এই ডিসেম্বরে ছুটির ঝুলি

ত-য়ে তুষারপাত, ঘ-য়ে ঘরে বসে থাক
আমার সব অনুমান ভুল প্রমাণ করে শেষমেষ বরাবরের মতো একটি হোয়াইট ক্রিসমাস হলো এবছরও। ক্রিসমাসের দিন আকাশ ভেঙ্গে সাদা পেঁজা পেঁজা তুলোর মতো তুষারপাত শুরু হলো সারা নগর জুড়ে। দিনভর তুষারপাতে শহরটা চোখের সামনে নিমেষে শ্বেতশুভ্র রহস্যপুরী হয়ে গেলো। এদেশের মানুষজন ক্রিসমাসে তুষারপাতে দারুণ খুশি হয়। জানালা দিয়ে কিছুক্ষন পরপর উঁকি দিয়ে সেই তুষারপাত দেখে আমিও দারুন খুশি!

বিস্তারিত»

চলে গেলো জিসান আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে

২০০৩ সালের ৩০ এপ্রিল কলেজে পদার্পণ করেছিলাম । সেই সাথে ক্যাডেট পরিবার এর সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেললাম । আমি ছিলাম সিরাজী হাউস (লাল) আর জিসান ছিল ভাসানী হাউস ।প্রথম দিকে পরিচয় না হলেও আস্তে আস্তে ওর সাথে আমার পরিচয় হয় ।জিসান ছিল A ফর্মে আর আমি ছিলাম B ফর্মে ।জিসান A ফর্মে থাকলেও A ফর্ম আকারে ছোট থাকার কারণে  A ফর্মের ৫ জন আমাদের B ফর্মে ছিল ।কারণ B ফর্মের রুম ছিল আকারে অনেক বড় ।সেই ৫ জন এর ভিতর জিসান ছিল ।৭এবং ৯ এ আমরা এইভাবেই ছিলাম ।

বিস্তারিত»

অটোয়ার জার্নাল – পাঁচ

আই, ইন দ্য মেম্বারশীপ অব মাই ডেস
ডিপার্টমেন্টের লাউঞ্জে একটি বুকশেলফ আছে। সেই শেলফে মানুষজন বই রেখে যায়। যার ইচ্ছা ভাল লাগলে যে কোন বই সেখান থেকে নিয়ে নিতে পারে। আমি একদিন গিয়ে সেখান থেকে তিনটি বই নিয়ে আসলাম। ভারতী মুখার্জির ‘দ্য টাইগার্স ডটার’, ডেনিয়েল মেসনের ‘পিয়ানো টিউনার’ এবং রিচার্ড হ্যারিসের ‘আই, ইন দ্য মেম্বারশীপ অব মাই ডেস’। প্রথম দুটি উপন্যাস এবং শেষটি কবিতার বই।

বিস্তারিত»

শিশিরকবিতা

রাজু শিশির ভালোবাসতো।
প্রথম দেখার নীলচে শেষ বিকেলে
নগরের সাধাসিধে ব্যস্ততায়-
ডানে বাঁয়ে সামনে পেছনে সবখানে
যখন অজস্র মিনিবাস, অজস্র রিকশা
সারে সারে যন্ত্রদানবের অরণ্যে- কোথায়, মনে নেই ঠিক
একফোঁটা শিশির দেখেছিলো রাজু।
রাজু শিশির ভালোবাসতো।

ক্ষণ চলে যায়, মুহূর্ত, দিন-
রাজুর ভেতর বর্ষার দুপুর
এক হৃদয় বর্ষা নিয়ে, রাজু শিশির খোঁজে।
সিংহল সমুদ্র নয়,

বিস্তারিত»

শেষ প্রান্তে

বছর তিনেক আগে কোনো একটা কোরিয়ান মুভি থেকে alzheimer’s symptom সম্পর্কে জেনেছিলাম। যথারীতি অন্যান্য সিনেমার মত সিনেমাটিক রোগ ই মনে হইছিল।পরে অবশ্য অল্প বিস্তর পত্রিকা আর অন্য সিনেমা দেখে জানলাম আসলেই এই রোগের অস্তিত্ব আছে আর এরকম রোগির সংখ্যা ও নেহাত কম নয়।

