এবং কয়েক যুগ পেরিয়ে গেলে খেয়াল হলো যে কবিতা লিখি না
মাথার ভেতর এই খেয়াল মাটিতে পড়ার আগেই আমি দুই ভাগ হয়ে
তর্কে নামলাম। এক ভাগ বলে ওঠে হয়তো আপ্নে কখনই
কবিতা লিখতে পারতেন না। শুনে অন্য ভাগ তেড়ে আসে,
বেশি বুঝেন ইচ্ছা হয় না তাই লিখি না নাহলে দেখিয়ে দিতাম।
আমি দুই ভাগের তর্ক শুনি, কমলার জুস খাই
জুস বেশ তেতো লাগলে ভাবি একটু চিনি মেশালে মন্দ হতো না।
অর্ধেক আমার সাথে বাকি আধখানা আমি
গলার রগ ফুলিয়ে চেঁচিয়ে-
একাকার, তর্ক চললো কয়েকশ’ বছর
তারপর টের পাই এ তর্কে নষ্ট সময় – নষ্ট জীবন – নষ্ট আয়ু
ভেতরে তখন দুই ভাগের জোড়াতালি লাগে, সেলাই করে দেই।
দুই ভাগ মিলে এক ভাগ হয়ে কবিতা না লেখার কারণ লিস্টি করতে বসে-
লিস্টিতে যোগ হয় উদয়াস্ত ব্যস্ততা
লিস্টিতে যোগ হয় একটু বুড়িয়ে যাওয়া
লিস্টিতে যোগ হয় স্নায়বিক চাপ
লিস্টিতে যোগ হয় প্রবাস-জীবন
লিস্টিতে যোগ হয় চিরচেনা নিরর্থকতা
লিস্টিতে যোগ হয় ভিন্ন পরিবেশ
লিস্টিতে ঢুকে পড়ে খাবি খাওয়া মাছের মতো একটি উপমা
লিস্টির তলে জমতে থাকে গ্রোশারির লিস্ট
লিস্টির আগে চলে আসে ট্যাক্স রিটার্নের ডেডলাইন
লিস্টিটাকে ওয়ালেটে রেখে ভুলে থাকার চেষ্টা করি।
কবিতা অনেকটা পূর্বজন্মের মতোন,
বিদ্যুচ্চমকের গতিতে ফিরে আসা স্মৃতির গাঁইতি শাবল।
কবিতা অনেকটা পূর্বজন্মের মতোন,
বিদ্যুচ্চমকের গতিতে ফিরে আসা স্মৃতির গাঁইতি শাবল।
১ম 😀
প্রথম হবার সৌজন্যে এক কাপ- :teacup:
দারুন আন্দালিব ভাই ... :teacup:
ভালো থাকা অনেক সহজ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে সাদাত। কেমন আছো? 🙂
ভাল আছি ভাই। :hatsoff:
ভালো থাকা অনেক সহজ।
গত আড়াই বছরের লিস্টিতে আপাতত ইস্তফা দিয়ে দেশে যাই। নাড়া দিয়ে গেলো কবিতাটি।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
দেশে যাওয়া সুখের হোক। যতোটা পারো মন ভরে ঘুরে বেড়াও, সবার সাথে দেখা সাক্ষাতও করো। 🙂
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ, রাজীব ভাই। 🙂
কি কমেন্ট করবো বুঝতেছিনা। খুব ভালো লাগছে এইটা এটলিস্ট বুঝতে পারতেছি। :hatsoff: :hatsoff:
কবিতা যারা লিখতে পারে তাদের সবার প্রতি আমার একধরণের ঈর্ষা মিশ্রিত শ্রদ্ধাবোধ কাজ করে.. আমার কবিতা লেখার দৌড় কলেজ লাইফের ওয়াল ম্যাগাজিন পর্যন্ত ই ছিল.. সম্প্রতি কয়েকবার চেস্টা করে দেখছি। সিম্পলি ইনক্যাপেবল। লিখতে পারিনা।
তবে পড়তে পারি 😛 আরো কিছু লিখলে শেয়ার কইরেন।
কবিতাটা যে তোমার খুব ভালো লাগছে, সেজন্য শুকরিয়া। জেনে খুশি হলাম।
কবিতা এমনি এমনি কিছুদিন লেখা যায়, কলেজ ম্যাগাজিন পর্যায় পর্যন্ত। কিন্তু তার বেশি লিখতে গেলে অনেক অনেক কবিতা পড়তে হয়। পুরনো কবিদের কবিতা, ভিনদেশী কবিদের কবিতা, নতুন সমসাময়িক লেখকদের কবিতা, এমন কি যে কবিতা পড়তে ভালো লাগে না সেই কবিতাও। এভাবে কবিতা পড়তে পড়তে ধীরে ধীরে কবিতার হাড় মাংস খুলে আসে চোখের সামনে। তখন অন্য কবি কী লিখেছে তার চেয়ে বেশি চোখে পড়ে কীভাবে লিখেছে। তারপর নিজে লিখতে বসলে নিজের একটা "কীভাবে" অর্থাৎ স্বভাব-বৈশিষ্ট্য দাঁড়িয়ে যায়। আমার এই পুরো বিষয়টা ধরতে বছর চারেক লেগেছে। এখন মোটামুটি কোন কবিতা পড়লে বুঝতে পারি লেখক কোন সেন্স থেকে লিখলো। 🙂
নতুন লেখা দিচ্ছি একটা। সময় পেলে পড়ে জানাইও। 🙂
অ-অ-অ-নেক দিন পর লিখলে কিছু।
লেখাটা ভালো লাগলো খুব। তোমার প্রতিটা কবিতা আকর্ষক হয় -- বলার মুন্সিয়ানা রপ্ত করতে পেরেছ বলেই।
আমার ধারনা, কবিতা লিখা দুই প্রকারের: ১) কবির কবিতা লিখা, ২) অ-কবির কবিতা লিখা।
আমার আরও ধারনা, একজন মানুষ কবি হয়ে উঠলে সারাক্ষন সব কিছু নিয়েই এক কাব্যময় জীবন যাপন শুরু করেন। তারই দু'চারটিকে সময় সময় কবিতার রূপ দেন। আমরা কবির লিখা কবিতা হাতে পাই পড়ার জন্য। এই কবিরা দশটা কাব্যময় ভাবনার দু'চারটিকে কবিতায় রূপ দেন। বাকিগুল হারিয়ে যায়।
আর অ-কবিদের কবিতা মূলতঃ ভাইব-বেইসড। হঠাৎ কোন ভাইবে আক্রান্ত হয়ে তাঁরা মনের কথাগুলোকে কবিতার ধাঁচে বলে যাওয়া শুরু করেন। আর ভাইব ফুরালেই আমার চুপ করে যান। অপেক্ষা করেন আবার কবে ভাইব আক্রান্ত হবেন, সেইজন্য।
তবে পদ্ধতি যেটাই হোক, কবিতা লিখার গ্রামার দুপক্ষকেই জানতে হয়। নইলে সেটা কবিতা না হয়ে অ-কবিতা হয়ে ওঠার রিস্ক থাকেই। 😛 😛
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.