সময়কে যদি বহমান এক নদীর সাথে তুলনা করি তাহলে জীবনের ওই দুঃখগুলোকে বলতে হবে বহমান ওই নদীতে ভেসে থাকা ছোট ছোট কচুরিপানা। প্রবাসী জীবনের কেটে যাওয়া ৪ টি বছরে পরিকল্পনার ছকে এসেছে নানা রকমের পরিবর্তন আর জীবন পেয়েছে বাস্তবতাকে মুখোমুখি করে দেখার সুযোগ। পরিচিতি লাভ করেছে সেই সব সংগ্রামী মানুষের যারা হয়তবা ছোট ছোট স্বপ্ন বুকে বেঁধে পাড়ি দিয়েছিল মাতৃভূমিকে ছেড়ে হাজার হাজার মাইলের পথ…দেখেছিল রঙিন এক স্বপ্ন আর যাদের বুকের আশায় ছিল মাতৃভূমিতে ফেলে আসা আত্মীয় স্বজন ও মা বাবা…উন্নয়নশীল দেশের কিছু খেটে খাওয়া মানুষজনের সেই স্বপ্নগুলোকে আমি হয়তবা আমার ডায়রিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আবদ্ধ করতে পারব না কিন্তু হয়তবা আমি পরিচয় করিয়ে দিতে পারব তাদের আশা নিয়ে বেঁচে থাকার সেই সংগ্রামকে…
বিস্তারিত»ঘটনাবলী-১
বিঃদ্রঃ নিচের প্রতিটি ঘটনার সকল চরিত্র বাস্তব এবং ঘটনা গুলো সত্য। এই ঐতিহাসিক ঘটনা গুলোর বর্ননা শুধু আমার। তাই ঘটনা গুলোর দায়িত্ব নিতে আমি অস্বীকৃতি জানাচ্ছি। শুধু বর্ননার হেরফেরের দায়িত্বটুকু আমার।
ছেলেপেলের কামকাজতো কিছু হয় না খালি অকাম কইরা বেড়ায়, কয়ডা অকামের কাহিনী কই,
১) আমার বাসায় কিছু পোলাপাইন আসছে। সবাই আমার ব্যাচের ক্যাডেট। তো আমাদের তানজিল যখন আমার বাসায় পৌছাইছে যে সময় আমার বাপ আমাদের বর্তমান কাম-কাজ ও আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে বিশদ জ্ঞান দিচ্ছিল।
বিস্তারিত»ছায়া
অক্টোবরের পাতা ঝরা রাত। পশ্চিম থেকে অ্যাড্রিয়াটিকের গা ছুঁয়ে আসা বাতাস হিম করে রেখেছে চারপাশ। খুব সজাগ হয়ে কান পাতলে বাতাসের ডাক শোনা যায়। বিমর্ষ এক হাহাকার জাগিয়ে সে বাতাস দিনারিক পর্বতমালার গা ঘেঁষে হারিয়ে যায়। নিস্তব্ধ চারপাশ। গাছের পাতাটি পড়লেও শোনা যায় এমন। মানুষ পৃথিবীতে আসার অনেক অনেক আগে, যখন মহীসঞ্চারণে প্যানেজিয়া ভেঙে সাত সাতটি আলাদা মহাদেশ হচ্ছিল, তখন কি পৃথিবী এমন ছিল? এমন শান্ত,
বিস্তারিত»সারাটা দিন, মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি…..
