দিনাজপুর

হিমালয়ের পাদদেশ থেকে উতপন্ন হয়ে নানা চড়াই – উতরাই ঠেলে প্রায় ১৬০ কি.মি. দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে, প্রাচীন জনপদের নানা ইতিহাস রচনার মাধ্যমে; প্রাকৃতিক কারণে উrসমুখ হারিয়ে নির্জীব-ক্ষীন স্রোতধারায় আজও বহমান যে পুর্নভবা নদী, তারই তীর ঘেঁষে পৌরানিক কালে গড়ে উঠা এক সম্মৃদ্ধ জনপদ – দিনাজপুর। ‘পরশুরাম’ যিনি ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার হিসাবে স্বীকৃত তার রাজ্যের অধীন ছিল দিনাজপুর। মৌর্য্য যুগে বগুড়ার পুন্ড্রবর্ধনে ছিল রাজা পরশুরামের রাজধানী।

বিস্তারিত»

শুভ জন্মবার্ষিকী (২৪ মে…)

আজ আমার ২৮তম (দ্বিতীয়) জন্মবার্ষিকী। ১৯৮৮ সালের এই দিনে আমার আগের আমি-কে ভেঙেচুড়ে… … পূনর্বিন্যস্ত করে……… নতুন আমি-কে সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো।

আজকের যে আমি…… ভালো-মন্দ মিলিয়ে সকলই… সে সব আমার কলেজের (পরিবেশ/সিস্টেম, শিক্ষক/শিক্ষিকা, ষ্টাফ) অবদান।
আর, আমার বুকের ভিতরে যে বিরাট সাহস, যে কোন বাধা/ সমস্যাকে আল্লাহর রহমতে ডিঙিয়ে যেতে পারার যে আত্মবিশ্বাস… সে সব আমার বন্ধুদের জন্য…

আমার কলেজের (জেসিসি) আমার ব্যাচের সব বন্ধুরা তো বটেই… আমি সাহায্য পেয়েছি আমার ব্যাচের (৮৮-৯৪) যাদের কাছাকাছি এসেছি… তাদের সবার কাছ থেকে-ই।

বিস্তারিত»

গভীর তমসায় আলোক রশ্মির সন্ধানে….

ডাঃ মোঃ আনিসুর রহমান, দেশের প্রখ্যাত এনডক্রিনোলজিস্ট। বারডেম হাসপাতালে চাকুরী করতেন, দীর্ঘদিন ধরে প্র্যাকটিস করেন ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে। মাঝে মাঝে সপ্তাহান্তে ছুটির দুই দিন সিলেটেও প্র্যাকটিসের জন্য বসেন তার ভক্ত রোগীদের আহ্বানে। মাস ছয়েক আগে চাকুরী থেকে অবসর নিয়েছেন। আমার বাল্যবন্ধু, ১৯৬৭-৭৩ সালে মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজে এক সাথে পড়াশুনা করেছি, একই হাউসে ছিলাম। সেইসব দিনগুলো থেকেই তাকে দেখেছি, ক্যাডেট কলেজের কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলা তার পছন্দের ছিলনা।

বিস্তারিত»

খুঁজে নিও পদচিহ্ন

কখনো চাই ঊষার আলো,
কখনো অমানিশা।
কখনো চাই নীরব আঁধার,
কখনো দীপশিখা।
কখনো হই কাজের ঘোড়া,
কখনো জবুথবু,
কখনো ছড়াই আলোক রশ্মি,
কখনো নিবুনিবু।
সবাই চলেছে আপন ধারায়,
গতি তাদের ভিন্ন।
আমিও চলেছি আমার পথেই
খুঁজে নিও পদচিহ্ন।

ঢাকা
০৪ মে ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি তোমায় ভাল লাগে

বৃষ্টি তোমায় ভাল লাগে
রাতে কিংবা প্রাতে
তোমাকে ছাড়া কিংবা সাথে
বৃষ্টি তোমায় ভাল লাগে।
টিনের চালে, গাছের ডালে
নদীনালা কিংবা খালে
বৃষ্টি তোমায় ভাল লাগে।
বৃষ্টি ছোঁয় আমায়
ক্রোধ কিংবা ক্ষমায়
বৃষ্টি তোমায় ভাল লাগে।
মাথার ছাতায়, চোখের পাতায়
হৃদয়কোণে, মনের খাতায়
বৃষ্টি তোমায় ভাল লাগে।

