জানি না কেন আমার পছন্দ হয় তোমাকে,
শুধু জানি পছন্দ করি ভীষনভাবে।
তোমার স্নিগ্ধতা আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখে,
তোমার কানের পাথরের রিং এ আটকে যায় আমার দৃষ্টি-
যতবার আমি জানালা দিয়ে আকাশ দেখতে চাই।
এক সময় তুমি হয়ে উঠো আমার আকাশ,
তোমার তুমি গ্রাস করে নেয় আমার আমিকে;
ভাবাভাবি বাদ দিয়ে তোমার সামনে দাড়াই
সোজাসুজি বলে দেই”আমি তোমাকেই ভালবাসি”
গল্প হলেও হতে পারে
আজ থেকে সাত বছর আগে আমার এই গল্পটা লিখেছিলাম,তারপর কলেজের বার্ষিকীতে ছাপান হয়,আমি যখন সামু তে প্রথম ব্লগ খুলেছিলাম তখন প্রথম এই লেখাটিই দিয়েছিলাম,আবার আমি এই লেখাটি তুলে দিচ্ছি কারন আমার খুবই খুবই ভাল লাগার গল্প এটি………..
এ গল্প “ আমার” আর “তার”। সে ছিল একান্তই আমার।“তাকে” সবসময় রেখেছি অন্তরে সযন্তে । প্রকাশ করি নি কখনো শঙ্কায়। বাইরের বিষাক্ত পরিবেশে “তার” কিছু হলে যে আমি শেষ হযে যাবো।
বিস্তারিত»অহেতুক চরণ সমষ্টি
অতি প্রিয় জানালার গ্রীল আজ জেলখানার অসহ্য গরাদ,
দেয়ালে সাঁটা লাস্যময়ীর ডাইনি দৃষ্টিতে
বারে বারে ভষ্ম আমি
সাধের বালিশ যেন কঠিন পাথর
উষ্ণতম কোমল শষ্যাকে ভুল করি উত্তপ্ত উনুন ভেবে
ছন্দের ঐকতান কে মনে হয় কামানের শেল্
সহজ যাপিত জীবন নির্বাসিত আজ।
বিপন্ন মানবতা এবং একটি সাহায্যের আবেদন
আরো একবার মানবিক বিপর্যয়ের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি আমরা,আমাদের বাংলাদেশটা। যেসব সেলাই দিদিমনিরা দিনরাত কষ্ট করে আমাদের জন্য কাপড় বুনেন,যেইসব পোষাক শ্রমিকের ঘামে ভেজা নিঃশ্বাসে ভর করে দেশ অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের লাশ আজকে আরেকবার তাজরীনের গন্ডি পেড়িয়ে অধরচন্দ্র স্কুলমাঠে সারি বেঁধে শুয়ে আছে। আর ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার ভিতরে আটকা পড়ে আছে আরো শতাধিক।
উদ্ধার কাজ চলছে এখনো। উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি আছে সেচ্ছাসেবক উদ্ধারকর্মীরা।
বিস্তারিত»“সত্যি বিচিত্র এই দেশ”
হরতালের বিরোধিতা করলেই সে সরকারী দলের চামচা না,
রাজাকারের ফাঁসি চাইলেই সে আওয়ামীলীগ না,
একটা গণতান্ত্রিক দেশে প্রধান বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের-
-জেলে ভরার প্রতিবাদ করলেই সে বিএনপি না,
শাহাবাগের গণজাগরন সাপোর্ট করলেই সে নাস্তিক না,
জামাত নিষিদ্ধ হোক চাইলেই সে ধর্ম বিরোধী না।
আমাদের দেশের শিক্ষিত, বুদ্ধিমান কিছু মানুষ একই জিনিস চান, তারা সবাই ঘুরে ফিরে দেশের জন্যই ভাবে হয়ত।
