বাঙলাদেশ
(১) জনসংখ্যাঃ ১৬,৮৯,৫৭,৭৪৫ (আনুমানিক ষোল কোটি ঊননব্বই লক্ষ সাতান্ন হাজার সাতশ পয়তাল্লিশ)। বাস করেঃ ১৪২,৬১৫ (আনুমানিক এক লক্ষ বেয়াল্লিশ হাজার ছয়শ পনের) বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।
(২) রাজধানীঃ ঢাকা। রাজধানীর জনসংখ্যাঃ ১,৫৬,৬৯,০০০ (আনুমানিক এক কোটি ছাপ্পান্ন লক্ষ ঊনষাট হাজার)
(৩) বিটিআরসির ৩০ নভেম্বর ২০১৫ হিসেব মতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাঃ ৫,৩৯,৪১,০০০ (আনুমানিক পাঁচ কোটি ঊনচল্লিশ লক্ষ একচল্লিশ হাজার)
অন্তর্জাল ব্যাপ্তির হারঃ ৩১.৯%
(৪) নভেম্বর ২০১৫ হিসেব মতে ফেইসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যাঃ ২,৮০,০০,০০০ (আনুমানিক দুই কোটি আশি লক্ষ)।
ত্যাল
ইঞ্জিনে ঢালে, খাবারে মেশায়,
কুন্তলে মাখে বালিকা;
তরল সে এক পদার্থ ভাই,
তেল- জগতের চালিকা।
কিন্তু ভ্রাতারা, জান কি তোমরা, সকল তেলের মাসী-
আছে সে ‘ত্যাল’ এক, অসীম শক্তি, সিংহকে করে খাসী?
মাখামাখি ওই তরলে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা-জনগণ,
সেই ত্যালেরই গুণ গাহি আজ, শুনিও ভ্রাতারা দিয়া মন।
ত্যালের প্রকৃতি অদ্ভুত বড়, মধুর মতই মিষ্ট;
কষ্ট ছাড়াই আনিবে ঠিক সে,
প্রজন্ম-প্রজন্মান্তর
রংপুর ক্যাডেট কলেজের আমাদের ব্যাচ (১৯৮৮-‘৯৪)-এর দুজন (লেঃ কর্নেল হুমায়ুন এবং অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন শহীদ)-এর সন্তান বর্তমান প্রজন্মের ক্যাডেট। হুমায়ুনের বড় ছেলে ফৌজদারহাটে ক্লাস এইটে পড়ছে, আর শহীদের বড় মেয়ে আজ জয়পুরহাটে সপ্তম শ্রেনিতে ভর্তি হলো। নতুন প্রজন্মের সবার জন্য দোয়া, অভিন্দন, শুভকামনা এবং ভালবাসা!
আমার মেয়েটার কেবল সাড়ে তিন বছর বয়স। স্বপ্ন দেখি তাকেও ক্যাডেট বানানোর। কিন্তু ইদানিং কালের দূর্ঘটনাগুলো আসলেই মনে চাপ ফেলছে।
বিস্তারিত»ছয়টি তারে (গীটার উপাখ্যান)
ছয়টি তারে পাঁচটি আঙুল
বাজিয়ে দিলাম সুর,
একটি তারে ঝুমকা বাজে
একটিতে নূপুর।
একটি তারে ঠমক-ঠামক
বিছায় আলোড়ন,
একটি তারে রেশমি চুড়ি
উদাস করে মন।
একটি তারে সুখ-দুঃখে
জড়িয়ে থাকার পণ,
আর একটি তারে ভালোবাসি
তাকেই অনুক্ষণ।
শেকড়ের সন্ধানেঃ বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয়-৩
১
প্রথম পর্বে পর্যালোচনা করে দেখেছি যে, বাইরে থেকে মুসলমানদের ভারতবর্ষে মাইগ্রেশন, মুসলিম শাসকদের তলোয়ারের মাধ্যমে জোরপূর্বক হিন্দুদেরকে ইসলামে ধর্মান্তর অথবা সুফিদের মাধ্যমে সাম্যবাদী ইসলামে হিন্দুদের স্বেচ্ছায় ধর্মান্তর কোন তত্ত্বই ঐতিহাসিক তথ্য এবং যুক্তির বিচারে টেকেনা, বিশেষ করে যখন আমরা ভারতবর্ষের কেন্দ্রে নয়, বরং প্রান্তিক অঞ্চলে মুসলমানদের সংখ্যাধিক্য দেখি, যেমন পূর্ববঙ্গ তথা আজকের বাংলাদেশ।
বিস্তারিত»একজন সুখী মানুষের কথা (অনুবাদ কবিতা)
Edwin Arlington Robinson এর “A Happy Man” কবিতাটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছিলো। “When these graven lines you see, Traveller, do not pity me;” (“হে পথিক, রেখাঙ্কিত এ সমাধিগুলো দেখে কখনো আমার প্রতি করুণা কাতর হয়োনা”) এই পংক্তি দুটো পড়ার সাথে সাথে আমার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করে। আমি কবিতাটি অনুবাদ করার সিদ্ধান্ত নেই এবং কবির জীবনী সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হই। তাঁর জীবনী পড়ে বিস্ময়ে অভিভূত হই।