অফিস এ প্রথম দিন এক কলিগ এর সাথে পরিচয় হল যার বয়স চুরাশি।উনি আমাকে নাম,ধাম,কই থাকি ইত্যাদি সাত সতের জিজ্ঞেস করলেন…

বিস্তারিত»

ত্রিশ কোটি হাত বনাম ক্যান্সার

কিরে ব্যাটা মন খারাপ?ধুর বোকা ক্লাস সেভেনে একটু আধটু এরকম হয়।এজন্যে মন খারাপ করতে হয়না।পেছন তাকিয়ে দেখি হোসেন ভাই।
তার সেই চির চেনা হাতটা মাথার ওপর।আমি আরো জোড়ে ভেউ ভেউ করে কেঁদে ফেললাম।একটু আগেই রুম লীডারের রুমে ছিলাম।টানা দশমিনিট জানালার গ্রিলের সাথে পা ঝুলিয়ে।ক্যাডেট কলেজের ভাষায় যার নাম লং আপ।হোসেন ভাই তখন রুমে ছিলেন।আমার অবস্থা দেখে ভেতরে ভেতরে হয়তো একটু আধটু কষ্টও পেয়েছিলেন।কিন্তু ক্লাসমেট এর মুখের ওপর কথা বলা নিয়মে নেই।তাই তিনি এখানে নির্বাক দর্শক।

বিস্তারিত»

ইজ্জত আর মেশিন দুইটাই হুমকি তে।

কয়দিন হইল ফেসবুকে একটা তামশা শুরু হইছে। আপনার অমুক অমুক বন্ধু এই লিঙ্ক শেয়ার করছে, ওই লিস্টে কিছু বিশ্বস্ত  বন্ধুর নাম দেখলাম। দেখায় অমুকের স্ক্যান্ডাল ভিডিও, তমুকের এইডা- ঐডা দেখা যাচ্ছে এই টিভি শো তে। এগুলার ওপরে থাকে প্রায় কাপড় না না পড়া কোন একটা মেয়ের ছবি।ডানে বামে তাকাইয়া রুমে কেও নাই শিওর হইয়া দিলাম লিঙ্কটায় ক্লিক কইরা।জিগাইলো আপনি ১৮+ কিনা।লাফ দিয়া উঠলাম , কইলাম ১০০বার।

বিস্তারিত»

শিক্ষক VS ক্যাডেট এর ৬বছরের ম্যাচের কিছু ধারাবিবরনি। সিজন ২-এপিসোড-১

সবাই কয় ভদ্রলোকের এক কথা। তাই মেলা দিন হইল এই সিরিজের আর এক পর্ব লিখতে গিয়েও মনের ভিতর খচখচ করছিল। লাস্ট পর্বে কইছিলাম এইডা আর লিখুম না। কিন্তু একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভাইবা দেখলাম হুদাই খচখচ করতেছে। ওই কথা তো আমার জন্য প্রজয্যই না । :goragori: :goragori: :goragori: তাই লিখতে বইসা গেলাম।

 

১) সৈয়দ নুরুল ইসলাম স্যার। বাংলা ডিপার্টমেন্ট। স্যার নতুন আসছেন কলেজে।

বিস্তারিত»

“শুভেচ্ছা”

আজ সকালে ঘুম ভাঙ্গল ঠাডা পইরা। ঠাডা বুঝেন? বজ্রপাত রে আমাগো এলাকায় ঠাডা কয়।

 

সকালে সারে সাতটা নাগাদ বাপে ফোন দিয়া ঘুম ভাঙ্গাইল।ঘুম জড়ানো গলায় বললাম

-স্লামুয়ালাইকুম আব্বু

-নিচে আয়। আমি তোর বাসার নিচে।

ঘুম ছুইটা গেল। রুমের চারি দিকে তাকাইয়া।রুমের অবস্থা দেখে ইচ্ছা করল সিড়ি দিয়ে না নেমে সরাসরি ছয় তলা থেকে লাফ দিয়া নাইমা যাই।

বিস্তারিত»

জগতের সকল নারী সুখী হোক !!!

এটা আমার নিজের গল্প।[ অন্য কারো সাথে মিলে গেলে তা নিতান্তই কাকতালীয় !!]

