শিক্ষণীয় গল্প/কবিতা থেকে শিক্ষা নেয়ার শিক্ষা…

১। যে আমলের কথা বলছি তখন ‘মিথ্যাবাদী রাখাল’ গল্পটি খুব বেশি মানুষ জানত না। একবার এক বিদ্বান ব্যক্তি কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে এই গল্প শুনিয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলেন তারা এই গল্প থেকে কী শিক্ষা পেল। সবাই জবাব দিল-‘মিথ্যা বলা খুব খারাপ, মজা করেও মিথ্যা বলতে হয় না। মিথ্যার পরিণাম ভাল হয় না’।

তিনি একই গল্প এরপর শোনালেন কিছু রাজনীতিবিদকে এবং যথারীতি গল্পটির শিক্ষা জানতে চাইলেন।

বিস্তারিত»

অশান্ত শহরটি যেভাবে বশ মেনেছিল

( বিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান লেখক পাওলো কোয়েলহোর How the city was pacified গল্পের মর্মানুবাদ এটি।)

অনেককাল আগের কথা। পিরিনীজ পর্বতমালার পাদদেশে ছিল এক শহর। কিংবদন্তি অনুসারে, শহরটা নাকি গুণ্ডা-বদমাশদের জন্যে ছিল রীতিমতো অভয়ারণ্য। আর দুষ্টের শিরোমণি ছিল আহাব নামের এক আরব। এহেন দুষ্কৃতিকারীর জীবন পুরোপুরি বদলে গেল স্থানীয় পাদ্রীর কাছে ধর্মবাণী শোনার পর। তার বোধোদয় হলো যে, শহরের পরিস্থিতি বিশৃঙ্খলভাবে চলতে দেওয়া উচিত হচ্ছে না।

বিস্তারিত»

নিমগ্ন অন্তরীক্ষে

নিমগ্ন অন্তরীক্ষে।
মো ও খা ও

নিমগ্ন যখন অন্তরীক্ষে কিছুই ছোবেনা আর
না প্রেম না পূজা, বয়ে যাক বৈশাখী ঝড় নৈঋতে,
অথবা হউক পুড়ে খাক অধর্ চৈত্রের দাবানলে,
প্রকৃতি উন্মুখ হবে না আর উন্মাদ রোষানলে।

প্রয়োজন যখন পরাহত শুদ্ধ নিয়ন্ত্রনে সকল সত্বা
না লোভ না লালসা, নাচুক নটি কটি দুলে রঙিন রাতে,
অথবা ত্যাজি হউক ঘর সংসার রাজন সন্যাসী,

বিস্তারিত»

“মা” – স্মৃতি রোমন্থন আর অনুধাবন

FB_IMG_1462551329951

ছবিটা অসাধারন হয়েছে!
ছবির বক্তব্যটাও আনপ্যারালাল!

ইদানিং ফেসবুকে এই ছবিটা অনেকেই শেয়ার করছেন। বেশ ইমোশন প্রভোকিং একটা ছবি। কিন্তু এটা কি বাস্তব চিত্র, নাকি শুধুই একটা মডেলিং ফটোগ্রাফ, সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কোথায় যেন একটা ত্রুটি আছে এই ফটোগ্রাফে। বাচ্চাটার যে বয়স, তাতে সুঁচ ফোটানোর বিষয়টিতে তার ভয় পাবারই কথা, কিন্তু সেটা তার চোখেমুখে নেই। আবার বাচ্চা যদি এতটাই সাহসী বা সুঁচ ফোটানোতে এতটাই নির্ভীক,

বিস্তারিত»

ক্ষমা

আমি যখন নিজের দোষ বুঝতে পেরে
লজ্জিত হই,
অনুতপ্ত হই,
ক্ষমাপ্রার্থী হই,
কিন্তু মুখে ক্ষমা চাইতে পারিনা,
তখন খুব করে চাই,
কেউ আমার চোখ দুটো দেখে পড়ে নিক
আমার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন।

আমার প্রতি যখন কেউ অন্যায় করে,
আমি অপেক্ষা করতে থাকি,
সে নিজের ভুল বুঝুক,
লজ্জিত হোক,
অনুতপ্ত হোক,
ক্ষমাপ্রার্থী হোক।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৩১