বিস্তারিত»শাহাবাগের আন্দোলন এই মুহুর্তে বন্ধ করে দেয়া হোক
শাহাবাগের আন্দলন এই মুহুর্তে বন্ধ করা হোক, যে যে যার যার কাজে ফিরে যান, পুলিশ ভাইয়েরা যার যার থানা ব্যারাকে ফিরে তালা দিয়ে বসে থাকেন। এই বাঙ্গালি মারা খাওয়া বাঙ্গালি এদের নিয়ে কারো ভাবার কোনো দরকার নাই। এদের পশ্চাৎদেশ অতি নমনীয় হলেও শক্তিশালী এবং টেকশই। আজন্ম মারা খেতেই এই দুনিয়ায় এদের আবির্ভাব। এরা সুযোগ সন্ধানী, এদের মুখে মোয়া তুলে দিবেন সেটা কিভাবে আসতেছে সেটা তাদের দেখার বিষয় না।
বিস্তারিত»পবিত্রতা
অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ
দেখে কে বলবে। এখন রাত সাড়ে ১০টা বাজে? রাজপুরীর মত ঝলমলে আলোয় ভরে আছে গোটা শহর। চারিদিকে মানুষের চিৎকার, চেঁচামেচি, আনন্দোৎসব। সবার মুখেই একটা খুশি খুশি ভাব। নাহ! সবাই এই কথাটা ঠিক না। কোথাও না কোথাও অন্তত একজন তো থাকবেই যে খুশি নয়। অখুশি বলবনা, কিন্তু হয়ত সে বিষন্ন। একা একা চারিদিকে হাটছে আর নিজের প্রতিবিম্ব খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
বিস্তারিত»“তেলাপোকা কেন উল্টে মরে ”
অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ
চিঠিটা খুলে বার বার দেখি
আরও একবার-
লেখাগুলোর উপর হাত বুলোই,
নিস্প্রান এই লেখাগুলো এত সজীব কেন?
কি মায়ায় এরা আমাকে ডাকে-
বারেবার; জানিনা।
মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে
কখনও বা উপদেশ, আবার হঠাৎ হঠাৎ –
খুচরো কিছু ভালোবাসার আবেশ।
খাটের পাশে রাখা গিটারটা তুলে নেই
“টুং টাং” কিছু অচেনা সুর –
অপূর্ণতা ( নামটি কিন্তু হতে পারত রেড কার্ড)
অপূর্ণতা ( নামটি কিন্তু হতে পারত রেড কার্ড)
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ–
না! হলনা।
এবারও হলনা।
ছুটতে ছুটতে এবারও তার কাছে পৌছেছিলাম-
কিন্তু কি লাভ ?
তাকে তো পাওয়া হলনা।
তাকে দেখলাম, অনুভব করলাম
এমনকি মাড়িয়ে এলাম – তার ছায়াও
কিন্তু সে এবারও হেসে গেল বিদ্রুপের হাসি।
বিদ্রুপ ! উপহাস !
এগুলোই কি কেবল বরাদ্দ আমার জন্যে ?
হয়ত হ্যাঁ ।
ভাগ্যবিধাতা হয়ত আমায় দেখে শুধুই দীর্ঘশ্বাস ফেলেন…
খেলাঘর
খেলাঘর
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ
(………………………………………… this is dedicated to all cadets of 53rd batch of fcc)
আমি কোন বিতর্ক করতে আসিনি,
আসিনি কোন উপদেশ দিতে
শুধু একটি গল্প বলতে এসেছি,
শুধু একটি গল্প।
নাহ! এ কোন ইতিহাস নয়,
রূপকথা? তাও নয়,
শুধুই গল্প, শুধুই কল্পনা –
“একটা ঘর ছিল, খেলাঘর,
খেলার জন্য কিছু পুতুল, সুতো আরও কত কি!