আমার একটা গার্লফ্রেন্ড আছে। বিশ্বাস করেন একটাই। আমাদের অনেক দিনের রিলেশন। প্রায় ৭বছর হল আমরা প্রতিাদিন ঝগড়া করি। প্রতিদিনই প্রায়। এই ৭বছরে খুব বেশী হলে ৭দিন আমাদের মধ্যে কোন ঝগড়া হয় নাই। তাও সেটা এক টানা ৭ দিন হবে না। এক ঘন্টার মধ্যে কখনো কখনো ৩-৪বার ঝগড়া হয় ৩-৪টা ভিন্ন ইস্যু তে।

বিস্তারিত»

sdjhgf

wowhdscsgiusg

বিস্তারিত»

ভর্তি যুদ্ধ !!!

আমাদের ছোট ভাই-বোনেরা এখন ভর্তি যুদ্ধ নিয়ে খুব ব্যস্ত ।ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে ।অনেকের চান্স হয়েছে, অনেকের হয় নি ।আরও কিছু পরীক্ষা বাকি আছে ।তাদের মুখ থেকে ভর্তির গল্প শুনে এবং আমার কিছু অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি থেকে ক্যাডেটদের ভর্তি যুদ্ধের ব্যাপারে কিছু কথা বলছি ।একজন ছাত্রের কোন ভাল প্রতিষ্ঠানে চান্স পাওয়া মূলত দুইটি জিনিস এর উপর নির্ভরশীল ।প্রথমত ছাত্রের অধ্যয়ন এবং দ্বিতীয়ত ছাত্রকে কিভাবে পাঠদান করা হয়েছিল ।চলুন ঘুরে আসি আমাদের প্রিয় ক্যাডেট কলেজ থেকে ।প্রথমে আসি ক্যাডেটদের পাঠদানকারী শিক্ষক প্রসঙ্গে ।দুটি প্রেক্ষাপট এর ভিত্তিতে যদি শিক্ষকের মান বিবেচনা করা যায় ( আমাদের বড় ভাইদের আমলের ক্যাডেট কলেজ এর শিক্ষক আর বর্তমান সময়ের ক্যাডেট কলেজ এর শিক্ষক এবং বর্তমান সময় এর ক্যাডেট কলেজ এর শিক্ষক আর বাইরের নামকরা কলেজ সমূহের শিক্ষক) তাইলে দেখা যাবে যে দুটি ক্ষেত্রেই ক্যাডেট কলেজ এর শিক্ষক এর মান তুলনামূলক ভাবে ভাল নয় ।অনেক ভাল শিক্ষক ক্যাডেট কলেজে সুযোগ সুবিধার অপ্রতুলতার কারণে ক্যাডেট কলেজ ছেড়ে চলে যায় ।এবার আসি ক্যাডেটদের অধ্যয়নের ব্যাপারে ।কলেজ এর বিভিন্ন নিয়ম-শৃঙ্খলা,ডেইলি রুটিন,

বিস্তারিত»

মাই এ্যাডজুটেন্টস

এ্যাডজুটেন্ট শব্দটি প্রথম শুনি বড় ভাই এবং আব্বা কথা বলার সময় ৮৭ কিংবা ৮৮ সালের দিকে। সেই এ্যাডজুটেন্টের নাম ছিল মেজর কীর্তন রঞ্জন চাকমা। তিনি রংপুর ক্যাডেট কলেজের এ্যাডজুটেন্ট ছিলেন। আমার ভাই তাকে খুব পছন্দ করতেন। তিনিও আমার ভাইকে খুব স্নেহ করতেন। আমার আব্বাও কীর্তন রঞ্জন চাকমাকে মানুষ হিসাবে পছন্দ করতেন, সেটি অকোপটে বলতেন। বলতেন, চাকমারা মানুষ ভাল। আমার এ্যাডজুটেন্ট শব্দটি শুনতেই কেমন একটু শিহরণ জাগতো।

বিস্তারিত»

ফটুকব্লগ – দুর্গাপুজা

গতবারের পুজার ফটোব্লগে যতদুর মনে পড়ে টেক্সট ইন্ট্রো দিছিলাম, এবার বাদ দেই সেগুলা। আলসে হয়ে গেছি তো !

বিস্তারিত»