বিস্তারিত»বইমেলার টুকিটাকি
এবারের একুশে বইমেলায় নিজের বই বিক্রী হোক বা না হোক, কোন কোন দিনে বেশ চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি। যেমন একদিন একটা নয় দশ বছরের বাচ্চা মেয়ে আমার “জীবনের জার্নাল” এর প্রচ্ছদের ছবিটার দিকে অনেকক্ষণ ধরে তাকিয়ে দেখছিলো। তার পরে কয়েকটা পৃষ্ঠা উল্টিয়ে একটা চ্যাপ্টার পড়া শুরু করলো। দুই একটা পৃষ্ঠা একনাগাড়ে পড়লো। ততক্ষণে ওর মা কয়েকবার ওকে ডেকে পাশের একটা স্টলের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন।
বিস্তারিত»~ বোহেমিয়ান সেই কবির জীবন মন্তাজ : যোদ্ধা, প্রেমিক, দ্রোহী এক স্বপ্নবাজ ~
কোথায় আলো জ্বেলে অপেক্ষায় বসে আছে আমার বিদায় উৎসব তোরণ! কে জানে কোন ক্ষণে আমি পৌঁছে যাবো সেইখানে। আমার প্রস্থান লগ্নটিকে ছুঁয়ে দিতেই বুঝিবা নিভে যাবে তার সমস্ত আলোকসজ্জা।
টিকিটের গায়ে অদৃশ্য গন্তব্য স্টেশনের নামটি ঠিক ঠিক বুঝি তখনই দৃশ্যমান হয়ে উঠবে – আমার যাত্রাশেষের ইংগিত আলোকবর্তিকার মতোন। অদৃশ্য ট্রাফিক হাতের ইশারা বলবে যখন, থামো। এটাই শেষ স্টেশন। নামো।
ভালোবেসে যা কিছু প্লাবন এনেছো মাটির গায়ে পাললিক আহলাদে,
২৫ ফেব্রুয়ারির স্মৃতি
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯। উচ্চতর গণিত পরীক্ষা দিয়ে এসে জানতে পারি ঢাকায় সেনাবাহিনীর সাথে গন্ডগোল চলছে বিডিয়ারের। খুব বেশি কিছু জানার সুযোগ ছিল না। কারণ, আমরা বাস করি এমন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপে যেখানে বাইরের পৃথিবীর খবরগুলো সেন্সর করে আমাদের কাছে পাঠানো হয়। সব খবর আমাদের জন্য প্রাসংগিক না। এ কারণেই হয়তো এমন করা। কলেজের শৃং্খলা রক্ষায় নিয়োজিত জলপাই রং পোশাকের মানুষগুলোর বিচলিত মুখ দেখে বুঝতে পারি কোন সাধারণ ঘটনা নয়।
বিস্তারিত»চিন্তা খেলা করে ৩
সম্পর্কের রসায়ন
কি জটিল প্রক্রিয়ায় নারী ও পুরুষের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে জানা নেই। জানি না এই শহরে কেমন করে প্রেম হয়। গড়ে ওঠে সম্পর্কের বীজ। চারদিকে অজস্র সম্পর্ক গড়ে ওঠার মিছিল দেখে মাঝেমাঝে ইচ্ছে হয় ভীড়ের মাঝে আমিও ঢুকে পড়ি। কিন্তু এইসব মিছিলে নিজেকে ‘ফিশ আউট অফ ওয়াটার’ মনে হয়। ভাবি, গড়পরতা এইসব সম্পর্কের শেষটা আসলে কোথায়?
কলাভবনের সামনে তেঁতুলের আচার চাটতে দেখে যে নারীকে অপার্থিব সৌন্দর্যের দেবী মনে হয়েছিল,
বিস্তারিত»পথ খোঁজা রাতগুলো
প্রতি রাতে চেয়ে দেখি ঘুরে-ফিরে,
ফেলনা সব খেলনা খুঁজে, যুদ্ধের আয়োজন চলে।
গাছের পাতায় হাওয়ার মাতম শেষ হলে- কাকেদের ঘরে শান্তি আসে।
তাদের ঘুম না ভাঙ্গিয়ে চুপিচুপি হেঁটে যায় কেউ,
চোখ মেলে ঊর্ধ্বাকাশে।
বেচাকেনার হাট বসে সাইনবোর্ড ছাড়া;
কে কেনে আর কে বেচে, বুঝে ওঠার আগেই মিলিয়ে যায় হাট।
পড়ে থাকে জঞ্জাল, মানুষের ঘাম।
রাস্তা বয়ে চলে সংবাদের গাড়ি,
শুভ জন্মদিন- ভিভ রিচার্ডস, দ্যা কিং!