পুতুলগুলো যেন ঠিক লজ্জাবতীর পাতা,
একে অন্যকে আড়াল করে ফেলত পরম মায়ায়
যেন কেউ ছুঁতে না পারে।
ডায়রি
ডায়রি
১৫ডিসেম্বার ২০১২
সবাই বলে –আমি না’কি ঠিক আমার বাবার মত।সেই নাক,সেই চোখ,সেই চেহারা।আমি আবার এত কিছু বুঝি না।জমজ ভাইবোনদের ভেতরই আমি মিল পাই না,আর তো বাপ-ছেলে!কিন্তু বাবার সাথে আমার মিল আছে।স্বভাবের মিল,অভ্যাসের মিল; তাও আবার যে-সে অভ্যাস ন্য।ডায়রি লেখার অভ্যাসের মিল।বাবা প্রচুর ডায়রি লিখতেন যেই অভ্যাস পৈতৃক সূত্রে আমার পাওয়া।বাবা সেগুলো রেখেও গেছেন আমার জন্য,কিন্তু সেগুলো পড়া বারন আমার।বাবা না’কি ফুফুকে বলে গিয়েছিলেন ২০ বছর হবার আগে যেন কোনভাবেই সেইগুলো আমাকে পড়তে দেওয়া না হয়।না আমার বাবা কোথাও ঘুরতে যান নি,আমাদের ছেড়ে পালিয়েও যাননি।উনি আর নেই।ঢাকা ভার্সিটির টিচার ছিলেন,
“Eating Haram Getting Fat”
ফেসবুকের এক্স-ক্যাডেট ফোরামে Megamind Habib এর দেয়া পোস্ট টা ছিল
{ “যে ছেলের হাতের লেখা খারাপ তার চরিত্র খারাপ আর যে ছেলে বাংলা বানান জানেনা তার রক্তে বিষ! ” – কিরণ কুমার মণ্ডল স্যার ! 😀 😀 😀 }
তার নিচে সবার কমেন্টস থেকে কয়েকটা ঘটনা এক করে একটা পোস্ট বানাইয়া ফেলসি। যে যেটা লিখছে নাম সহ দিয়া দিছি।
বিস্তারিত»আপনার সন্তানের শৈশব কেড়ে নিবেন না।
আমার ছোটবেলার সবচেয়ে আনন্দের সময় ছিল ক্লাস ফোর আর ফাইভের বছর দুইটা। সে সময় আমি শাহজাদপুরের “কিরন-বালা প্রাথমিক বিদ্যালয়” নামের একটা সরকারী স্কুলে পড়তাম। বই ছিল মোট ৮টা। বোর্ডের ৬টা সাথে ইংরেজী আর বাংলার দুইটা ব্যকরণ বই। আমাকে খুব বেশী পড়তে হত না। স্কুলের হোমওয়ার্ক আমি স্কুলে বসেই সেরে ফেলতাম। বাসায় সন্ধা বেলা বই নিয়ে বসাটা ছিল বাধ্যতা মুলক। কিন্তু পড়ার চাপ ছিল কম। বছরে তিনটা পরীক্ষা।
বিস্তারিত»গল্পের নাম নেই……
সেদিন ক্যাফেতে আমিন ভাই(pcc 24) এর সাথে দেখা; বললেন, “ABCX( Association of BUETian Ex- Cadets) এর ম্যাগাজিন বেরোচ্ছে, কিছু লিখলে আমার কাছে দিও; ছাপা হওয়ার ১০০% গ্যা্রান্টি সহকারে জমা নিচ্ছি”। বললাম, “ইনশা আল্লাহ, দেখি কী করি”।
রাতে বসেছি class test এর জন্য পড়তে। হঠাৎ মনে হল কিছু লেখা দরকার।
বেশ কিছু দিন আগের একটি দৃশ্য মনে পড়লো। টিউশনিতে যাচ্ছিলাম বাসে করে।
বিস্তারিত»মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীপে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি যত টুকু জানি আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। তার মানে আপনি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন। ইসলাম ধর্মে “পরকাল” বলে একটা বিষয় আছে। যেটাতে বিশ্বাস না করলে মুসলিম হওয়া যায় না। সেখানে দুনিয়ার সকল কাজের হিসেব দিতে হয়। আমাকে যেমন হিসাব দিতে হবে যে আমার নিরাপরাধ এত গুলা ভাই-বোন মারা গেল তাদের জন্য আমি কি করলাম? আপনাকেও হিসাব দিতে হবে যে, আপনি শপথ করে এই মানুষগুলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন,
বিস্তারিত»