কলেজ হাসপাতালে কয়েকদিনঃ
সেই সপ্তম শ্রেণীতে প্রথম টার্মেই গণজ্বরে ভোগার পর আল্লাহ’র রহমতে আমার আর কোনদিন তেমন অসুখ বিসুখ হয় নাই। বন্ধু বান্ধব কিংবা ছোট বড় কেউ কেউ মাঝে মাঝে হাসপাতালে কয়েকটা দিন থেকে এসে খবর দিত, সেখানে থাকতে তাদের খুব ভালো লেগেছে। ওদের কথা শুনে মনে মনে খুব ইচ্ছে হতো, কয়েকটা দিন আমিও যদি হাসপাতালে থেকে আসতে পারতাম! শীঘ্রই সে সুযোগও এসে গেলো।

বিস্তারিত»

ABCD অথবা বাংলা শক – ১

বিঃ দ্রঃ ঘটনা গুলো সব সত্য, কিছুটা পরিমার্জিত (নাম, পরিচয়, স্থান উহ্য রেখে)। কাউকে অসম্মান অথবা আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং নিজের চিন্তার শুদ্ধতার লক্ষেই এই অসলগ্ন চিন্তাকে লেখায় রূপান্তর। অন্যকারো অভিজ্ঞতার সাথে মিনিয়ে বিচিত্র মানুষের ততধিক বিচিত্র কর্মকান্ডের ব্যাখা খোঁজার অপচেষ্টা।

 

কালচারাল শক !!! দেশের বাইরে প্রথম যে বিষয়টি ফেস করেতে হয় তা হল, নিজেকে অন্য একটি দেশের/জাতির সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা। 

বিস্তারিত»

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে বলছি…

১। কয়েকমাস আগে আমাদের ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে ১২ তম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হয়েছে। ৩ দিন ধরে চলা এই অনুষ্ঠানে বর্তমান-প্রাক্তন ক্যাডেটদের মিলনমেলা বসেছিল। বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণ, সম্বর্ধনা, খেলাধুলাও এই মিলনমেলার অংশ ছিল।

আমাদের ইনটেক (ব্যাচ) থেকে আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম যে পুরো অনুষ্ঠানটি আমরা ইউটিউব চ্যানেলে লাইভ টেলিকাস্ট করব। আমাদের এক বন্ধু পুরো কলেজে ওয়াই-ফাই এর ব্যবস্থা করেছিল। আমাদের শুধু দরকার ছিল ভাল মানের কয়েকটি ওয়েব ক্যাম।

বিস্তারিত»

কৈশোরের চাঞ্চল্য, একটি অপমান ও কিছু কথা (১)

পনের বছর আগের কথা। তখন ২০০১ সাল, এস এস সি পরীক্ষা দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সম্ভবত, কলেজে শুধু আমরাই আছি। পরীক্ষার দিন তিনেক বাকি। সবার মন খারাপ, গ্রেডিং সিস্টেম চালু হচ্ছে। কেউ জানেনা কিভাবে  গ্রেডিং হবে। স্যাররাও কনফিউজড। সবারই বেশ টেনশন । এর মধ্যে কারো একজনের উর্বর মাথা থেকে আসলো, শেড  ক্রিকেট খেলতে হবে। টেনশন কমে যেতে পারে। যেই কথা সেই কাজ, কর্ক এর বল জোগাড় করা হল,

বিস্তারিত»

ভাল আছি …. ভাল নেই

জীবন বড়ই বিচিত্র। খুব কম সময়ই আমরা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে খুশি থাকি, ভাল থাকি। সেই সাথে জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও সদাসংশয়। এই উইকএন্ডে আম্মার কথায় চাপা ঊৎকন্ঠা, অদূর ভবিষ্যতে ভূমিকম্পে ঢাকা দাঁড়িয়ে থাকবে কিনা তা নিয়ে। ক্যান্সার সার্ভাইবার মা আজ অপরিকল্পিত নগরায়ণের ভয়ে নিজেই সদাকম্পিত।

ব্যক্তি আমি হয়তবা ভূমিকম্প হতে নিরাপদ (ভৌগলিক অবস্থানগত কারনে)। কাগজে কলমে জীবনের নিরাপত্তাও আছে।আসলে কি তাই ……

ঘটনা একঃ স্প্রিং ব্রেকে ০৪ দিনের ছুটিতে আমার স্ত্রী বেড়াতে এসেছে।

বিস্তারিত»

শুভ জন্মদিন ম্যালকম মার্শাল!

