একটা সময় ছিল যখন অনেককিছু এলোমেলো ভাবতাম। আজ থেকে প্রায় দশ বারো বছর আগে। ভাবতাম একদিন পৃথিবী অন্যরকম সুন্দর হবে। নিজেকে চেনার চেষ্টা করতাম। নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করতাম। তখন ঢাকায় থাকতাম। সেই দিনগুলো সত্যি দখিনো হাওয়ার মতো সুন্দর ছিল। অবুঝ সময় সবসময়ই নিশুতিরাতের তারার মতো ঘোর লাগা অতীত। তখন ঢাকার ফুটপাত, ল্যাম্পপোষ্ট, জ্যাম, জারুল, রাধাচূড়া, কদম, কৃষ্ণচূড়া, কাকপক্ষীরা অভয় দিতো – চারপাশে যা দেখো তা সত্যি না।
বিস্তারিত»আজ ২৫ ফেব্রুয়ারী
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারী । পিলখানা হত্যাযজ্ঞে শহীদ হয়েছিলেন আমাদের ৫৭ জন সেনা অফিসার। তাদের মধ্যে আমাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সিনিওর ভাইয়ারাও ছিলেন। তাদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করছিল ক্যাডেট কলেজ ব্লগ। আজ ৩ বছর পেরোতেই কি আমরা ঝিমিয়ে গেলাম? আমাদের অনুভূতি গুলো ভোতা হয়ে যাচ্ছে বোধ হয়। আমরা কি আজ তেমনি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করতে পারি না আজ? মতামত চাই। অতিথিদের কেও আমন্ত্রন জানাচ্ছি মতামত দেবার জন্য।
বিস্তারিত»আশরাফকে খুব মনে পড়ছে
আশরাফকে খুব মনে পড়ছে আজ। কেন জানি না।
সবকিছু তো স্বাভাবিক আছে। হাঁটছি, খাচ্ছি, ঘুরছি। মাঝখানে শুধু ও নেই।আশরাফ কে ছাড়া ওর মা, বাবা, প্রিয়তমা স্ত্রী কেমন আছে কে জানে। আমাদের পাবনা ক্যাডেট কলেজের ১৬তম ব্যাচের বোধকরি সবচেয়ে চৌকস ছেলেটি, বিমান চালাতো। আমরা অনেকে যেখানে সাইকেলই চালাতে পারিনা, সেখানে ও বিমান নিয়ে দিব্বি ঘুরে বেড়াত। মিগ-২৯ চালানোর প্রশিক্ষন পাওয়া অল্প কয়জন অফিসারদের মধ্যে একজন ছিল।
বিস্তারিত»একটি অপ্রকাশিত স্মৃতিচারণ
৭ মে, ২০০২. আমার এই ক্ষুদ্র জীবনের সবচেয়ে স্মরনীয় দিন। এদিন আমরা ২৫তম ব্যাচের পঞ্চাশজন কিশোর মনের মধ্যে ভয়, উৎকন্ঠা, কৌতুহল আর গর্ব মিশ্রিত আশ্চর্য এক অনুভূতি নিয়ে প্রবেশ করেছিলাম পাবনা ক্যাডেট কলেজ অঙ্গনে। ঠিক সেদিন থেকেই শুরু হয়েছিল আমার ক্লাশ সেভেনের দুঃসহ দিনগুলো। ক্যাডেট কলেজে ক্লাস সেভেনের সময়টা যে কত কষ্টের সেটি আমি সেদিন থেকেই খুব ভালভাবে বুঝেছিলাম। ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা পাওয়ার আগেই আমার cadet life- এর দ্বিতীয় দিনেই আমার গাইড আজহার ভাইয়া আমাকে পাঙ্গাইছিল।
বিস্তারিত»বোকা বাঙ্গালী বলছি-১
