শাহাবাগের আন্দলন এই মুহুর্তে বন্ধ করা হোক, যে যে যার যার কাজে ফিরে যান, পুলিশ ভাইয়েরা যার যার থানা ব্যারাকে ফিরে তালা দিয়ে বসে থাকেন। এই বাঙ্গালি মারা খাওয়া বাঙ্গালি এদের নিয়ে কারো ভাবার কোনো দরকার নাই। এদের পশ্চাৎদেশ অতি নমনীয় হলেও শক্তিশালী এবং টেকশই। আজন্ম মারা খেতেই এই দুনিয়ায় এদের আবির্ভাব। এরা সুযোগ সন্ধানী, এদের মুখে মোয়া তুলে দিবেন সেটা কিভাবে আসতেছে সেটা তাদের দেখার বিষয় না। মোয়া খাইতে পারলেই তারা খুশি। এই বাঙ্গালি সেই জাতি যারা মাগনা মানুষের বাসায় খাইতে যাবে আবার রান্না খারাপ হলে কথা শুনাইয়া আসবে। এদের নিয়ে ভাবার কোনো দরকার নাই। কি বালের জন্য এত আন্দোলন করতেছেন আপনারা? কাদের ফাঁসি চান? এই অতি বুদ্ধিমান বাঙ্গালির কাছে তারা ধর্মের অবতার। গত একমাস আমি অনেক আশাবাদী ছিলাম। আমাদের দেশে এই পজেটিভ ম্যুভমেণ্টের জন্য। আশা করেছিলাম বাঙ্গালির চেতনা জাগ্রত হবে। কি হল? একজন নিষ্ঠুর পিশাচ চাঁদে আবির্ভুত হল। হায়রে বাঙ্গাল। যাদের ফাঁসির জন্য আন্দোলন হচ্ছে তারা এক এক জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের হাতে ৪২ বছর আগে হাজার হাজার নিরীহ নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশু নিহত হয়েছে। নিঃস হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। তারা আক্ষরিক অর্থে খুবলে খেয়েছে নারী দেহের তাজা মাংস। আর আজ আমাদের কাছে তারা একেক জন ধর্মের ধারক বাহক, অবতার। হায়রে বাঙ্গালি। কানসাটে পল্লীবিদ্যুৎ অফিস পোড়াইয়া দেয়, ৪৮টা পরিবার অবুরুদ্ধ অবস্থায় আগুন দেয়, ২০০কোটি টাকার মালামাল পোড়ায়। এই কানসাটে কয়েক বছর আগে বিদ্যুতের জন্য স্বতস্ফুর্ত আন্দোলন করে ছিল হাজার হাজার মানুষ। তারা কোথায় এখন? এখন তিন দিন হল ৫৮ হাজার গ্রাহকের সংযোগে কোন বিদ্যুৎ নাই। ফসলের জমি নষ্ট হচ্ছে। কেন যখন আগুন দিল তখন কই ছিলেন আপনারা? কেন প্রতিরোধ করলেন না? থাকেন এখন অন্ধকারে, না খাইয়া। কোনো দরকার নাই আবার লাইন ঠিক করার। নিজেরাই প্রতিরোধ করবে তখন। কোনো শাহাবাগ লাগবে না। রাজশাহীতে ট্রেনে আগুন দেয়। এই রাজশাহীর সিল্ক সিটির টিকিট পাবেন না কোখনও। না যাওয়ার সময়, না ফেরার সময়। কই যারা প্রতিদিন যাতায়াত করেন সেই রাজশাহী বাসী কই ছিল? প্রতিরোধ করতে পারে নাই? রাজশাহীর সব ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হোক। তখন রাজশাহিতেও শাহাবাগের দরকার হবে না। নিজেরাই এসব কাজের প্রতিরোধ করবে। গাইবান্ধায়, চট্টগ্রামে আগুন দিচ্ছে, মানুষ মারতেছে। পুলিশ ভাইয়েরা শুধু শুধু সামনে যাইয়া মরতেছেন কেন? ব্যরাকে তালা মেরে বাংকার বানাইয়া বসে থাকেন। থানায় আক্রমন করতে আসলে লাশের মিছিল বানাইয়া দেন। না আসলে চুপ থাকেন। সাধারন বাঙ্গালি মরতে দেন। পারলে মরতে মরতে প্রতিরোধ করতে শিখুক, নয়ত মরুক। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে নিজেরাই পারবে এগুলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে। দেন ওদের যা ইচ্ছা করতে দেন, জ্বালাইয়া দেক সব কিছু, পোড়াইয়া দেক দেশটাকে, মাইরা সাফা করুক এই আবাল বাঙ্গালিকে। আবাল জনতা পারলে নিজেরা বাঁচুক, প্রতিরোধ করুক না হলে পাছায় তেল মাখাইয়া বসে থাকুক কখন এসে মেরে যাবে সে আশায়।
৪ টি মন্তব্য : “শাহাবাগের আন্দোলন এই মুহুর্তে বন্ধ করে দেয়া হোক”
মন্তব্য করুন
:brick: ~x( 😡 ::salute::
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ত্যানাবাদীরা ত্যানা প্যাঁচিয়েই যাবে, কারণ সেটাই তাদের কাজ। সব শক্তি নিয়ে প্রতিরোধ করার এখনি সময়। ছাগশক্তি সম্পূর্ণ শয়তানি মোড-এ এমুহূর্তে।
দূর থেকে রাজনীতির গন্ধ শুঁকে নাক সিঁটকানোর সুবিধাবাদ পরিত্যাগ করে মানুষ এক না হলে যেই লাউ সেই কদু-ই থাকবে। তখন আবার এরাই কইবে, কইসিলাম না?
রাজনীতিতে ধর্ম হলো দুধে চূনা মিশানোর মতো। রাজনৈতিক যত ভাল উদ্দেশ্যই থাকুক ধর্মীয় সুড়সুড়ির অনুভূতি জাগিয়ে দিলে খেল খতম - শিক্ষিত, অক্ষরজ্ঞানহীন নির্বিশেষে বাঙালি আমজনতা।
জামাত বুঝে গেছে বাঁচতে হলে এবং নেতাদের বাঁচাতে হলে সরকার পতন হলো মূল টার্গেট - তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পারবে। সেটার জন্য যা দরকার করে যাচ্ছে। যাতে সরকার এবং সাধারন মানুষের মাঝে ভয় এবং উৎকন্ঠা তৈরি করে। সামনে নির্বাচন। শুরু হবে পলিটিক্যাল গেম - যার অর্থ হলো সচেতন মানুষ যারা শাহবাগে সমর্থন দিয়েছে তারা আরো নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে।
চাঁদে পিশাচ সাইদীর মুখ দেখায় বিশ্বাস = বাঙালি মুসলমানের কুপমন্ডকতা!
আমার বন্ধুয়া বিহনে
খুব সুন্দর ব্যাখ্যা করেছো ।