আমাদের সীমাবদ্ধতা, আমরা সবকিছুতেই দুটি দিক খুজে পাই।
ঠিক যেন মুদ্রার দুই পিঠ, মাথা আর লেজ।
মানুষ খোঁজতে যাই, নারী আর পুরুষ।
ধর্ম বুঝতে যাই, আস্তিক আর নাস্তিক।
আস্তিকতার কথা বলবেন, একইশ্বর কিংবা বহুইশ্বর, অইত মুসলমান আর হিন্দু।
কেবল একইশ্বরের কথা শুনাতে চাচ্ছেন, হুম তাও জানি ইসলাম এবং ক্রীশ্চান।
বাদদিন ধর্মের কথা, বর্ণের কথা বলেন, অহ্ সাদা আর কালো।
জ্বর মস্তিষ্কে অনুর্বর কিছু ভাবনা……
এই ছোট আয়তনের শহরে,
বড় বড় দালান গুলো আকড়ে ধরে থাকে
বড় বড় কর্তা ব্যক্তিরা,
তারা এ শহর ছেড়ে আর অন্যকোন নোংরা মফস্বল শহরে যেতে চান না।
আর তাদের কে ঘিরে হু হু ঢল নামে মানুষের দলের।
সেই মানুষের জন্য আরো গড়ে উঠে দালান-কোঠা, দোকান-পাট
প্রয়োজনে বাড়িয়ে তোলে আরো প্রয়োজনীয়/অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা।
আয়তনে ছোট্ট শহর হয় জনসংখ্যার হিসেবে অন্যতম।
শেকড়ের সন্ধানেঃ বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয়-২
১
বৃটিশদের সময় ১৮৭২ সালে সর্বপ্রথম সরকারিভাবে বাংলার জনসংখ্যা গণনা করা হয়। তৎকালীন বাংলার রাজনীতি, শিক্ষাদীক্ষা, ব্যবসাবাণিজ্য ছিল কলকাতাকেন্দ্রিক এবং সেখানে ছিল হিন্দুদের প্রধান্য; অপরদিকে মুসলমানরা ইংরেজপূর্ব শাসনকেন্দ্র মুর্শিদাবাদ এবং উত্তরবঙ্গে কিছুটা প্রভাবশালী। তুলনামূলকভাবে অনুন্নত দক্ষিনবঙ্গ এবং পূর্ববঙ্গকে কলিকাতাকেন্দ্রিক বাংলার পশ্চাতভূমি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এসব এলাকার জনগোষ্ঠী সম্পর্কেও খুব একটা আগ্রহ দেখা যেতো না। এদেরকে ধরে নেওয়া হতো নিম্নবর্ণের হিন্দু এবং অন্যান্য স্থানীয় আদিবাসী হিসেবে।
বিস্তারিত»শেকড়ের সন্ধানেঃ বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয়-১
বাংলাদেশে বর্তমানে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির কিছু উপরে, যার মধ্যে শতকরা ৮৭ ভাগই মুসলমান। এই হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের ৪র্থ বৃহত্তম মুসলিম দেশ। আমরা জানি, ভারতবর্ষ ঐতিহাসিকভাবে সিন্ধু ও গঙ্গা নদীর তীরবর্তী দ্রাবিড় এবং আর্য সভ্যতার আবাসভূমি। এরা ছিল মূলতঃ বৈদিক বা হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। এদের মধ্যে এতোগুলো মুসলমানরা এলো কিভাবে? তাও আবার প্রতি দশজনে নয়জনই মুসলমান? উপরন্তু ভারতবর্ষের একেবারে পূর্বপ্রান্তে যা কিনা মুসলমানদের শাসনকেন্দ্র থেকে সবচেয়ে দূরবর্তী অঞ্চল?
বিস্তারিত»ডিজেলবাবা
খেজুর-গুড় হাসির
মিষ্টি রসে,
গাল ভরাইয়া,
পড়ে তরতরাইয়া-
জীবন উথালপাথাল আনন্দে ভাসে!
সে আনন্দ, তাহাকে বিনা কি আর আসে?
তাহার
ঘাড়ের মাঝখানে, দেখি হায় একী…
ভীষন সর্বনাশা, জোয়ান মশকী!
বিষভরা দংশন,
নিকষ কালো-
মুহূর্তে গিলিবে সে পৃথিবীর আলো!
কাঁদো কাঁদো কন্ঠে, প্রভুপানে কহি-
“সব মশা না মারিয়া ঘুমাইব নাহি!”