আমি বোকা বাঙ্গালীদের দলে। মৌসুমী বিপ্লবীদের দলে আছি কিনা জানি না। আমিও বোকা বাঙ্গালীদের মতই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছি।কত কমেন্ট পড়ল সেটা নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছি বলে মনে হয় না। ব্লগ লেখার মত পড়াশুনা, জ্ঞান কোনোটাই নাই তাই ব্লগ লিখি না (বলতে পারেন লিখতে পারি না)। কিন্তু সব ব্লগ পড়ার চেষ্টা করেছি। আপনাদের মত আমিও আপ্লুত হয়েছি এই ভেবে যে, আমরা সচেতন হচ্ছি। যদিও খুব বেশি লেখালেখি বা জন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এটি আমি বলতে পারবো না যতটা সৃষ্টি হয়েছিল আবু গারাইব কারাগারের নির্যাতন কিংবা দেশীয় এডাল্ট ক্লিপ বের হবার পর।
বিস্তারিত»আমাদের ছেলেবেলা (এপিসোড ৭)
১) ১৭তম ব্যাচের স্টাডিট্যুর। বাসের ভিতর হঠাৎ ভাইয়াদের চ্যাচামেচি শুরু হল। গাড়ি থামাও, টয়লেট করব। স্যারেরা কেউ পাত্তা দিল না । এবার শুরু হল বাস থামাও মুতব। এডজ্যুটান্ট স্যার উঠে দাড়ালেন। চিৎকার বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু জনৈক ভাইয়ার সিরিয়াস জোরে চাপছে। পিছনের সিটের জানালা খুলে, অন করে দিছে ট্যাপ। বাকিরা লাফাইয়া সরে গেল। কিন্তু হঠাৎ ভাইয়ারা খেয়াল করল বাসের ঠিক পিছনেই যে ট্রাকটা ছিল। ট্রাক ড্রাইভার তার ওয়াইপার চালু করে দিছে।
বিস্তারিত»হাবিজাবি…
অনেকদিন হয়, কিছু লেখালেখি হয় না। আগের মত ব্লগটাও ঠিক জমজমাট হয়ে উঠছে না । এখনও মনে আছে, একটা সময় ছিল একে্কটা পোস্ট আসত আর কমেন্টের ঝড় উঠতো সেগুলোতে। মজার মজার সব কাহিনীগুলো পড়তে পড়তে আমার মত নিরব পাঠক আমব্লগার, চলে যেত আব্র সেই পুরোনো দিনগুলোতে। অবশ্য সবসময় যে শুধু কলেজ নিয়েই গল্প চলত এমনটাও তো না। এমনি এমনিতেই সবাই পোস্ট দিত, এইসব এমনি এমনি পোস্টেই কি কি যে মজার মজার সব কমেন্ট পড়ত্ এখনো সেগুলো মিস করি।
বিস্তারিত»আসর ভাঙ্গার কলরব
(কলেজ থেকে চলে আসার কয়েকদিন আগে এই কবিতাটা লেখা। আমাদের ফেয়ারওয়েল উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের নামেই কবিতার নামটা দেয়া।)
উদাসী বাতাসে আসর ভাঙ্গার গুঞ্জন শুনি
আজকাল। স্মৃতির ডাকপিয়ন হঠাৎ হঠাৎ
কড়া নাড়ে। লুকোচুরি চলে তার সাথে।
গল্পচ্ছলে বলে কিনা-
আমার নাকি রাধাচূড়া-রক্তকায়ার স্তুপ মাড়িয়ে
আর কোনদিন হাঁটা হবে না-
ভোরবেলা কংক্রিটে চিৎ হয়ে শুয়ে জলরঙা সেই আকাশ,
ছুটির সন্ধ্যায় মাঝমাঠে বুক খোলা শার্ট গায়ে
তারা গোণা…………
চারুকলার মুখ …..
মানুষের পোর্টেট আমি তুলতে পারি না, আসলে মানুষ বললে ভুল হবে, প্রান আছে এমন কোন কিছুর (মানুষ, পশু-পাখি, গাছ; মৃত গাছ হলে একটু একটু পারি) ছবি তুলতে পারি না। তাই আপাতত ভাস্কর্য দিয়ে হাত টেস্টিং।
শয়তান
সুদখোর মোড়ল
শিশু
দম্পতি
তাহারা
খেলা
হাতকাটা খাবেন?
