এখন চোখের ওপরে খড় দিয়ে তৈরি সুতো আর শাবল দিয়ে তৈরি সুঁই দিয়ে কেউ একজন আমার চোখ সেলাই করে দিচ্ছে। চোখের দু’পাতারা চিরে গিয়েছিলো জন্ম-মুহূর্তে। তারপরে চেরাফুটোয় গলগলিয়ে রঙ ঢুকেছে, আলো বাতাস পিতা মাতা সহোদরা ঢুকে গেছে এবং মেডুলায় তাদের কাদালেপা ঠাণ্ডাঘর বানিয়েছে। সে চোখচেরা গুহামুখেই প্রবল প্রতাপী তরুণীর শাদা শাদা স্তন আর যোনি ঢুকে গেছে সাথে করে কুষ্ঠভিখারিনীর গলিত হাত আর নখ, জটামাখা চুল।
সে চোখচেরাকে আজ শাবলসুঁইয়ে কেউ কড়কড় করে সেলাই করে দিচ্ছে, কোনার এক টুকরো ফাঁক এখনও বাকি। সে উপবৃত্তাকার ফাঁক দিয়ে সূর্যগ্রহণের আলো প্রবেশ করে- শেষ আলো। তারপরে শেষ একপোচে সাঁ করে আলো বন্ধের কান্নার তীক্ষ্ণ চিৎকার ভেসে আসে। আমি থরথরানো দু’হাত তুলে সেলাইকর্তার লোমশ ধাতব হাত চেপে ধরিঃ ওরে মাগো! এবারে ক্ষান্ত দে! আমার দু’চোখ বুজে গেছে চিরতরে! আমি আর কোন রঙ-রূপ-রস-গন্ধ-শোভা দেখবো না!
২৫ টি মন্তব্য : “##সে##লা##ই##”
মন্তব্য করুন
'আহা জীবন এতো ছোট ক্যানে'
সুন্দর লিখছ ... সুন্দর
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
অনেক ধন্যবাদ তাইফুর ভাই! মাঝে মধ্যে জীবনের ক্ষুদ্রতা নিয়ে আহাজারিটা খুব পোড়ায়!
:boss: :clap:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আহাজারি! আহাজারি! চোখ বন্ধ করে দিলো!
আমি বেশ খানিকটা হতভম্ব হয়ে গেছি ভালো লাগার ধাক্কায়।
অসামান্য :clap: :clap: ।
Life is Mad.
অনেক ধন্যবাদ সায়েদ ভাই।
"সেলাই" লেখার ধরনটাও খুব পছন্দ হইছে।
Life is Mad.
আবারও.... ধন্যবাদ ! 😀
:clap: :clap: :clap:
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
ভাইরে, লেখাটা পইড়া একটু ধাক্কা খাইসি। তোমার লেখাগুলা সবসময়ই একটু ভিন্ন ধরণের।
:boss: :boss: :boss:
হুম তানভীর ভাই, আমি চেষ্টা করি একটু আলাদা কিছু লেখার সবসময়ই! 🙂 আশা করি সামনেও সেটা জারি থাকবে! ভালো থাকবেন।
দারুন। 🙂
ধন্যবাদ কামরুল ভাই।
ভালো লাগছে রে, আন্দালিব।
ওরে দোস্তো ধইন্যাপাতা নে দুইখান! 😀
কিরাম আছিস?
:boss: :boss: :clap: :clap:
চমৎকার 🙂
এই প্রথম আমাদের ব্লগে কেউ এই শব্দদুইটা directly বললো। :shy:
হুম, আমিও এখানে দেবার আগে ভাবছিলাম এটা কোনও ইস্যু হবে কী না। আমি মূলত মনে করি ভাষআর ব্যাপারে শালীন শব্দগুলো (যেগুলো কোনও গালি নয়) ব্যবহার করার ক্ষেত্রে রাখঢাক করলে আসলেই কোন লাভ হয় না। মানুষের চিন্তার ক্ষেত্রটা খুবই বিচিত্র। সেখানে মনে হয় তাকে স্বাধীনতা দেয়া যেতেই পারে। 🙂
আমি অবশ্য জানি না, এখানে শব্দব্যবহারে কোনও নিষেধাজ্ঞা আছে কী না! থাকলেও কিছু করার নাই- এর থেকে সঠিক কোন শব্দ পাচ্ছি না!:(
অসাধারন, অসাধারন। আমি তোমার মত লিখতে চাই, :boss: :boss:
আন্দালিব, তুমি কি ছন্নছাড়াকে চিন? আর বিভাগ কবিতা দিছ কেন, একটু বুঝাই বল।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই, আমিই ছন্নছাড়ার পেন্সিল! ওখানে সব লেখাতে এখন আসল নাম দিচ্ছি: অনীক আন্দালিব। 😀
কবিতা বলার কারণ এটা কবিতা, গদ্য নয়। আসলে এটা একটা পরীক্ষামূলক লেখা। মানে গদ্যের আদলে কবিতা লেখা: গদ্যকবিতা।
যেমন ধরুন, এখন চোখের ওপরে খড় দিয়ে তৈরি সুতো আর শাবল দিয়ে তৈরি সুঁই দিয়ে কেউ একজন আমার চোখ সেলাই করে দিচ্ছে। এটাকে এভাবে পড়া যায়,
এখন চোখের ওপরে/ খড় দিয়ে তৈরি সুতো/ আর শাবল দিয়ে তৈরি সুঁই দিয়ে/ কেউ একজন আমার চোখ /সেলাই করে দিচ্ছে।/... এরকম করে পড়লে দেখবেন একটা ছন্দ পাবেন। এটা আসলে পড়ার ঢঙের ওপর নির্ভর করে। আমি অতটা পারি না লিখতে এভাবে। তবে চেষ্টা করছি ফরম্যাটটা রপ্ত করতে। আপনারা স্নেহসুলভ প্রিয়তায় টেনে নিবেন বলে সাহস করছি!
ভাই,
বাইরে যাইতেছি... প্রথম লাইন পইড়াই বুঝছি অনেক গভীর লিখা... টাইম নিয়া পড়তে হবে। 😉
আন্দালিব ভাই...ডাক্তারি পড়েন মিয়া। সবি-ত মুখস্থ আপনার। B-)
ভাল লাগছে। 🙂 :clap:
ডাক্তারি পড়ার বয়েস নাই! 🙁 ইচ্ছাও নাই। জীবনটা ফানা ফানা হয়ে যাইতো পড়লে। এর চাইতে মিস্ত্রি হইছি সেটাই ভালো! 😉
তবে ডাক্তারি টার্ম মোটামুটি ভালোই জানি! B-)
কোন অলিন্দ-নিলয় ঘটিত কারনে নয় তো??? 😉
জোক্স এপার্ট- তোমার ভাষার ব্যবহার সেই রকম... :clap: :clap:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
নাহ্ বস! বাপে ডাক্তর! 😛 তাছাড়া বায়োলজি ছিল, সর্বোচ্চ পাইছিলাম বোর্ডে। খালি মুখস্ত করার আর সারাজীবন পড়াশোনা করার ভয়ে ডাক্তারি পড়ি নাই! 🙁