স্কন্ধ কুঞ্চিত,
বিস্তারিত»সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায়! (তৃতীয় পর্ব)

সমুদ্রপারে তাদের পাড়ায় পাড়ায়! (তৃতীয় পর্ব)
গডরিচ জেলেপাড়া
সমুদ্র সৈকতে যাবার অনুমতি এখনো মেলেনি!কারন সিয়েরালিওনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধুলার ভেতরে লালমাটিতে স্থাপিত বাংলাদেশ সেক্টর সদর দপ্তর এখনো আমাদের ওপরে রুষ্ট। তারপরেও সমুদ্র প্রতিনিয়ত আমাদেরকে টানে। কারন মানুষের জীবনে জল একটা প্রধান অনুষঙ্গ।বিবর্তনের প্রাথমিক স্তরে জলজ জীবন থেকেই একদিন সে ডাঙায় উঠে এসেছিলো!
এপ্রিল ২০০২ সন। আমরা ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের সরবরাহকৃত এ্যাম্বুলেন্স সাইজের ফ্রিজের ভেতরের বরফে রুপান্তরিত ফসিলের মতন কঠিন সামুদ্রিক মাছ-মাংশ ভক্ষন করতে করতে প্রথমে নিরাসক্ত এবং পরবর্তীতে ক্লান্ত হয়ে গেছি।বিশাল আকৃতির টার্কি মুরগিগুলোকে ফ্রিজ থেকে বের করার পর সকালের উজ্জ্বল আলোতে শিকারির গুলিতে নিহত হরিন শিশু বলে মনে হয়।
বিস্তারিত»মনে আছে
তুমি একটা গল্পের কথা বলেছিলে।
ছোট্ট গল্প, তবু গল্পটা মনে নেই।
তবে, গল্প বলার ভঙ্গিটা মনে আছে,
গল্প শোনার দিনক্ষণটাও মনে আছে।
ঢাকা
০৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
আম জনতার সরলতা
গতকাল ০১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ তারিখে এ বছরের একুশে বইমেলার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগের রাতে আমি আমার প্রকাশকের সনির্বন্ধ অনুরোধে রাজী হয়েছিলাম, সকালে বাঙলাবাজারে তার অফিসে গিয়ে আমার প্রকাশিতব্য বই “জীবনের জার্নাল” এর চূড়ান্ত প্রুফ দেখে অনুমোদন দিয়ে আসবো। ছোটবেলায় স্কুলছাত্র থাকার সময়ে বাঙলাবাজারে বহুবার গিয়েছিলাম। দেশ স্বাধীন হবার পর মাত্র দু’বার বরিশাল যাবার সময় সদরঘাট যেতে ঐ পথে গিয়েছি।
বিস্তারিত»একটি বই পর্যালোচনা
ভুমিকা
সেই অর্থে ‘বই পর্যালোচনা’ বা ‘বুক রিভিউ’ কখনও করা হয়ে ওঠেনি। এটা আমার প্রথম চেষ্টা। এই কাজটা করতে উৎসাহিত বোধ করার কারণ যে বইটা নিয়ে কাজ শুরু করলাম তার লেখক এবং বই নিজেরাই। বইটা আমার একজন সহকর্মী আমাকে উপহার দেন। ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এই বইটার ভুমিকা লিখেছেন। সেখান থেকে কিছুটা উদ্ধৃত না করলেই নয়-“ আমাদের দেশে লেখাপড়া নিয়ে অনেক সমস্যা- সবাই বছরের শুরুতে বই পেয়ে যায় কিন্তু বইগুলো খুব ভালো না;
বিস্তারিত»শেখ আমিন ঘুমিয়ে পড়েছে বন্ধুরা।
শেখ আমিন ঘুমিয়ে পড়েছে বন্ধুরা।
জীবন এমনই , এত হাসি এত কথা এত চিন্তা এত কল্পনা এত ভাবনা শেষ হয়ে যায় হঠাৎ করেই। জানিনা ” মরন কি টেনে দেবে অন্ধ আবরন” – উপলব্ধি থেকে কত কবিই তো কত কিছু লিখে গেছে। শেখ আমিন চলে গেলো, আমরাও যাবো কিন্তু মনে হয় জীবন এমনি মাতাল যে এত কাছে থেকে ও আমাদের একটু সময় হয়না কাছে বসার ,
বিস্তারিত»কিন্নরকণ্ঠী নদী – ১৪
(পিলখানার শহীদদের স্মরণে আমার প্রথম উপন্যাসের এই অধ্যায়টি এখানে দিলাম। পিলখানা বিষয়ক অনেক তথ্য আমি এখানকার ব্লগার সাইফের ব্লগ থেকে নিয়েছিলাম।)
চৌদ্দ
