বাইরে থেকে ক্যাডেট কলেজগুলোকে অনেকের কাছে স্বপ্নপুরী মনে হয়। ওখানে বাচ্চারা খুব ভাল থাকে। আবার কেউ-কেউ মনে করেন ইট-পাথরের দালানের মধ্যে কিছু রুক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর বসবাস। আসলে এই কলেজগুলোতে যারা বেড়ে ওঠে তাদের তৈরী করা হয় সশশ্রবাহিনীর উপযুক্ত করে। তিনশো-ষাঠ ডিগ্রি শিক্ষায় তাদের গড়ে তোলা হয়। সবাই হয়তো সশশ্রবাহিনীতে যোগ দেয় না, তবে তিনশো-ষাঠ ডিগ্রি শিক্ষা লাভ করে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পরে।
~ সেই ফাগুনের অপেক্ষাতে ~
শুকনো পাতার মতোন
কুঁকড়ে আছে অপেক্ষার সময় সব
সানকিতে সাদা ফুল
রঙধনুর চেয়ে কিছু বেশী রঙ
মেখে সবুজাভ
আসবে বসন্ত সময় নয় শুধু
মানুষের উৎসবে
কলরব মুখরিত দীপ্রতার
হুল্লোড়ে জীবনের
টক ঝাল মাখা প্রাণবান গান নিয়ে
ভাস্কর্যের মগ্নতায়
আছি স্থির সেই ফাগুনের অপেক্ষায়
(য তি চি হ্ন হী ন – তি ন)
বিস্তারিত»মিলন হবে কতো দিনে …
১
ক্লাসে মেয়েদের অলিখিত দলনেত্রীর পদটি বাগে রাখার জন্য ভেতরে ভেতরে আমাকে অনেক রাজনীতির হিসেবনিকেশ কশে চলতে হতো। তাই তিথির সৌন্দর্য নিয়ে কেউ যাতে বেশি উচ্ছ্বসিত প্রসংশায় মেতে উঠতে না পারে সে ব্যাপারে ছিল আমার কড়া নজরদারী। মসনদ – তা সে ময়ূর সিংহাসনেরই হোক কিম্বা পদ্মপাতার উপর দু’ফোঁটা পানিরই হোক – কব্জা করা আর তা ধরে রাখা এতো সহজ নয়। প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন কথার যন্তর-মন্তরে আমার শিষ্যানুসদকে বশ করে রাখতে হতো।
তিনটি প্রতিক্রিয়া (//)
দুই
একটি কৌতুক দিয়ে শুরু করি। খুব সম্ভবতঃ হুমায়ুন আহমেদের এলেবেলে তে পড়েছিলাম। উচ্চ শিক্ষার্থে এক মেধাবী শিক্ষার্থী গেছে মার্কিন মুলুকে। কিছুদিনের মধ্যেই সেখানকার অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সাথে পরিচয়, বন্ধুত্ব হয়ে গেল। সেখানকার ছেলেমেয়েদের মাঝে সে একটা অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করল। কথাবার্তার মাঝে কেউ একজন হঠাৎ একটা নাম্বার বলে ওঠে আর অন্যরা হো হো করে হেসে ওঠে। বিদেশী ছেলেটি কিছু বুঝতে না পেরে বোকার মত তাকিয়ে থাকে।
বিস্তারিত»একজন কিংবদন্তীর কথা বলছিঃ ক্লাইভ লয়েড (১ম পর্ব)
প্রখ্যাত ক্রিকেট সাংবাদিক অরুনভ সেনগুপ্ত কয়েক বছর আগে ক্রিকেট সংক্রান্ত ওয়েবসাইট cricketcountry.com এ ক্লাইভ লয়েডের উপর বিশাল এক আর্টিকেল লিখেছিলেন। আর্টিকেলটির নাম Clive Lloyd: The mastermind behind West Indies’s domination of world cricket. এতে তাঁর ক্রিকেট জীবনের শুরু থেকে প্রায় সবকিছুই দারুণভাবে উঠে এসেছে। সুপাঠ্য এই লেখাটি সবার পড়ার জন্য দুই খণ্ডে অনুবাদ (ভাবানুবাদ) করার চেষ্টা করছি। মূল লেখাটি পাওয়া যাবে এখানে।
বিস্তারিত»অন্য বসন্ত