ম্যালকম মার্শালের জন্ম ১৮ এপ্রিল ১৯৫৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিখ্যাত পেস এটাকের তিনি ছিলেন সেরাদের মধ্যে অন্যতম সেরা, ভয়ংকরতম তো অবশ্যই! ১৯৯৯ সালে মাত্র ৪১ বছর বয়সে এই লিজেন্ডারি ক্রিকেটার ক্যান্সারের আক্রমণে মারা গিয়েছেন। তাঁকে স্মরণ করে এই লেখাটি লিখেছিলেন ক্রীড়া সাংবাদিক অরুনাভ সেনগুপ্ত।

সেরাদের সেরা

৭০ ও ৮০’র দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল আক্ষরিক অর্থেই ক্রিকেট বিশ্বকে শাসন করেছে,

বিস্তারিত»

পরিক্রমা

এক বৈশাখ থেকে আরেক বৈশাখ
খরতাপে, গরমে নাভিশ্বাস
তারপর ঝড়জল পাড়ি,
সাদা মেঘে উজ্জ্বল ঘুড়ির ডানা
নতুন ধান, শিশির ভেজা ঘাস
বসন্তের ফুল, পাখি আর গান
এই সবই এক দারুণ অপেক্ষার মানে।

বাতাসে তার আসার আবাহন
শরীর জুড়ে প্রজাপতি,
সে আসবে বলেই এই ঋতুচক্র
বারবার বাঁধে মায়াজালে।
কে ডাকে? কাক না কোকিল?
বুকের ভেতর এক হলুদ পাখি
অপেক্ষায় থাকে,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ৩০

প্যারেন্টস’ ডে
সপ্তম থেকে নবম শ্রেণীতে পড়া পর্যন্ত প্যারেন্টস’ ডে গুলো আমার খুব ভালো লাগতো। প্রতি মাসের শেষ রবিবারে প্যারেন্টস’ ডে হতো। যে মাসে দু’সপ্তাহের কম কলেজে থাকতাম, সে মাসে হতো না। দিবসগুলোর দিকে মুখিয়ে থাকতাম। প্যারেন্টসদেরকে আমাদের হাউসে আসতে দেয়া হতোনা। কলেজ অডিটরিয়াম, ক্লাসরুম, করিডোর, গ্যালারী, কলেজ হাসপাতালের সামনের খোলা জায়গা, ইত্যাদি স্থানে প্যারেন্টসরা এবং ভাইবোনসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনেরা ক্যাডেটদের সাথে নিভৃতে বসে কথাবার্তা বলতে পারতেন।

বিস্তারিত»

মেঘবালিকার ছবি।

মেঘবালিকা হারিয়ে গেছে
এক ভিন্ন মেঘের দেশে,
আকাশটা তাই মেঘশূন্য,
নীরব হয়ে আছে।

মেঘের ঘরেই গড়তে বসত
চেয়েছিলেন এক কবি,
স্বপ্ন ভেঙে জেগে দেখেন,
মিথ্যে হলো সবই।

জানালাটা খোলাই রাখেন
তারপরেতেও কবি,
আকাশ মাঝে খুঁজে ফেরেন
মেঘবালিকার ছবি।

ঢাকা
২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক কবিতা

সম্পর্ক যেন প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রতিদিন হাজিরা, ইয়েস স্যার, উপস্থিত ম্যাড্যাম,
হাজির…..

দু একদিন ক্লাস মিস গেলেই দরখাস্ত,
জবাবদিহীতা…কারণ দর্শাও নোটিশ।
প্রতিদিন জানান দিতে হয়, আছি, আছি, আছি।
সম্পর্কগুলো কেমন যেন, নড়বড়ে…
একটু গ্যাপ বাড়লেই তুই থেকে তুমি,
আর তুমি থেকে আপনি….

অচেনা অচেনা ভাব, আন্তরিকতার অভাব।
যেন মাত্রই পরিচয়,

শেষ যে কে কবে বলেছিল,

বিস্তারিত»