হিয়া ভেবেছিলো বয়স্ক কোন ড্রাইভার আর অফিসের পিয়নের সাথে বোধহয় তাকে বান্দর বনে যেতে হবে। কিন্তু হোটেল লাউঞ্জ থেকে ফোন পেয়ে ভোর ছয়টায় যখন নিচে নেমে এল তখন দেখল যে তার অপেক্ষায় অল্পবয়সী এক আর্মি অফিসার একটা জীপের মধ্যে বসে আছে।
~ দৃশ্যপট : দৃশ্যের পর দৃশ্য, দৃশ্যের পর দৃশ্য …… দৃশ্যের অন্তর্ধান ~
~ দৃশ্য-এক
দীনবন্ধু মিত্র যখন নীলচাষীদের কান্নার ধ্বনিকে শব্দের সৌকর্যে সাজালেন কালোত্তীর্ণ সাহিত্য উপস্থাপনায় তখন রাজা রামমোহন বললেন “নীলচাষের জমির নিকটবর্তী অঞ্চলের অধিবাসীদের জীবনযাত্রার মান অন্যান্য অঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের তুলনায় উন্নততর। নীলকরদের দ্বারা হয়তো সামান্য কিছু ক্ষতি সাধিত হতে পারে, ……. নীলকর সাহেবগণ এদেশীয় সাধারণ মানুষের অকল্যাণের তুলনায় কল্যাণই করেছেন বেশী”। দ্বারকানাথ বাবু বললেন, “নীলচাষ এদেশের জনসাধারণের পক্ষে সবিশেষ ফলপ্রসূ হয়েছে। জমিদারগণের সমৃদ্ধি ও ঐশ্বর্য বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কৃষকদের বৈষয়িক উন্নতি সাধিত হয়েছে।” বৃটিশ শাসনের কল্যাণে এভাবে পশ্চিমা সুবাতাসে যখন আধুনিক ভারত জন্ম নিচ্ছিল গ্রাম্য কৃষকদের জীবন-শ্রম-ঘামের বিনিময়ে।
বিস্তারিত»পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ গোলাম মুরশিদের “হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি”
১
প্রখ্যাত লেখক+গবেষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার অধ্যাপক এবং পরবর্তীতে লন্ডনে বিবিসিতে কর্মরত ডঃ গোলাম মুরশিদ যে বইটার জন্য বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাস চর্চায় চিরস্থায়ী আসন অর্জন করেছেন, তা হল “হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি” (২০০৫)। বই আকারে প্রকাশের আগে এর বেশ কয়েকটা অধ্যায় প্রথম আলো এবং ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। সেসময় বাংলা সাহিত্যের উপর লেখা অধ্যায়টি পড়ে পুরো বই সম্পর্কে বেশ আগ্রহ জেগেছিল। প্রথম আলো বইটিকে পুরস্কৃত করলে সেই আগ্রহ আরও বেড়ে যায়।
টুকিটাকি – ৪
১
আমাদের সময় এই সমস্যাটি অতো প্রকট আকারে ছিল না। এটি এই জেনারেশনের সমস্যা। তা হল ব্যক্তিগত সম্পর্কে ফেসবুক হানা দেওয়া। গত বছর শুনলাম আমার এক আত্মীয় বিয়ে করেছে। খুব ধুমধামে বিয়ে হল। ছেলে আর মেয়ে দুজনের বাবাই একসময় প্রভাবশালী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। ছেলেমেয়েরা সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। তাদের উপর তেমন অর্থনৈতিক চাপ নেই। বাবারাই ঢাকা শহরে ঘরবাড়ি করেছেন। সন্তান সংখ্যাও কম। চাকরীটা তাদের দরকার সামাজিক স্ট্যাটাসের জন্য।
একজন কিংবদন্তীর কথা বলছিঃ ক্লাইভ লয়েড (শেষ পর্ব)
শুধুই সামনে এগিয়ে যাওয়া
লয়েড সে সময় সম্ভবত জীবনের সেরা ফর্মে ছিলেন। সেরা ফর্ম দেখানোর জন্য তিনি বেছেও নিলেন সেরা প্ল্যাটফর্ম, প্রথম বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচ! মাত্র ৮৫ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো তাঁর দৃষ্টিনন্দন ১০২ রানের ইনিংসটি আজও বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ইনিংস বলে স্বীকৃত। তিনি যখন মিড উইকেট দিয়ে অবলীলায় অসি বোলারদের পুল করছিলেন তা দেখে প্রখ্যাত সাংবাদিক জন আরলট লিখেছিলেন,
বিস্তারিত»