধু তোকে…
মনে পড়ে তোকে বন্ধু আমার
জ্ঞান হবার পর থেকেই
আমার ছোট্ট পৃথিবীতে
রাজ্যের দুষ্টুমি আর
ছেলেমানুষির একান্ত সহচর
আমার প্রিয় বন্ধু তুই একজন।
স্কুলে পাশাপাশি বেঞ্চিতে বসে
অংক স্যারের ক্লাসে আমার খাতায়
তোর আঁকা দুর্দান্ত সব স্কেচ গুলি
আজও এতোটাই জীবন্ত যে
মাঝে মাঝে ভুলতে বসি
ক্যালেন্ডারে সময়ের হিসাব।
হাই স্কুলে পা দিয়েই লুকিয়ে
আমাদের প্রথম সিগারেটে টান,
প্রথম প্যাচাল
ব্লগে অনেকদিন ধরেই লিখবো লিখবো করছিলাম। কিন্তু বাংলা টাইপিং না জানার কারণে এতদিন পেরে উঠছিলাম না। আর আমি বরাবরই একটু অলস প্রকৃতির, ক্যাডেট কলেজে শর্টকাট মারার অভ্যাস বোধ হয় আমার আজীবনের যাবে না। তাই আমি চিন্তা করছিলাম কিভাবে স্বল্প পরিশ্রমে ব্লগ লেখা যায়। তখনই মাথায় আসলো কবিতার কথা।
সেদিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইলেকট্রনিকস ক্লাসে বসে বসে কবিতাটা লিখলাম। ভালোই হয়েছে অবশ্য সেই সময়টা স্যারের ভীনগ্রহের কথা বার্তা শুনে কাটাইনি।
বিস্তারিত»কবিতা আর ছোটগল্প নিয়ে লিঙ্ক দরকার!!
বাংলা কবিতার ভালো সাইট থাকলে লিঙ্ক দেন। পারলে আবৃত্তিসহ……………!
ছোটগল্প পাওয়া যাবে এমন কোন সাইট জানা আছে???
বিস্তারিত»ক্যাডেট জীবন : বন্দীত্ব না মুক্তি
লেখাটা লিখেছিলাম আমাদের ব্যাচের ব্লগসাইট www.ccr19.com এ আমাদের ক্যাডেট কলেজে ভর্তির 14 তম বার্ষিকী উপলক্ষে । বাইরের সবাই ভাবে ক্যাডেট কলেজ বুঝি একটা জেলখানা । ক্যাডেট কলেজে থাকার সময় আমারও এমনই ধারনা ছিল। কিন্তু যখন কলেজ থেকে বের হলাম দেখলাম আসলে ক্যাডেট কলেজেই বেশি উপভোগ করেছি সময়টা। নিয়মের মধ্যে থেকেও যেন অন্যরকম স্বাধীন ছিলাম। আমার কবিতাটা এ উপলদ্ধি থেকেই লেখা। আপনাদের মতামত জানতে পেলে খুশি হবো।
বিস্তারিত»