ছেলেটি অসম্ভব চুপচাপ ধরনের ছিলো।।কিন্তু প্রচন্ড ভালোবাসতো মেয়েটিকে।।মেয়েটির কোনো আবদার কখনো অপূর্ণ থাকতে দিতোনা সে।।শুধু একটা হাসিকে জুড়ে ছিলো তার জগতের সব চাওয়া পাওয়া।।তার মুখে হাসি ফোটাবার জন্য এমন কিছু নেই যা সে করতোনা।।তার মলিন মুখ দেখলে ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠতো ছেলেটি।।সত্যিই অনেক বেশি লাকি ছিলো মেয়েটি।।আজকালকার যুগে কেই বা এমন করে ভালোবাসতে পারে।
মেয়েটি ছিলো বড্ড বাচ্চা বাচ্চা।।জগত সংসার সম্পরকে খুব কম বুঝতো।।ছোট্ট কারনেই মন খারাপ করতো আবার অনেক কিছু হলেও যেনো কিছুই হতোনা।।তার মায়াকাড়া মুখের দিকে চাইলে যে কেউই তার সরলতাকে অবলোকন করতে পারবে।।ভালোবাসা বোঝার মত ক্ষমতা তার ছিলোনা।।তবে এটা বুঝতো যে কেউ একজন তাকে অনেক care করে,তার সুখে হাসে,দুঃখে কাদে।।এই মায়াটাকে সে ছাড়তে পারতোনা কখনো।।কিংবা হয়তো তার অবচেতন মন অপেক্ষা করতো যে ছেলেটা তাকে কিছু বলবে!!
যেমন ইচ্ছে লেখার আমার ডায়েরীর পাতা: চুমুতে আপত্তি (?!)
এক ভাই এর মারফত জানলাম ফেসবুকে নাকি কি ইভেন্ট খোলা হয়েছে যার নাম পুলিশি প্রহড়ায় প্রকাশ্যে চুমু খাবো জাতীয় কিছু একটা। দেখলাম ইভেন্ট পেইজটা। সেখানে আরিফুর রহমান নামের এক ভাই এর ভিডিও ভ্লগ দেখলাম যেখানে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে কেন প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া উচিৎ আমাদের। ইভেন্ট ওয়ালে মানুষজনের পোস্টও দেখলাম। বেশ লাগলো।
বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জিনিস আমি মিস করি। বিশেষ করে কিছু মানুষকে যারা কল্পনার এক অবাস্তব জগৎ এ বাস করে।
বিস্তারিত»কিছু চাওয়া
পৃথিবীটা সুন্দর, তাই বলে—
সবটাই তো কুসুম কানন নয়,
আর তা হতেও পারেনা।
কোথাও ধূ ধূ মরুপ্রান্তর,
কোথাওবা শুধুই রুক্ষ পাথর।
কোথাও সূর্যতাপে চামড়া ঝলসে যায়,
আবার কোথাও কনকনে শৈ্ত্যপ্রবাহে
দেহটা অসাড়, অনুভূতিহীন হয়ে রয়।
পৃথিবীর মাঝে আমি তো এক ক্ষুদ্রকণা
আমার চাওয়া পাওয়াতে কিছু যায় আসেনা।
তবু বলে যাই, আমি এইটুকু চাই—
এ ধরার কোন এক কোণে একটি শ্যামল প্রান্তর।
এবারের একুশে বই মেলায় আমার দুটো বই
ইন শা আল্লাহ, আগামী সোমবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ তারিখে এবারের একুশের বইমেলায় আমার দুটো বই আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। প্রথমটা কবিতার বই “গোধূলির স্বপ্নছায়া”, প্রকাশক- জাগৃতি প্রকাশনী, স্টল নম্বর ১৭৩-১৭৫। দ্বিতীয়টা আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথা “জীবনের জার্নাল”, প্রকাশক- বইপত্র প্রকাশন, স্টল নম্বর ১২৭-১২৮।
সিসিবিয়ানদের সাদর আমন্ত্রণ রইলো।
এ পোস্টারটা আমার প্রকাশক পাঠিয়েছেঃ
প্রশ্ন উত্তরে জিকা ভাইরাস!
জিকা ভাইরাস কি?
