পৌষের এক বিকেল
——————–
সেদিন ছিল পৌষের এক ঝিম মারা বিকেল।
ধান কাটার পরের বিষন্নতাকে সাথী করে,
খড়কুটার নিস্তেজতা উড়ানো বাতাস
ভেসে এসে থমকে দাঁড়ায় আমার আঙিনায়!
এমনই এক বিকেল! যখন
সাদা বকেরা ঝিমায় কেবলি,
স্মৃতিতে ওদের জলভরা বিলের পুরনো সুখস্মৃতি।
গোবরে লেপা উঠান কৃষাণীর চোখের মত
ঝকমকে আলোর চমকে উদ্ভাসিত!
এখানে সেখানে পরে থাকা ধানের ছড়া
ঠুসি পরানো বলদের চোখে জাগায় লোভাতুর চাহনি।
নিরন্ন মানুষের হৃদয়ে নবান্নের উৎসুকতা জাগিয়ে
ফেরারী হওয়া পৌষের দিনগুলোর
এমনই এক বিকেলে প্রথম দেখা!
ঘরের দাওয়ায় দু’পা ছড়িয়ে
এক এলোকেশী যুবতির
মাথায় চিরুনী বোলানোর মুগ্ধকর তন্ময়তায়
কেটে যায় শীতের বেলা অবেলার স্বল্প প্রহর!
ওর চোখের আলোয় সেদিন আমার
বিষন্ন বিকেলগুলো হয়ে উঠে ঝলমলে!
হৃদয়ের সোনালী ধানের ছড়ায় বসে
শীষ দিয়ে যাওয়া দোয়েলগুলোকেও
বড্ড আপন মনে হয়!
নীল-সাদা লেইস ফিতায় বাঁধা
ওর দুটি বেণিতে যেন নীলাকাশ
নেমে আসে সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে!
আর হরিণী দু’চোখে কালো কাজল
যেন তপ্ত মরুর বুকে স্বস্তির মেঘ-বর্ষণ!
আমায় দেখে সেই যুবতী একটু হেসে তাকায় ফিরে,
আটাশ বছরের জীবন-যৌবন মুহুর্তে স্থবির করে
নিজেই প্রবেশ করি সেই দুচোখের নীড়ে।
সাথে নিয়ে মাটির সোঁদা গন্ধ আর
ধুঁয়া ধুঁয়া কুয়াশায় বিষন্ন প্রলেপ মাখা
কোনো এক পৌষের বিকেলে।।
সুখ পাঠ্য।
তোমার গদ্যর মতই।
ভাল লেগেছে...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ভালো লাগা রেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
শুভ সকাল।
নিজের মনের আনন্দে লিখালিখি করি।
একটু যুত করে পড়বার অবসর হল এদ্দিনে।
দারুণ লাগলো আঁকাটা।
অনেক ধন্যবাদ তোমায়। 🙂
নিজের মনের আনন্দে লিখালিখি করি।