বিস্তারিত»

কৈশোরের চাঞ্চল্য, একটি অপমান ও কিছু কথা (২)

(প্রথম পর্বের পর)

পুরো ক্লাস কে নাস্তা নাবুদ করার পর ভিপি স্যার আমাকে দাঁড় করালেন। বাঘ তার শিকার কে পাকড়াও করার পর যেমন একটা  বিজয়ীর হাসি/হুঙ্কার দেয়, তার মুখে তেমন এক ক্রুর হাসি। নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়েছিল সেদিন, কমপ্লিটলী ডিফেন্সলেস 🙁 কোন উত্তর নেই আমার কাছে।ছোটবেলা থেকে ভাল ছাত্র ছিলাম, তাই অপমানটা বেশি গায়ে লেগেছিল। জানিনা অতটা অপমানিত হওয়া ঠিক ছিল কিনা।

বিস্তারিত»

শিক্ষণীয় গল্প/কবিতা থেকে শিক্ষা নেয়ার শিক্ষা…

১। যে আমলের কথা বলছি তখন ‘মিথ্যাবাদী রাখাল’ গল্পটি খুব বেশি মানুষ জানত না। একবার এক বিদ্বান ব্যক্তি কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে এই গল্প শুনিয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলেন তারা এই গল্প থেকে কী শিক্ষা পেল। সবাই জবাব দিল-‘মিথ্যা বলা খুব খারাপ, মজা করেও মিথ্যা বলতে হয় না। মিথ্যার পরিণাম ভাল হয় না’।

তিনি একই গল্প এরপর শোনালেন কিছু রাজনীতিবিদকে এবং যথারীতি গল্পটির শিক্ষা জানতে চাইলেন।

বিস্তারিত»

অশান্ত শহরটি যেভাবে বশ মেনেছিল

( বিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান লেখক পাওলো কোয়েলহোর How the city was pacified গল্পের মর্মানুবাদ এটি।)

অনেককাল আগের কথা। পিরিনীজ পর্বতমালার পাদদেশে ছিল এক শহর। কিংবদন্তি অনুসারে, শহরটা নাকি গুণ্ডা-বদমাশদের জন্যে ছিল রীতিমতো অভয়ারণ্য। আর দুষ্টের শিরোমণি ছিল আহাব নামের এক আরব। এহেন দুষ্কৃতিকারীর জীবন পুরোপুরি বদলে গেল স্থানীয় পাদ্রীর কাছে ধর্মবাণী শোনার পর। তার বোধোদয় হলো যে, শহরের পরিস্থিতি বিশৃঙ্খলভাবে চলতে দেওয়া উচিত হচ্ছে না।

বিস্তারিত»

নিমগ্ন অন্তরীক্ষে

নিমগ্ন অন্তরীক্ষে।
মো ও খা ও

নিমগ্ন যখন অন্তরীক্ষে কিছুই ছোবেনা আর
না প্রেম না পূজা, বয়ে যাক বৈশাখী ঝড় নৈঋতে,
অথবা হউক পুড়ে খাক অধর্ চৈত্রের দাবানলে,
প্রকৃতি উন্মুখ হবে না আর উন্মাদ রোষানলে।

প্রয়োজন যখন পরাহত শুদ্ধ নিয়ন্ত্রনে সকল সত্বা
না লোভ না লালসা, নাচুক নটি কটি দুলে রঙিন রাতে,
অথবা ত্যাজি হউক ঘর সংসার রাজন সন্যাসী,

বিস্তারিত»

“মা” – স্মৃতি রোমন্থন আর অনুধাবন

FB_IMG_1462551329951

ছবিটা অসাধারন হয়েছে!
ছবির বক্তব্যটাও আনপ্যারালাল!