ডেঙ্গু, ইয়েলো ফিভার বা ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস (West Nile Virus) এর মতন মশাবাহিত একটি ভাইরাস হচ্ছে জিকা।
জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের শরীরে যেসব লক্ষণ দেখা যায় সেগুলো হল-
১। জ্বর
২। ফুসকুড়ি (Rash)
৩। গিঁটে ব্যথা
৪। কনজাংটিভাইটিস (চোখ লাল হয়ে যাওয়া)
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি পাঁচ জনের একজন অসুস্থ হতে পারেন।
বিস্তারিত»আমি আর উনি
আমি আর ইশ্বর
সম্মানজনক দূরত্বে থাকি
উনি বাগানে, আমি বাড়িতে…
ওনার পাইক পেয়াদারা
এই দূরত্বকে বুঝতে নারাজ
সাত বেলা বিরক্ত করে, প্রতিদিন
আমার পোশাকে, খাবারে, পানীয়ে
সর্বত্র আগ্রাসন তাদের …
উনি থাকেন বাগানে, আমি বাড়িতে
ক্রমাগত বাগান বাড়ছে
আমার ছোট্ট এক ফোটা বাড়ি
তা নিয়েও তার পেয়াদাদের
লোভের অন্ত নেই।
উনাকে যতবার জিজ্ঞাসা করি
পেয়াদাদের লোভ কি,
~ স্মৃতির আসমান সাঁতারু অভিমান ~
বাঁ বুকের পকেট থেকে
ভাঁজ খুলে চিঠিটাকে মেলতেই
ঝুপঝাপ লাফিয়ে বেরুলো
ডজন তিনেক নীল রঙের শব্দ।
ঠিক হাত ফসকে ছিটকে পড়া
ক’খানা ছুটন্ত মুড়ি-মুড়কির মতো।
সেই ছত্রিশ শব্দে গভীর বোনা ছিল
বলা না বলা প্রায় শতেক অভিযোগ।
অকস্মাৎ তিরিশ বছর পর
কোন মলাটের ভেতর থেকে
পুরোনো সেই চিঠিটা আজ
বেরিয়ে এলো হঠাৎ আবার।
যায়েফ কে এবং যায়েফকে
যায়েফ কে এবং কেন; সমগ্র ভুলে গেছি
সময় প্রসারিত হয়েছে,বেড়েছে আঙুলের ফাঁক
মিথ্যা সমগ্র, যাবতীয় প্রতারণা, অন্ধত্বও বেড়েছে
গ্যালারীতে ঝুলে গেছে সহস্র তৈলচিত্র, ফটোগ্রাফ
কেউ জানে না নাকের দাগের কারণ, টোলের ইতিহাস
প্রতি রাত্রে হয়েছি কাদা, তারপর নিপূণ শিল্পীর হাতে
ঘোড়ায় রূপ নিয়েছি।
অথচ এ যৌবন কেটেছে রাবারের বনে
আদিম কাঠুরের হাতে হিংস্র কুঠারে বিদীর্ণ বৃক্ষ
কোন কোন দিন প্রতিশোধ পরায়ন হয়,
যেমন ইচ্ছে লেখার আমার ডায়েরীর পাতা: কেন লিখছি কি লিখছি
ডায়েরী লেখার অভ্যাস প্রথম হয় ক্যাডেট কলেজে গিয়ে। কেমন জানি একটা নিয়ম ছিল সব ক্যাডেটকে বাধ্যতামূলক ডায়েরী লেখা লাগবে। এতো তেল সব ক্যাডেটের থাকত না। দেখা যেত হাউজ ইন্সপেকশনের দিন সব গোছানো শেষে কয়েক সপ্তাহের ডায়েরী একবারে লিখে ফেলতো। আমার আবার শরীরে তেল চর্বি না থাকলেও এইসব হাবিজাবি কাজে ভালই তেল ছিল। ক্লাস এইট থেকে মোটামুটি নিয়মিত ডায়েরী লিখছি। এমনো হইছে দুইটা ডায়েরী লেখা হইছে।
বিস্তারিত»তিনটি প্রতিক্রিয়া
এক
সম্প্রতি দাবা খেলাকে হারাম বলে ঘোষণা করেছে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি মহোদয়। খবরটি দেখার সাথে সাথে মনে ভেসে উঠলো উৎপল দত্তর চেহারা, হীরকের রাজা। কল্পনায় দেখতে পেলাম রাজসভায় বসে তিনি এরকম একটি ঘোষণা দিচ্ছেন –
রাজাঃ
দাবা!
খেললে কিন্তু জাহান্নামে যাবা।
… ঠিক কি না?
সভাসদ দলঃ
ঠিইইইক, ঠিক ঠিক …
দাবাড়ুরা সব ইহুদি-কাফের-নাস্তিক!