বিস্তারিত»ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্যেরা
আগের ফটোব্লগে পুরান ঢাকায় হালকার উপর চক্কর কাভার করছিলাম, আরেকটা ফটোব্লগ দেয়ার সময় হয়ে গেছে। এটার ছবিগুলা অবশ্য আরও আগে তোলা, আর পুরান ঢাকাও যাওয়া হয় নাই। ঢাকা ভার্সিটির মধ্যেই হাটাহাটি করে দিন পার আর কি।
আলাদা করে দেয়ার কারন হল ঢাকা ভার্সিটির মধ্যে মুল ৩টা ভাস্কর্যের সঠিক নাম আবার পরিচয় করে দেয়া, হয়ত অনেকেই জানে না (আসলে আমি নিজেই জানতাম না) যাই হোক,
বিস্তারিত»আমাদের ছেলেবেলা (এপিসোড-৫)
আবার কলেজের কয়েকটা ঘটনা।
১) শাফিন ভাই, রাতের বেলা। স্লিপিং স্যূট পড়ে ডাব পাড়তে গাছে উঠছে। কিছু দূর গাছে ওঠার পর নাইট ড্রেসের পাজামার ফিতা ছিড়া গেছে। ভাইয়ার দুই হাতে গাছ জড়াইয়া ধরে আছে। ফলাফল শাফিন ভাই গাছের মাথায় আর পায়জামাটা গাছের তলায়।
২) আমরা তখন ক্লাস এইটে। হঠাৎ লিডিং ব্যাচ কলেজ অথরিটির বিরুদ্ধে আন্দলোন শুরু করল। তার একটা ওয়ে হিসেবে কলেজের এরিয়ায় কয়েকটা কুকুর ধরে তাদের গলায় বিভিন্ন জনের নাম লিখে ঝুলিয়ে দেয়া হল।
বিস্তারিত»ব্রুটাসের অট্টহাসি
ব্রুটাস, তুমি এইখানে, এদিকটায় এসো
বঙ্গদেশে তোমাকে অভ্যর্থনা জানাতে
হাজারে হাজার সাঁজোয়া গাড়ির প্যারেড,
অশ্বারোহী কিংবা তরবারী স্যলুট
যেটাই তুমি চাও, প্রস্তুত।
চল্লিশ বছর আগের হাড়গোড়
-বেশি নয়, হাজার বিশেক খুব জোর
নিখোঁজ কিছু নিখোঁজ সংবাদ, দুটো চারটে ধর্ষণ
সব কিছু ভুলে গেছি, কসম!
চার চার করে কত বছরের মসনদ চাই,
বিস্তারিত»জগতের সকল নারী সুখী হোক !!! এপিসোডঃ ২
আবার বসলাম লিখতে। যারা আগের লেখাটা পড়ছেন তারা নিচের প্যারাটা না পড়লেও হবে। ঠিক করছি ধারাবাহিক নাটকের শুরুর নাম দেখানোর মত এই সিরিজের প্রতি পর্বেই এটুকো দিয়ে দিব।
এটা আমার নিজের গল্প।[ অন্য কারো সাথে মিলে গেলে তা নিতান্তই কাকতালীয় !!]
আমার একটা গার্লফ্রেন্ড আছে। বিশ্বাস করেন একটাই। আমাদের অনেক দিনের রিলেশন। প্রায় ৭বছর হল আমরা প্রতিাদিন ঝগড়া করি। প্রতিদিনই প্রায়।
বিস্তারিত»ফটোওয়াক – ২
নতুন এক ভরং ধরছি আমি, প্রতি শুক্রবার ক্যামেরা নিয়ে হাটি। তবে একা না, সাথে আরও কয়েকজন বড় বড় ক্যামেরা সহ ভাল ভাল ফটোগ্রাফার থাকে বলে খুব একটা খারাপ লাগে না হাটতে। হিসাব করে দেখলাম, সকাল ১০টা থেকে যে হাটা শুরু হয় সেটা শেষ হয় বিকাল ৪-৫টায়, মাঝে শুধু একটা কাচ্চি বিরিয়ানী ব্রেক। O:-)
এগুলা গত ২ ডিসেম্বরের তোলা ছবি, শিডিউল সদ দেয়ার চেস্টা করি নিচে।
বিস্তারিত»ক্যাঁনে ক্যাঁনে
আমাদের এক math এর স্যর ছিলেন, স্যার খালি বলতেন, “এ্যাঁ:, এঁটা করস ক্যাঁনে, ওটা করস ক্যাঁনে”
একদিন ক্লাস নাইন এ principal inspection এর আগে স্যার এসেছেন আমাদের রুমে, পাশের রুম থেকে মফিজুর এসেছিল তখন আমাদের রুমে যেন কি কারনে।
স্যার মফিজুরকে দেখেই বলে উঠলেন “মফিশ, এখানে এসেশো ক্যাঁনে, যাও নিজের রুমে যাও”।
মফিজুর চলে গেল, স্যারও চলে গেলেন।
আমাদের রুমগুলোর ছিল দুইটা দরজা,
বিস্তারিত»