সেদিন ছিল কোন একট ছুটির দিন। হলে বসে বন্ধুদের সাথে কার্ড খেলা আর চা সিগারেটের জম্পেশ আড্ডা চলছিল। আমার খুবই বিরক্ত লাগছিলো। কারণ আর কিছুই না; মোবাইলে একটু পর পর এসএমএস এর আগমন। এই মোবাইল কোম্পানি গুলোর যে কী হয়েছে…? খালি এসএমএস পাঠায়। সবাই ভাবছিল মনে হয় কোন মেয়ে আমাকে এসএমএস পাঠাচ্ছে। আবির বলল, “ কীরে দোস্ত, গার্ল ফ্রেন্ড নাকি?” আমি বললাম, “ হ্যাঁ, দুইজন;
বিস্তারিত»সমসাময়িক
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে একটি অন্যতম ট্রেন্ড আছে। দুনিয়ার সকল রাষ্ট্র দুইটি দলে বিভক্ত। এক তাদের দলে, দুই শয়তানের দলে। আমাদের দেশের সরকারি দলের মানসিকতাও এমন হয়ে যাচ্ছে। হয় তুমি আওআমী লীগে, নয় তুমি স্বাধীনতাবিরোধী, জামাত শিবিরের দলে।
এই সরকারের সমালোচনা করলেই তারা তার মধ্যে শিবির, জামাত আর জঙ্গিবাদের ভূত দেখে। নিজের দোষ ঢাকার এর চেয়ে ভাল উপায় আর কি হতে পারে? সরকার সমালোচনা করলেই আপনার পশ্চাতদেশে জামাতের সিল লাগিয়ে দিবে।
বিস্তারিত»স্বপ্ন এবং নিজস্ব অভিব্যক্তি…।
স্বপ্ন।। আসলেই একটা বিচিত্র জিনিস। রাত হোক দিন হোক ঘুম এর মধ্যে কখন কি স্বপ্ন দেখি তার ঠিক ঠিকানা থাকে না। কিছু কিছু স্বপ্ন থাকে যা মানুষ দেখতে চায় বার বার। আবার এমন ও আছে যে সে চায় স্বপ্নটা কোন ভাবে সত্যি হয়ে যাক। কিন্তু এই সত্যি হয়ে যাক বেপারে কিন্তু মারটীন লুথারকিং এর “I have a dream” তত্ত্ব খাটে না। কেননা সাধারনত মানুষ এই সব স্বপ্ন পুরনের আশাই করে,
বিস্তারিত»রোমান্টিকতা নিয়ে লেখা
অনেকে বলে, অনেকে ভাব নেয় বা অনেকে cool সাজার চেষ্টা করে আর বলে “ আমার Love Story ভাল লাগে না”। আমি শুনলে হাসি মনে মনে আর ভাল বন্ধুরা বললে সামনাসামনি ই হাসি আর বলি চাপা মেরে লাভ নেই।
যে যত যাইই বলুক না কেন। আমরা এই মানব জাতির সকলেই লাভ স্টোরি কম বেশি ভালবাসি। মানে আমাদের ভাল লাগে আর কি। দেখা যায় কেও কেও সেটা স্বীকার করতে লজ্জা পায়।
অনাহুত এক অনুভুতি
নিশুতি রাতে বসে আছি। আমার নিশুতি শব্দ টা একদম ই ভাল লাগেনা। কেমন যেন লাগে। আসলে প্রতিটা মানুষের ই কিছু কিছু ব্যাপার থাকে যা সে সহ্য করতে পারে না। আমরা বন্ধুরা যাকে বলি গা গুলানো। আহ আসল কথায় আসি, আমি তো এমনিতে এই নিশুতি রাতে মশাদের সাথে অনাহুত রক্তদান কর্মসূচি করতে বসিনি।
একটা ভাঙ্গা ঘরে বসে আছি। চারপাশে জঙ্গল আর ঝি ঝি পোকার ডাক।
বিস্তারিত»বরাবর, অধ্যক্ষ, পাবনা ক্যাডেট কলেজ, পাবনা। (এপিসোড-২)
আগের পর্বের লেজ…
দুই।) ছুটি শেষে কলেজে ফিরলাম। দেখলাম কলেজে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। পাবনা ক্যাডেট কলেজের ইতিহাসে প্রথম আর্মির প্রিন্সিপাল আসছে, কি না জানি হয়। কলেজের বারবার চুল কেটে মাথার সাদা চামড়া বের করে দিল, স্টাফ সামনে দাড়াইয়া থেকে সবার চুল কাটাইতেছে, ব্যাগ একবার স্টাফ চেক করল একবার মকবুল স্যার(ভুগোল ডিপার্টমেন্ট) নিজে। নতুন প্রিন্সিপালের নাম লেঃকর্নেল রেজাউল করিম। মধ্য বয়স্ক স্মার্ট একজন মানুষ।
বিস্তারিত»হে বীর, তোমায় সালাম
সময়টা ১৯৭১ সালের মার্চ মাস। আইয়ুব ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেই বা কি, অনেকেই বাড়ি ফিরে যায় নি। অনেকেই বলতে অনেক সাহসী ক্যাডেট। দেশমাতৃকার এই চরম দুর্দিনে বাড়ি গিয়ে আরামে ঘুমাবে কি করে? চারঘাটের ছেলে আব্দুল মান্নাফও এর ব্যাতিক্রম নয়। এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। কোথায় কবে অপারেশন হবে তার সবকিছুই বলতে গেলে মান্নাফ জানে।
বিস্তারিত»বন্ধুর পরিচয়ঃ ৯৬-০২ ব্যাচের ক্যাডেট
ক্যাডেট কলেজের প্রথম দিনের কথা খুব ১ টা মনে পড়েনা। সৃতি কেমন যেন ঝাপসা হয়ে গেছে। যেদিন প্রথম যাব কলেজে সেইদিন ছিল জুনের ৪ তারিখ, সাল ১৯৯৬। আজ থেকে ঠিক ১৬ বছর আগে জুনের ৩ তারিখ ১৯৯৬ সাল, এই দিনে রংপুরের আশে পাশে আমার এক মামার বাসায় উঠেছিলাম একটি অজানা ভবিষ্যতের মধ্যে প্রবেশ করার জন্য। বৃষ্টিতে ভিজে রিক্সায় করে কলেজের সামনে নেমেছিলাম। বৃষ্টির কারনে আমার সাদা জামার হাতায় দাগ পরে গিয়েছিল এটা মনে আছে।
বিস্তারিত»আমার লেখাটা একটু পড়বেন কি?