ইদানিং ফেসবুকে এই ছবিটা অনেকেই শেয়ার করছেন। বেশ ইমোশন প্রভোকিং একটা ছবি। কিন্তু এটা কি বাস্তব চিত্র, নাকি শুধুই একটা মডেলিং ফটোগ্রাফ, সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কোথায় যেন একটা ত্রুটি আছে এই ফটোগ্রাফে। বাচ্চাটার যে বয়স, তাতে সুঁচ ফোটানোর বিষয়টিতে তার ভয় পাবারই কথা, কিন্তু সেটা তার চোখেমুখে নেই। আবার বাচ্চা যদি এতটাই সাহসী বা সুঁচ ফোটানোতে এতটাই নির্ভীক,

বিস্তারিত»

ক্ষমা

আমি যখন নিজের দোষ বুঝতে পেরে
লজ্জিত হই,
অনুতপ্ত হই,
ক্ষমাপ্রার্থী হই,
কিন্তু মুখে ক্ষমা চাইতে পারিনা,
তখন খুব করে চাই,
কেউ আমার চোখ দুটো দেখে পড়ে নিক
আমার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন।

আমার প্রতি যখন কেউ অন্যায় করে,
আমি অপেক্ষা করতে থাকি,
সে নিজের ভুল বুঝুক,
লজ্জিত হোক,
অনুতপ্ত হোক,
ক্ষমাপ্রার্থী হোক।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৩১

কলেজ হাসপাতালে কয়েকদিনঃ
সেই সপ্তম শ্রেণীতে প্রথম টার্মেই গণজ্বরে ভোগার পর আল্লাহ’র রহমতে আমার আর কোনদিন তেমন অসুখ বিসুখ হয় নাই। বন্ধু বান্ধব কিংবা ছোট বড় কেউ কেউ মাঝে মাঝে হাসপাতালে কয়েকটা দিন থেকে এসে খবর দিত, সেখানে থাকতে তাদের খুব ভালো লেগেছে। ওদের কথা শুনে মনে মনে খুব ইচ্ছে হতো, কয়েকটা দিন আমিও যদি হাসপাতালে থেকে আসতে পারতাম! শীঘ্রই সে সুযোগও এসে গেলো।

বিস্তারিত»

ABCD অথবা বাংলা শক – ১

বিঃ দ্রঃ ঘটনা গুলো সব সত্য, কিছুটা পরিমার্জিত (নাম, পরিচয়, স্থান উহ্য রেখে)। কাউকে অসম্মান অথবা আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং নিজের চিন্তার শুদ্ধতার লক্ষেই এই অসলগ্ন চিন্তাকে লেখায় রূপান্তর। অন্যকারো অভিজ্ঞতার সাথে মিনিয়ে বিচিত্র মানুষের ততধিক বিচিত্র কর্মকান্ডের ব্যাখা খোঁজার অপচেষ্টা।

 

কালচারাল শক !!! দেশের বাইরে প্রথম যে বিষয়টি ফেস করেতে হয় তা হল, নিজেকে অন্য একটি দেশের/জাতির সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা। 

বিস্তারিত»

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে বলছি…

১। কয়েকমাস আগে আমাদের ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে ১২ তম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হয়েছে। ৩ দিন ধরে চলা এই অনুষ্ঠানে বর্তমান-প্রাক্তন ক্যাডেটদের মিলনমেলা বসেছিল। বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণ, সম্বর্ধনা, খেলাধুলাও এই মিলনমেলার অংশ ছিল।

আমাদের ইনটেক (ব্যাচ) থেকে আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম যে পুরো অনুষ্ঠানটি আমরা ইউটিউব চ্যানেলে লাইভ টেলিকাস্ট করব। আমাদের এক বন্ধু পুরো কলেজে ওয়াই-ফাই এর ব্যবস্থা করেছিল। আমাদের শুধু দরকার ছিল ভাল মানের কয়েকটি ওয়েব ক্যাম।

বিস্তারিত»

কৈশোরের চাঞ্চল্য, একটি অপমান ও কিছু কথা (১)

পনের বছর আগের কথা। তখন ২০০১ সাল, এস এস সি পরীক্ষা দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সম্ভবত, কলেজে শুধু আমরাই আছি। পরীক্ষার দিন তিনেক বাকি। সবার মন খারাপ, গ্রেডিং সিস্টেম চালু হচ্ছে। কেউ জানেনা কিভাবে  গ্রেডিং হবে। স্যাররাও কনফিউজড। সবারই বেশ টেনশন । এর মধ্যে কারো একজনের উর্বর মাথা থেকে আসলো, শেড  ক্রিকেট খেলতে হবে। টেনশন কমে যেতে পারে। যেই কথা সেই কাজ, কর্ক এর বল জোগাড় করা হল,

বিস্তারিত»