৭ মার্চ, ১৯৫২ সালে ক্রিকেটের সর্বকালের সবচেয়ে আগ্রাসী এবং ভীতি জাগানো ব্যাটসম্যান ভিভ রিচার্ডস জন্মগ্রহণ করেন। পুরো নাম স্যার আইজ্যাক ভিভিয়ান আলেক্সান্ডার রিচার্ডস। মাঠে শুধু তাঁর উপস্থিতিই প্রতিপক্ষের শিরদাঁড়ায় ভয়ের শীতল স্রোত বইয়ে দিত। ২০১৩ সালে ক্রীড়া সাংবাদিক অরুনাভ সেনগুপ্ত ভিভের জন্মদিনে তাঁর ব্যক্তিগত ও খেলোয়াড়ি জীবন নিয়ে দারুণ একটি আর্টিকেল লিখেছিলেন। আমি সেই লেখাটির ভাবানুবাদ করার চেষ্টা করছি।
আমরা যদি ক্রিকেটের সব ধরনের ব্যাকরণ বই এবং পরিসংখ্যানের ঝাঁপি নিয়ে বসি তবুও ক্রিকেটের দীর্ঘ ইতিহাসে ভিভের চেয়ে ভাল ব্যাটসম্যান খুব বেশি পাওয়া যাবে না।
বিস্তারিত»স্মৃতিটুকু রয়ে যায়….
বালকেরা ভুলে যায়, বালিকারা নয়।
পুরুষেরা ভুলে যায়, রমণীরা নয়।
প্রথম চিঠির, প্রথম পরশের স্মৃতিটুকু,
বালকের, পুরুষের উড়ুউড়ু মন থেকে
যত দিন যায়, তত ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়।
বালিকারা, রমণীরা মনের তোরঙ্গতলে
সযতনে সেসব স্মৃতি ভাঁজ করে রাখে।
অলস সময়ে আকাশে কালো মেঘ হলে
তারা আপন মনে সে তোরঙ্গ খুলে বসে।
পরতে পরতে সযতনে ভাঁজ করে রাখা
স্মৃতির সে সম্ভারগুলো খুলে খুলে দেখে,
ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে স্বল্প পরিসরে এক্স ক্যাডেটদের “একুশের বইমেলা”
ক্যাডেট কলেজ ক্লাব কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ, নবীন ও প্রবীণ, উদীয়মান ও প্রতিষ্ঠিত এক্স ক্যাডেট কবি-লেখকদের এবং তাদের কাজকে সকলের সামনে তুলে ধরার এক অনন্য সুযোগ দানের জন্য। বিশেষ করে শাওনকে (এসসিসি/৯৫-০১) ধন্যবাদ, কারণ সেই প্রথম আমাকে টেলিফোন করে এই মহতি অনুষ্ঠান আয়োজিত হবার খবর দেয়, এবং এ ব্যাপারে আমাকে নানা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে। যদিও এ ব্যাপারে ইসিএফ এ একটা পোস্ট দেখেছিলাম, তথাপি স্মৃতিভ্রমের কারণে অনুষ্ঠানটির কথা আমি ভুলেই যেতে বসেছিলাম।
বিস্তারিত»রূপ আর বাবা মা’র গল্প
এখানে হুট করেই সন্ধ্যা নামে। মুরং পাড়ার ওপাশে শেষ ঝুপড়িটার ধার ঘেঁষে সূর্যটা হারিয়ে যায়। আঁধার নেমে এসে ঢেকে দেয় পাহাড়ের মাঝখানে দূরত্বটা। অনেক গুলো জোনাকি হঠাত করেই জেগে ওঠে আলোর মিছিল নিয়ে। একটা তক্ষক নিজের মনেই ডেকে ওঠে, একটানা, অনেকক্ষন ধরে। তারপর কোত্থেকে একটা ব্যাঙ, অনেক গুলো নাম না জানা পোকা থেকে থেকে ডেকে চলে। পৃথিবীর এক প্রান্ত যেন, অদ্ভুত নীরব, অনেকটা অন্যরকম। সন্ধ্যা নামে এই পাহাড়ে।
বিস্তারিত»