যাবার কয়েকদিন আগে, প্রিন্সিপাল বাংলোর ল্যাম্ব রোস্টের গন্ধে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম যে, ২ দিন পরে কলেজ থেকে চলে যাবো। চেতনা ফিরলো যখন রানা ভাই এসে একটা হাঁক ছাড়লেন, ভাই কাপড় জমা দেন, কাপড়। হায়রে ক্যাডেট লাইফ। আমার এক ফ্রেন্ডকে প্রায়ই বলতে শুনতাম,”যৌবনের তেজ আর জোরে চাপা ছোটো বাথরুম দুইটাই ক্ষণস্থায়ী। ” সে যদিও হিন্দিতে বলতো আমি একটু অনুবাদ করে দিলাম আর কি! আরে, আর কি লিখতে গিয়ে মনে পড়লো আমাদের আর্কিমিডিস স্যারের কথা মানে ভূগোলের মকবুল স্যারের কথা।
বিস্তারিত»ইউরো ২০১২ প্রিভিউ পর্ব ৫ – ইংল্যান্ড
ইউরো ২০১২ প্রিভিউ পর্ব ৪ – ইতালী
ইউরো ২০১২ প্রিভিউ পর্ব ৩ – ক্রোয়েশিয়া
ইউরো ২০১২ প্রিভিউ পর্ব ২ – নেদারল্যান্ডস
ইউরো ২০১২ প্রিভিউ পর্ব ১ – জার্মানী
ইতালীর পরের লেখাটা স্পেনকে নিয়ে দিব বলে অপেক্ষা করছিলাম, এর মধ্যেই ইংল্যান্ড নিয়ে লেখাটা হয়ে গেল। স্পেনের ২৩ জনের ফাইনাল দল জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও একদিন,
বিস্তারিত»প্যারাসুটের বিকল্প হিসেবে ছাতা ব্যবহার করা যায়
একটু চোখ বন্ধ করুন । ঘুরে আসুন কলেজ হসপিটাল থেকে । 😀
…………………………………………………………………………………
ঘুরা নিশ্চয়ই হয়ে গেছে । এই বার আমার লেখা পড়ুন । 😀
কলেজ হসপিটালে অ্যাডমিট থাকার অভিজ্ঞতা কম বেশি হয়তবা সবারি আছে ।এটাও হয়ত মনে আছে কলেজে সর্বরোগের একমাত্র ঔষধ ছিল প্যারাসিটামল যা ক্যাডেট কলেজের মেডিকাল অফিসার দিতেন ।তবে আমাদের ক্যাডেট কলেজের ব্লগের মেডিক্যাল অফিসার অনেক ভাল ।তিনি প্যারাসিটামলের সাথে মাঝে মাঝে আমাদের সিভিট ও উপহার দেন ।
বিস্তারিত»কুড়ি বছর পর
এক.
দিনটার কথা এখনো স্পষ্ট মনে পড়ে। সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে পাবনা সার্কিট হাউসে পৌছলাম। লাঞ্চ সেরে, পোশাক পাল্টে সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট এবং কালো অক্সফোর্ড সু পরে রেডি হলাম কলেজে যাবার জন্য। একুশে মে, ১৯৯২ সাল। সাথে আব্বা এবং বড় ভাই। দুপুর দুইটার দিকে কলেজে পৌছলাম। পথে ক্যালিকো কটন মিলস পড়লো, আব্বা মোটামুটি সেটার নাতিদীর্ঘ ইতিহাস বললেন। পাবনা পৌছাবার পর থেকে পাবনা জেলার ইতিহাসও বলে যাচ্ছিলেন বড় ভাইকে।